16/06/2025
বেড়ে গেছে সড়ক দূর্ঘ*টনা! নিরাপত্তার জন্য সকল দুনিয়াবি মাধ্যম গ্রহণের পাশাপাশি এই সুন্নাহ আমলটি করতে পারেন।
নিজে শিখুন। সন্তান, ছাত্রছাত্রী সহ সবাইকে শিখান।
দরজায় স্টিকার কিংবা কাগজে লিখেও রাখতে পারেন।
১। একটি দুয়া আছে এমন, যিনি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পড়বেন, ওই ব্যক্তিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়:
তোমার আর কোনো চিন্তা নেই, তোমার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা হলো, (তোমাকে সঠিক পথ দেখানো হলো) এবং তোমাকে হেফাযত করা হলো। আর শয়*তান তার থেকে দূরে চলে যায়।
দুয়াটি হলো :
بِسْمِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
অর্থ: আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।
(সুনান তিরমিযী: ৩৪২৬)
মাওলানা আবদুল্লাহ আল মনসুর
২। হাদিসে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘর থেকে বের হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত) পাঠ করে ঘর থেকে বের হলে এর অনেক ফজিলত রয়েছে। যেমন:
▪️৭০,০০০ ফেরেস্তা তার চারপাশ ঘিরে রাখে এবং তাকে হেফাজত করে।
▪️বাড়িতে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারে না।
▪️ঘুমানোর আগে পড়লে একজন ফেরেস্তা সারারাত তাকে পাহারা দেন।
▪️প্রতিটি ফরজ নামাজের পর পড়লে মৃ*ত্যু ব্যতীত কোন কিছু জান্নাতে যেতে বাধা দিতে পারবে না।
▪️ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুণ মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।
▪️জান্নাতের দরজা খুলে যায়।
▪️ঘরে ও জীবনে বরকত বয়ে আনে।
সুতরাং, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল, যা মুস*লিমদের জন্য নিরাপত্তার ও বরকতের কারণ।