Rain - বৃষ্টি

Rain - বৃষ্টি Always make positive fun

18/01/2024
05/07/2023

- আম্মুর বক\বকানি যেটা নিয়েই শুরু হোক না কেন😒

- শেষ হবে আমার phone use করা নি'য়ে🙄

16/06/2023

গল্পঃ ভাবি যখন বউ
#পর্ব_০৩ ( Md Arif )

(২য় পর্বের পর থেকে)

ভাইয়ার সাথে যখন বিয়ে হয়েছিলো তখন ভাবির মুখে খুব সুন্দর হাসি ছিলো, আজকে সব আছে সেটাই নাই। হয়তো এমন কিছু হয়ে যাবে কল্পনাও করেনি।

ছোট বেলা থেকেই আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো খুব সুন্দর করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবো, ভালো একটা চাকরি পাওয়ার পর বিয়েটা করবো। কিন্তু সব কিছু তো সবার কপালে থাকে না।

আমার কপালেও হয়তো নেই, আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি জীবনে এমন একটা সময় আসবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। ভাবিকে বিয়ে করতে হবে তাও নিজের অজান্তে,,,,

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখে পানি চলে আসলো টেরিই পাইনি। কেউ একজন পেছন থেকে কাঁধের উপর হাত দেয়, তাকিয়ে দেখি বাবা,,,,

আমিঃ আব্বু এখনো তুমি এখানে? ঘুমাও নি।

বাবাঃ পৃথিবীর নি/কৃষ্ট বাবার মধ্যে আমিই একজন, যে অন্যের মেয়ের জন্য নিজের ছেলেকে কো'রবানি দিলাম।

আমিঃ............

বাবাঃ তোর সাথে আমি অনেক বড় অ'ন্যায় করেছি। এই বয়সে সবাই ঘুরাফেরা করতেছে আর আমি তোর কাঁধে সব চাপ তুলে দিলাম। আবার তোর অমত থাকা স্বত্ত্বেও অবন্তীর সাথে তোর বিয়ে দিলাম। তুমি আমাকে মা'ফ করে দিস বাবা,,, (হাত ধরে)

আমিঃ ধু'র তুমি এগুলো কি বলো? তোমার যেটা ভালো মনে হয়েছে সেটাই করেছো।

বাবাঃ অবন্তীকে অনেক ভালোবাসিরে, মেয়েটাকে ছাড়া ঘরটা কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগে।

আমিঃ.............

বাবাঃ যা, অনেক রাত হয়েছে। এবার ঘরে যা। মেয়েটা অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে।

আমি আর কোনো কথা না বলে নিচে চলে আসলাম, এসে রুমে চলে গেলাম। দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি ভাবি মানে অবন্তী ভাইয়া একটা ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদতেছে।

আমার ঠিক কি করা উচিত কিছুই বুঝতেছি না। আমি খাটের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। একটু পর ভাবি, (না আর ভাবি বলবো না কারণ সে এখন আমার স্ত্রী!) বললো......

অবন্তীঃ জুয়েল!

আমিঃ জ্বি,,,,

অবন্তীঃ তোমার সাথে কিছু কথা আছে। (চোখ মুছতে মুছতে)

আমিঃ হুম বলেন।

অবন্তীঃ আমি জানি তুমি ছেলেটা অনেক ভালো, তোমার মতো ছেলেকে স্বামী হিসেবে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বেপার। কিন্তু আমি তোমাকে কখন স্বামী হিসেবে মানতে পারবো না।

আমিঃ........ (অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম)

অবন্তীঃ তুমি তো জানোই তোমার ভাইকে আমি কতটা ভালোবাসি। তোমার ভাইয়ের জায়গায় আমি অন্য কাওকে জীবনেও কল্পনা করতে পারবো না।

আমিঃ.............

অবন্তীঃ যেদিন প্রথম বউ সেজে তোমাদের বাসায় এসেছিলাম তখনই ওয়াদা করেছি তোমার ভাইকে ছাড়া জী'বনে আর কারো দিকে তাকাবোও না।

আমার থেকে তোমার ভাই আমাকে বেশি ভালোবাসতো, কতটা বাসতো সেটা হয়তো কল্পনাও করা যাবে না।

আমিঃ........ (এখনো চু'প)

অবন্তীঃ তুমি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করতে পারো, আমি যদি অন্য কাওকে স্বামী হিসেবে না মানতে পারি তাহলে তোমাকে কেন বিয়ে করলাম?

হ্যা এটার উত্তরও দিয়ে দিচ্ছি। তোমার সাথে বিয়ে না হলে অন্য কোথাও ঠিকই বাবা মা আমার বিয়ে দিয়ে দিতো। কিন্তু আমি এইখানে আব্বু আম্মুর আর তোমার কাছ থেকে যে ভালোবাসা, আদরয'ত্ন পেয়েছি অন্য কোথাও সেটা নাও পেতে পারি।

আমার মনের অবস্থাটা তোমরা একটু হলেও বুঝবে বাট অন্যরা বুঝবে না।

আমিঃ........

অবন্তীঃ জানো জুয়েল আমি হচ্ছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অ'ভাগা, সুখ ঠিকই আসলো কিন্তু কপালে লেখা ছিলো না।

আমিঃ.........

অবন্তীঃ তুমি আমাকে মাফ করে দিও। তোমার সুন্দর জীবনটা আমি ন'ষ্ট করে দিলাম, জানো আমারও অনেক ইচ্ছা ছিলো তোমার জন্য খুব সুন্দর একটা মেয়ে দেখ তারপর তোমার সাথে বিয়ে দিবো।

আমরা জ্যা হিসেবে নয় বোন হিসেবে থাকতাম। একবার চিন্তা করো কতো সুন্দর হতো আমাদের ফ্যামিলিটা।

আমিঃ.......(এখনো চু'প)

অবন্তীঃ তুমি প্লিজ আমাকে মা'ফ করে দিও। আমি তোমাকে স্বামী হিসেবে মানতে পারছি না।

আমিঃ অনেক রাত হইছে, ঘুমিয়ে পড়ুন।

এটুকু বলেই বারান্দায় চলে গেলাম। এমন কিছু হবে আমি জীবনেও কল্পনা করিনি।

আমি ভাবছি অন্য কোথাও অবন্তীর বিয়ে হয়ে গেলে সে সুখে থাকবে না, সব কিছু মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।

আমার সাথে বিয়ে হয়ে গেলে হয়তো অবন্তীর কোনো আফসোস থাকতো না। কিন্তু কি ভাবলাম আর কি হয়ে গেলো? আসলে সব কিছু সবার ক'পালে থাকে না।

আমার ক'পাল যে এতো খা'রাপ হবে আমি কখনো ভাবিনি। কতো সুখেই না ছিলাম আমি, কিন্তু আজ? সুখের চিহ্নও নাই,,, মনে মনে বাবার উপর রা'গ হচ্ছে।

উনার আবেগ রাখতে গিয়ে আমার জীবনটাই শেষ, ভাইয়ার কথা খুব মনে পড়তেছে।

আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ভাইয়ার ক'বরের কাছে যাবো। ঘড়ি দেখলাম ১২.০০ টা বাজে, আমি কাওকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম।

বাইরে খুব সুন্দর চাঁদের আলো, একা একা হাটতেছি। কিছুক্ষণ পর ভাইয়ার ক"বরের কাছে গেলাম....

ক"বরের বেড়াটা ধরে তাকিয়ে রইলাম ক"বরের দিকে, ভাইয়া আর আমার স্মৃতি গুলো মনে পড়তে লাগলো।

নিজেই নিজেই বলতে শুরু করলাম,,,

" ভাইয়া কেমন আছিস? তোর কি সময় হবে একটু কথা বলতাম। জানিস তু"ই যে আমার মাথার উপর ছায়ার মতো ছিলি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

যখন যেটা চেয়েছি সেটাই তু"ই আমাকে দিয়েছিস, কিন্তু দেখ আমি কি হত"ভাগা, তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না।

তু"ই যখন ফ্যামিলি চালাইছিস রাজার মতো চলেছি আমরা, অথচ দেখ আমি কিভাবে চালাচ্ছি একবেলা খেলে পরের বেলা না খেয়ে থাকতে হয়।

বাবা মাকে আমি সুখে রাখতে পারছি না। জানিস ভাই এখনো আমি কোনো জিনিষ কিনলে তোর জন্যও কিনে রাখি। আমি যেখানেই যাই না কেন সব সময় যেন মনে হয় তু"ই আমার পাশেই আছিস।

ভাই তোর মনে আছে তু"ই যে দিন বাইক কিনেছিলি চাবিটা আমার হাতে দিয়ে দিলি আর বললি বাইকটা আজ থেকে তোর, তু"ই আমার জন্য অনেক sacrifice করেছিস, কিন্তু দেখ আমি কতো বড় হা/রামি! তোর জন্য তো কখনো sacrifice করিনি বরং তোর বউটাকে নিজের বউ করে নিয়েছি।

ভাই বিশ্বাস কর, আমি অনন্তীকে বউ হিসেবে কল্পনাও করিনি। তোর যাতে মনে কষ্ট না যায় সেজন্য আমি কখনো অবন্তীর দিকে খারাপ নজরেও তাকাই নি।

তু"ই সব সময় আমাকে বলতি অবন্তীকে দেখে রাখতে কিন্তু দেখ আমি কতো বড় বে/ইমান দেখে রাখার নাম করে আমি নিজেই ওরে বিয়ে করে ফেলেছি।

ভাই, এই ভাই, আর একবার আমাদের মাঝে আয়। আমি যে আর পারছি না। মা বাবাকেও কিছু বুঝতে দিতেছি না কারণ আমি যদি ভে/ঙ্গে পড়ি তাহলে ওদের কি হবে?

ভাই আমি তোর সাথে অনেক বড় অ/ন্যায় করেছি তু/ই আমাকে মাফ করে দিস,,,,

আর কোনো কথা মুখ দিয়ে আসছে না, বার বার ভাইয়ার চেহারাটা চোখে ভাসতেছে। আরো কিছুক্ষণ ক"বরের পাশে থেকে বাসার দিকে হাটা দিলাম।

ভাবতে লাগলাম আমিই হয়তো একমাত্র ব্যক্তি যে বাসর রাতে নিজের বউয়ের সাথে না থেকে একটা কবর/স্থানের মধ্যে রাত কাটিয়ে দিলো।

বাসায় যাওয়ার পর দেখলাম অবন্তী এখনো নাক টেনে টেনে কাঁদতেছে,,,,

আমিঃ কি ব্যাপার আপনি এখনো ঘুমান নি?

অবন্তীঃ কোথায় গিয়েছিলে?

আমিঃ ছাদে, রাত অনেক হইছে ঘুমিয়ে যান।

তারপর আমি একটা বালিশ নিয়ে ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালবেলা ফজরের আজানের সময় ঘুম ভে"ঙ্গে যায়, আমি উঠে নামাজ পড়ার জন্য রেড়ি হচ্ছি।

অবন্তীর দিকে তাকিয়ে দেখি বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে, কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম তারপর বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে চলে গেলাম।

নামাজ পড়ে এসে দেখি অবন্তীও উঠে গেছে। আমি ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করে নিলাম, কাজে চলে যেতে হবে। পকেটে কোনো টাকা নাই, তাই হেটেই যেতে হবে। তাড়াতাড়ি না গেলে বসে ঝা"ড়ি খেতে হবে।

গোসল করে রেড়ি হয়ে রুম থেকে বের হলাম, দেখি মা রান্না করছে আর অবন্তী সেগুলো সাজিয়ে দিচ্ছে। বাবা বসে বসে খবরেরকাগজ পড়তেছে। আমাকে এতো সকাল সকাল রেড়ি হতে দেখে বললো....

বাবাঃ কিরে তু"ই কই যাস?

আমিঃ আব্বু কাজে যাচ্ছি। কালকেও যাইনি,,,

বাবাঃ কয়েকটা দিন বাসায় থাক। সবেমাত্র বিয়েটা হলো, আরো কয়েকদিন পরে যাবি।

আমিঃ না আব্বু, বাসায় তো তেমন কোনো কাজ নাই। সো বসে থেকে কোনো লাভ নাই।

বাবাঃ আচ্ছা শোন,,,,

আমিঃ হুম বলো।

বাবাঃ অবন্তীর তো সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। কলেজের তো ফিস, বেতন সব রয়ে গেলো।

আমিঃ আচ্ছা, আমি রাতে দিয়ে দিবো। কতো টাকা হয়েছে আমাকে বলে দিও। সেকি আজকে কলেজে যাবে?

বাবাঃ হুম যাবে।

আমিঃ ওকে তাহলে কলেজে গিয়ে কতো টাকা হয়েছে সেটা যেনে আমাকে কল দিয়ে বলার জন্য বলিও।

বাবাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

আমিঃ ওকে আমি বের হচ্ছি।

তারপর বেরিয়ে গেলাম, কি করবো বুঝতেছি না। অবন্তীর ফাইনাল পরীক্ষা মানে তো আমারও ফাইনাল পরীক্ষা। কারণ অবন্তী আর আমি সেম ইয়ারেই পড়ি শুধু ক্যাম্পাসটা ভিন্ন।

যখন কলেজে নিয়মিত যাইতাম, টাকা খরচ করতাম কতো বন্ধুবান্ধব ছিলো, আর এখন টাকাও নাই বন্ধুও নাই। ফাইনাল এক্সাম চলে আসছে অথচ কেউ একটু আমাকে জানালোও না।

আমারও অনেক ইচ্ছা ছিলো অনার্সটা অন্তত শেষ করা। কিন্তু কিভাবে কি করবো? অবন্তীর টাকা দেওয়ার মতো টাকাও তো আমার হাতে নাই।

প্রতিদিনের মতো গোডাউনে চলে গেলাম, বস সেখানে বসে আছে।

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম বস।

বসঃ হুম কি অবস্থা মি. জুয়েল। কালকে আসো নি যে?

আমিঃ বস একটু কাজ ছিলো।

বসঃ এতো কি কাজ তোমার? এতো কাজ হলে চাকরি করার কি দরকার?

আমিঃ.......(চু"প করে দাঁড়িয়ে আছি)

বসঃ যাও আজকে সব গুলো মা"ল সেল করে আসবে। না হলে বেতন কেটে নিয়ে যাওয়া হবে।

আমিঃ......... (এখনো দাঁড়িয়ে আছি)

বসঃ কি ব্যাপার দাঁড়িয়ে আছো কেন? কিছু বলবা নাকি?

আমিঃ জ্বি বস, একটা কথা ছিলো।

বসঃ কি কথা?

আমিঃ আমাকে যদি এই মাসের টাকাটা অগ্রিম দিতেন উপকার হতাম। আমার খুব দরকার,

বসঃ তোমার কাজ করার দরকার নাই, আসছে উনি কাজ ছাড়া টাকা নিতে। ভালো লাগলে করো না হলে চলে যাও।

আমি আর কোনো কথা না বলে মা/ল গুলো নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। অবন্তীর পরীক্ষার টাকা কোথায় পাবো সেই চিন্তায় আমি শেষ।

হাতের ঘড়িটা অনেক দামি ছিলো, ভাইয়া ইটালি থেকে নিয়ে আসছিলো। বাংলা টাকায় অনেক দাম। উপায় না পেয়ে সেটা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

ভাইয়ার শেষ চিহ্নটুকুও বিক্রি করে দিলাম।

কয়েকটা দোকানে মাল সেল দেওয়ার পর আয়মান (স্কুল বন্ধু) এর সাথে দেখা।

আয়মানঃ কিরে জুয়েল! তু/ই এগুলো কি করিস?

আমিঃ আয়মান বন্ধু তু"ই? হায় রে কতো দিন পর দেখা। কি অবস্থা তোর?

আয়মানঃ আমি তো আছি। তু"ই এগুলো কি করিস?

আমিঃ চাকরি নিয়েছি।

আয়মানঃ ধুর ব্যাটা এটা কোনো চাকরি হলো? আর তোর বাবা ইনকাম করে ভাইয়া ইনকাম করে তু"ই এগুলো কেন করস।তু"ই তো রাজার হালে থাকার কথা।

আমিঃ হুম ছিলাম বাট এখন প্রজা থেকেও আমার অবস্থা খারাপ।

আয়মানঃ কেন কি হইছে?

আমিঃ.....(সব কিছু বললাম)

আয়মানঃ কি বলিস তু"ই? তো তোর পড়ালেখা?

আমিঃ শেষ করে দিলাম, আমি পড়তে গেলে অবন্তীর আর পড়া হবে না। দুই জায়গায় টাকা দেওয়ার মতো অতো টাকা আমার কাছে নাই।

আয়মানঃ তোর রেজিস্ট্রেশন করা আছে?

আমিঃ হুম, বাট সেটা দিয়ে আর কি হবে।

আয়মানঃ তোর পরীক্ষার টাকা আমি দিবো, তু"ই পরীক্ষা দে।

আমিঃ ধন্যবাদ বাট আমি টাকা নিতে পারবো না।

আয়মানঃ কেন?

আমিঃ দেখ আমার টাকা নাই এটা সত্য। কিন্তু কারো করুণা নেওয়ার মতো ছেলে আমি না সেটা তু"ই ভালো করেই জানিস।

আয়মানঃ আজকে যদি তোর ভাই দিতো তাহলে কি বলতি ভাই তোর প্রতি করুণা করছে?

আমিঃ........

আয়মানঃ মনে কর এখন আমিই তোর ভাই, তাই টাকাটা দিচ্ছি। কিন্তু মনে রাখিস একেবারে দিচ্ছি না। তু"ই ভালো কোনো চাকরি পেলে আমার টাকা দিয়ে দিবি। (হাসতে হাসতে)

আমিঃ ওকে।

আয়মানঃ চল কলেজে যাই, সব কিছু ঠিক করে আসি।

আমিঃ না দোস্ত তু"ই যা। আমার এগুলো সেল করতে হবে। তু"ই গিয়ে আমার নামে টাকা জমা দিয়ে দিস।

আয়মানঃ আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থাকিস, আমি আবার দেখা করবো।

আমিঃ ওকে তু"ই বাসায় আসিস।

এরপর আয়মান চলে যায়, মনের মধ্যে একটু শান্তি আসলো। তারপর বাকি গুলো মাল বিক্রি করে বসের কাছ থেকে টাকা আর ঘড়ি বিক্রি করা টাকা নিয়ে টিউশনিতে গেলাম। সেখানেও অগ্রিম টাকা নিলাম, সব মিলিয়ে ৬ হাজারের মতো।

আবারও হাটতে হাটতে বাসায় গেলাম, রাত প্রায় ১১ টা বাজে। আমি বাসায় গিয়ে বাবাকে ডাকলাম, তারপর...........

#চলবে..........
To be Continue.............

Next Part Coming SooN......

15/06/2023

গল্পঃ ভাবি যখন বউ
#পর্ব_০২ ( Md Arif )

(১ম পর্বের থেকে)

আমি আর কোনো কথা না বলে ভাইয়ার মুখের উপর থাকা সাদা কাপড়টা সরিয়ে দিলাম।

ভাইয়াকে দেখে আম্মু একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়, বাবা এসে জড়িয়ে ধরে। ভাবি ঠাস করে বসে যায়।

অঝোর ধারায় সবাই কান্না করতে থাকে। এরপর ভাইয়ার কাফন দাপন শেষ হয়, আমি আর বাবা অনেক সময় ভাইয়ার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, বাবা বাসায় আসতে চায়নি। একসময় আমি জোর করে বাসায় নিয়ে আসি।

বাসায় আসার পর ভাবি আর আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করে, আমিও নিষেধ করিনি।

আমি স্ট্রং ছিলাম, কারণ আমিও যদি ভেঙ্গে পড়ি ফ্যামিলির কেউই হয়তো ভালো থাকবে না।

সেদিন থেকে আমাদের পরিবারের মুখের হাসি টা উড়ে গেলো। ভাবি একদম স্তব্ধ হয়ে যায়।

ভাইয়া মারা যাওয়ার পর ফ্যামিলিতে ক্রাইসিস শুরু হয়, কারণ আগে ভাইয়ার টাকা দিয়েই সব খরচ হতো। আব্বুর দোকানটাও বিক্রি করে দিছে।

আর আব্বুর এখন যে অবস্থা তার দ্বারা কোনো কাজ করা পসিবল না। বাধ্য হয়ে আমি নেমে গেলাম জীবন যুদ্ধে।

অনার্স টা শেষ না করার কারনে ভালো কোনো চাকরি পাইনি,একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নিই।

আমার কাজ হচ্ছে বাজারের প্রত্যেকটা দোকানে গিয়ে কার কি মাল রাখবে সেটা লিখে এনে মাল গুলো আবার পৌঁছে দেওয়া। যাকে বলা হয় এস আর,,,

ভাইয়ার কথা খুব মনে পড়তো, কতো কষ্ট করে ভাইয়া টাকা ইনকাম করতো এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

বেতন ছিলো কম, মাত্র ৮ হাজার টাকা। যেটা দিয়ে ফ্যামিলি কোনোমতে চললেও আব্বু আম্মুর মেডিসিন কেনা প্রায় অসম্ভব।

তাই বন্ধুদের বলে কয়েকটা টিউশনি নিয়ে নিলাম।

সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত আমার এই যুদ্ধ চলতে থাকে। নিজের পড়ালেখা প্রায় শেষ করেই দিলাম, কিন্তু ভাবিরটা কন্টিনিউ রাখলাম।

এরমাঝে ভাবির বাবা মা অনেক বার এসেছে আমাদের বাসায় ভাবিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আব্বু উনার হাত ধরে অনেক রিকুয়েস্ট করে ভাবিকে রেখে দেয়।

ভাবিকে এতো ভালোবাসতো যে অন্য কারো ঘরে পাঠানোর চিন্তাও আব্বু আম্মু করতো না।

সেদিন আমি কাজ শেষ করে টিউশনি করিয়ে বাসায় আসলাম, রুমে গিয়ে চেইঞ্জ করে নিলাম তখন বাবা আমার রুমে আসলো....

আমিঃ আরে আব্বু! আসো ভিতরে আসো।

বাবাঃ আমার পাশে বস,,,,

আমি গিয়ে বাবার পাশে বসলাম,,,, বাবা আমার হাত ধরে বললো....

বাবাঃ তোর খুব কষ্ট হচ্ছেরে?

আমিঃ আরে ধুর এগুলো কি বলো?

বাবাঃ তোর জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি, তুই আমাদের মাফ করে দিস।

আমিঃ আব্বু তুমি কি পাগল হইছো, এগুলো কি বলো। আমার ফ্যামিলি আমি না দেখলে কে দেখবে? আর আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না।

বাবাঃ অবন্তীর বাবা আসছিলো।

আমিঃ হুম কি বললো?

বাবাঃ ওরে নিয়ে যেতে চায়, এভাবে নাকি দিন যায় না।

আমিঃ তুমি কি বললে?

বাবাঃ আমি তো বলে দিয়েছি আমি আমার মেয়েকে জীবনেও দিবো না।

আমিঃ ও আচ্ছা।

বাবাঃ বেয়াই যদি আবার আসে?

আমিঃ আসবে না, টেনশন করার দরকার নেই।

বাবাঃ তোর কাছে কিছু টাকা হবে? (করুনার সুরে)

আমিঃ এভাবে কেন বলো? কত টাকা লাগবে সেটা বলো।

বাবাঃ অবন্তীর বই নাই, বই কিনতে হবে তাই।

আমি মানিব্যাগ চেক করে দেখলাম মাত্র ৫৭৬ টাকা আছে, যেটা আমার পুরো মাসের পকেট ও যাতায়াত খরচ। এটা যদি দিয়ে দিই তাহলে পুরো মাস পায়ে হেটে কাজ করতে হবে।

ধুর এতো কিছু চিন্তা করে লাভ নেই, পুরো টাকাটা বাবা হাতে দিয়ে দিলাম।

বাবা টাকা হাতে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে নিজের রুমে চলে গেলো।

পরের তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলাম কেননা আমাকে পায়ে হেটে যেতে হবে, গাড়ি ভাড়া নাই।

তাই তাড়াতাড়ি উঠে রওনা দিলাম। তারপরও অফিস পর্যন্ত যেতে ২০ মিনিট দেরি হয়। বস ইচ্ছা মতো ঝাড়ি দিলো। তারপর গত কালকে রে মাল গুলোর রিসিট কেটে নিয়ে আসছি সেগুলো দোকানে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা কভার ভ্যান নিয়ে রওনা দিলাম।

অন্য একজন ভ্যান চালাচ্ছে আমি পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। হাতে অনেক গুলো মালের সেম্বল,,,

একটা দোকানে মাল দিয়ে আসার পথে ভাবিকে দেখলাম অনেক গুলো মেয়ের সাথে, মনে হয় ক্লাস শেষ করে বাসায় যাচ্ছে। ভাবির চোখ দেখেই চিনে ফেললাম যে এটা ভাবিই হবে।

আমি তখন ভ্যান ঠ্যালতেছি। ভাবি আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, আমি উনার চোখে স্পর্শ পানি দেখলাম। আমি ভাবিকে দেখেও না দেখার ভান ধরে চলে গেলাম।

এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছে। বাস্তবতা কি জিনিষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

আজকে শুক্রবার, চাকরি টিউশনি সব কিছুই বন্ধ। তাই ঘুমিয়ে আছি, অনেক ধরে ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না।

ভাবি আমার রুমে আসলো,,,,

ভাবিঃ জুয়েল! এই জুয়েল,,,,

আমিঃ আরে ভাবি আপনি কখনো আসলেন?

ভাবিঃ এই তো একটু আগে, অনেক বেলা হইছে এবার ঘুম থেকে উঠো।

আমিঃ হুম উঠতেছি, আসলে শরীরটা কেমন যেন ব্যাথা করতেছে, তাই ঘুমটা একটু বেশিই হলো।

ভাবিঃ তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না?

আমিঃ আরে ধুর এগুলো কি বলেন, আমি তো সুন্দর লাইফ
কাটাচ্ছি। কোনো প্রবলেম হচ্ছে না।

ভাবিঃ আমি দেখেছি কেমন সুন্দর লাইফ কাটাচ্ছো।

আমিঃ আচ্ছা আপনার পড়ালেখার কি অবস্থা? (কথা ঘুরিয়ে নিলাম)

ভাবিঃ মোটামুটি তুমি আর পড়বে না?

আমিঃ দেখি কি করা যায়, কলেজে যাওয়ার মতো তো সময় নাই। পরীক্ষাটা দিবো। যদি কপালে পাশ লেখা থাকে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ্‌,,,,

ভাবিঃ হুম, আসো খেয়ে নাও।

আমিঃ আপনি যান, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

তারপর ভাবি চলে গেলো, আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।

এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছিলো, এমন একটা লাইফ কাটাচ্ছি যেটাতে নিজের স্বাধীনতা বলে কিছু নাই। পরিবারের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে সব ত্যাগ করতে হয়।

একদিন খেয়াল করে দেখলাম মায়ের শাড়ি গুলো সব পুরাতন হয়ে গেছে, ভাবিও প্রতিদিন একটা ড্রেস গায়ে দিয়ে কলেজে যায়। বাবারও পাঞ্জাবি গুলোতে ময়লা জমে গেছে। ভাবির মোবাইলটা হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যায় এরপর আর মোবাইল নেয়নি। তারপর লজ্জায় আর আমাদের কাওকে বলেনি। সব কিছু মিলিয়ে সবারই অবস্থা খারাপ।

নিজের শখের জিনিষ গুলা বিক্রি করে দিলাম, হুম আমার কম্পিউটার, গিটার, হাতের ঘড়ি এবং শখের মোবাইলটাও বিক্রি করে দিলাম সবার অজান্তে।

তারপর আব্বু আম্মু আর ভাবিকে নিয়ে শপিং এ গেলাম। আব্বুর জন্য কয়েকটা লুঙ্গি, পাঞ্জাবি আর গেঞ্জি নিয়ে নিলাম। আম্মুর জন্য শাড়ি, ছায়া, ব্লাউজ আরো টুকটাক জিনিষ নিলাম।

ভাবিকে উনার পছন্দ মতো নিতে বললাম, উনি কয়েকটা থ্রি পিছ, জুতা, কিছু কসমেটিক্স নিলো।

আম্মু বললো.....

আম্মুঃ তোর জন্য কিছু নিবি না?

আমিঃ নাহ! আমার সব আছে। (মুছকি হাসি দিয়ে)

তারপর উনাদের বাইরে দাঁড়িয়ে রেখে আমি একটা মোবাইলের দোকানে গেলাম, আমার জন্য একটা নরমাল মোবাইল নিলাম আর ভাবির জন্য একটা স্মার্ট ফোন নিলাম।

তারপর উনাদের নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

রাতের বেলা সবাই আমার রুমে আসলো,,,,

আমিঃ কি ব্যাপার সবাই একসাথে?

আম্মুঃ কেন আসতে পারি না?

আমিঃ আরে আজব না পারার কি আছে? আসো,,,,,

সবাই এসে বসলো, আমি ব্যাগ থেকে ভাবির জন্য কেনা মোবাইলটা ভাবির হাতে দিলাম।

ভাবিঃ কি এটা?

আমিঃ মোবাইল আপনার জন্য নিলাম।

ভাবিঃ আমার তো এখন মোবাইলের কোনো দরকার নেই, টাকা নষ্ট করলে কেন?

বাবাঃ সত্যি করে বলতো তুই টাকা কোথায় ফেলি?

আমিঃ আমার কাছে জমানো ছিলো।

আম্মুঃ মিথ্যা বলিস কেন? সত্যি করে বল টাকা কোথায় পাইছিস?

আমিঃ কম্পিউটার, গিটার আর মোবাইলটা বিক্রি করে দিয়েছি। (মাথা নিচু করে)

বাবাঃ কেন তোরে এগুলো বিক্রি করতে কে বলেছে?

আমিঃ তোমাদের সবার কাপড়চোপড় গুলো পুরাতন হয়ে গেছে, দেখতেই তো খারাপ লাগে। সেজন,,,,,

ভাবিঃ তাই বলে এগুলো বিক্রি করে দিবে?

আমিঃ আরে কোনো সমস্যা নাই, আমি এখন কম্পিউটার চালানোর মতো সময় পাই না। আর গিটার তো বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না। এগুলো একটারও আমার দরকার নেই?

ভাবিঃ মোবাইল কেন বিক্রি করলে?

আমিঃ এতো দামি মোবাইলের কাজ নেই এখন, সারাদিন কাজে থাকি মোবাইল চালানোর সময় কই, আর মোবাইলের প্রতি এতো শখ নাই। একটা নরমাল হলেই চলবে।

কেউ আর কিছু বললো না, নির্বাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। সবার চোখে যে পানি চলে আসছে সেটা আমি ভালো করেই দেখছি।

কিছুদিন পর আমি শুয়ে আছি, সকাল ১০.০০ টার মতো বাজে,, সোফা রুমে চিল্লাচিল্লি শুনে তাড়াতাড়ি সেখানে গেলাম, গিয়ে দেখি তালোই মানে ভাবির বাবা আর মা এসেছে।

আমি গিয়ে সালাম দিলাম, কৌশল বিনিময় করে বাজারে গেলাম বাজার আনতে, কারণ মেহমান আসছে ভালোমন্দ কিছু না হলে খারাপ দেখা যায়।

আমি বাজার থেকে কিছু বাজার করে নিয়ে আসলাম। তারপর রান্না ঘরে দিয়ে আসলাম ভাবি আর মা রান্না করতেছে।

আমি গিয়ে উনাদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম।

দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়া করে সবাই সোফা রুমে গিয়ে বসলাম। আমি বসিনি আব্বু আম্মু আর ভাবির বাবা মা সবাই বসছে, মনে হয় কিছু বলবে। ভাবি দরজা পাশে ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

কিছুক্ষণ পরই ভাবি আব্বু মানে আংকেল বললো....

আংকেলঃ দেখেন বেয়াই সাব যেজন্য আমরা আসছিলাম।

বাবাঃ জ্বি বেয়াই বলুন।

আংকেলঃ আমার মেয়েটার বয়স খুব একটা বেশি না। এই বয়সে সে বিধবা হয়ে যাবে কল্পনাও করিনি। যাইহোক আল্লাহর যা পছন্দ হয়েছে তাই করেছে। আমার মেয়েটা মাত্র দুইমাস জামাইয়ের সাথে ছিলো। তারপর কি হলো সেটা তো জানেন।

এখন কথা হচ্ছে ওর তো একটা ভবিষ্যৎ আছে, এভাবে তো আর তার জীবন চলবে না।

বাবাঃ তো এখন কি করতে পারি?

আংকেলঃ আপনাদের কিছু করতে হবে না, আমাদের মেয়েকে আমরা নিয়ে যাবো। ওর অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিবো। এভাবে থাকলে তো আর হবে না।

বাবাঃ না বেয়াই এটা করবেন না, আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবেন না।

আংকেলঃ দেখেন আবেগ দিয়ে তো আর জীবন চলে না। বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।

হুম এটা ঠিক যে আমার মেয়ের কপাল অনেক ভালো, আপনাদের মতো শ্বশুর শাশুড়ি পেয়েছে। খুব কম মেয়েই এই রকম শ্বশুর শাশুড়ি পেয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা তো আর ওর কিছু করতে পারবেন না। ওকি আপনাদের সাথে জীবন কাটাতে পারবে? আপনাদের ওতো বয়স হয়েছে। মরতে তো হবেই। আপনাদের কিছু হয়ে গেলে আমার মেয়েটার কি হবে?

ভাবি নির্বাক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে আছে, না পারছে বাবার পক্ষে কিছু বলতে না পারছে শ্বশুরের পক্ষে কিছু বলতে।

বাবাঃ কিন্তু এখানে তো ওর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সব ঠিকঠাক মতো আছে।

আংকেলঃ হুম সব আছে বাট স্বামী তো নাই। একটা মেয়ে কি এভাবে লাইফ কাটাতে পারে? আপনিই বলুন, আপনার মেয়ে হলে আপনি কি করতেন?

বাবাঃ..........(মাথা নিচু করে বসে আছে)

আংকেলঃ আমি জানি আপনি অবন্তীকে অনেক ভালোবাসেন, নিজের মতোই দেখেন। কিন্তু অনন্তীকে আমরা আর এখানে থাকতে দিতে পারি না। অন্তত পক্ষে ওর বাবা হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব।

বাবাঃ আমার মেয়ে আমার কাছেই থাকবে, আমি আমার মেয়েকে যেতে দিবো না।

আংকেলঃ আপনি এসব কি বলছেন?

বাবাঃ হুম, আমার এক ছেলে হয়তো আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আরেকজন তো আছে, আপনি না অবন্তীকে বাইরে বিয়ে দিয়ে চেয়েছেন? বাইরে দেওয়ার দরকার নেই। আমার ছোট ছেলের কাছেই ওর বিয়ে দিবো। এবার তো আর বলতে পারবেন না যে আপনার মেয়ে বিধবা? ওর স্বামী নাই। এগুলো তো আর বলতে পারবেন না।

আমি বাবার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম, এটা কেমনে হয়, এখনো আমি অবন্তীকে ভাবি ডাকে আর সে নাকি আমার,,,,

না এটা কিছুতেই সম্ভব না, আমার মাথা ঘুরতেছে। হঠ্যাৎ করে বাবা আমার দুহাত চেপে ধরে বলে.....

বাবাঃ প্লিজ বাবা, তুই না করিস না। তুই অবন্তীকে বিয়ে কর, আমার মেয়েকে আমার কাছে থাকতে দে। প্লিজ বাবা, আমার অনুরোধ টা রাখ। নাহলে যে আমি মরেও শান্তি পাবো না।

বাবা কথা শুনে আমি কি বলবো কিছুই বুঝতেছি না, আম্মুও করুণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

আম্মুঃ জুয়েল! বাপ আমার প্লিজ না করিস না।

আমি বাবা হাত ধরে হ্যা সূচক মাথা নাড়ালাম। ভাবির দিকে তাকিয়ে দেখি উনি চোখ মুছতে মুছতে রুমে চলে গেলো।

ভাবির আব্বু বললো.....

আংকেলঃ বেয়াই (বাবাকে) আপনি মানুষ না, ফেরেশতা। একটা মানুষ এতো ভালো হয় কেমনে? আমি নিজেও জীবনে আমার মেয়ের জন্য এতোকিছু করিনি যেটা আপনি করলেন।

বাবাঃ আচ্ছা বেয়াই মশাই, বিয়েটা আজকেই হয়ে যাক। আমি কাজী ডেকে নিয়ে আসি।

আংকেলঃ আচ্ছা ঠিক আছে, আমি আমার ছেলেকে আর ছেলের বউকে আসতে বলি। আর অবন্তীকে বাইরে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে আনার জন্য বলবো।

বাবাঃ আচ্ছা আমি বাজারে গেলাম।

কোনো রকম অনুষ্ঠান ছাড়াই বিয়েটা হয়ে গেলো। ভাবি কে আজকে একটু অন্যরকম সুন্দর লাগছে। প্রথম বিয়ের ছেয়েও বেশি, শুধু একটা জিনিষের অভাব। সেটা হচ্ছে মুখের হাসিটা।

ভাইয়ার সাথে যখন বিয়ে হয়েছিলো তখন ভাবির মুখে খুব সুন্দর হাসি ছিলো, আজকে সব আছে সেটাই নেই। হয়তো এমন কিছু হয়ে যাবে কল্পনাও করেনি।

তারপর......

#চলবে.....
To be Continue.......

Next Part Coming SooN....

14/06/2023

গল্পঃ ভাবি যখন বউ

#পর্ব_০১

হঠ্যাৎ করেই বিয়েটা হয়ে গেলো। আজকে যে আমার বিয়ে হবে সেটা আমি আজকে সকালেও ভাবিনি, কি থেকে কি হয়ে গেলো নিজেও জানি না। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো যার সাথে আমার বিয়েটা হয়েছে সেটা আর কেউ নয়, আমার ভাবি। হুম আমার আপন বড় ভাইয়ের বউ। যাকে আজকে সকালেও আমি ভাবি বলে ডেকেছি কিন্তু এখন আমার বউ।

এখন দাঁড়িয়ে আছি বাসার ছাদের উপর, আর ভাবি মানে আমার বউ বাসর ঘরে অপেক্ষা করছে আমার জন্য।

কিছু বুঝতেছেন না তো? চলেন পুরো বিষয় টা আপনাদের বুঝিয়ে বলি,,,,,,

আজ থেকে প্রায় ১ বছর আগে ভাবির আর ভাইয়ার বিয়ে হয়, খুব সুন্দর দিন যাচ্ছিলো। ভাইয়া ইটালি থাকতো, আমি আম্মু আব্বু বাড়িতে থাকতাম, আমি তখন অনার্স ৩য় বর্ষের স্টুডেন্ট ছিলাম। ভাইয়া আর আমার সম্পর্ক ছিলো বন্ধুর মতো।

দুজনে খুবই ক্লোজ ছিলাম, বাবার একটা দোকান ছিলো, ভাইয়া ইটালি যাওয়ার পর বিক্রি করে দিয়েছে কারণ ভাইয়ার নিষেধ ছিলো বাবা যেন আর কোনো কাজ না করে, এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছিলো। আমিও বন্ধুবান্ধব, পড়ালেখা, আড্ডা এসব নিয়েই অসাধারণ লাইফ কাটাচ্ছিলাম। একটা ঝড় এসে আমাদের এই সুখি লাইফটাকে তছনছ করে দিয়েছে।

ভাইয়া বিদেশ থেকে বাড়িতে আসলো, আমরা ভাইয়ার জন্য মেয়ে দেখতে শুরু করে দিলাম। যদিও ভাইয়া বিয়ের জন্য রেড়ি ছিলোনা তবুও আব্বু আম্মুর জোরাজোরিতে রাজি হয়ে গেলো। অনেক গুলো মেয়ে দেখার পর একটা মেয়েকে ভাইয়ার জন্য আমরা পছন্দ করি। মেয়েটা দেখতে অসাধারণ, ,,

প্রথম দেখায় যে কারো পছন্দ হয়ে যাবে। ভাইয়ার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। ভাইয়াও মেয়েটা পছন্দ করে ফেললো। মেয়েটা আমার সাথেই পড়তো, অর্থাৎ অনার্স ৩য় বর্ষে। শুধু ক্যাম্পাসটা ভিন্ন ছিলো। নাম হচ্ছে অবন্তী।

দুই ফ্যামিলির সম্মতিতে মহা ধুমধামে ভাইয়ার বিয়েটা হয়ে গেলো।

ভাইয়া আর ভাবির আন্ডারেস্টিং টা ছিলো অসাধারণ, দুজন দুজনকে অল্প দিনেই অনেক ভালোবেসে ফেললো সেটা উনার হাবভাব দেখলেই বুঝা যায়।

বিয়ের পরে ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে অনেক ঘুরাফেরা করলো,, আমিও ভাবির সাথে অনেক মস্করা করতাম, ভাবি সব ক্লোজ ভাবে নিতো।

ভাবিও অল্প দিনে আব্বু আম্মুর মন জয় করে নিলো, আম্মু নিজের হাতে ভাবির মাথায় তেল দিয়ে দেয়, রান্না শিখায়।

আব্বু আর আম্মু ভাবিকে কখনো ছেলের বউ হিসেবে দেখেনি। নিজের মেয়ের মতোই দেখেছে। ভাবির আব্বু আম্মুকে নিজের বাবা মায়ের মতোই সেবাযত্ন করতো, সব কিছুতে হেল্প করতো।

ভাবি বাসায় আসার পর থেকে যেন বাসাটা অন্যরকম হয়ে গেলো, খুব সুন্দর ভাবে আমাদের দিন যাচ্ছিলো।

বিয়ের দুই মাস পরে ভাইয়ার ছুটি শেষ, তাই আবারও ইটালি চলে যেতে হবে। যদিও ভাইয়ার যাওয়ার মতো মন মানসিকতা ছিলো না। কারণ নতুন বিয়ে করেছে আরো কিছু দিন থাকার ইচ্ছা ছিলো বাট নিজের ক্যারিয়ার ফ্যামিলির কথা চিন্তা করে ভাইয়া ইটালি চলে গেলো।

ভাইয়া চলে যাওয়ার প্রতিদিনই আমাদের সবার সাথে কথা হতো, আমি এটাওটা বলে ভাইয়াকে খেপাতাম। এভাবে কিছু দিন চলে যায়।

একদিন আমি কলেজ থেকে বাসায় আসছি এমন সময় একটা বিদেশি নাম্বার থেকে কল আসে, আমি ভেবেছিলাম ভাইয়া কল দিয়েছে। কিন্তু না, আমি কলটা রিসিভ করলাম....

আমিঃ হ্যালো ভাইয়া, কেমন আছিস?

কিন্তু ওপাশ থেকে অন্য একটা লোক বললো....

লোকঃ আমি আপনার ভাই না। আপনার নাম কি জুয়েল???

আমিঃ হুম, আমিই জুয়েল বাট আপনি কে? আমাকে কিভাবে ছিনেন?

লোকঃ আমি তোমার ভাইয়ের বন্ধু, একসাথেই কাজ করি। আমার নাম রহিম,,,,,

আমিঃ ও আচ্ছা। তো ভাইয়া কেমন আছে?

রহিমঃ......... (চু'প)

আমিঃ কি ব্যাপার চু'প করে আছেন কেন? ভাইয়া কেমন আছে?

রহিমঃ তোমার ভাই,,,

আমিঃ হুম আমার ভাই কি? কি হয়েছে ভাইয়ার?

রহিমঃ তোমার ভাই আর বেঁ'চে নেই!

কথাটা শুনার সাথে সাথেই আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে লাগলো, আমি নিজেকে আর সামলাতে না পেরে মাটিতে বসে পড়ি। চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসলো,,,,,

আমিঃ কি বলছেন, এটা হতে পারে না। আমি সকালেও ভাইয়ার সাথে কথা বলেছি। (কাঁদতে কাঁদতে)

রহিমঃ হুম ঠিকই বলছি, কিছুক্ষণ আগে তোমার ভাই ডিউটিতে যাচ্ছিলো, প্রতিদিন আমি আর তোমার ভাই একসাথেই কাজে যেতাম কিন্তু আজকে আমার সিপ্ট সকালে ছিলো আর তোমার ভাইয়ের রাতে। একটু আগে বাস উ'লটে তোমার ভাই সহ ওই কোম্পানির প্রায় ১৩ জন মা'রা যায়। বাকিদের অবস্থাও খুব ভালো না।

আমিঃ না আমার বিশ্বাস হয়না। আপনি ভালো করে দেখেন, আমার ভাইয়ের কিছু হয়নি।

রহিমঃ দুই দিনের মধ্যে লা'শ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এ কথা বলেই রহিম ভাই কলটা কেটে দিলো। আমি যেন পাথর হয়ে গেলাম। মুখ দিয়ে কোনো কথা আসছে না।

আমি আব্বু আম্মুকে কি জবাব দিবো? কি বলে বুঝাবো ভাবি কে? মাত্র দুই মাস পরে বিধবা হয়ে গেছে এটা শুনলে ভাবির কি অবস্থা হবে? আব্বু আম্মুকে যদি বলি তোমাদের বড় সন্তান আর নেই কি হবে উনাদের?

নাহ আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা। মাথাটা ঘুরতেছে। তাড়াতাড়ি বাসায় যাই,,,,

একটা রিক্সা নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গেলাম।

কলিং বেল দেওয়ার একটু পর ভাবি এসে দরজা খুলে দেয়।

ভাবিঃ কি ব্যাপার, আজকে আমার দু'ষ্টু দেবরটা এতো তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসছে কেন? নিশ্চই কলেজ ফাঁকি দিয়েছে।

ভাবির কথা শুনে আমার ভিতরটা আবারও মোছড় দিয়ে উঠলো, আমি কোনো কথা না বলে নিজের রুমে চলে গেলাম। দরজা লাগিয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম, পানি ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছামতো কাঁদতে লাগলাম,,,

অনেকক্ষণ পর বের হলাম, ভাবি আমার রুমের দরজায় টোকা দিতে লাগলো,,,,,

ভাবিঃ কি ব্যাপার দেবর সাহেব, মন খারাপ কেন? কি হয়েছে?

মনে মনে বললাম কি হয়েছে সেটা যদি শুনেন তাহলে আপনি নিজেকে স্থির রাখতে পারবেন না। ভাবি যেন কিছু না বুঝে সেজন্য বললাম,,,

আমিঃ কিছু না,,,

ভাবিঃ না না, কিছু তো একটা হয়েছে। চোখমুখ লাল কেন,,,

আমিঃ বললাম তো ভাবি কিছু হয়নি।

ভাবিঃ আচ্ছা খেতে চলো, আব্বু আম্মু বসে আছে।

আমিঃ আপনারা খেয়ে নেন, আমি খাবো না।

ভাবি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম।

যেখানেই যাই ভাইয়া স্মৃতি গুলো মনে পড়তে লাগলো, মনে হচ্ছে ভাইয়া আমার পাশে গল্প করতেছে।

নিজেকে কোনো ভাবেই শান্তনা দিতে পারতেছিনা।

রাতের বেলা রুমে বসে বসে ভাইয়ার ছবি গুলো দেখতেছি আর চোখ দিয়ে পানি ঝরতেছে, এমন সময় আম্মু আমার রুমে আসলো,,,,

আম্মুঃ কিরে কি করিস?

আমিঃ কিছু না,,,

আম্মুঃ কাঁদতেছিস কেন?

আমিঃ কই না, মনে হয় চোখে কিছু একটা পড়েছে।

আম্মুঃ মিথ্যা বলবি না। তোর হাতে কার ছবি।

আম্মু ছবি গুলো আমার হাত থেকে নিয়ে দেখে আমার আর ভাইয়ার ছবি, তারপর বলে।

আম্মুঃ ভাইয়ের কথা মনে করে কাঁদতেছিস?

আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলাম,,,

আম্মুঃ এই হঠ্যাৎ করে তোর কি হলো?

আমিঃ কিছু না, ভাইয়াকে খুব মিস করতেছি।

আম্মুঃ পা/গল একটা, ওরে কল দিয়ে কথা বল। ও আচ্ছা ভালো কথা সকাল থেকে তোর ভাই কল দেয়নি, অবন্তী নাকি কল দিয়েছিলো বার বার মোবাইল অফ পাচ্ছে। তুই একটু দেখতো।

আমি হ্যা সূচক মাথা নাড়ালাম। তারপর আম্মু রুম থেকে চলে আমি আবারও ছবি গুলো দেখতে লাগলাম।

এভাবে দুই দিন চলে গেলো, আম্মু আব্বু ভাবি সবাই অনেক টেনশন করতেছে, ভাইয়ার কোনো খবর নাই। আমি জেনেও উনাদের কিছু বলতে পারছিনা।

পরের দিন, একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসে,,,,

আমিঃ হ্যালো!

লোকঃ আপনার নাম কি জুয়েল?

আমিঃ জ্বি! আপনি কে?

লোকঃ আমি কাস্টমস থেকে বলতেছি, আপনার ভাইয়ের লা'শ এসেছে। এসে নিয়ে যান,,,,,

আমি আর কোনো কিছু না বলে দৌড় দিলাম, একটা গাড়ি নিয়ে তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্ট গেলাম, দেখলাম অনেক গুলো লা'শ একসাথে শুয়ে রাখছে। দেখেই ভিতরটা কেঁদে উঠলো।

তারপর কয়েকজন পু/লিশ লা/শ গুলোকে পোস্টমর্টেম করার জন্য লা/শবাহি গাড়িতে উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলো।

অনেক রিকুয়েস্ট করার পরও ওরা আমাদের কারো কথা শুনলো না। পু/লিশের পিছে পিছে হাসপাতালে গেলাম, অনেকক্ষণ ধরে হাসপাতালে বসে আছি।

চারপাশে অন্যান্য লোক গুলো কেঁদেই যাচ্ছে,,, আমারও চোখ দিয়ে পানি ঝরতেছে। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমার ভাই আর বেঁ/চে নেই।

তারপর প্রত্যেকটা লা/শ তাদের আ/ত্নীয়দের নিকট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমি ভাইয়ার লা/শের পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। ভাইয়ার চেহারার দিকে তাকিয়ে আছি।

দেখে মনে হচ্ছে আমার ভাইটা এখনো হাসতেছে, কিছুই হয়নি। কি সুন্দর ঘুমাচ্ছে আমার ভাই,,,,

আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কাঁদতেছি এমন সময় কেউ একজন কাঁধের উপর হাত দেয়, ঝাপসা চোখে তাকিয়ে দেখি একজন ডাক্তার,,,

ডাক্তারঃ লা/শ বেশিক্ষণ উপরে রাখা ঠিক হবে না, মেডিসিন দেওয়া উনাদের শরীরে। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফনের ব্যবস্থা করেন।

আমি আর কিছু বললাম না, হাসপাতাল থেকে একটা এম্বুলেন্স নিয়ে ভাইয়ার লা/শটা উঠালাম, গাড়ি তার আপনমনে চলতেছে, আমি আব্বু আম্মু আর ভাবিকে কি জবাব দিবো?

তারপর এম্বুলেন্স আমাদের বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, এম্বুলেন্স এর আওয়াজ শুনে আব্বু, আম্মু, ভাবি সহ আশেপাশের সবাই বাইরে আসলো, আমাকে নামতে দেখে সবাই একটু অবাক হলো।

আমি এম্বুলেন্স এর পেছনের দরজাটা খুলে ভাইয়ার লা/শটা বের করলাম, আম্মু আব্বু, ভাবি সবাই এগিয়ে আসলো।

আব্বুঃ কিরে এম্বুলেন্স কেন? আর এটা কার লা/শ?

আমি কোনো কথা না বলে ভাইয়ার মুখের উপর থাকা সাদা কাপড়টা সরিয়ে দিলাম।

তারপরেই.......

Md Arif

#চলবে........
To be Continue.........

Next Part Coming SooN........

05/06/2023

প্লাজু মানে এ*সি ধন্যবাদ!

05/06/2023

৪ ই জুন ২০২৩ ইং
বরাবর,
প্রধান সূর্য,☀️
গরমে অতিষ্ঠ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল - টাল-টাল বাংলাদেশর টেকনাফ টু তেতুলিয়া।🥵
বিষয় : আপনার তেজ কমানোর জন্য আবেদন..!!!

জনাব,☀️

বিনীত নিবেদন এই যে,আমরা আপনার আলোয় বেড়ে ওঠা জনগন। আপনি আমাদের সব শক্তির আঁধার..!!! আমাদের ভালোবাসার একটি মাধ্যম ..!!! তবে গত কিছুদিন ধরে আপনি একটু বেশি Hot হয়ে গেছেন আপনার Hotness এর তীব্রতায় আমরা জলে যাচ্ছি...!!!😓

অতএব, বিনীত অনুরোধ এই যে,দয়া করে আপনি আপনার Settings অপশনে গিয়ে "Brightness" টা একটু কমিয়ে আমাদেরকে বাধিত করবেন...!!!!☀️💔😅

ইতি,
পুড়ে যাওয়া জনগন
ও ঘেমে যাওয়া পাবলিক..!!!🔥

04/06/2023

নিজের স্বার্থেই একটি মেয়ের চালাক হওয়া উচিত। চারপাশের পরিবেশ থেকে সেইফ থাকতে, নিজের ভেতরে ইগো রাখা উচিত, অহংকার রাখা উচিত।

একটি চালাক মেয়ে কখনোই অন্যের অহেতুক প্রশংসায় গলে যাবে না। কেউ তার সাথে ফ্লার্টিং করলে সে হুট করে ধরে ফেলবে। কেউ তার দিকে কুদৃষ্টি নিয়ে তাকালে এই তাকানোটা সে বুঝতে পারবে।

অতিরিক্ত গা ঘেঁষা স্বভাবের মেয়েকে বড়জোর সস্তা ভাবা যায়, এর বেশি কিছু না।

একটি মেয়ে থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ঠিক যেন রবীন্দ্রনাথের ভাষায় দেবীর মতো। চাইলেই ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, সাধনা লাগবে।

যে পুরুষ এই সাধনার দেয়াল অতিক্রম করবে, সে শুধু তার। ব্যাস...❤️

হুঁ 😒
06/05/2023

হুঁ 😒

04/05/2023

সিনিয়র দের সাথে প্রেম করলে ভালোবাসার সাথে টাকা পয়সা'ও পাওয়া যায়!🙂

04/05/2023

- মা মানেই সুন্দর, সেটা আমার হোক বা আপনার.!🖤

04/05/2023

বন্ধু: দোস্ত মটরসাইকেল একটু আস্তে চালা, ভয় লাগছেতো!🤒

আমি: আরে ব্যাটা,বেশী ভয় লাগলে আমার মত চোখ বন্ধ কইরা রাখ! 😐

04/05/2023

পরিবারের ছোট সন্তানগুলো সবসময় নম্র, ভদ্র ও লক্ষী টাইপের হয়.!😍

31/01/2023

- এক চোখে আমার 'বিশাল স্বপ্ন'.!🥰

- আর আরেক চোখে 'বাস্তবতা'.!🤐🖤

31/01/2023

- মা তুমি ঠিকই বলছিলে.!😔

- দুনিয়ার মানুষ গুলো বড্ড স্বার্থপর.!💔🥀

30/01/2023

সরকারি চাকরী নিতে গেছি'লাম চাঁ খাওয়ার জন্য ৬ লক্ষ চাইছে.!

-ভাগ্য ভালো বিরি'য়ানী খাইতে চাই নাই.!🙂

Adresse

Democratic Republic Of The
বাংলাদেশ

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque Rain - বৃষ্টি publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Contacter L'entreprise

Envoyer un message à Rain - বৃষ্টি:

Partager