Ishwarer kotha o gaan

Ishwarer kotha o gaan ঠাকুর মা স্বামীজীর অমূল্য বাণী ও কথা শুনতে পেজটিকে ফলো করবেন

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ  কথামৃত ❤️❤️🙏🙏🌹🌹কেশব সেন আসিয়াছেন, হাতে দুইটি বেল ও ফুলের তোড়া | তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের চরণ স্পর্শ করিয়া...
03/09/2025

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত ❤️❤️🙏🙏🌹🌹

কেশব সেন আসিয়াছেন, হাতে দুইটি বেল ও ফুলের তোড়া | তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের চরণ স্পর্শ করিয়া ওইগুলি কাছে রাখিয়া দিলেন এবং ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রনাম করিলেন। ঠাকুরও ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রতিনমস্কার করিলেন |

ঠাকুর আনন্দে হাসছেন আর কেশব সেনের সহিত কথা বলিতেছেন |

ঠাকুর - কেশব তুমি আমায় চাও কিন্তু তোমার চেলারা আমায় চায় না | তোমার চেলাদের বলছিলুম , এখন আমরা খচমচ করি, তারপর গোবিন্দ আসবেন |

কেশবের শিষ্যদের প্রতি - ওইগো তোমাদের গোবিন্দ এসেছেন | আমি এতক্ষন খচমচ করছিলুম, জমবে কেন (সকলের হাস্য)|

গোবিন্দের দর্শন সহজে পাওয়া যায় না | কৃষ্ণ যাত্রায় দেখ নাই, নারদ ব্যাকুল হয়ে যখন ব্রজে বলেন - প্রাণ হে গোবিন্দ মম জীবন, তখন রাখাল সঙ্গে কৃষ্ণ আসেন | পশ্চাতে সখীগন , গোপীগন |ব্যাকুল না হলে ভগবানের দর্শন হয় না |

কেশবের প্রতি - কেশব তুমি কিছু বল, এরা সকলে তোমার কথা শুনতে চায় |

কেশব বিনীতভাবে সহাস্যে - এখানে কথা কওয়া কামারের নিকট ছুঁচ বিক্রি করতে আসা |

(ক.মৃ-১০৯৯)

ধন্য তুমি কেশব , তুমি ধন্য -

কলিযুগের অবতার এসে হাতে ধরে তোমাকে শেখাচ্ছেন সংসারে থেকেও কেমনভাবে ঈশ্বরকে ডাকতে হয়, তাঁর জন্য কেমন ব্যাকুলতা তৈরী করতে হবে নিজেদের | এত সহজ করে মনে হয় না কোন অবতারপুরুষ এসে জীবকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন | তাইতো স্বামীজী ঠাকুরকে "অবতার বরিষ্ঠায়ও " বলেছেন | তবে এইটি ঠিক ঠাকুর যে ধরা দিয়ে ফেলেছেন নিজেকে কেশব সেনের কাছে তার তুলনায় চেলারা কিছুই বুঝতে বা ধরতে পারেন নি | এই হচ্ছে কৃপা | আন্তরিকতা যদি ঠিক ঠিক থাকে তবে উনি সতিই ধরা দেন ভক্তদের কাছে | ঠাকুর যে ভক্তবৎসল |

আর কেশব তখনকার সময়ে যতই বাগ্মী হন না কেন ঠাকুরের কাছে ঠিক ধরা পরে যান তাঁর আত্ম সচেতনতার কাছে | তাইতো ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রনাম করতে শিখেছে | তবে এই নম্রতা কেশব সেনের চেলারা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না | আর ঠাকুরও ব্রাহ্ম সমাজের আসল মাথাটিকেই একেবারে কাত করিয়ে দিলেন | আর কেশবও আনন্দে, উচ্ছাসে ঠাকুরের শ্রীচরণে মাথা নত করে দিলেন | যেন এক অহৈতুকী কৃপা।

জয় ঠাকুর জয় জয় ঠাকুর ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹
( )

সংগৃহীত 🙏🙏

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

স্বামীজী বলিলেন, যদি আর একটি বিবেকানন্দ থাকত, তবে বুঝতে পারতো বিবেকানন্দ কি করে গেল?  ভারতাত্মার বাণীমূর্তিস্বামী বিবেকা...
03/09/2025

স্বামীজী বলিলেন, যদি আর একটি বিবেকানন্দ থাকত, তবে বুঝতে পারতো বিবেকানন্দ কি করে গেল?

ভারতাত্মার বাণীমূর্তি

স্বামী বিবেকানন্দ..

জগতের ইতিহাসে দেখা যায় যখনই যুগপ্রয়োজন সাধনের নিমিত্ত শ্রীভগবান্ নরদেহ ধারণ করিয়া ধরাধামে অবতীর্ণ হন, তখনই সঙ্গে লইয়া আসেন তাঁহার অন্তরঙ্গ পার্যদের। প্রত্যেক যুগেরই এক একটি বিশিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তাঁহাদের আবির্ভাব। বর্তমান যুগে পাশ্চাত্যমোহে আচ্ছন্ন জগতে ভারতের শাশ্বত সনাতন ধর্মের পুনরুদ্ধারের জন্যই শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব। তাঁহার শ্রেষ্ঠতম সহচর শ্রীবিবেকানন্দের আবির্ভাবও সেই উদ্দেশ্যকে সার্থকতার পথে পরিচালিত করিতে। রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ যেন একই মন্ত্রের সূত্র ও ভাষ্য। শ্রীরামকৃষ্ণের ধ্যানদৃষ্টিতে বিবেকানন্দের স্বরূপ ধরা পড়ে। ধ্যাননেত্রে তিনি নিরীক্ষক্ষণ করিলেন, অনুভূতির চরমতম শিখরে এক জ্যোতির্ময়রাজ্য-যেখানে দেবদেবীদের মূর্তি পর্যন্ত নাই। সেই জ্যোতির্ধনমণ্ডলে পুঞ্জীভূত জ্যোতির আকারে সাতজন ঋষি সমাধিমগ্ন।

হঠাৎ সেই জ্যোতিরই এক অংশ ঘনীভূত হইয়া একটি শিশুর মূর্তি পরিগ্রহ করে। সেই দিব্যশিশু পরম প্রেমভরে সমাধিস্থ এক ঋষির কণ্ঠ বেষ্টনপূর্বক তাঁহাকে সপ্রেম আহবান জানায়, "আমি যাইতেছি, তোমাকেও আমার সহিত যাইতে হইবে।” যোগীবরের ধ্যানভঙ্গ হয়। সস্মিত দৃষ্টিতে তিনি দেবশিশুর আমন্ত্রণ অনুমোদন করিলেন। সেই যোগীর শরীর হইতে এক দিব্যজ্যোতির রশ্মি ধরণীতে নামিয়া আসে। নরেন্দ্রনাথকে দেখিবামাত্রই শ্রীরামকৃষ্ণদেব সেই ধ্যানদৃষ্ট ঋষিমূর্তি বলিয়া স্মরণ করিলেন।

১৮৬৩ খৃষ্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি, (১২৬৯ বঙ্গাব্দের ২৯শে পৌষ) কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি, পৌষ সংক্রান্তির দিন সিমুলিয়ার ধনী এটর্নি শ্রীবিশ্বনাথ দত্ত মহাশয়ের বাড়িতে আনন্দের হাট বসিয়া যায়। বীরেশ্বর শিবের প্রসাদে আজ তাঁহারা একটি পুত্র সন্তান লাভ করিয়াছেন। সন্তানের নামকরণ হয় নরেন্দ্রনাথ, ডাক নাম হয় বীরেশ্বর বা 'বিলে'।

সুদর্শন শিশু নরেন্দ্রনাথ মাতা ভুবনেশ্বরী দেবীকে অস্থির করিয়া তোলে নানাপ্রকার চঞ্চলতায়। কিন্তু তাহার সব চপলতা শান্ত হয় শিবনাম শ্রবণে। পাড়ার বালকদের সর্বপ্রকার খেলাধূলার নেতা বিলে। গান-বাজনা, লেখাপড়া, সর্ব বিষয়েই সকলের পুরোভাগে থাকে। সকলেই যেখানে ভয় পাইয়া পিছাইয়া যায় নরেন্দ্রনাথ সেখানে আগাইয়া আসেন। মেট্রোপলিটন্ বিদ্যালয় হইতে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করিয়া প্রথমে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন, পরে জেনারেল এসেমব্রিজ কলেজ হইতে বি. এ. পাশ করিলেন কৃতিত্বের সহিত। এইকালে পাশ্চাত্ত্য দর্শন ও সাহিত্যের সহিত পরিচিত হওয়ায় হিন্দুধর্মের সংস্কারগুলি তাঁহার নিকট বড়ই পীড়াদায়ক বলিয়া মনে হয় এবং তিনি ব্রাহ্মহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। কিন্তু তাঁহার জিজ্ঞাসু মন সেখানেও সমাধান খুঁজিয়া পায় নাই। ঠিক এই সময় ১৮৮১ খৃষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে প্রতিবেশী সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়ীতে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আহৃত হইয়া দক্ষিণেশ্বরের শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে প্রথম দর্শন করিলেন। সেই প্রথম দর্শনের দিনেই শ্রীরামকৃষ্ণদেব দক্ষিণেশ্বরে যাইবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথকে।

দ্বিতীয় দর্শন, ১৮৮১ খৃষ্টাব্দের পৌষ মাসে দক্ষিণেশ্বরে। পরমপ্রেমে শ্রীরামকৃষ্ণদেব এইদিন নরেন্দ্রনাথকে আপনার চিহ্নিত সন্তান বলিয়া স্মরণ করাইয়া দেন। যুগপ্রয়োজন সাধনের নিমিত্তই তাঁহার আবির্ভাব-এই বার্তা তিনি করজোড়ে নরেন্দ্রনাথকে নিবেদন করিলেন। বিস্মিত নরেন্দ্রনাথ কৌতুক বোধ করিলেন, কিন্তু কী এক অনাস্বাদিতপূর্ব আকর্ষণ বোধ করিলেন তিনি সেই কালী মন্দিরের দিকে; স্থির থাকিতে পারিলেন না গৃহে, বার বার ছুটিয়া আসেন দক্ষিণেশ্বরে। আত্মসমর্পণ করিলেন সেই ভাববিমোহিত সাধকের চরণতলে। শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার আপনভাবে নরেন্দ্রনাথকে গড়িয়া তুলিতে থাকেন-ধ্যানে, জ্ঞানে ও তপস্যায়।

রোগে শয্যাশায়ী শ্রীরামকৃষ্ণ কাশীপুর উদ্যানবাটীতে; নরেন্দ্রাদি বালকভক্তগণ সেবায় তৎপর। নরেন্দ্রনাথকে কাছে ডাকিয়া পরম স্নেহভরে তাঁহারই হস্তে বালকভক্তদের সমর্পণ করিয়া নিশ্চিন্ত হন। তাঁহারই নিকট প্রকট করিলেন নিজের রামকৃষ্ণ স্বরূপ। নরেন্দ্র যে পদ্মমধ্যে সহস্রদল। তাঁহার মধ্যে যে জ্ঞানসূর্য দেদীপ্যমান! নরেন্দ্র কি যে-সে! তাই তো তাঁহারই মধ্যে আপন শক্তি সঞ্চারিত করিয়া শ্রীরামকৃষ্ণ পরম তৃপ্তির সহিত মহাসমাধির শান্তিতে নিমগ্ন হইলেন।

সাংসারিক অভাব অনটনের জন্য গৃহের ব্যবস্থাদি করিয়া, নরেন্দ্রনাথ আসিয়া মিলিত হইলেন তাঁহার ত্যাগী গুরুভ্রাতৃবৃন্দের সহিত বরাহনগর মঠে। এখন হইতে শুরু হইল কঠিন তপস্যার জীবন-লক্ষ্য হইল আত্ম-সাক্ষাৎকার বা ভগবদ্দর্শন। আঁটপুরে শ্রীরামকৃষ্ণের ত্যাগের আদর্শে সন্ন্যাসের সংকল্প গ্রহণ করিয়া, ১৮৮৭খৃষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বরাহনগর মঠে সন্ন্যাস গ্রহণ করিলেন, নাম হইল স্বামী বিবিদিষানন্দ। পরে প্রব্রজ্যাকালে নাম লইলেন-স্বামী বিবেকানন্দ।

১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে পরিব্রাজকরূপে বহির্গত হইয়া কাশী, অযোধ্যাদি দর্শন করিয়া, ক্রমে সমগ্র উত্তরাখণ্ড
পরিভ্রমণান্তে মঠে ফিরিয়া আসিলেন। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে শেষবারের মতো প্রব্রজ্যায় বাহির হইলেন। সমগ্র উত্তর ভারত পরিভ্রমণ করিয়া স্বামীজী পশ্চিম ভারত হইয়া দাক্ষিণাত্যে নামিয়া আসিলেন। এই প্রব্রজ্যাকালে সম্পূর্ণ নিঃসম্বল অবস্থায় তিনি পরিপূর্ণ ঈশ্বরে নির্ভর করিয়া কখনও ধনীর প্রাসাদে, কোথাও বা ধর্মশালায়, বেদান্তবার্তা প্রচার করিতে করিতে বেড়াইতে থাকিলেন। গুরুভ্রাতাদের পরিত্যাগ করিয়া একাকী তিনি সমগ্র ভারত-তীর্থ পর্যটন শেষ করিয়া ভারতের দক্ষিণপ্রান্তে কন্যাকুমারিকার শেষ প্রস্তরখণ্ডের উপর বসিয়া ধ্যাননেত্রে নিরীক্ষণ করিলেন, তাঁহার মাতৃভূমির করুণ মূর্তি। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অজ্ঞতা সমগ্র দেশের স্তরে স্তরে দেশকে জর্জরিত করিয়া তুলিয়াছে। এমন সময় শ্রীগুরুর নির্দেশ লাভ করিলেন, সমুদ্র পার হইয়া বিদেশ হইতে এই গ্লানি দূর করিবার উপায় নির্ধারণ করিতে হইবে। আমেরিকার চিকাগো

শহরে তখন বিশ্বধর্ম মহাসভার আয়োজন চলিতেছিল। জননী সারদামণি দেবীর আশীষ বানি লাভ করিয়া স্বামীজী ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দের মে মাসে বোম্বাই হইতে জাহাজে রওনা হইলেন সেই ধর্ম সম্মেলনে যোগ দিবার জন্য।

আমেরিকায় পৌঁছাইয়া নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও স্বামীজী ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দের ১১ই সেপ্টেম্বর চিকাগো ধর্ম মহাসভায় বক্তৃতা করিবার সুযোেগ পাইলেন। প্রথম বক্তৃতাতেই তিনি সমগ্র আমেরিকাবাসীর আপনার জন হইয়া গিয়াছিলেন। ফলে সেই 'Cyclonic Hindoo monk'-কে ঝড়ের বেগেই আমেরিকার একপ্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে বক্তৃতা-আলোচনা করিয়া ঘুরিতে হইত। পাশ্চাত্যের জনগণ মুগ্ধবিস্ময়ে শুনিত ভারতীয় বেদান্তদর্শনের অপূর্ব সাম্যের বার্তা, অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী ধর্ম বিষয়ের। পাশ্চাত্যের পণ্ডিতমণ্ডলী শ্রদ্ধাভরে সেই তরুণ সন্ন্যাসীর পদপ্রান্তে মস্তক অবনত করিল। ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে লণ্ডনে আসিলেন স্বামীজী, মাস-তিনেক পরে আবার আমেরিকায় ফিরিয়া আসিলেন। ইতিমধ্যে তাঁহার বিখ্যাত রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ ও ভক্তিযোগের বক্তৃতামালা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে। ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে নিউইয়র্কে একটি স্থায়ী বেদান্ত কেন্দ্র স্থাপন করিয়া পুনরায় লণ্ডনে ফিরিয়া আসিলেন। সেখানে পণ্ডিতপ্রবর ম্যাক্সমূলার ও মিস্ মার্গারেট নোক্সের (ভগিনী নিবেদিতা) সহিত তাঁহার আলাপ হয়। এবারে তিনি ভারতের অভিমুখে যাত্রা করিলেন ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বরে। পাশ্চাত্ত্য হইতে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পথে সিংহলে তাঁহকে বিপুলভাবে অভ্যর্থনা করা হয়। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারী মাসে মাদ্রাজে তাঁহাকে রাজোচিত সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। মাদ্রাজবাসীদের উৎসাহেই তাঁহার বিদেশ যাত্রা সম্ভব হইয়াছিল, তাই তাহাদের উৎসাহের অন্ত ছিল না।

১৮৯৭ এর ২৫শে ফেব্রুয়ারি কলিকাতায় আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তথাকার জনগণ বিরাট অভিনন্দন জানায়।

দেশে ফিরিয়া আসিয়া স্বামীজী শ্রীগুরুর ত্যাগ ও সেবার অত্যুজ্জ্বল জীবনাদর্শ সর্বসাধারণে প্রচারের নিমিত্ত 'রামকৃষ্ণ মিশন' প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের ১লা মে। দীর্ঘ পরিশ্রমে ক্লান্ত সন্ন্যাসী চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে শীতপ্রধান অঞ্চল আলমোড়া যাত্রা করিলেন। পাঞ্জাব, কাশ্মীর হইয়া কলিকাতায় ফিরিয়া বেলুড় মঠের জমি ক্রয় করিলেন ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে। দ্বিতীয় বার উত্তরাখণ্ডের কাশ্মীর, অমরনাথ, ক্ষীরভবানী দর্শন করিয়া আসিয়া স্ত্রীশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে নিবেদিতার স্থাপিত বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিলেন ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের কালীপূজার দিন। উহার পূর্বদিন বেলুড়ের নূতন জমিতে পরমারাধ্যা শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণী প্রথম পদার্পণ করিলেন। ১৮৯৯

খৃষ্টাব্দের ২রা জানুয়ারি বেলুড়ে নূতন বাড়ীতে মঠ স্থানান্তরিত হয়। এইভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ-সংঘকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়া চিকিৎসকদের নির্দেশে স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য স্বামীজী দ্বিতীয়বার বিদেশ যাত্রা করিলেন ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দের ২০শে জুন। শারীরিক দৌর্বল্যনিবন্ধন এ-যাত্রায় প্রায় এক বৎসরের মতো লণ্ডন ও আমেরিকায় কাটাইয়া প্যারিসের ধর্মেতিহাস সম্মেলনে যোগ দিবার জন্য শেষবারের মতো আমেরিকা পরিত্যাগ করিলেন। প্যারিসের সম্মেলনে যোগদানান্তর ইউরোপের বহু স্থান দর্শন করিয়া ১৯০০ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি বেলুড় মঠে ফিরিয়া আসিলেন। তাঁহার প্রিয় পাশ্চাত্যদেশীয় শিষ্য সেভিয়ার সাহেবের দেহত্যাগের সংবাদে ব্যাকুল হইয়া কয়েকদিন পরেই স্বামীজী মায়াবতী যাত্রা করিলেন। কিছুদিন পর সেস্থান হইতে প্রত্যাবর্তন করিয়া পূর্ববঙ্গাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পূর্ববঙ্গ ও আসামের তীর্থাদি দর্শন করিয়া ১৯০০ খৃষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময় মঠে ফিরিয়া আসিলেন। শরীর তাঁহার রোগে জীর্ণ, মনও ঊর্ধ্বমুখী। জনৈক সেবককে একদিন বলিলেন, "বাবা অমরনাথ আমায় ইচ্ছামৃত্যু বর দিয়েছেন।" ১৯০১ খৃষ্টাব্দে মঠে প্রতিমায় দুর্গাপূজা করান হইল।

১৯০২ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে প্রসিদ্ধ জাপানী শিল্পী ওকাকুরার সহিত বোধগয়া দর্শন করিয়া আসিলেন। শরীর তাঁহার ক্রমশঃই ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে একদিন মঠের জমিতে পাদচারণ করিতে করিতে বিল্বমূলের নিকটে একটি স্থান নির্দেশ করিয়া বলিলেন, "আমার শরীর ত্যাগ হলে এই স্থানে সৎকার করবি।” ৪ঠা জুলাই সারাদিন দিব্যভাবে বিভোর স্বামীজী ধ্যানান্তে মন্দির হইতে নামিবার সময় অস্ফুটস্বরে বলিতে লাগিলেন, "যদি আর একটি বিবেকানন্দ থাকত, তবে বুঝতে পারত বিবেকানন্দ কি করে গেল!"

সন্ধ্যায় সন্ধ্যাবন্দনাদি সাঙ্গ করিয়া শয্যায় শয়ন করিলেন, আর সেই অবস্থাতেই শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠতম সন্তান, যোগিশ্রেষ্ঠ বিবেকানন্দ মর্ত্যলীলার অবসান ঘটাইয়া মহাসমাধিমগ্ন হইলেন।

যুগযুগ ধরিয়া ভারতের তত্ত্বদর্শী ঋষিকুল ধ্যানের গভীরে যে সত্যের আস্বাদন করিয়াছেন তাহারই বাত্ময় মূর্তি বিকীর্ণ হইয়া আছে উপনিষদের প্রতিটি মন্ত্রে। তাঁহারা অনুভব করিয়াছিলেন বিশ্বচরাচর ব্রহ্মেরই সৃষ্টি, ব্রহ্মেই বিধৃত হইয়া আছে, আবার ব্রহ্মেতেই লীন হইবে। অর্থাৎ ব্রহ্মময় এই জগৎ। দ্বেষ-হিংসা কাহাকে করিবে, আর কে-ই বা করিবে? 'সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম'-ভারতাত্মার এই শাশ্বত বাণীই ভারত-ইতিহাসের পুনরাবর্তনের সাথে সাথে নব নব সুরে নানা কণ্ঠে বারে বারে উচ্চারিত হইয়াছে।

ভারতের বিস্মৃতপ্রায় চিরন্তন এই সত্যানুভূতিই বর্তমান যুগে আরও উজ্জ্বল এবং সুস্পষ্টভাবে রূপায়িত হয় ভগবান্ শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনায়। সব সাধনার অন্তে পৌঁছাইয়া তিনি আশ্চর্য সহজ সরল ভাষায় ঘোষণা করিলেন, 'যত্র জীব তত্র শিব', 'যত মত তত পথ'। শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাবধারার শ্রেষ্ঠতম বাহক ও ধারক স্বামী বিবেকানন্দ সেই পুণ্য সুরধুনিকে-ভারতের চিরপুরাতন সত্যকে, ছড়াইয়া দিলেন বিশ্বের সর্বত্র। দিক্ হইতে দিগন্তরে ছড়াইয়া পড়িল বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের কম্বুকণ্ঠের উচ্চ নিনাদ :

"ব্রহ্ম হ'তে কীট পরমাণু, সর্বভূতে সেই প্রেমময়, মন প্রাণ শরীর অর্পণ, কর সখে, এ সবার পায়।

বহুরূপে সম্মুখে তোমার,

ছাড়ি' কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?

জীবে প্রেম করে যেই জন

সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"

ভারতীয় সাধনার চরমতম কাম্য হইতেছে ঐ স্বরূপ উপলব্ধি-সর্বত্র ব্রহ্ম দর্শন। আর এই অবস্থা লাভের জন্য সনাতন বৈদিক ধর্মে প্রধানতঃ চারটি পথের নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। শাস্ত্রে সেই এক-একটি পথের নাম যোগ বা উপায়। একমাত্র ঈশ্বরই সত্য, আর সব অনিত্য-বিচারের দ্বারা এই জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত হইয়া যিনি সর্বভূতে সেই আত্মাকেই অনুভব করিয়া থাকেন তিনি জ্ঞানযোগী। যিনি ইষ্টকেই আপনার সর্বস্ব জ্ঞান করিয়া প্রেমে তাঁহাতেই তন্ময় হইয়া আত্মনিবেদন করেন তিনি ভক্তিযোগের উপাসক। যিনি সর্বকর্ম-ফলাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করিয়া সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাম হইয়া, ঈশ্বরের প্রীতির জন্য কর্ম করিয়া থাকেন তিনি কর্মযোগের সাধক। আর বিশ্বচরাচরের আকর্ষণী মায়ার রাজ্য হইতে বিক্ষিপ্ত চিত্তকে গুটাইয়া আনিয়া, উহার সমস্ত বৃত্তিকে নিরুদ্ধ করিয়া, যিনি স্ব-স্বরূপে অবস্থান করিতে যত্নপর তিনি রাজযোগ বা ধ্যানযোগের সাধন করিতেছেন।

বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন অবতারে পূর্বোক্ত ভাবের কোন কোনটির বিশেষ প্রকাশ দেখা গিয়াছে। কিন্তু বর্তমান যুগে ভগবান্ শ্রীরামকৃষ্ণের যুগ-প্রয়োজনানুযায়ী জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি ও ধ্যান, এই যোগচতুষ্টয়ের সমন্বয় অপূর্বভাবে দেখা গিয়াছিল।

সমন্বিত যোগের ঘনীভূতমূর্তি শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠতম সন্তান, যুগাচার্য বিবেকানন্দেও এই সমন্বয়ের ভাব পূর্ণরূপে বিকশিত।

শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনের ভাষ্য-স্বামী বিবেকানন্দেও

আমরা দেখি-কখনও শ্রীগুরুর অমৃতময়ী 'যত্র জীব তত্র শিব', বাণীর ব্যাখ্যা শ্রবণে উদ্‌গ্রীব, কখনও 'শিবজ্ঞানে জীবসেবা' এই মহাবাক্য শ্রবণে রোমাঞ্চিত, আর সেই সুরেই তাঁহার কণ্ঠে শুনি-'Each soul is potentially divine'। জ্ঞানবিচারের সুরে বাঁধা নরেন্দ্রনাথের জীবনতন্ত্রীতে তাই অহর্নিশ 'এক' ব্রহ্মানুভূতিরই অনুরণন প্রতিধ্বনিত।

আবার মহাজ্ঞানী বিবেকানন্দ ঠাকুরের চরণে আত্মসমর্পণ করিয়া বলেন-'তুমিই আমার সব-আমি অন্যকিছু জানি না।' 'দাস তব জনমে জনমে দয়ানিধে... সশক্তিক নমি তব পদে।' ভক্তির মূর্তবিগ্রহ--আত্মনিবেদনের মূর্তপ্রতীক!

শ্রীরামকৃষ্ণসমীপে লব্ধজ্ঞান দেশদেশান্তরে ছড়াইয়া দিবার জন্যে, অন্ধমোহাচ্ছন্ন জাতিকে স্ব-ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য এই প্রেমিক সন্ন্যাসী তিলে তিলে বুকের

রক্তমোক্ষণ করিয়া দেন। কর্মযোগের, নিষ্কাম কর্মের এতবড় দৃষ্টান্ত জগতে বিরল।

তিনিই আবার যোগের উপদেশ করিতে বসিয়া মুহূর্তমধ্যে সমগ্র চিত্তবৃত্তিকে নিরোধ করিয়া গভীর সমাধিতে ডুবিয়া যাইতেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ-গতপ্রাণ বিবেকানন্দেও তাই আমরা চারিটি যোগেরই সমভাবে বিকাশ দেখিতে পাই। ভারতীয় অধ্যাত্মচিন্তার মূল সুর-'সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম' ইহার ব্যাখ্যাই দেখিতে পাই শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের জীবনাদর্শে। স্বামীজী বলিয়াছিলেন-জীব স্বরূপতঃ ব্রহ্মাই। জ্ঞান-কর্ম-ভক্তি অথবা যোগ যে-কোন উপায়েই হউক না কেন, ঐ স্বরূপ উপলব্ধিই মনুষ্যজীবনের লক্ষ্য। ঘটে ঘটে সেই এক ব্রহ্মকে-জীবের মাঝেতে শিবকে খুঁজিয়া পাওয়াই আমাদের সাধনা। আমার মধ্যে যিনি রহিয়াছেন, বিশ্বচরাচরে সর্বত্র তিনিই বিরাজিত। আর্ত, পতিত-অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র-রুগ্ন-মূর্খ-পণ্ডিত, জীবজন্ত-পশু-পক্ষী সকলের মধ্যে তিনিই রহিয়াছেন, যিনি আমার মধ্যে রহিয়াছেন। এই বোধ হইলে আর ভেদ কোথায়-পর কে, আলাদা কিসের? সবই তো এক। এই একত্বে প্রতিষ্ঠিত হইয়া আত্মবুদ্ধিতে যখন কোন কাজ করা যায় তখন তাহাই হইবে সেবা-- 'শিবজ্ঞানে সেবা'। তখন জীব বলিয়া কিছু নাই। এক ব্রহ্মেরই অর্চনা হইতেছে তখন ব্রহ্মের দ্বারাই। ইহাই হইতেছে শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের প্রদর্শিত সেবার মূলকথা।

বেদান্তের এই চরমতম লক্ষ্যে পৌঁছাইবার সাধনরূপে স্বামীজী জ্ঞান-কর্ম-যোগ-ভক্তির সমন্বিত পথে বর্তমান যুগ-মানসকে উদ্বোধিত করিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণের অভিন্ন-বিগ্রহ স্বামীজীর মনন ও ধ্যান ঐ সমন্বয়ের পথ ধরিয়া আমাদের জীবনকে মহীয়ান্ করিবে।

জয় জয় স্বামীজী মহারাজের জয় ♥️♥️🙏🙏🌹🌹

()

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

সেই রাতেই মা আমাকে তাঁর জগদ্ধাত্রী রূপ দেখিয়েছিলেন!!!❤️❤️❤️আমার তখন বছর ১২/১৩ বয়স। জয়রামবাটীতে আমি একটি কাছাকাছি একটি গ...
03/09/2025

সেই রাতেই মা আমাকে তাঁর জগদ্ধাত্রী রূপ দেখিয়েছিলেন!!!❤️❤️❤️

আমার তখন বছর ১২/১৩ বয়স। জয়রামবাটীতে আমি একটি কাছাকাছি একটি গ্রামে পুজো দেখতে যাবার জন্য আবদার করে মায়ের কাছে খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। মা আমাকে একা ছাড়েননি। রাতে মায়ের পায়ে বাতের তেল মালিশ করার সময় আমাকে খুব আদর করে মা বলেছিলেন: “তুই যা দেখার জন্য ব্যস্ত হচ্ছিস তা তুই এখানে বসেই দেখতে পাবি।” সে রাতেই মা আমাকে তাঁর জগদ্ধাত্রী-রূপ দেখিয়েছিলেন। ভয়ঙ্করী নয়-বড় স্নিগ্ধ, বড় সুন্দর সে-রূপ। সে কী রূপ! সে কী ঐশ্বর্য! চোখ তা ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু চোখ বুজলে আজও মনে ভেসে ওঠে সেই রূপ।

সেদিন মায়ের পায়ে বাতের তেল মালিশ করতে করতে আমি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। চেয়ে দেখি চারদিক আলোয় আলো। এত আলো আমার জীবনে আর কখনো দেখিনি। যেন আলোয় ভাসছে সারা ঘর। সে-আলোর মধ্যে বসে আছেন জীবন্ত মা-জগদ্ধাত্রী। কিন্তু মাকে কোথাও দেখলাম না। আমি ভয় পেয়ে 'মা, মা' বলে দরজার খিল খুলে বাইরে এলাম। কোথাও মাকে দেখতে পেলাম না। আবার ঘরের মধ্যে ফিরে গেলাম। দেখলাম মা যেমন শুয়েছিলেন তেমনি শুয়ে আছেন। ঘুমোচ্ছেন। ঘরের মধ্যে সে-আলো আর নেই। এক কোণে টিমটিম করে হ্যারিকেন জ্বলছে। মাকে ডাকলাম। মা উঠে বললেন: “তুই দেখেছিস তো?” আমি যা দেখেছি সব বললাম। মা মিষ্টি হেসে বললেন: “যা দেখেছিস সব সত্যি। আমিই জগদ্ধাত্রী, আমিই দুর্গা, আমিই লক্ষ্মী, আমিই সরস্বতী, আমিই কালী।”
(শ্রীশ্রীমায়ের পদ প্রান্তে ৩/৬৫৪ )
মায়ের ভক্ত বাসনা বালা নন্দী।

( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

জনকনন্দিনী সীতা ও মা সারদা --- বহু বিষয়েই দু-জনের মধ্যে অসামান্য মিল। যেমন দু-জনের সহ্যশক্তি। আবার দু-জনই স্বয়ংবরা। সীতা...
03/09/2025

জনকনন্দিনী সীতা ও মা সারদা --- বহু বিষয়েই দু-জনের মধ্যে অসামান্য মিল। যেমন দু-জনের সহ্যশক্তি। আবার দু-জনই স্বয়ংবরা। সীতা বহুসময় নির্বাসিতা। রামচন্দ্রের সাহচর্য থেকে দূরে একাকী কাটিয়েছেন। আমাদের মা সারদাও তা-ই। দক্ষিণেশ্বরের নহবতে আছেন, কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখতে পাচ্ছেন না।

শ্রীরামকৃষ্ণ যদি অবতার হন, তাহলে মা-ও অবতার; কারণ দু-জনেই এক। দু-জনে দু-ভাবে দুটি স্তরে কাজ করেছেন। দানা কালী অর্থাৎ কালীপদ ঘোষের স্ত্রী স্বামীর মতিগতি বদলানোর জন্য ওষুধ নিতে এলে ঠাকুর ও মা পরস্পর কী রঙ্গটাই না করলেন। ঠাকুর মাকে উদ্দেশ করে বলেন --- ও আসল, আবার ঠাকুরকে উদ্দেশ করে মা বলেন --- উনিই আসল, সব ওঁর হাতে। স্বামী সারদানন্দ তাই শ্রীশ্রীমার মহাপ্রয়াণের পর একদিন নিজের মনোভাব বোঝাতে গিয়ে গান ধরেছিলেন --- 'রঙ্গময়ীর রঙ্গ দেখে অবাক হয়েছি।'

স্বামী শিবানন্দ বলছেন --- ঠাকুরই মাকে বুঝেছিলেন, আর স্বামীজী কিছুটা। আমার ধারণা, মায়ের কাছ থেকে পাশ্চাত্যে যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই মা সম্পর্কে স্বামীজীর চোখ খুলে যায়।

মা শক্তি। মহামায়া। মায়ার কাজ মিথ্যাকে সত্য বলে দেখানো এবং সত্যকে মিথ্যা বলে। মা অবগুণ্ঠিতা। লোককে বুঝতে দিতেন না তিনি কে। লোকে ভাবত মা সাধারণ এক নারী! প্রেমিকের গানে আছে --- 'মা তুমি কে কেউ জানে না। তোমায় নানা লোকে বলছে নানা।'*

আমরা বাচাল। তাই মাকে নানা বিশেষণ দিয়ে বিশেষিত করার চেষ্টা করি। এ-প্রসঙ্গে বলি, একবার মায়ের ওপর একটি সভায় বলতে গিয়ে বলেছি, মা আমাদের জগজ্জননী। তা সেই সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন মায়েরই এক শিষ্য --- স্বামী মাধবানন্দ। তিনি আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন। পরে তিনি আমাকে বললেন --- জগজ্জননীর তুমি কী বোঝ হে? বাস্তবিক তা-ই। আমরা মাকে কী বুঝি? তিনি বুঝতে দিলে, বুঝিয়ে দিলে তবেই বোঝা যায়। না হলে কার সাধ্য তাঁকে বোঝে?

জয়রামবাটীতে জগদ্ধাত্রী পূজার দিনে দেবীমূর্তির সামনে ছ-সাত বছরের সারদা ধ্যান করছেন। হালদার পুকুরের রামহৃদয় ঘোষাল সেই দৃশ্য দেখে অবাক। ভাবছেন, জগদ্ধাত্রী কি প্রতিমায়, না সারদার মধ্যে? শেষে কিছুই বুঝতে না পেরে ভয়ে পালিয়ে গেলেন।

অবতার এই রকমই। তিনি যেন আলো-আঁধারির মধ্যে বিচরণ করেন। আপাতদৃষ্টিতে একেবারে আমাদেরই মতো মানুষ। কিন্তু ভাল করে যখন দেখি, তখন বুঝি --- না তো! ইনি তো অসাধারণ! এইভাবে দেবতা আর মানুষের মধ্যে যেন তাঁরা বিচরণ করেন। বিয়ের পর গহনা খুলে নেওয়ায় শিশু সারদা কাঁদলেন। কাঁদতে তো হবেই। না হলে লীলা চলবে কী করে? শাস্ত্রে তাই বলা হয়েছে --- 'মর্ত্যলীলা মনোহরা।'

উৎস গ্রন্থঃ 'ভক্তের ভগবান'
স্বামী লোকেশ্বরানন্দ,

জয় জয় মা জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🙏🌹🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

উপযুক্ত আধার পাইলে শ্রীমা নিজ দেবীত্ব স্পষ্টই স্বীকার করিতেন। ❤️❤️🙏🙏🌹🌹।এক দীক্ষাপ্রার্থীর আবেদন শুনিয়া শ্রীমা বলিয়াছিলেন...
03/09/2025

উপযুক্ত আধার পাইলে শ্রীমা নিজ দেবীত্ব স্পষ্টই স্বীকার করিতেন। ❤️❤️🙏🙏🌹🌹।

এক দীক্ষাপ্রার্থীর আবেদন শুনিয়া শ্রীমা বলিয়াছিলেন, 'দীক্ষা নেওয়ার উদ্দেশ্য সরলভাবে সাধন-ভজন করে ভগবান লাভ করতে চেষ্টা করা; কুলগুরুর বৃত্তি নষ্ট করা নয়। আমি ঐ ছেলেকে দীক্ষা দিলে সে যে ভাবে আমাকে ভক্তি করবে, ঐভাবে যদি তার কুলগুরুকেও শ্রদ্ধা করে এবং তাঁর বার্ষিকবৃত্তি যথাশক্তি বাড়িয়ে দিতে রাজী থাকে, তাহলে হতে পারে।"

(শ্রীমা সারদাদেবী ৩১৫)

জনৈক স্ত্রীভক্ত মায়ের নিকট দীক্ষা লইলে কুলগুরু অভিশাপ দিয়াছিলেন। এই কথা মায়ের নিকট পত্রে নিবেদিত হইলে তিনি উত্তর লিখাইলেন, "যে ঠাকুরের শরণাগত হয়, তার ব্রহ্মশাপেও কিছু হয় না। তোমার কোন ভয় নাই।"

(শ্রীমা সারদাদেবী ৩১৬)

উপযুক্ত আধার পাইলে শ্রীমা নিজ দেবীত্ব স্পষ্টই স্বীকার করিতেন।

স্বামী তন্ময়ানন্দ একবার জয়রামবাটী যাইয়া শ্রীমায়ের পাদপূজা করিলেন। তাঁহার চরণ যুগল মস্তকে ধারণ করিলে মা বাধা দিয়া বলিলেন যে, মাথার উপর পা রাখিতে নাই, কারণ ঠাকুর সেখানে থাকেন-তিনি সাক্ষাৎ ভগবান, মস্তকস্থ সহস্রদল পদ্মে বসিয়া আছেন। অমনি তন্ময়ানন্দ প্রশ্ন করিলেন, "মা, ঠাকুর যদি স্বয়ং ভগবান, তবে আপনি কে?” বিন্দুমাত্র ইতস্তত না করিয়া মা উত্তর দিলেন, "আমি আর কে, আমিও ভগবতী।"

ব্রহ্মচারী বিমল (পরে স্বামী দয়ানন্দ) উদ্বোধনে শ্রীমায়ের বাড়িতে ঠাকুরের নিত্য পূজা সেবা করিতেন। একদিন সম্ভবত পূজার পরেই তিনি শ্রীমাকে প্রণাম করিতে গিয়াছেন। মা-কালী ও ঠাকুরের ছবি এবং নিজেকে দেখাইয়া শ্রীমা বলিলেন, "এঁরা এক।”

(শ্রীমা সারদাদেবী ৩৩৪)

জয় মা জয় মা জয় মা জয় মা ❤️❤️🙏🙏🌹🌹
()

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

সকালে উঠে জপ ধ্যান এর আগে, খাওয়ার ব্যাপারে শ্রীমা কি বলিলেন?? ❤️❤️❤️শৌর্যেন্দ্র মজুমদার মহাশয় চা-পান না করিয়া ধ্যানজপাদ...
03/09/2025

সকালে উঠে জপ ধ্যান এর আগে, খাওয়ার ব্যাপারে শ্রীমা কি বলিলেন?? ❤️❤️❤️

শৌর্যেন্দ্র মজুমদার মহাশয় চা-পান না করিয়া ধ্যানজপাদি কিছু করিতে পারিতেন না; সুতরাং মন্ত্র গ্রহণের পর শ্রীমাকে ইহা জানাইয়া তাঁহার নির্দেশ চাহিলে মা বলিলেন, "বাবা, মা কি আবার সৎ-মা হয়? তোমার যেমন খুশি, আগে খেয়ে নিয়ে পরে জপধ্যান করবে।” নলিনবাবুকে শ্রীমা পুলিপিঠা খাইতে দিলেন। তাঁহার জননী দেহত্যাগ করায় তখন তাঁহার অশৌচ চলিতেছে; সুতরাং এই অবস্থায় উহা খাওয়া সম্বন্ধে মায়ের নির্দেশ চাহিলেন। মা বলিলেন, "তাতে দোষ কি বাবা? আমিও তো মা! আমি দিচ্ছি-এখানে কোন দোষ নেই।” শ্রীযুক্ত শ্যামাচরণ চক্রবর্তীকে আহার সম্বন্ধে তিনি উপদেশ দিয়াছিলেন, “বাবা, তোমরা মাছ, মাংস যা খেতে মন চায়, খাবে। তবে ঠাকুর আদ্যশ্রাদ্ধের, সংস্কার, বিবাহের আর প্রায়শ্চিত্তের অন্ন খেতে নেই, বলতেন।"

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

শ্রীমা-ই সাক্ষাৎ সরস্বতী, তাঁর কৃপায় আমাদের মঠে নিত্য তাঁর পুজো হয়। তিনিই কৃপা করে সকলের অজ্ঞান দূর করেন, জ্ঞান-ভক্তি প্...
03/09/2025

শ্রীমা-ই সাক্ষাৎ সরস্বতী, তাঁর কৃপায় আমাদের মঠে নিত্য তাঁর পুজো হয়।

তিনিই কৃপা করে সকলের অজ্ঞান দূর করেন, জ্ঞান-ভক্তি প্রদান করেন।
আমাদের মা সাধারণ মানবী নন-অবতারবরিষ্ঠের লীলাসঙ্গিনী। ঠাকুরের লীলাপুষ্টির জন্য তিনি নরদেহ ধারণ করেছেন; রামচন্দ্র, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, চৈতন্য সকলের সঙ্গেই এই মা-ই এসেছেন। কিন্তু তাঁকে কে চিনতে পারে? বৌটির মতো ঘোমটা দিয়ে থাকতেন। তিনি কৃপা করে না বোঝালে কে বুঝবে তাঁকে! মানুষের সৌভাগ্য যে তাঁরা আসেন, কিন্তু মানুষের দুর্ভাগ্য যে খুব কম জনই তাঁকে চিনতে পারে।

“অদ্যাবধি সেই লীলা করেন গোরা রায়, কোন কোন ভাগ্যবানে দেখিবারে পায়।"

যার দৃষ্টি আছে সেই শুধু ঠাকুর ও মাকে চিনতে পেরেছে। যেই মায়ের শরীরদাহ শেষ হলো আর বৃষ্টি শুরু হলো! যেন দেবতারা মহামায়ার চিতায় শান্তিবারি বর্ষণ করে চিতার আগুন নেভাচ্ছিলেন। সেই থেকে এই স্থান মহাতীর্থ হয়ে গেল। সতীর দেহের এক-একটি অংশ পড়ে একান্নটি পীঠ হয়েছে! আর সেই সতীর সারা দেহটা বেলুড় মঠে দাহ করা হয়েছিল। সুতরাং বেলুড় মঠ শুধু পীঠ নয়, মহাপীঠ! মহাপীঠ! জয় মা! জয় মা!!

মা-ঠাকরুন সাধারণ মানবী নন, সাধিকাও নন বা সিদ্ধাও নন। তিনি নিত্যসিদ্ধা, সেই আদ্যাশক্তির এক প্রকাশ, যেমন কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী ইত্যাদি, তেমনি। এযুগে ভগবানের ভক্ত রূপে অবতরণ। যুগধর্মসংস্থাপক শ্রীরামকৃষ্ণের লীলাসহায় হয়ে গোপনে (যেমন প্রভুও গোপনে) অতি দীনভাবে দীন পিতামাতার কাছে বঙ্গের এক নগণ্য গ্রামে অবতীর্ণ হয়ে জীবের ঐহিক এবং পারত্রিক কল্যাণের জন্য সর্বদা তৎপর থাকতেন। সুতরাং তাঁর কৃপা যাঁরা পেয়েছেন, তাঁর সেই অহেতুকী মাতৃস্নেহ যাঁরা অনুভব করেছেন, তাঁরা ধন্য হয়েছেন। সর্বভূতের অন্তরাত্মা সেই কুণ্ডলিনী শক্তি, সেই জগজ্জননী অহেতুকী স্নেহের পরবশ হয়ে যে-ভক্তকে একবার শ্রীকরকমল দ্বারা স্পর্শ করেছেন, তাঁর চৈতন্য হয়েছেই হয়েছে বা হবেই হবে-এই আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস।

শ্রীশ্রীমায়ের পদপ্রান্তে — স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ
(চতুর্থ খণ্ড)

সংগৃহীত 🙏🙏

জয় মা জয় মা জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🙏🌹🌹🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

শ্রীমা বলিলেন, ইষ্ট মন্ত্র দিয়ে আর কি কি পুজো করা যায় ??জনৈক স্ত্রীভক্তের শিবপূজায় আগ্রহ জন্মিলে এবং শ্রীমায়ের নিকট অনু...
03/09/2025

শ্রীমা বলিলেন, ইষ্ট মন্ত্র দিয়ে আর কি কি পুজো করা যায় ??

জনৈক স্ত্রীভক্তের শিবপূজায় আগ্রহ জন্মিলে এবং শ্রীমায়ের নিকট অনুমতি চাহিলে তিনি বলিলেন, "আমি যে মন্ত্র দিয়েছি, তাতেই সব-দুর্গাপূজা, কালীপূজা সব ঐ মন্ত্রে হয়। তবে কারু ইচ্ছা হলে শিখে নিয়ে করতে পারে। তোমাদের ও সবের দরকার নেই, ও সব করলেই হাঙ্গামা বাড়ানো।” পূজা-পদ্ধতি মতে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করিবার কথা উঠিলে মা বলিয়াছিলেন, "পূজা-পদ্ধতির অত দরকার নেই। ইষ্টমন্ত্রতেই সব কাজ হয়।”
জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🙏🌹🌹
()

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

জপের কার্যকারিতা সম্বন্ধে শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী কি বলিলেন?? ❤️❤️❤️জপের কার্যকারিতা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণী একদিন...
03/09/2025

জপের কার্যকারিতা সম্বন্ধে শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী কি বলিলেন?? ❤️❤️❤️

জপের কার্যকারিতা সম্বন্ধে শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণী একদিন জনৈক ভক্তকে বলিয়াছিলেন, "জপ-টপ কি জান? ওর দ্বারা ইন্দ্রিয়-টিন্দ্রিয়গুলোর প্রভাব কেটে যায়।.... জপ ধ্যান সব যথাসময়ে আলস্য ত্যাগ করে করতে হয়।.... রোজ পনের বিশ হাজার জপ করতে পারে, তাহলে হয়। আগে করুক, না হয়, তখন বলবে। তবে একটু মন দিয়ে করতে হয়। তা তো নয়, কেউ করবে না, কেবল বলে-কেন হয় না? কাজকর্ম করবে বইকি, কাজে মন ভাল থাকে। তবে জপ-ধ্যান, প্রার্থনাও বিশেষ দরকার;
অন্তত সকাল সন্ধ্যায় একবার বসতেই হয়। ওটি হলো যেন নৌকার হাল। সন্ধ্যকালে একটু বসলে সমস্ত দিন ভালমন্দ কি করলাম না করলাম, তার বিচার আসে। তারপর গতকালের মনের অবস্থার সঙ্গে আজকের অবস্থার তুলনা করতে হয়। পরে জপ করতে করতে ইষ্টমূর্তির ধ্যান করতে হয়। কাজের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা জপধ্যান না করলে কি করছ না করছ বুঝবে কি করে? জপধ্যানের একটা নিয়মিত সময় রাখা খুব দরকার।"

(শ্রীমা সারদাদেবী ৩১২)

জয় মা জয় জয় মা জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏🌹🌹
( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

মন্ত্রশক্তি ও পাপ গ্রহণ সম্বন্ধে শ্রীমা কি বলিয়া ছিলেন??রাসবিহারী মহারাজকে শ্রীমা বলিয়াছিলেন, "মন্ত্রের মধ্য দিয়ে শক্তি ...
03/09/2025

মন্ত্রশক্তি ও পাপ গ্রহণ সম্বন্ধে শ্রীমা কি বলিয়া ছিলেন??

রাসবিহারী মহারাজকে শ্রীমা বলিয়াছিলেন, "মন্ত্রের মধ্য দিয়ে শক্তি যায়। গুরুর শক্তি শিষ্যের যায়, শিষ্যের গুরুতে আসে। তাইতো মন্ত্র দিলে পাপ নিয়ে শরীরে এত ব্যাধি হয়। গুরু হওয়া বড় কঠিন-শিষ্যের পাপ নিতে হয়। শিষ্য পাপ করলে গুরুরও লাগে। ভাল শিষ্য হলে গুরুরও উপকার হয়।

(শ্রীমা সারদাদেবী ৩০৬)

১৯০৭ খৃষ্টাব্দে জয়রামবাটীতে আগত গিরিজা মহারাজকে (তখন তিনি বালক ও ব্রহ্মচারী) শ্রীমা বলিয়াছিলেন, "বাবা, গুরুগৃহে জপ করতে নেই।" অথচ একটু আগেই মা তাঁহাকে উপদেশ দিয়াছিলেন, "গুরুর আদিষ্ট একশত আট জপ নিত্য অবশ্য করবে। তারপর তোমরা সাধু-তোমরা সব সময় জপ করবে। তোমাদের তো যথেষ্ট সময় রয়েছে।" উপদেশদ্বয়ের মধ্যে অসঙ্গতি দেখিয়া গিরিজামহারাজ প্রশ্ন করিলেন, "একশত আটবার জপও কি তাহলে করব না?" মা অমনি সংশোধন করিয়া দিলেন, "গুরুর আদিষ্ট একশত আট বার জপ করবে, তার বেশী করো না।"

(শ্রীমা সারদাদেবী ৩১০)

জয়মা জয় জয় শ্রীমা। ❤️❤️❤️🙏🙏🙏🌹🌹🌹

( )

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

 #প্রণাম মন্ত্র:ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননং।বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহং॥ (অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, ...
03/09/2025

#প্রণাম মন্ত্র:
ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননং।
বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহং॥
(অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী, সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।)

#সাধারণ মন্ত্র:
ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ।
সিদ্ধিদাতা গণেশ মন্ত্র:
ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ।
ওঁ বিঘ্ননাশায় সর্বার্থসাধকায়,
সর্বজয় প্রদায়,
সিদ্ধিবিনায়াকায় নমঃ।

#বক্রতুণ্ড মন্ত্র:
বক্রতুন্ড মহাকায় সূর্য কোটি সমপ্রভ।
নির্বিঘ্নং কুরু মে দেব সর্ব কার্যেষু সর্বদা॥
(হে ভগবান, বাঁকানো শুঁড়, বিশাল দেহ, এবং কোটি সূর্যের মতো আলোকযুক্ত, সর্বদা আমার সমস্ত কাজে বিঘ্ন দূর করুন।)

#গণেশ গায়ত্রী মন্ত্র:
ওঁ একদন্তায় বিদ্মহে, বক্রতুণ্ডায় ধীমহি।
তন্নো দন্তী প্রচোদয়াৎ॥
(আমরা একদন্ত এবং বক্রতুন্ড গণেশের উপাসনা করি, সেই দন্তধারী (গণেশ) আমাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করুন।)

#গণেশ মন্ত্র পাঠের নিয়ম:
সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে গণেশ মন্ত্র পাঠ করা উচিত।
গণেশ মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্র পাঠ করা শুভ।
গণেশ চতুর্থীর দিন এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
নির্দিষ্ট মন্ত্র ১০৮ বার জপ করা শুভ।

জয় গনেশ জয় গনেশ জয় গনেশ ❤️🙏🌹

#মা #সারদা #রামকৃষ্ণ

02/09/2025

শ্রী শ্রী সারদা মায়ের মধুর অমৃত কথা।

#রামকৃষ্ণ #রামকৃষ্ণকথামৃত

Adresse

Basirhat
Democratic Republic Of The
743412

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque Ishwarer kotha o gaan publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Contacter L'entreprise

Envoyer un message à Ishwarer kotha o gaan:

Partager