23/04/2024
মনে যদি ছিলো বাপ দিবা বনবাসে...
আর দুইদিন থাকতাম আমি মা ভাইয়ের পাশে...
আহা! হ্নদয়ে শিহরণ তৈরি করা কি শ্রুতিমধুর গান ❤️
কাজলরেখা সিনেমা এতো ভালো লেগেছে যে একবার দেখে মন ভরেনি। সিনেমার অসম্ভব সুন্দর কিছু লোকেশনের চিত্রায়নও গান বারবার মন টেনেছে। বড় পর্দায় যার প্রেজেন্টেশন দেখতে ছিলো অসাধারণ।
গিয়াসউদ্দিন সেলিমের লোকেশন চয়েজ অসম্ভব সুন্দর। এর আগে মনপুরা সিনেমায় ফুটে উঠেছিলো মনপুরা দ্বীপ। এবার কাজলরেখা সিনেমায় সুসং দুর্গাপুর। নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত সুসং দুর্গাপুর। যেখানে ছিলো বহুবছরের পুরাতন জমিদার বাড়ি, সাদা মাটির পাহাড়, সোমেশ্বরী নদী। এখানেই উল্লেখিত গানটির দৃশ ধারণ হয়েছে।
যা দেখে মনে হয়েছে কখনো যদি যেতে পারতাম।
বিদেশী লোকেশন আর ঢাকা নির্ভর হওয়া থেকে এ ধরণের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে দেশীয় ঐতিহ্য ফিরে আসুক।
গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মনপুরা ব্যতিত তেমন কোনো সিনেমা দেখা হয়নি। মৈমনসিংহ-গীতিকার কারণে বহুদিনের ইচ্ছে ছিলো কাজলরেখা দেখার। বহুবছর পর এ ধরণের মাটির সিনেমা দেখে শুধু ভালো লাগেনি বলবো ঈদের গল্প নির্ভর সেরা একটি সিনেমা হয়েছে। যে সিনেমায় আছে বহু বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস। ঢাকাইয়া মজলিস শাড়ীর উৎপত্তি। পরবর্তীতে ইংরেজ শাসনামলে যা অনেকটা মলিন হয়েগেছে। মৈমনসিংহ-গীতিকা এক অবিরাম বাংলার রুপকথা। যে রুপকীয় চরিত্রে সাদিয়াও করেছে মনে রাখার মতো একটি চরিত্র কাজলরেখা। পোশাকের ব্যবহারে সেই সময়ের চিত্র পরিফুটন হয়েছে।
মেধাবী নির্মাতা হিসেবে সেলিম সিনেমা নির্মাণ করতে অনেক সময় নিলেও তার গল্প চয়েজের সেন্স অনেক ভালো। প্রতিকূল পরিস্থিতির বাহিরে গিয়ে কাজলরেখা এক সাহসী নির্মাণ। সময়ের সাথে সাথে কাজলরেখা সিনেমার হল যেমন বৃদ্ধ পাচ্ছে তেমন দর্শকদের আগ্রহ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমসাময়িক যুগে এসে এতো পুরাতন চিত্রের উপস্থাপন নতুন অভিজ্ঞতা৷
মৈমনসিংহ-গীতিকার রুপকথা -কাজলরেখা