
18/05/2024
নিজের স্বামীকে হাসপাতালের বেডে রেখে আজ আমি আমার প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়িতে। ভাবছেন হয়তো নিজের স্বামীকে ফেলে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে কি করতে এসেছি? তবে বলি তার কাছে রক্ষিতা হিসেবেই আসা আমার। আমার প্রাক্তন প্রেমিকের নাম অয়ন চৌধুরী। বিশিষ্ট বিজনেস ম্যান অয়ন চৌধুরীর সাথে আমার ৫ বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। যখন অয়ন আর আমার মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তখন অয়নের নামের পাশে বিজনেস ম্যান এর উপাধিটা ছিলো না। তার সম্পূর্ণ পৃথিবীটাই ছিলাম আমি। কিন্তু দিন শেষে তখন ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে চাইলো। ঠিক তখনি আমি তার সাথে প্রতারণা করি। হ্যাঁ, প্রতারণা করি তার সাথে। যখন আমার উচিত ছিলো নিজের প্রিয়জনের হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সকল বাধাকে অতিক্রম করা। ঠিক তখন আমি আমার পরিবারের কথা ভেবে তার সাথে প্রতারনা করি। ফিরিয়ে দেই তাকে শুন্য হাতে। তার পবিত্র ভালোবাসাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আমি আমার জীবন নতুন কারোর সাথে সাজিয়ে নেই। বিয়ের দু'দিন পর আমার স্বামীর দূর্ঘটনার শিকার হয়। আর কোমায় চলে যায়। তার চিকিৎসার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ একটি বছর তার চিকিৎসার খরচ চালিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। তাই নিজেকে অয়ন চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দেই। শুধু মাত্র আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য।
* অধরা কথা গুলো অয়নের ছবির দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো। আজ কেনো জানি বার বার তার অতীতের কথা মনে পড়ছে। অতিতের সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়তেই অধরার ঠোঁটের কোনে হয়তো মৃদু হাসির রেখার উদয় হয় ঠিক। তবে শেষ বেলায় সেই হাসিটা কান্নায় রূপ নেয়। অধরা ভাবনার ডায়রির পাতায় চোখ বুলাতেই হঠাৎ করে কারোর পায়ের বুট জুতোর শব্দ অধরার কানে ভেসে আসে। অধরা দ্রুত নিজের চোখের কোন থেকে নোনা জলের বিন্দুটা মুছে নিয়ে সোফা থেকে উঠে পড়লো। অয়ন এসেছে হয়তো! অধরা সোফা থেকে উঠে দাড়াতেই অয়ন হনহন করে রুমের মধ্যে প্রবেশ করলো। অধরাকে সোফার সামনে দেখে ভারী কন্ঠে অয়ন বলল
-- হঠাৎ করে আমার অনুপস্থিতিতে আমার রুমে কেনো এসেছো?
-- আসলে তোমার বিছানাটা গুছিয়ে দিয়ে রুমটা একটু গুছিয়ে...!
অধরার কথাটা সম্পূর্ণ হবার পূর্বেই অয়নের মুখের উপর তীব্র বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট হলো। অয়ন অধরার দিকে বিরক্তি কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
-- কত বার করে বলেছি আমায় তুমি করে বলবে না। কেউ আমায় তুমি করে বললে আমার ইগোতে লাগে। সো প্লিজ ইগনোর ইট!
-- সরি অয়ন আমি ভুলে গিয়েছিলাম...!