05/04/2025
আমি ২০২০ সালে যখন নতুন সংসার শুরু করি, প্রথম পুরো পরিবারের সবাইকে দাওয়াত করি । ডিসাইড করলাম সবাইকে চাইনিজ রান্না করে খাওয়াবো । যেই ভাবা সেই কাজ- পুরোদস্তুর রান্নার আয়োজন শুরু। শ্বশুর বাড়ির ১৭ জনের আয়োজন জীবনে প্রথমবার, ফ্রাইড রাইসের জন্য আড়াই কেজি চালের প্যাকেট সেদ্ধ বসালাম, এবার পাতিল উপচে চাল পরে আর দৌড়া-দুরী; আন্দাজ না বুঝে একেবারে ভাতের উপরে বন্যা বইয়ে দিলাম । পরে অবশ্য সব রান্না করে সেরে উঠেছিলাম ।
সংসার শুরুর দিকে আমি পোলাও রান্না করতে জানতাম না , দেশে আম্মুর বাসায় পোলাও রান্না করতে গিয়ে সকল মশলা দিয়ে হলুদ ছাড়া জঘন্য খিচুড়ি বানিয়ে বসলাম। এখানে আসার পর তানভীরকে টিফিনে পোলাও দাওয়ার পর বেচারা চাল দিয়ে টিফিন সেরেছিলো, বিনবাক্য ব্যয় করেই ।
২০২৫ , পাঁচ বছর ; রান্নার প্রতি আগ্রহ থাকার কারণে , নিজে নিজে এক্সপেরিমেন্ট করতে করতে এখন বলা যায় আমি রাধতে পারিনা এমন কম ডিশই আছে ! পোলাও- রোস্ট একদম নখদর্পণে চলে এসেছে, এখানে একজনের হাতের রোস্ট খাওয়ার পর রেসিপি চাইতেই বিভিন্ন এডিটিং করে রেসিপি দেয়ার পর সেই রেসিপিতে পাতলা ঝোলের রোস্ট বানিয়ে বিশাল হতাশ হওয়ার পর জেদ চাপলো যে নিজে নিজেই শিখবো । আজকে আমি নিজেই নিজের রান্না রোস্ট খেয়ে অবাক হই, আমি সেই মেয়ে সামান্য পোলাও রান্না করতে জানতাম না সে কিনা ঈদে কোয়াটার পিস চিকেনের ২৫-৩০ টা রোস্ট একেবারে বিয়ে বাড়ির টেকনিকে রান্না করি তাও বড় বড় পাতিলে! আমার নিজের স্যাটিসফ্যাকশন না আসা পর্যন্ত আমি রান্নার এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েই যাই!
জীবনটা আসলে খুবই সারপ্রাইসিং; মানুষ আয়ত্তে আনতে পারে না এমন কাজ খুব কমই আছে! আগ্রহ আর নিজেকে ইমপ্রুভ করার টেন্ডেন্সি থাকলে মানুষ সব ক্ষেত্রেই নিজেকে গড়ে তুলতে পারে !
Zeba’s Journal