Ishwarer kotha o gaan

Ishwarer kotha o gaan ঠাকুর মা স্বামীজীর অমূল্য বাণী ও কথা শুনতে পেজটিকে ফলো করবেন

একজনের একটি মাত্র সন্তান সন্ন্যাসী হইয়া গিয়াছে। তিনি মায়ের নিকট আসিয়া নিজের মনের তাপ জানাইতে গিয়া অশ্রু বর্ষণ করিতেছ...
29/09/2025

একজনের একটি মাত্র সন্তান সন্ন্যাসী হইয়া গিয়াছে। তিনি মায়ের নিকট আসিয়া নিজের মনের তাপ জানাইতে গিয়া অশ্রু বর্ষণ করিতেছেন।শ্রীশ্রীমারও চোখে জল। মা বলিতেছেন, "আহা! তাইতো, একটি মাত্র সন্তান, প্রাণের ধন-এমন করে সন্ন্যাসী হয়ে গেলে মা কি করে প্রাণ ধরে বলো দেখি?" আবার অপর একদিন একজন যখন তাঁহার দুইটি সন্তানই সন্ন্যাসী হইবার জন্য ব্রহ্মচর্য লইয়াছে ইহা জননীর কাছে জানাইয়া বলিতেছেন, "মা, সন্তানের কল্যাণ হয় সেইটি মায়ের কামনা। কী আছে সংসারে? ছেলে যদি পরম কল্যাণের পথে যায়, তার চেয়ে আনন্দের বিষয় কী আছে?" মা তখন সহর্ষে বলিতেছেন, "ঠিক বলেছ মা, পরম কল্যাণের পথে যদি ছেলে যায়, তার চেয়ে আর মা'র আনন্দ কী হতে পারে?" এই যে বিভিন্নস্থানে মায়ের বিভিন্নভাবের উক্তি-উভয়ই তাঁহার আন্তরিক, একটিতে তিনি সন্তানহারা মায়ের দুঃখের সম-অংশিনী, আবার অপরটিতে মা যে সন্তানের প্রকৃত কল্যাণের বিষয় বুঝিয়াছেন, ইহা দেখিয়া পরমানন্দিত।

(পদপ্রান্তে ৩/৫৯৬)

(তাঁহার (শ্রীমার) অসুস্থ অবস্থায় একদিন একজন গৈরিকবস্ত্র পরিহিতা মহিলা তাঁহার চরণ দর্শন করিতে আসিয়াছেন। তিনি মায়ের নিকট দীক্ষা লইবার জন্য অতিশয় ব্যাকুল হইয়া আসিয়াছেন। মা তখন খাটের উপর শুইয়াছিলেন। তিনি যেমন পদধূলি লইবার জন্য অগ্রসর হইয়াছেন, অমনি মা যেন সন্ত্রস্তা হইয়া বলিলেন, "কর কি? কর কি, পায়ে হাত দিও না, গৈরিকধারিণী সন্ন্যাসিনী তুমি, পায়ে হাত দিয়ে কেন আমাকে অপরাধী কর?” মেয়েটি নিতান্ত দুঃখিতা হইয়া উত্তর করিলেন, "অনেক আশা করে যে আপনার কাছে এসেছি, আপনি আমায় দীক্ষা দেবেন বলে।"

মা বলিলেন, "ব্যস্ত হলে কি কিছু হয় মা? সময় হলে নিজেই হবে। দীক্ষা কি তোমার হয়নি? গেরুয়া কে দিয়েছেন? যাঁর কাছে সাধন পেয়েছ, নিষ্ঠা করে তাঁকেই ধরে থাক, সময়ে হবে।")

মেয়েটি অবশেষে বলিলেন, "গেরুয়া কেউ দেন নি, আমি নিজেই ধারণ করেছি। আর যে সাধনপ্রণালী পেয়েছি তাতে মনে শান্তি পাচ্ছি না।"

মা তখন বলিলেন, "আজ আমি বড় অসুস্থ, তোমার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারলুম না বলে মনে দুঃখ করো না। কিন্তু মা, এটি মনে রেখো, গেরুয়া পরা খুব সহজ নয়। এই যে সব আশ্রমের ত্যাগী ছেলেরা ঠাকুরের জন্য সব ছেড়ে এসেছে, এরাই গেরুয়া পরার অধিকারী। গেরুয়া পরা কি যার তার কাজ? এই সব বলিয়া মিষ্টি কথায় তাঁহাকে বিদায় দিলেন।

কিন্তু মা তাঁহাকে পায়ের ধূলা লইতে দিলেন না।

(পদপ্রান্তে ৩/৫৯৭)

জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹
( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

মা'কে প্রণাম করে আমি” কাতরভাবে দীক্ষা প্রার্থনা করি। তিনি করুণাপরবশ হয়ে আমাকে তখনই দীক্ষাদান করেন। যদিও তিনি আমার ভাষা ব...
29/09/2025

মা'কে প্রণাম করে আমি” কাতরভাবে দীক্ষা প্রার্থনা করি। তিনি করুণাপরবশ হয়ে আমাকে তখনই দীক্ষাদান করেন। যদিও তিনি আমার ভাষা বুঝতেন না এবং আমিও বাংলাভাষা জানতাম না তবু দেখলাম তাঁর কথা বুঝতে আমার কোনও অসুবিধা হলো না এবং তাঁরও আমার কথা বুঝতে কোনও অসুবিধা হয়নি। মা বাংলাতেই কথা বলছিলেন, আমি বলেছিলাম হিন্দীতে। তাঁর কাছ থেকে বিদায় নেবার সময় আমি বলেছিলাম, "মাঈ জী, ম্যায় যা রহা হুঁ।" মা বাংলায় বললেন, “'যাই' বলতে নেই বাবা, বলো 'আসি'।" একজন সেবক আমাকে মায়ের কথাগুলি ইংরাজীতে অনুবাদ করে আমায় শোনালেন, "Mother says, don't say 'I am going', say 'I am coming." আমি তো শুনে অবাক! আমি যাচ্ছি, আর মা বলছেন 'আসছি' বলতে? আমি তখন জানতাম না, বাংলাদেশে এভাবেই বিদায় নেবার সময় বলা হয়।.... এখন আমি বুঝতে পারছি-যা তখন আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়েছিল-আমি তাঁর কাছ থেকে 'চলে যেতে' চেয়েছিলাম, কিন্তু শেষপর্যন্ত 'যেতে' আমি পারিনি। আমরা কেউই পারিনা। মায়ের কাছে আমাদের ফিরে আসতে হবেই। আমার জীবনের অন্তিম উপলব্ধি-আমি আমার মায়ের কাছে ফিরে আসছি-I am coming to my Mother!

(পদপ্রান্তে ৩/৫৯২)

সোরাব মোদী।

জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🙏🌹🌹🌹
( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

সেদিন বিকালে 'মায়ের বাড়ী' থেকে ফিরে আসার আগে আবার তাঁর দর্শন পেলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "মা, আপনি বলেছেন, মন্ত্রটি সকালে...
29/09/2025

সেদিন বিকালে 'মায়ের বাড়ী' থেকে ফিরে আসার আগে আবার তাঁর দর্শন পেলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "মা, আপনি বলেছেন, মন্ত্রটি সকালে ও সন্ধ্যায় অন্ততঃ ১০৮ বার করে জপ করতে। এ ছাড়া অন্য সময়েও যতটা পারি করতে। আমি কি যে কোনও জায়গায় জপ করতে পারি?" মা বললেন, "হ্যাঁ, বাবা, তোমার যেখানে খুশী করতে পার।" আমি আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, "খাওয়ার সময় বা কোনও অপরিষ্কার স্থানেও কি জপ করতে পারি?" মা খুব জোর দিয়ে বললেন, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, অপরিষ্কার স্থানেও করতে পার। ওসব নিয়ে তোমায় কিছু চিন্তা করতে হবে না বাবা।"

(পদপ্রান্তে ৩/৫৯০)

মোহিনী মোহন মুখোপাধ্যায়।

জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹
()

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

একজন খুব ছটফটে। মা তাকে একটু স্থির হয়ে ধ্যানজপ করতে বলেন।  সে বলে, "মা, মন বসে না তো কি করবো?" মা বললেন, ধ্যান না হয় কঠ...
29/09/2025

একজন খুব ছটফটে। মা তাকে একটু স্থির হয়ে ধ্যানজপ করতে বলেন। সে বলে, "মা, মন বসে না তো কি করবো?" মা বললেন, ধ্যান না হয় কঠিন। আমরা মেয়ে মানুষ জপেতেই আমাদের সব হয়। নয় তোমরা তাই কর। একটু স্থির হয়ে বসে জপ করতে হয়। দশ-বিশ হাজার জং রোজ করে দেখ কেমন মন আপনি নুইয়ে না আসে; যদি না আসে তখন বোলো। সাধু-সন্ন্যাসী ছাড়া ধ্যান হওয়া বড় কঠিন। তবে পুরুষ মানুষ হলেই হয় না, মনে জোর চাই, বৈরাগ্য হওয়া চাই, নির্বাসনা এবং ভগবানে ভালবাসা না হলে ধ্যান হওয়া বড় কঠিন। চার রকম ধ্যানসিদ্ধ আছে-(১) যারা জন্ম থেকেই সুকৃতি নিয়ে এসেছে, (২) যারা গুরুর শিক্ষা স্বীকার করে নানান রকমে অভ্যাস করতে করতে ধ্যানসিদ্ধ হয়েছে, (৩) আবার ঠাকুর বলতেন- 'কৃপাসিদ্ধ'। গুরুকৃপা করে তাদের মনকে সংসার থেকে তুলে ধরেছেন। তাদের মনটা জলের উপর পদ্মফুলের মতো ভাসে। এরা কপাসিদ্ধ। আর (৪) ঠাকর বলতেন- 'হঠাৎ সিদ্ধ'। যেমন, লোকে যে কোনও কারণে হোক অপরের সম্পত্তি পেয়েছে। এদেরও পূর্বের তপস্যা আছে, কিন্তু কোনও মোহে পড়ে বহুদিন ধরে প্রারব্ধ ভোগ করছিল, যেই প্রারব্ধ কেটে গেল, আর যেন রাস্তায় যেতে যেতে বহুমূল্য মাণিক পড়ে পেল। "ঠাকুর তো এবার দয়া করে লোকের মঙ্গলের জন্য কঠোর তপস্যা করে গেলেন। ছিল শুধু হাড় আর চামড়া, তার ওপর আবার লোকের পাগ নিয়ে রোগ ভোগ। তাঁতে ভক্তি, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস করলেই, তাঁর নামজপ, তাঁর লীলা ধ্যান করলেই কুণ্ডলিনী আনন্দে আপনি জেগে উঠবেন, এতটুকুও কঠোরতা করতে হবেনা। কলিকাল, এখন কি আর লোকে সত্য-ত্রেতার মত তপস্যা করতে পারে? এখন অন্নগত প্রাণ। ঠাকুরের নাম কর, দেখো তিনি খাওয়া-পরার সব ব্যবস্থা করে দেবেন। ঠাকুরের নাম করলে এবার কেউ কখনো অন্ন কষ্ট পাবে না। মোটা ভাত মোটা কাপড়ের ব্যবস্থা তিনি করে গেছেন। গুরু-ঈশ্বরের সাহায্য না পেলে কি কেউ আপনি বন্ধন খুলতে পারে? তাই ঠাকুর অতি কঠোর তপস্যা করে তার ফল যে সব ভক্তরা আসবে তাদের জন্য সঞ্চয় করে রেখে গেলেন। তিনি তো কৃপা করে দরজায় দাঁড়িয়ে, এখন তুমি দরজা খুললেই হয়।"

(পদপ্রান্তে ৩/৫৩৫)

স্বামী বাসুদেবানন্দ জী ❤️🙏🌹
জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹
()

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

শ্রীমা বলিলেন যাদের সময় নেই তারা রামকৃষ্ণ নাম মন থেকে কতবার জপ করলেই হবে?বিদায় নেওয়ার সময় আমার (স্বামী আদিনাথানন্দ ) সঙ...
29/09/2025

শ্রীমা বলিলেন যাদের সময় নেই তারা রামকৃষ্ণ নাম মন থেকে কতবার জপ করলেই হবে?

বিদায় নেওয়ার সময় আমার (স্বামী আদিনাথানন্দ ) সঙ্গী (স্বামী সাধনানন্দ )মা'কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মা, মন্ত্রটি কতবার জপ করবো? হাজার, দশহাজার, নাকি তারও বেশী?" মা বলেছিলেন, "বাবা, তোমরা এখন ছাত্র। .... অনেক পড়াশুনো করতে হবে। পরীক্ষা দিতে হবে। বেশী জপ করতে পারবেনা এখন। পরে সময় সুযোগ পেলে ধীরে ধীরে বাড়াবে। তবে ঠাকুর স্বয়ং আমায় বলেছেন, 'রামকৃষ্ণ নাম দশবার জপলেই হবে। তা-ই যথেষ্ট।' ঠাকুর জগতের আধ্যাত্মিক কল্যাণ সাধনের জন্য স্বয়ং কঠোর তপস্যা করে ভগবদ্ভাব জাগিয়ে দিয়ে গেছেন। আন্তরিকতা, ব্যাকুলতা, অনুরাগ, প্রীতি নিয়ে সাধন-ভজন করলে এখন অল্পেতেই সুফল পাবে।” এই সামান্য বিধান শুনে আমরা পুলকিত হলাম। কলকাতায় যখন আমরা স্বামী সারদানন্দ মহারাজকে ঐ কথা বললাম, তিনি বললেন, "হ্যাঁ, মনকে স্থির করতে পারলে এবং মনকে বশে আনতে পারলে দশবার জপই যথেষ্ট।

জয় জয় মা জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹
( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

মায়ের শরীর রক্ষার অনেক পরের কথা। একবার মনটা বড় চঞ্চল। ধ্যান, জপ-টপ যেন সব যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে, করতে হয়, সময়মাফিক করে যাচ...
29/09/2025

মায়ের শরীর রক্ষার অনেক পরের কথা। একবার মনটা বড় চঞ্চল। ধ্যান, জপ-টপ যেন সব যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে, করতে হয়, সময়মাফিক করে যাচ্ছি। 'দেখি, মা যদি কিছু বলেন', বলে 'মায়ের কথা' খুললাম। খুলতেই যেখানে চোখ পড়ল, দেখি লেখা- "রোজ কি কারুর ঈশ্বর দর্শন হয়?
ঠাকুর বলতেন, 'ছিপ ফেললে কোনদিন পেল, কোনদিন পেল না, তা বলে কি চেষ্টা ছাড়তে আছে? .... এত চঞ্চল হলে চলবে কেন। যা পেয়েছ এতেই লেগে থাকো। আর কেউ তোমার না থাক, আমি তো তোমার মা আছি। ঠাকুরের কথা মনে নেই? যারা তাঁর আশ্রয় নিয়েছে, তাদের কাছে তিনি প্রকাশ হবেনই, অন্ততঃপক্ষে শেষের দিন তিনি নিজে এসে সকলকে নিয়ে যাবেন।"

(পদপ্রান্তে ৩/৫৪০)

স্বামী আদিনাথানন্দ।🙏🙏🙏
জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🙏🌹🌹🌹
()

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

একবার আমার ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে। মা'কে বললাম, "এমনিই মন স্থির হয় না, তাতে আবার শরীরে অস্বস্তি থাকলে মনটা বসতেই চায় না।" মা...
29/09/2025

একবার আমার ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে। মা'কে বললাম, "এমনিই মন স্থির হয় না, তাতে আবার শরীরে অস্বস্তি থাকলে মনটা বসতেই চায় না।" মা বললেন, "দেখ, মনটাবে দুভাগ করতে হয়, একটা যেন বিবেকী, আর একটা যেন অবিবেকী-ছেলেমানুষের মতো। বিবেকী মনটা বাপ-মার মতো সর্বদা অবিবেকী মনটার পিছনে লেগে থাকবে। একটা কিছু আবোল-তাবোল করলেই তাকে শাসন করবে, গালমন্দ করবে, দেখনি বাপ-মা যেমন দুষ্টু ছেলেটাকে বকে-ঝকে। দেখবে, এইরকম কিছুদিন অভ্যাস করলেই মনটা শায়েস্তা হয়ে আসবে। কিন্তু অবিবেকী মনে যদি একটা বিষয়ে বহুদিনের অভ্যাসের ফলে দৃঢ় সংস্কার জন্মে যায়, তাহলে শত তিরস্কারেও সেটা যেতে চায়না। তখন ঐ দুর্বল মনের জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করবে, নইলে আর কোনও উপায় নেই। তিনি ঈশ্বর-সব করতে পারেন। ঠাকুরের ইচ্ছের কাছে দেখেছি মানুষের মনগুলো যেন কাঁচামাটির তালের মতো হয়ে যেতো; আর তিনি যাকে যেমন ইচ্ছে তাকে তেমনি করে গড়ে তুলতেন।"

(পদপ্রান্তে ৩/৫৩৭)

আমি রাসবিহারী মহারাজের কাছে শুনেছি, তিনি একদিন (কাশীতে) মা'কে বলেছিলেন, "নির্বাণ চাই না মা, তাহলে তোমায় পাব না।" মা শুনে বললেন, "বোকা ছেলে! নির্বাণই যে তাঁর স্বরূপ!"

(পদপ্রান্তে ৩/৫৪০)

স্বামী বাসুদেবানন্দ জী ❤️❤️🙏🙏🌹🌹
জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️🙏🙏🌹🌹
( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

উদ্বোধনে আমরা একবার নিচে খুব হট্টগোল করছি। তাতে গোলাপ-মা মা'কে বলছেন, "তোমার ছেলেদের ওপর কোনও শাসন নেই। পরমহংস মশাই ছেলে...
29/09/2025

উদ্বোধনে আমরা একবার নিচে খুব হট্টগোল করছি। তাতে গোলাপ-মা মা'কে বলছেন, "তোমার ছেলেদের ওপর কোনও শাসন নেই। পরমহংস মশাই ছেলেদের কেমন শাসনে রাখতেন। কারু একচুল এদিক-ওদিক হবার জো ছিল না।" মা বললেন, "কি জানি মা, আমি কারুর কিছু খারাপই দেখতে পাইনে, তা শাসন করব কি? আমি যে মা! আমি শাসন করব কি করে? আমি ঝেড়ে ঝুড়ে পরিষ্কার-ঝরিষ্কার করে নিই। এরা ঠাকুরের ছেলে, শাসন করবো বললেই হলো। তিনি কেমন সব ঠিক করে নেন। তাঁর আপনভোলা ভালবাসায় সব সোজা হয়ে যায়। আমাদের প্রেমের ঠাকুর, তাঁতে কোনও কঠোর, রূঢ় ভাব নেই। যখন লোকে বলে-'আচ্ছা, এর ফল ভগবান দেবেন।' আমি কিন্তু তখন ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি-'ঠাকুর, নির্বোধ সুবোধ সকলেরই মঙ্গল কর।' আমি ছেলেদের বলি -"কাউকেও হিংসা করো না, ভগবানকেও বিচার করতে বলো না। বরং যাতে অত্যাচারীর ভাল হয় তার সম্বন্ধে প্রার্থনা করো। ভগবানের বিচার নিক্তি ধরা, একচুল এদিক-ওদিক হবার জো নেই। ...কিন্তু তাঁর দয়ারও আবার শেষ নেই।"

(পদপ্রান্তে ৩/৫৩৪)
স্বামী বাসুদেবানন্দ জী ❤️🙏🌹
জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

একদিন উদ্বোধনে চন্দন ঘষছি, মা উত্তরদিকের দরজার ধারে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুখ করে মালা জপ করতে বসেছেন। কেউ নেই দেখে জিজ্ঞাস...
29/09/2025

একদিন উদ্বোধনে চন্দন ঘষছি, মা উত্তরদিকের দরজার ধারে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুখ করে মালা জপ করতে বসেছেন। কেউ নেই দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, "মা, মাঝে মাঝে মন দুর্বল হয়ে পড়ে কেন?" তিনি শুনেই মালা রেখে বললেন, "ওদিকে নজর দিও না, কার মনে দুর্বলতা না আসে এক ঠাকুর ছাড়া? আজ পর্যন্ত এমন কোনও মহাপুরুষ জন্মেছেন কি, যার মনে কখনো কোনও দুর্বলতা ওঠে নি? যদি শুধরোবার চেষ্টা থাকে, যদি মানুষ বুঝতে পারে যে, আমার মনে দুর্বলতা উঠেছে-তাহলে ঐ জিনিষটাই একটা মস্ত শিক্ষা, মহামায়া খুশি হয়ে তখন তাকে পথ ছেড়ে দেন। মানুষ কিছুদিন ভাল থাকলেই মনে করে 'আমার সব হয়ে গেছে', আরও উঁচুতে ওঠবার চেষ্টা ছেড়ে দেয়। কিন্তু বিবেকীর মনেও মাঝে মাঝে দুর্বলতা দিয়েই ঠাকুর স্মরণ করিয়ে দেন যে, এখনো সাধনা শেষ হয়নি, ভূত-প্রেত সব ওত পেতে চারপাশে বসে আছে, সুবিধে পেলেই ঘাড়ে চেপে বসবে। এতে হয়কি-অহঙ্কার নষ্ট হয়। যতদিন বাঁচবে সাবধানে ঠাকুরের শরণাগত হয়ে থাকবে, অহঙ্কার হলেই ঐ সব হিজিবিজি মনে উপস্থিত হবে। শেষ পর্যন্ত শরণাগতির ভাব নিয়ে থাকতে হয়। ঠাকুর একবার নিজের শরীরে কামের বেগ ধারণ করে দেখালেন, জীবের অহঙ্কার করবার কিছুই নেই।” (পদপ্রান্তে ৩/৫৩২)

উদ্বোধনে একদিন পুজোয় বসে বাণেশ্বর শিবকে স্নান করাবার সময় আমার হাত পিছলে পড়ে গিয়ে গড়গড় করে গড়িয়ে গেলেন। আমি আতঙ্কিত হয়ে উঠে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে তুলে এনে যথাস্থানে গৌরীপট্রে স্থাপন করলাম। পরদিন সকালে রামকৃষ্ণপুর থেকে নীরদ মহারাজের (স্বামী অম্বিকানন্দ) মা এসে বললেন, "বাবা, কাল তুমি মহাদেবকে স্নান করাবার সময় হাত থেকে ফেলে দিয়েছ?” আমি লজ্জিত হয়ে বললাম, "মা, আপনি জানলেন কেমন করে?” তিনি বললেন, "কাল স্বপ্নে দেখি,একটি পাঁচ বছরের ধবধবে ছেলে, মাথায় ছোট ছোট জটা, ন্যাংটো, নাচতে নাচতে এসে বলছে, "আমায় ফেলে দিয়েছে।" মা সামনে পা ছড়িয়ে বসে -কার সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু সব শুনছেন। ভয়ে আমি তখন 'গুরু কৃপাহি কেবলম্' জপ করছি-বুকের ধকধকানি নিজেই শুনতে পাচ্ছি। মা নীরদ মহারাজের মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, "ছোট ছেলেরা অমন কত পড়ে খেলতে গিয়ে।” তারপর হেসে বাণেশ্বরের দিকে তাকিয়ে বললেন, "তুমি বাবা অষ্টমূর্তিতে জগৎ ছেয়ে রয়েছ, ও অতটুকু ছেলে তোমায় ধরে রাখবে কেমন করে?” আমি মনে মনে বুঝলাম, "শিবঃ রুষ্টে গুরু স্ত্রাতা গুরুঃ রুষ্টে ন কশ্চন।" যোগেন মা বললেন, "এবার থেকে সাবধান হবে।" আমি তিনজনকেই নমস্কার করলাম।

(পদপ্রান্তে ৩/৫৩৩)

স্বামী বাসুদেবানন্দ জী ❤️🙏🌹
জয় মা জয় মা জয় মা ❤️❤️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

১৯০৩ সাল। শরৎকাল। মা সারদা তখন কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটীতে ফিরেছেন। দুর্গাপুজো আসছে। আশপাশের গ্রামে উৎসবের সাজ সাজ রব, ঢ...
29/09/2025

১৯০৩ সাল। শরৎকাল। মা সারদা তখন কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটীতে ফিরেছেন। দুর্গাপুজো আসছে। আশপাশের গ্রামে উৎসবের সাজ সাজ রব, ঢাক বাজছে, প্রতিমা গড়া হচ্ছে। কিন্তু জয়রামবাটীতে এবার প্রতিমা আসবে না— অর্থের অভাব, লোকের অসহযোগিতা। মা চুপচাপ। মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু চোখে এক আশ্চর্য রকমের অপেক্ষা। ষষ্ঠীর দিন মা সারদা নিজের ঘরেই একচালা ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করলেন। মাটির ঘট, পাশে গাঁদা ফুল, তুলসীপাতা আর এক বাটি জল। ভক্ত হরিমোহন বললেন, “মা, প্রতিমা ছাড়া পুজোতে মন বসে না।” মা হেসে বললেন, “মন যদি ঘটের মধ্যে দেবীকে দেখতে না পায়, তাহলে মূর্তির মধ্যেও পাবে না রে।” সেদিন সন্ধ্যায় মা চুপ করে বসে বসে দুর্গাস্তব পাঠ করলেন। তাঁর মুখে তখন এমন জ্যোতি, যেন তিনিই দুর্গার রূপ ধারণ করেছেন। রাত গভীর, সবাই ঘুমিয়ে গেছে। হঠাৎ মা ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে এলেন। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। মা চন্দ্রালোকে দাঁড়িয়ে, চোখ বন্ধ করে ভিজে গলায় বলে উঠলেন, “মা, তুই তো আমার মাঝে আছিস, আমি কি তোর প্রতিমা চাই শুধু? না রে, তোকে তো আমি হৃদয়ের ঘটেই প্রতিদিন পুজো করি।” এই সময়, এক অবাক ঘটনা ঘটে। হঠাৎ দেখা যায়, উঠোনে এক ছোট্ট মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, গায়ে লাল পাড় সাদা শাড়ি, কপালে সিঁদুর, চোখে গভীর শান্তি। মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “তুই কে মা?” মেয়েটি ধীরে বলে, “তুমি যাকে প্রতিমায় খুঁজছো, আমি তো সেই মা—তোমার হৃদয়ের মায়েই এসেছি।” মা বিস্ময়ে কাঁপছেন। পরম ক্ষণেই মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে যায়। সকালে মা ভক্তদের ডাকলেন। “জানো, প্রতিমা তো এসেছিল… ঠিক আমার হৃদয়ের মধ্য দিয়েই। গতরাতে আমি তাঁকে পেয়েছি, দেখেছি।” সবাই অবাক। মা কার কথা বলছেন? তিনি শুধু বললেন, “যে দেখে, তার মূর্তি লাগে না; যে দেখে না, তার সব আয়োজনই বৃথা। মা তো কাছে আছেন, চাওয়ার চোখ থাকতে হবে শুধু।” এই কাহিনী কেবল একটি অলৌকিক ঘটনার গল্প নয় — এটি বিশ্বাস, অন্তর্দৃষ্টি ও মাতৃভাবনার গভীর শিক্ষা।
জয় মা জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

আজ দূর্গা পুজোর শুভ ষষ্ঠী। মা দুর্গাই আমাদের শ্রীমা সারদা দেবী রূপে জগতে এসেছিলেন। মা ছিলেন স্বামীজীর জ্যান্ত দূর্গা ❤️🙏...
28/09/2025

আজ দূর্গা পুজোর শুভ ষষ্ঠী। মা দুর্গাই আমাদের শ্রীমা সারদা দেবী রূপে জগতে এসেছিলেন। মা ছিলেন স্বামীজীর জ্যান্ত দূর্গা ❤️🙏🙏
জয় জয় মা দূর্গা ❤️🙏🙏
জয় জয় মা সারদা ❤️🙏🙏

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

27/09/2025

শ্রী শ্রী সারদা মায়ের মধুর অমৃত কথা। মায়ের এক অজ্ঞাত গৃহী ভক্তের স্মৃতিতে।

#রামকৃষ্ণ #রামকৃষ্ণকথামৃত

Adresse

Basirhat
Democratic Republic Of The
743412

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque Ishwarer kotha o gaan publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Contacter L'entreprise

Envoyer un message à Ishwarer kotha o gaan:

Partager