07/06/2025
কোরবানির গোস্ত বন্টন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল।
✅ যে পশুতে একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে কুরবানি করে, সে পশুর গোশত ওজন করে সমানভাবে বন্টন করা আবশ্যক ।অনুমান করে বন্টন করা জায়েজ নয়। তবে হ্যাঁ ,অংশীদারগণ একান্নভুক্ত পরিবার হলে বন্টন জরুরি নয়।(ফাতোয়ায়ে শামি,৯/৪৬০ # ফতোয়ায়ে আলমগিরি,৫/৩০৬)
✅ কোরবানির পশুর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য রাখা ,এক ভাগ প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া এবং একভাগ গরীব-মিসকিনদের মাঝে বন্টন করা মুস্তাহাব। তবে কুরবানিদাতা চাইলে সম্পূর্ণ গোশত নিজের জন্য রেখে দিতে পারে। বরং পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে তিন ভাগে বন্টন না করে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য গোশত রেখে দেওয়া উত্তম।(ফাতোয়ায়ে শামি,৯/৪৭৪ # ফাতোয়ায়ে তাতারখানিয়া,১৭/৪৩৬)
✅ কোরবানির পশুর সাতটি অংশ খাওয়া বৈধ নয়।
১. প্রবাহিত রক্ত ❌
২. লিঙ্গ ❌
৩. যোনি❌
৪. অন্ডকোষ ❌
৫. মূত্রথলি ❌
৬. পিত্ত ❌
৭. মাংসগ্রন্থি❌
(ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া,৫/২৯০)
✅ কোরবানির পশুর চামড়া, গোশত ইত্যাদি পারিশ্রমিক হিসেবে কসাই বা অন্য কাউকে দেওয়া বৈধ নয়।❌
কসাই ও জবাইকারীকে বিনিময়ে হিসেবে আলাদা টাকা দিতে হবে!(ফতোয়ায়ে শামী,৯/৪৭৪ # বাদায়িউস সানায়ি,৪/২৫২)
✅ নিজের কোরবানি আদায় করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার স্ত্রীগণ এবং মৃত আত্মীয়-স্বজনের নামে কোরবানি করা বৈধ। আর এ কোরবানি তাদের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে তাদের কবরে কোরবানির সওয়াব পৌঁছে যাবে। আর এ কোরবানির গোশতের বিধান স্বাভাবিক কোরবানির গোশতের মতই। অর্থাৎ এ গোস্ত সকলেই খেতে পারবে। (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া,১৭/৭৪৪ # ইলাউস সুনান,১৭/২৬৯ # ফতোয়ায়ে শামী,৯/৪৭২)
✅ মৃত ব্যক্তি কোরবানির ওসিয়ত করে গেলে, তার পরিত্যক্ত সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে কোরবানি করা জীবিতদের ওপর আবশ্যক ।আর এ ওসিয়তের কোরবানির সম্পূর্ণ গোস্ত গরিব-মিসকিনদের সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।(ফতোয়া তাতারখানিয়া,১৭/৭৪৪ # ইলাউস সুনান,১৭/২৬৯ # ফতোয়া শামী,৯/৪৭২)
ইসলামিক পেইজ,সবাই ফলো করুন।👉👉👉👉 A H Islamic TV
আমার স্বপ্নের বিজনেস! ইনশাআল্লাহ আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হবে।সবাই ফলো করে পাশে থাকবেন।
👉👉👉 Sunnah Shop