28/10/2023
ফারজানাঃ প্লীজ আমাকে ছেড়ে দিন এমন করেন না খুব কষ্ট হচ্ছে আমার ( কান্না করতে করতে )
জুয়ায়েদঃ আমি তো ছাড়ার জন্য তোরে আনি নাই ( রাক্ষসি ভাব নিয়ে )
ফারজানাঃ প্লীজ ছাড়ুন আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ।
জুনায়েদঃ তোর কষ্ট হলে আমার কিছুই করার নেই ।
ফারজানাঃ প্লীজ ছাড়ুন প্লীজ আমার না খুব ব্যাথা করছে ( কান্না করতে করতে )
জুয়ানায়েদঃ ব্যাথার ওষুধ খেয়ে নিবি তাহলে কিছুই হবেনা ।
ফারজানাঃ এমন করছেন কেনো , আমার হাত পা কেনো বাধছেন ?
জুনায়েদঃ একটু পরেই তুই বুঝতে পারবি কেনো এমন করছি ।
ফারজানাঃ প্লীজ আমায় ছেড়ে দিন আমার খুব ভয় করছে ।
জুনায়েদঃ চুপ কর না হলে তোর খবর আছে । .. ..
উনার এক ধমকে থেমে গেলাম ।
উনি আমাকে এখন বিছানায় বেধে রেখেছেন কিন্তু আমি কিছুই বুঝতেছিনা কি জন্য এমন করছে । এমন ভাবে বেধেছে আমার হাত পা কেটে যাচ্ছে কিন্তু এই অমানুষ টার একটুও মায়া হচ্ছে না । আমাকে বেধে অমানুষ টা বাইরে গেলো । ..
আর
এই অমানুষ টা আর কেউ না তিনিই আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী ।
মনে মনে ভাবছি মা বাবা কি দেখে এই অমানুষ টার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছে ।
অমানুষ টা দেখতে সেই ভয়ংকর । যে কেউ দেখলেই ভয় করবে কিন্তু আবার যে কেউ দেখেই প্রেমে পড়ে যাবে ।
ধুর আমি কি ভাবছি অমানুষ টা আমাকে বেধে কোথায় চলে গেলো ।
এটা বাসর না জেল খানা কিছু বুঝতে পারছিনা ।
আর আমাদের বাসর ঘর টা একদম ওপরের তলায় মানে ব্লিডিং এর শেষে । এখন যদি আমি চিৎকার করি কেউ শুনবেনা কারন আমার শশুর শাশুড়ি সবাই নীচ তলায় থাকে । জানিনা এই অমানুষ টা সব বদ্ধি করে এখানে বাসর ঘর সাজিয়েছে নাকি । অমানুষ টা গেলো তো গেলোই আসেনা কেন আর এই দিকে আমার হাত পা ছিড়ে যাচ্ছে ।
এমন ভাবে বেধেছে যেনো নড়াচড়া করলে আমারই বেশি কষ্ট হয় । ..
কিছুক্ষন অমানুষ টা হাতে মদের বোতল আর কি যেনো আর নিয়ে আসছে রুমে । ..
আমার পাশে এসে আমার দিকে তাকিয়ে হাঁসতেছে কিন্তু কেন হাসছে জানিনা । এ কি আমার শাড়ী টান দিয়ে খুলে ফেলেছে । অনেক মানা করার পরেও শুনেনা না অমানুষ টা । শাড়ী টা জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিলো কিন্তু কেন আগুন লাগালো বুঝলাম না ।
যতক্ষন শাড়ী টা পুড়তে ছিলো ততোক্ষন আমার হাত ধরে ছিলো । এমন ভাবে হাত ধরে আছে যেনো মনে হচ্ছে মানুষ টা অনেক ভালো কিন্তু সেটা আর বেশিক্ষন থাকলো না । ...
বিছানা থেকে উঠে সিগারেট ধরালো যেটা দেখলে আমার সব চেয়ে খারাপ লাগে । এক দিন আমার বাবা সিগারেট খাচ্ছিলো এটা আমি সহ্য