B.N.P Rajshahi

B.N.P Rajshahi Hi, I am Megan Robinson, and I am the one who started GetRichSurvey.com. And I quickly found out that it is possible to make some extra money this way.

Before starting it, I had for several years looked into different ways of making extra money online. In my search, I found out that there are many companies that offer payment for your opinion online and for doing other small micro-tasks. I decided to look further into this for myself, to find out if it was true that you really could make some extra money without investment like this. At the begin

ning of 2017, I, therefore, started testing a lot of different sites that offer money for your opinion and then also started testing more and more other free ways to earn some extra money online. However, if you want to get rich quick or make a full-time income online, this is not the way and that is important to know. But it can make you enough to pay for an extra holiday, a bit of extra luxury, pay off some debt, etc. So in my search for making money online, the free earning methods I came across are not a way to make a living. But they will with a guarantee make you a profit, as it is 100% risk-free as there is no investment, no fees for participating, and it does not require any special training, so anyone can do this. And you can use many of these free and easy methods to start earning right away which is what I really love about them. Why I made GetRichSurvey.com
After testing sites and having done hundreds of surveys and tested many other free ways to earn online also, I decided to make a website about my experiences, so I can help others find out if this is for them. And that is why I made GetRichSurvey.com. There is a huge amount of pages that offer you to get paid from surveys and doing other small online micro-tasks, and I have spent A LOT of time testing sites and finding out which ones are giving the best opportunities to make money, which ones are the easiest to use, which ones are scams, etc. When I started looking into the option of getting paid from surveys and doing other small online micro-tasks, I also looked for websites with reviews. It was difficult for me to find any with quality info that was not mostly superficial or full of fake promises because they were meant for selling. After having spent all this time testing for myself, I, therefore, decided to make a page that gives good, useful, and honest information and advice about the opportunities how to make money on paid surveys and other online micro-tasks. I know this would have been a great help to me and would have saved me a lot of time. I will therefore on this website share all these experiences, so it will be easier for you to find out if this is something you want to try, to find the right sites for you, and to get started. I will continuously keep testing new sites and update this website with new reviews, advice, scam warnings, links to new sites, and more. So make sure to visit this website regularly.

09/01/2025

গুলশান থেকে এয়ারপোর্ট জনজট...!
❝বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ-এর প্রতীক❞
-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অবঃ)

বিএনপি চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডন যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রাস্তায় যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই এর দায় বিএনপি’র ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে একটু গভীরভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই সমালোচনা কতটা যৌক্তিক বা অন্যায্য তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
এই যাত্রা কেন্দ্রিক সমালোচনায় সবচাইতে বেশী সরব আওয়ামী সুশীলরা। ইতিপূর্বে মাসের পর মাস রাজধানীর শাহবাগ দখল করে তিনটি হাসপাতাল জিম্মি করে যে যাত্রাপালার অবতারণা করা হয়েছিল, তখন তাদের চেতনা জাগ্রত ছিল দিবারাত্রী।

বিএনপি বর্তমানে সরকারে নেই। রাষ্ট্র পরিচালনার বাইরে থাকা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা জনদুর্ভোগ এড়াতে তাদের সাধ্যমতো সব ধরনের পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কাতার সরকার প্রেরিত বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে লন্ডন যাবার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে বিএনপি দলীয়ভাবে কর্মী-সমর্থকদের প্রতি সুশৃঙ্খল আচরণ বজায় রাখতে এবং নেত্রীর যাত্রাপথে জনসাধারণের কোনো ধরণের বাধা বা অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করে। সে মোতাবেক সকল স্থরের নেতা-কর্মীদের অবস্থানের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই নির্দেশনা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল।

এছাড়াও বিএনপি, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়; যেনো দেশনেত্রীর যাত্রাপথে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো যানজট পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
এ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একাধিক সমন্বয় মিটিং করে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হয়।

কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বেগম খালেদা জিয়া তো নিছক একটি দলের নেত্রী নন। তিনি তো বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের হৃদয়ের নেত্রী। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়, কিন্তু মানুষের হৃদয়ের আসন থেকে তো সরানো যায় না। ফলশ্রুতিতে চিকিৎসা উপলক্ষ্যে তাঁর বিমানবন্দরে যাত্রা পথে মানুষের যে বিপুল জনসমাগম এটি দেশনেত্রীর প্রতি দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের অসীম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে বাঁধ ভাঙা জনস্রোতের স্বৈরাচার বিরোধী ঘৃণা যেমন ঠেকিয়ে রাখা যায়নি; তেমনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসাও ঠেকিয়ে রাখা যায় না।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যে জনজোয়ার রাজধানী ঘিরে তৈরী হয়েছিল, তখনই আপামর জনতা দেশনেত্রীকে একনজর দেখবার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল, কিন্তু নেত্রীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সেই আবেগ নিবারণ করা হয়েছিল। বস্তুত দেশনেত্রীর জেলযাত্রার পর হতে তাঁকে জনসম্মুখে আর তেমনভাবে দেখা যায়নি। তাই সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের ধুমায়িত আবেগ ছিল পুঞ্জীভূত। আপোষহীন এই নেত্রীকে এক নজর দেখবার জন্য মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আকাঙ্খা প্রকৃত অর্থেই নিবারণ যোগ্য ছিলো না। কেনোনা তারা মুক্ত বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি বাংলাদেশকে দেখতে এসেছিল।

একটি বিষয় অনস্বীকার্য আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ যথেষ্ট তৎপরতা না হলে বিমানবন্দরে যাত্রা আরো প্রকট হতে পারতো। সর্বোপরি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর নিয়মতান্ত্রিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ যখন বিদেশ যায়, তখন তাকে মাইক্রো ভর্তি করে আত্মীয়-স্বজন বিদায় দিতে আসে, এটাই বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা ও সম্মান প্রকাশের চিরচারিত সামাজিক রীতি। বেগম খালেদা জিয়া তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আপষহীন গণতন্ত্রের প্রতীক, তাঁর সাথে জড়িয়ে আছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের আবেগ। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা কেন্দ্রিক সমালোচনাও সেই সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশিত আবেগের উপর আঘাত।

যাত্রাপথে রাস্তায় উদ্ভুত জনসমাগম এড়াবার বিকল্প উপায় হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে করে বিমানবন্দরে নেয়া যেতো, কিন্তু সেটিতে লাখো লাখো মানুষকে তাদের নেত্রীকে একনজর দেখবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতো এবং তাদের মনোকষ্টের কারণ হতে পারতো! যা জনভিত্তিমূলক একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে জনসাধারণ হতে বিচ্ছিন্ন করার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হত।

এই জনসমাগমে শুধু বিএনপি কর্মী-সমর্থকরাই ছিলেন না, বরং দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষও তাকে বিদায় জানাতে ছুঁটে আসেন। তাদের কাছে তিনি একজন আপোষহীন দেশনেত্রী, একজন দেশপ্রেমিক এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। তাই এই বিশাল জনস্রোত কোনো পরিকল্পিত সমাবেশ ছিল না; এটি ছিল একটি আবেগঘন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

যানজট, বিলম্ব এবং ভালোবাসার জট
মানুষের ভালোবাসার স্রোত এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করে যেখানে যানজট এড়ানো একরকম অসম্ভব হয়ে পড়ে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বিমানবন্দরে পৌঁছাতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। তবে এই বিলম্ব তার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, দোয়া এবং সম্মানের এক অনন্য উদাহরণ, যা কর্মফলের আল্লাহর এক অন্যন্য দৃষ্টান্তও বটে।

এর আগে যখন তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখনও রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লাখো মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষা করেছিল। বন্দুকের নলের সামনে তারা তাঁর মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে না পারলেও তাদের চোখের জল তার প্রতি গভীর ভালোবাসারই প্রমাণ।

বিএনপি’র জন্য এটি একটি কঠিন সিদ্বান্ত ছিল— সাধারণ মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গাটার সম্মান অন্যদিকে সংরক্ষিতপথে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের অলক্ষ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছানো।

আমার মনে হয়— বিএনপি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি। জনমানুষের প্রানের নেত্রী তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে, এটাই স্বাভাবিক।

তবে ভবিষ্যতে বিএনপি’র দলীয় নীতিমালায় একটি সুস্পষ্ট বার্তা রাখা যেতে পারে, যেমন: ‘জনগণের বিরক্তির কারণ না হওয়াই হবে দলের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের সর্বোত্তম উপায়। জনসাধারণের অসুবিধা সৃষ্টি করে নেতাকে খুশি করার কোনো চেষ্টা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

উন্নত চিকিৎসা জন্য দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনিয়তার কথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারবার উচ্চারণ করলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনা তা বরাবরই উপেক্ষা করেছিল।
এতে করে বেগম খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা দিনকে-দিন জটিল থেকে জটিরতর হয়েছে। আর তাই বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার্থে লন্ডন যাত্রার ঘটনাটি ছিল সাধারণ মানুষের একটি হৃদয়স্পর্শী অধ্যায় । এটি প্রমাণ করে যে, তিনি দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের আপামর মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। যানজটকে শুধুমাত্র একটি অব্যবস্থাপনা বা দুর্ভোগ হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এটি ছিল ভালোবাসার জট— একটি আবেগঘন মুহূর্ত, যা ইতিহাসে এক উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থাকবে।

ভালোবাসার এই জট, যেখানে মানুষ পথ আগলে দাঁড়ায় দেশনেত্রীকে বিদায় জানাতে, সেটিই প্রকৃত গণমানুষের প্রতি একজন নেত্রীর ভালোবাসার প্রতিদান। এমন জট এড়িয়ে যাওয়ার মতো সাহস কারো নেই, কারণ এই জট হলো মানুষের হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা আবেগের বাঁধন।

▪ লেখক : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামসুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অবঃ), সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

09/01/2025

আমি নিজেকে একজন সামান্য মানুষ বলেই মনে করি। তবে দেশ-জাতির স্বার্থ ও কল্যাণে আমার জীবন, সীমিত শক্তি-সামর্থ এবং মেধা ও জ্ঞানকে আমি উৎসর্গ করেছি।
-বেগম খালেদা জিয়া
১৯ অক্টোবর ২০১৭

14/11/2024

A new dawn for Bangladesh's agriculture

Agriculture, the bedrock of Bangladesh's economy, has historically supported millions of households, shaped rural communities, and nourished the population. Yet, despite its foundational role, the agricultural sector has long been plagued by neglect, climate vulnerability, and economic challenges. Against this backdrop, Tarique Rahman and the Bangladesh Nationalist Party (BNP) have introduced a bold vision to reinvigorate Bangladesh's agricultural landscape. ..One of the foundations of Tarique Rahman's vision is a nationwide agricultural insurance program. Crop insurance is a timely intervention given the growing impact of climate change on Bangladesh's predominantly rural communities.

Writer: HM Nazmul Alam, Lecturer, Department of English and Modern Languages, International University of Business, Agriculture and Technology
Details: https://www.observerbd.com/news/498963

14/11/2024
14/11/2024
24/10/2024

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় জনগণের পাশে থেকে বিএনপি নেতকর্মীদের সব রকম সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।

24/10/2024

জাতীয়তাবাদী নামে সংগঠন সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা বা বিভিন্ন নাম যোগ করে সংগঠন করলে এরসঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নামে কোন সংগঠন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপির কেউ যদি ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপির স্বীকৃত অঙ্গ সংগঠনের বাইরে শিক্ষকদের সংগঠন, ডাক্তারদের সংগঠন-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদদের সংগঠন-এ্যাব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে।

আজ ২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন দেখুন- https://youtu.be/qmnYZUuQyyo

17/10/2024

দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে ৩১ দফায় নতুন বিষয় সম্পৃক্ত করা যাবে
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফাটা এমন বিষয় নয় যে আমরা কখনো পরির্বতন করতে পারবো না। সময় কাল দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে আমরা যেকোন বিষয় পরিবর্তন করবো। নতুন বিষয় এটাতে আমরা সম্পৃক্ত করবো। বিএনপি এমন একটি দল, যার কাছে মানুষ প্রত্যাশা করে। এ দলটি দেশের জন্য। দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করবে এবং অবদান রাখবে।
বুধবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, রাতে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়াপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ বিষয় নিয়ে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, তোমরা যারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছে যাচ্ছো দলের প্রতিনিধি হিসেবে। যাদের কাছে যাচ্ছো, তারা ভবিষ্যতে এ দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের কথা শুনবে। তাদের মতামত গ্রহণ করবে। তাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যত সম্ভাবনাময়ী মানুষ বেরিয়ে আসবে। ভবিষ্যতের সেই মানুষগুলোর কাছে যাচ্ছো। তাদেরকে আমাদের যে লক্ষ্য, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমরা সে কাজগুলো করবো এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সেটি আমরা তোমাদের কাঁধে দিয়েছি। তোমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাবে। মানুষের কাছে তুলে ধরবে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি এবং আমার দলের কোনো নেতৃবৃন্দ মাঠে থাকবো না। মাঠে থাকবে তোমরা। তাই তোমরা কিভাবে দলকে উস্থাপন করছো। কিভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরবে তার বাস্তবতা আমাদের কাছে উঠে আসবে।

তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্টের আগের প্রেক্ষাপট ছিল একরকম। এখন প্রেক্ষাপট হচ্ছে অন্যরকম। আমরা করবো আমরা বলবো। আমরা কিভাবে কি কি করবো। কিভাবে কি কি করবো, সেটি আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। তোমরা কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা লড়েছি আমরা গড়বো।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবি উল্লাহ , বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও তারেক রহমানের উপদেষ্টা ডক্টর মাহদী আমিন।
প্রশিক্ষণবিষয়ক এই কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ জাতির সামনে উপস্থাপন করেন।

এদিকে, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের হাতে রাষ্ট্রের অধিকার আর মালিকানা ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শক্তির জয়লাভ। আর এই জয়লাভের পর ঐক্যমত্যের জাতীয় সরকার (National Government of Unity) ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্রে রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র রূপরেখা মধ্যে রয়েছে— (০১) সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, (০২) সম্প্রীতিমূলক ‘Rainbow-Nation’ (সমন্বিত রাষ্ট্রসত্ত্বা) প্রতিষ্ঠা ও National Reconciliation Commission (জাতীয় সমন্বয় কমিশন) গঠন, (০৩) নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, (০৪) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, (০৫) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, (০৬) আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন, (০৭) সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, (০৮) নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন, (০৯) স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পূর্ণগঠন, (১০) জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন, (১১) প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন, (১২) মিডিয়া কমিশন গঠন, (১৩) দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ, (১৪) সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, (১৫) অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, (১৬) ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা প্রদান, (১৭) মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা শ্রমের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা, (১৮) শিল্প, বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানী খাত আধুনিকায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা, (১৯) জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন, (২০) প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে রাখা, (২১) বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা, (২২) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান, (২৩) আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, (২৪) নারীর ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, (২৫) চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, (২৬) “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এই নীতির বাস্তবায়ন করা হবে, (২৭) কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, (২৮) সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, (২৯) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা, (৩০) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং (৩১) যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র রূপরেখা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘১৯ দফা’, বিএনপি চেয়াপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘২৭ দফা’ কর্মসূচির আলোকে যুগপৎ আন্দোলনে শরীক সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংশোধিত ও সম্প্রসারিতরূপে প্রণয়ন করা হয়েছে।

Adresse

Democratic Republic Of The

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque B.N.P Rajshahi publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Contacter L'entreprise

Envoyer un message à B.N.P Rajshahi:

Partager