07/07/2025
সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হার্ডিঞ্জের পাশে রেলসেতু
🚂 সেতু নির্মাণ হবে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ৩০০ মিটার উত্তরে
🚂 দৈর্ঘ্য ১.৮ কিমি, উভয় পাশে হবে ৫ কিমি ভায়াডাক্ট
🚂 এতে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনস