28/05/2025
⛔ যেহেতু আরবি মাস অনুযায়ী ক্যালেন্ডার/তারিখ মাগরিবের পর থেকে পরিবর্তন হয়।
সেহেতু, আজ মাগরিবের পর শুরু হয়েছে যিলক্বদ মাসের ২৭ তারিখ।
যদি যিলক্বদ মাস ২৯ দিনে শেষ হয় এবং যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যায়। তাহলে,
ইংরেজি ২৮ মে বুধবার মাগরিবের পর থেকে ইনশাআল্লাহ শুরু হবে পবিত্র যিলহজ্ব মাস।
অর্থাৎ ২৯ মে বৃহস্পতিবার, ১লা যিলহজ্ব।
সে হিসাবে যারা যিলহজ্ব মাসের রোজা রাখতে চান, তারা বুধবার রাতে সাহরি করে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা রাখবেন ইনশাআল্লাহ।
বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিন হলো যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।
পবিত্র রমজানের পর ইবাদতের দ্বিতীয় বৃহৎ মৌসুম হলো যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন।
কিন্তু এটা সত্য যে আলহামদুলিল্লাহ রমজান মাসে চারদিকে ইবাদতের একটা আমেজ থাকলেও যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন অন্যান্য সময়ের মতোই অনেক অবহেলায় পার করা হয়।
রমজানে যারা অধিক নেক আমল করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমল করতে পারেননি। তারা যিলহজ্ব মাসের এই প্রথম ১০ দিনকে কাজে লাগাতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
যিলহজ্ব মাসের কিছু আমলসমূহ তুলে ধরা হলোঃ
▪️প্রথমেই নিয়ত সহিহ করে নেওয়া। যে, আমি এই আমলগুলো করবো শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
▪️যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের জন্য একটা রুটিন করে নেওয়া। তাহলে একটা টার্গেট থাকবে এবং আমল করতে সুবিধা হবে ইনশাআল্লাহ।
▪️যিলহজ্বের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা। বিশেষত আরাফার দিনের রোজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নবি ছ্বল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর দ্বারা বিগত বছর এবং আগামী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৩৬]
▪️সামর্থ্যবান হলে কুরবানি করা।
রসূল ছ্বল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করলো না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’’ [ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩১২৩; হাদিসটি হাসান]
▪️যিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার আগেই চুল, নখ কেটে নেওয়া।
এই দশ দিন নখ ও চুল না কাটা।
নবি ছ্বল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখলে এবং কুরবানি করার ইচ্ছা করলে, সে যেন তার চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৫০১৩]
▪️চার ধরণের যিকিরে লেগে থাকা।
এছাড়া অন্যান্য যিকির আযকার বেশি বেশি করা।
রসূল ছ্বল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম