রাধারমন মন্দির। ISKCON-Uttara-17

রাধারমন মন্দির। ISKCON-Uttara-17 Hare Krishna

আমি গর্বিত আমি হিন্দু.

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর মাথায় ময়ুর পুচ্ছ কেন?উত্তর: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মস্তকে ময়ূরের পালক (ময়ূরপুচ্ছ) ধারণের পেছনে রয়েছে এক...
19/04/2025

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর মাথায় ময়ুর পুচ্ছ কেন?
উত্তর:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মস্তকে ময়ূরের পালক (ময়ূরপুচ্ছ) ধারণের পেছনে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী ও গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য। এটি কেবল একটি অলংকার নয়; বরং তাঁর ব্যক্তিত্ব, লীলা ও দর্শনের প্রতীক।
🦚 পৌরাণিক কাহিনী: ময়ূরের নিবেদন

একটি জনপ্রিয় কাহিনী অনুসারে, বৃন্দাবনের গভর্ন্ধন পর্বতে শ্রীকৃষ্ণ যখন তাঁর বাঁশিতে সুর তুলতেন, তখন ময়ূরেরা আনন্দে নৃত্য করত। সেই সময়, ময়ূরের রাজা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁর পালকগুলি শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করেন। শ্রীকৃষ্ণ সেগুলি সানন্দে গ্রহণ করে নিজের মুকুটে স্থাপন করেন ।

🌈 আধ্যাত্মিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

1. নম্রতা ও অহংকার জয়: ময়ূরের পালক অহংকারের প্রতীক হলেও, শ্রীকৃষ্ণ এটি ধারণ করে অহংকারের উপর বিজয় ও নম্রতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন ।

2. রঙের বৈচিত্র্য ও সৃষ্টির প্রতিফলন: ময়ূরের পালকে সাতটি প্রধান রঙ থাকে, যা সৃষ্টির বৈচিত্র্য ও শ্রীকৃষ্ণের বহুমাত্রিক রূপকে প্রতিফলিত করে ।

3. প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ: শ্রীকৃষ্ণের ময়ূরপুচ্ছ ধারণ প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ও সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসার প্রতীক।
🎭 সাংস্কৃতিক প্রভাব

কেরালার "কৃষ্ণনাট্টম" নামক নৃত্যনাট্যে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে ময়ূরের পালক ব্যবহৃত হয়। এটি শ্রীকৃষ্ণের লীলার স্মরণে ও তাঁর দর্শনের প্রতিফলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত ।
💖 উপসংহার

শ্রীকৃষ্ণের ময়ূরপুচ্ছ ধারণ কেবল একটি সৌন্দর্যবর্ধক উপাদান নয়; এটি তাঁর লীলাময়, নম্র ও প্রকৃতিপ্রেমী সত্তার প্রতীক। এটি আমাদের শেখায় যে, প্রকৃত সৌন্দর্য ও মহত্ত্ব নম্রতা, কৃতজ্ঞতা ও সৃষ্টির সঙ্গে সংযোগে নিহিত।

ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য:-    ১৯৬৬ সালের জুলাই মাসে শ্রীল প্রভুপাদ ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থার নথিতে ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য...
16/04/2025

ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য:-


১৯৬৬ সালের জুলাই মাসে শ্রীল প্রভুপাদ ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থার নথিতে ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়েছে:

(১) সুসংবদ্ধভাবে মানব-সমাজে ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞান প্রচার করা এবং সমস্ত মানুষকে পারমার্থিক জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত হতে শিক্ষা দেওয়া, যার ফলে জীবনের যথার্থ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিভ্রান্তি প্রতিহত হবে এবং জগতে যথার্থ সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

(২) ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতের অনুসরণে কৃষ্ণভাবনার অমৃত প্রচার করা।

(৩) এই সংস্থার সমস্ত সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা এবং শ্রীকৃষ্ণের কাছে টেনে আনা, এবং এইভাবে প্রতিটি সদস্য-চিত্তে, এমন কি প্রতিটি মানুষের চিত্তে, সেই ভাবনার উদয় করানো, যাতে সে উপলব্ধি করতে পারে যে, প্রতিটি জীবই হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অংশ।

(৪) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত সমবেতভাবে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করার যে সংকীর্তন আন্দোলন, সেই সম্বন্ধে সকলকে শিক্ষা দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করা।

(৫) সংস্থার সদস্যদের জন্য এবং সমস্ত সমাজের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করা, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিত্য লীলাবিলাস করবেন, এবং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তা নিবেদিত হবে।

(৬) একটি সরল এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক জীবনধারা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা।

(৭) পূর্বোল্লিখিত উদ্দেশ্যগুলি সাধন করবার জন্য সাময়িক পত্রিকা, গ্রন্থ এবং অন্যান্য লেখা প্রকাশ এবং বিতরণ করা।

উৎস: www.iskcon.org

 #মুসলিম_কলিগের_সাথে_প্রসঙ্গ_যখন_ইসকন‼️👇আজ অফিসে গরুর মাংস রান্না করলো। আমরা যারা সনাতনী তাদের জন্য সম্মানহেতু সম্পূর্ণ ...
12/11/2024

#মুসলিম_কলিগের_সাথে_প্রসঙ্গ_যখন_ইসকন‼️👇
আজ অফিসে গরুর মাংস রান্না করলো। আমরা যারা সনাতনী তাদের জন্য সম্মানহেতু সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশনায় চিংড়ি আর ডিম রান্না করে। খাওয়ার সময় একজন বলে উঠলো... -

ভাই ইস্কন কি? এরা কি আসলে জংগী সংগঠন?

উত্তরে বললাম- তাহলে আমার বলা শেষ না হওয়া অব্ধি কিছু বলতে পারবেন না।

কলিগ- ওকে ঠিক আছে বলুন

আমি- এই ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে আমাদের সনাতন বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রচারে কেউ যায়নি পূর্বে। গৌতম বুদ্ধ যদিও গিয়েছিল,কিন্তু তার মতবাদ পরবর্তীতে অন্য একটা ধর্মে রুপ নিল। মাঝখানে স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকায় দারুন একটা বক্তৃতা দিয়ে বেশ আলোড়িত হলেও তিনি সেখানে ধর্ম প্রচারে সচেষ্ট হননি। এই ইস্কন সর্বপ্রথম বাইরের দেশে সনাতন ধর্মের প্রচার শুরু করে।

কলিগ- এটার প্রতিষ্টাতা কি ইহুদি?

আমি-না। প্রভুপাদ, উনি কলকাতার লোক।উনি উনার গুরুদেবের নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে আমেরিকায় ইস্কন প্রতিষ্ঠা করে,যার ফুল ফর্ম-International Society for Krishna Conciousness.

কলিগ--কিন্তু ইস্কনকে ত প্রায় দেশে নিষিদ্ধ করেছে।

আমি- না।এই কথার সপক্ষে কোন প্রমান কেউ দেখাতে পারবেনা। উপরন্তু এটা বিশ্বের প্রায় সব দেশে তাদের ধর্ম প্রচার করছে। পাকিস্তান আফগানিস্তান সহ চিন,ইউক্রেন,রাশিয়াতেও যেখানে স্বাভাবিক ধর্ম পালন ও নিষিদ্ধ।

কলিগ-- ওরা মূলত কি কাজ করে?

আমি- ওদের কয়েকটা মূলনীতি আছে,যেমন আমিষ খাওয়া যাবেনা,অবৈধ সংগ করা যাবেনা,নেশা করা যাবেনা এবং জুয়া খেলা যাবেনা৷।

কলিগ- তাহলে ওরা করেটা কি? ওরা কি হিন্দুদের বাইরে আলাদা কিছু করে।

আমি- না ওরা আমাদের ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ এবং তার বানী শ্রীমদ্ভগবগীতা এবং ভাগতম নামক শাস্ত্রের উপর কাজ করে। আর হরে কৃষ্ণ নামক একটা মন্ত্র জপ এবং কীর্তন করে ।

কলিগ- কিন্তু আমি শুনেছি সাধারন হিন্দু আর ওরা নাকি এক না..

আমি-হ্যা তা ঠিক।তবে ইস্কনের সাথে হিন্দুদের পার্থক্য বিয়ে আর খাওয়া দাওয়ায়। ওরা সাধারন হিন্দুদের থেকে কোন খাবার গ্রহন করেনা।কারন ওরা কোন খাবার গ্রহনের আগে শ্রীকৃষ্ণকে অর্পন করে তাই প্রসাদরুপে খায়। আর যেহেতু ওরা নিরামিষ আহারি, তাই তারা তাদের মতে যারা চলে তাদেরকেই বিয়ে করে। এই দুইটা ছাড়া হিন্দু এবং ইস্কন একই দেবতার উপাসনা করে।কিন্তু হিন্দুরা কৃষ্ণসহ অনেক দেবতার উপাসনা করে কিন্তু ইস্কন শুধু কৃষ্ণ কেন্দ্রীক

কলিগ-- ওদের এত ফান্ড দেয় কে???

আমি- ওরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ।ওদের মন্দিরে গেলে দেখবেন ওখানে হোটেল আছে-যেখানে নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়,বেকারি আছে,লাইব্রেরি আছে,থালা বাসন-কাপড়ের দোকান আছে। এমনকি গরুর ফার্ম ও আছে। এছাড়া যারা ওদের অনুসারি তারা ভগবানের নামে মাসিক প্রণামি দেয়।

কলিগ-- এইবার বলো গেরুয়া পতাকার সাথে তোমাদের সম্পর্ক কি? এটা ইস্কনের নাকি বিজেপির পতাকা?

আমি-- গেরুয়া রংগের সাথে পতাকার কোন সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে যেমন অনেক মুসলিম সংগঠন আছে,ইন্ডিয়াতেও অনেক হিন্দুত্ববাদি সংগঠন আছে, যেমন -বিজেপি,শিবসেনা,বজরং দল। কিন্তু এদের পতাকা ভিন্ন। বিজেপির পতাকায় পদ্মফুল থাকে।

কলিগ--তাহলে গেরুয়া রংগের কেন সব?

আমি-গেরুয়া আমাদের ধর্মের একটা পবিত্র রং। আমাদের ব্রহ্মচর্য,গার্হস্ত,বানপ্রস্থ এবং সন্যাস নামের ৪ টি আশ্রম আছে। সবার শেষের এবং ত্যাগের আশ্রম প্রথা হলো সন্যাস। এই আশ্রম যারা গ্রহন করে তারা সবাই গেরুয়া রংগের কাপড় পরিধান করে। তাই পবিত্রতা হেতু হয়ত এই রং সবাই ব্যবহার করে

কলিগ-তাহলে ইস্কনকে সবাই জংগী সংগঠন কেন বলছে।

আমি-বেহুদা।একজন কান নিয়ে গেছে বলল,আর সবাই দৌড়াচ্ছে। জংগী বলতে আমরা যা বুঝি বোমা ফাটানা,অস্ত্র মজুদ,কাউকে হত্যা কিংবা গুম এসবের কোন কাজেই ইস্কন আছে বলে এখনো অব্ধি কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি কিন্ত সবাই চিল্লাছে

কলিগ--ভাই তুমি যা বলছো আমি শুনে নিজেই ইস্কনের ফ্যান হয় গেছি। এটা ত একটা পবিত্র সংগঠন।যেখানে সবাই নিরামিষ আহারি,শুধু ধর্ম প্রচারে ব্যস্ত,কাউকে আঘাত করছেনা।

আমি-এরকম বলা শুরু করলে আমাদের প্রতিটি জিনিস নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বলতে পারি।কিন্তু বলিনা,সেটা বললেও দোষ

কলিগ-যাই বলো যদি তোমার কথা মত ইস্কন চলে তাহলে সমস্ত হেটস অফ।

আমি-ভাই তেমন কিছুই বলিনি।ওদের দৈনন্দিন কার্যক্রম,সমস্ত কামনা বাসনা আমিষ আহার না করে ঈশ্বরের কাছে পুরা জীবন আত্মসমর্পণ করা,তা চারটি খানি কথা না

কলিগ--আসলেই। যাক অন্তুত ইস্কন সম্পর্কে আমার ধারনা চেঞ্জ হলো।।

(বি.দ্র:পোস্ট কার্টেসি দেয়ার দরকার নেই,চাইলে কপি পেস্ট করে নিজেদের টাইমলাইনে রাখতে পারেন)

গীতা ৩/৩৫
27/10/2024

গীতা ৩/৩৫

26/10/2024

হরে কৃষ্ণ ❤️

যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্৷মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ৷ গিতা - ৪৷১১অর্থ:  যে যেভাবে আমার ...
20/10/2024

যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্৷
মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ৷
গিতা - ৪৷১১

অর্থ: যে যেভাবে আমার প্রতি আত্মসমর্পণ করে, প্রপত্তি স্বীকার করে, আমি তাকে সেইভাবেই পুরষ্কৃত করি। হে পার্থ, সকলেই সর্বতভাবে আমাকে অনুসরণ করে।

Adresse

Democratic Republic Of The

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque রাধারমন মন্দির। ISKCON-Uttara-17 publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Partager