রাধারমন মন্দির। ISKCON-Uttara-17

রাধারমন মন্দির। ISKCON-Uttara-17 Hare Krishna

আমি গর্বিত আমি হিন্দু.

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রাগের ফলে ভ্রম সৃষ্টি হয়। এই ভ্রম বুদ্ধিকে বিচলিত করে তোলে। এর ফলে বুদ্ধি নাশ হয়। ব্যক্তি পত...
27/11/2025

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রাগের ফলে ভ্রম সৃষ্টি হয়। এই ভ্রম বুদ্ধিকে বিচলিত করে তোলে। এর ফলে বুদ্ধি নাশ হয়। ব্যক্তি পতনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। রাগ, কামবাসনা ও ভয়— এগুলি আমাদের শত্রু।
fans

 #শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রধান ১৮টি অধ্যায়ের নামকরণের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এই অধ্যায়গুলি বিভিন্ন যোগ বা আধ্যাত্মিক পথে...
22/11/2025

#শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রধান ১৮টি অধ্যায়ের নামকরণের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এই অধ্যায়গুলি বিভিন্ন যোগ বা আধ্যাত্মিক পথের উপর আলোকপাত করে। প্রতিটি অধ্যায়ই অর্জুনকে দেওয়া শ্রীকৃষ্ণের উপদেশের এক-একটি অংশ, যা সম্মিলিতভাবে জীবনের চূড়ান্ত সত্যের দিকে পরিচালিত করে।
এখানে ১৮টি অধ্যায়ের নাম ও তাদের মূল তাৎপর্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
| অধ্যায় সংখ্যা | সংস্কৃত নাম | বাংলা নাম | মূল তাৎপর্য (সংক্ষেপে) |
|---|---|---|---|
| ১ | অর্জুন-বিষাদ যোগ | অর্জুনের বিষাদ যোগ | যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজন দেখে অর্জুনের মোহ, শোক ও যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার ইচ্ছা। |
| ২ | সাংখ্য যোগ | সাংখ্য যোগ | শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আত্মা ও দেহের পার্থক্য, অমর আত্মার জ্ঞান, এবং নিষ্কাম কর্মের প্রাথমিক উপদেশ। গীতার সার এই অধ্যায়ে নিহিত। |
| ৩ | কর্মযোগ | কর্ম যোগ | ফলাফলের আশা না করে স্বধর্ম অনুসারে কর্ম করার অপরিহার্যতা এবং কর্মবন্ধন থেকে মুক্তির উপায়। |
| ৪ | জ্ঞান কর্ম সন্ন্যাস যোগ | জ্ঞান কর্ম সন্ন্যাস যোগ | দিব্য জ্ঞানের উৎস ও পরম্পরা, জ্ঞানের মহিমা এবং নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে জ্ঞানের পথ। |
| ৫ | কর্ম সন্ন্যাস যোগ | কর্ম সন্ন্যাস যোগ | কর্মযোগ ও কর্মসন্ন্যাস (জ্ঞানের পথে কর্মত্যাগ) এর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব, এবং যোগযুক্ত জীবনযাপনের বর্ণনা। |
| ৬ | আত্মসংযম যোগ | আত্মসংযম যোগ | মন ও ইন্দ্রিয় সংযমের মাধ্যমে ধ্যান বা যোগের পদ্ধতি, অভ্যাস ও বৈরাগ্যের গুরুত্ব। |
| ৭ | জ্ঞান-বিজ্ঞান যোগ | জ্ঞান বিজ্ঞান যোগ | পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের তত্ত্ব জ্ঞান (জ্ঞান) এবং তাঁর লীলা ও মায়ার বিজ্ঞান (বিজ্ঞান)। |
| ৮ | অক্ষরব্রহ্মযোগ | অক্ষর ব্রহ্ম যোগ | ব্রহ্ম, অধ্যাত্ম, কর্ম, অধিদৈব, অধিযজ্ঞ এবং অন্তিমকালে ভগবানকে স্মরণ করে মুক্তি লাভের পথ। |
| ৯ | রাজবিদ্যা রাজগুহ্য যোগ | রাজবিদ্যা রাজগুহ্য যোগ | পরমেশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও গোপনীয় জ্ঞান, তাঁর অচিন্ত্য শক্তি এবং ভক্তির মহিমা। |
| ১০ | বিভূতি যোগ | বিভূতি যোগ | শ্রীকৃষ্ণের অসীম ঐশ্বর্য, শক্তি ও সৃষ্টির মধ্যে তাঁর মুখ্য প্রকাশ বা বিভূতিসমূহের বর্ণনা। |
| ১১ | বিশ্বরূপ দর্শন যোগ | বিশ্বরূপ দর্শন যোগ | অর্জুনের অনুরোধে শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ প্রকাশ এবং তার মহিমা দর্শন। |
| ১২ | ভক্তিযোগ | ভক্তি যোগ | সাকার (ব্যক্তিগত রূপ) ও নিরাকার (অব্যক্ত) উপাসনার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব এবং ভক্তের লক্ষণ। |
| ১৩ | ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞ বিভাগ যোগ | ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞ বিভাগ যোগ | দেহ (ক্ষেত্র) এবং আত্মার (ক্ষেত্রজ্ঞ) জ্ঞান এবং প্রকৃতি ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য। |
| ১৪ | গুণত্রয় বিভাগ যোগ | গুণত্রয় বিভাগ যোগ | প্রকৃতির তিন গুণ—সত্ত্ব, রজ ও তম—এর স্বরূপ, বন্ধন এবং এই গুণগুলিকে অতিক্রম করার উপায়। |
| ১৫ | পুরুষোত্তম যোগ | পুরুষোত্তম যোগ | জগতের প্রতীকস্বরূপ অশ্বত্থ বৃক্ষের বর্ণনা, ক্ষর (নশ্বর) ও অক্ষর (অবিনশ্বর) পুরুষ এবং পুরুষোত্তম (পরমাত্মা) তত্ত্ব। |
| ১৬ | দৈবাসুর সম্পদ বিভাগ যোগ | দৈবাসুর সম্পদ বিভাগ যোগ | দৈবী (সদ্গুণ) এবং আসুরী (দুর্গুণ) স্বভাবের বর্ণনা এবং তাদের ফল। |
| ১৭ | শ্রদ্ধাত্রয় বিভাগ যোগ | শ্রদ্ধাত্রয় বিভাগ যোগ | শ্রদ্ধা, আহার, যজ্ঞ, তপস্যা ও দান - এদের সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক ভেদের আলোচনা। |
| ১৮ | মোক্ষ সন্ন্যাস যোগ | মোক্ষ সন্ন্যাস যোগ | সন্ন্যাস ও ত্যাগের যথার্থ স্বরূপের ব্যাখ্যা এবং গীতার সকল উপদেশের চূড়ান্ত উপসংহার (যেমন: সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ...)। |
🧭 তাৎপর্য
এই ১৮টি অধ্যায়ের নামগুলি নির্দেশ করে যে গীতা কেবল একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি একটি যোগশাস্ত্র। এখানে 'যোগ' শব্দটি বিভিন্ন পথ বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনকে ঈশ্বর বা পরম সত্যের সাথে যুক্ত করার পদ্ধতিকে বোঝায়। এই পথগুলি হলো—
* কর্মযোগ (অধ্যায় ৩): নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে মুক্তি।
* জ্ঞানযোগ (অধ্যায় ২, ৪, ৫, ৭, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮): তত্ত্ব জ্ঞানের মাধ্যমে মুক্তি।
* ভক্তিযোগ (অধ্যায় ৭, ৯, ১০, ১১, ১২): প্রেম ও ভক্তির মাধ্যমে মুক্তি।
গীতার শেষে, মোক্ষ সন্ন্যাস যোগ অধ্যায়ে সমস্ত যোগের সমন্বয় ঘটিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে সকল প্রকার ধর্ম (কর্তব্য বা উপায়) ত্যাগ করে কেবলমাত্র তাঁর শরণাগত হতে উপদেশ দেন, যা এই ১৮টি অধ্যায়ের উপদেশের চূড়ান্ত ফল এবং সারকথা।

13/11/2025

যদি কোন সনাতনী ভাই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া, ইতালি বা সৌদি আরব যেতে চান অথেন্টিক ভাবে।
ব্যবস্থা করা যাবে।
কোন প্রকার জামেলা ছাড়া।খোলামেলা আলোচনা করে যাবেন।
ধন্যবাদ।
যোগাযোগ নাম্বার: 01873856585

fans

16/08/2025

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি?
জয়।
সবাই বলুন হরে কৃষ্ণ

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর মাথায় ময়ুর পুচ্ছ কেন?উত্তর: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মস্তকে ময়ূরের পালক (ময়ূরপুচ্ছ) ধারণের পেছনে রয়েছে এক...
19/04/2025

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর মাথায় ময়ুর পুচ্ছ কেন?
উত্তর:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মস্তকে ময়ূরের পালক (ময়ূরপুচ্ছ) ধারণের পেছনে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী ও গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য। এটি কেবল একটি অলংকার নয়; বরং তাঁর ব্যক্তিত্ব, লীলা ও দর্শনের প্রতীক।
🦚 পৌরাণিক কাহিনী: ময়ূরের নিবেদন

একটি জনপ্রিয় কাহিনী অনুসারে, বৃন্দাবনের গভর্ন্ধন পর্বতে শ্রীকৃষ্ণ যখন তাঁর বাঁশিতে সুর তুলতেন, তখন ময়ূরেরা আনন্দে নৃত্য করত। সেই সময়, ময়ূরের রাজা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁর পালকগুলি শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করেন। শ্রীকৃষ্ণ সেগুলি সানন্দে গ্রহণ করে নিজের মুকুটে স্থাপন করেন ।

🌈 আধ্যাত্মিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

1. নম্রতা ও অহংকার জয়: ময়ূরের পালক অহংকারের প্রতীক হলেও, শ্রীকৃষ্ণ এটি ধারণ করে অহংকারের উপর বিজয় ও নম্রতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন ।

2. রঙের বৈচিত্র্য ও সৃষ্টির প্রতিফলন: ময়ূরের পালকে সাতটি প্রধান রঙ থাকে, যা সৃষ্টির বৈচিত্র্য ও শ্রীকৃষ্ণের বহুমাত্রিক রূপকে প্রতিফলিত করে ।

3. প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ: শ্রীকৃষ্ণের ময়ূরপুচ্ছ ধারণ প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ও সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসার প্রতীক।
🎭 সাংস্কৃতিক প্রভাব

কেরালার "কৃষ্ণনাট্টম" নামক নৃত্যনাট্যে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে ময়ূরের পালক ব্যবহৃত হয়। এটি শ্রীকৃষ্ণের লীলার স্মরণে ও তাঁর দর্শনের প্রতিফলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত ।
💖 উপসংহার

শ্রীকৃষ্ণের ময়ূরপুচ্ছ ধারণ কেবল একটি সৌন্দর্যবর্ধক উপাদান নয়; এটি তাঁর লীলাময়, নম্র ও প্রকৃতিপ্রেমী সত্তার প্রতীক। এটি আমাদের শেখায় যে, প্রকৃত সৌন্দর্য ও মহত্ত্ব নম্রতা, কৃতজ্ঞতা ও সৃষ্টির সঙ্গে সংযোগে নিহিত।

ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য:-    ১৯৬৬ সালের জুলাই মাসে শ্রীল প্রভুপাদ ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থার নথিতে ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য...
16/04/2025

ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য:-


১৯৬৬ সালের জুলাই মাসে শ্রীল প্রভুপাদ ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্থার নথিতে ইসকনের সাতটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়েছে:

(১) সুসংবদ্ধভাবে মানব-সমাজে ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞান প্রচার করা এবং সমস্ত মানুষকে পারমার্থিক জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত হতে শিক্ষা দেওয়া, যার ফলে জীবনের যথার্থ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বিভ্রান্তি প্রতিহত হবে এবং জগতে যথার্থ সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

(২) ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবতের অনুসরণে কৃষ্ণভাবনার অমৃত প্রচার করা।

(৩) এই সংস্থার সমস্ত সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা এবং শ্রীকৃষ্ণের কাছে টেনে আনা, এবং এইভাবে প্রতিটি সদস্য-চিত্তে, এমন কি প্রতিটি মানুষের চিত্তে, সেই ভাবনার উদয় করানো, যাতে সে উপলব্ধি করতে পারে যে, প্রতিটি জীবই হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অংশ।

(৪) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত সমবেতভাবে ভগবানের দিব্য নাম কীর্তন করার যে সংকীর্তন আন্দোলন, সেই সম্বন্ধে সকলকে শিক্ষা দেওয়া এবং অনুপ্রাণিত করা।

(৫) সংস্থার সদস্যদের জন্য এবং সমস্ত সমাজের জন্য একটি পবিত্র স্থান নির্মাণ করা, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিত্য লীলাবিলাস করবেন, এবং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তা নিবেদিত হবে।

(৬) একটি সরল এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক জীবনধারা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সদস্যদের পরস্পরের কাছে টেনে আনা।

(৭) পূর্বোল্লিখিত উদ্দেশ্যগুলি সাধন করবার জন্য সাময়িক পত্রিকা, গ্রন্থ এবং অন্যান্য লেখা প্রকাশ এবং বিতরণ করা।

উৎস: www.iskcon.org

Adresse

Democratic Republic Of The

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque রাধারমন মন্দির। ISKCON-Uttara-17 publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Partager