1 Minute With Mitu

1 Minute With Mitu আমার ভাঙাচোরা আঙিনায় আপনাকে স্বাগত ☕

🕷️ মাকড়সার জগতে এক অনন্য মা – উলফ স্পাইডার 🍼প্রকৃতির গল্পে মমতার দৃশ্য খুব একটা বিরল নয়, কিন্তু মাকড়সার দুনিয়ায় এমন...
08/08/2025

🕷️ মাকড়সার জগতে এক অনন্য মা – উলফ স্পাইডার 🍼

প্রকৃতির গল্পে মমতার দৃশ্য খুব একটা বিরল নয়, কিন্তু মাকড়সার দুনিয়ায় এমন নিখুঁত মাতৃত্ব বিরলই বলা চলে। উলফ স্পাইডার সেই ব্যতিক্রম—যিনি নিজের সন্তানদের জন্য বাঁচেন, লড়েন এবং পথ দেখান।

🌿 ডিম থেকে সন্তান পর্যন্ত
উলফ স্পাইডার ডিম পাড়ার পর সেগুলো ফেলে যায় না। বরং ডিমের থলি শক্ত করে বেঁধে রাখে নিজের শরীরের পেছনে, স্পিনারেটে। শিকার ধরা, চলাফেরা—সব কিছুই চলে, কিন্তু ডিমের নিরাপত্তা কখনো ছাড়েন না।

🐾 পিঠে ছোট্ট বাহিনী
ডিম ফুটে গেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডজনখানেক বাচ্চা উঠে যায় মায়ের পিঠে। তারা খায়, বিশ্রাম নেয় এবং নিরাপদে বড় হয়—মায়ের শরীরই হয়ে ওঠে চলন্ত আশ্রয়। বিপদ এলে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে, আবার সব ঠিক হলে ফিরে আসে মায়ের কাছে।

🔍 কিছু চমকপ্রদ তথ্য

উলফ স্পাইডার জাল বোনে না, দৌড়ে আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে শিকার ধরে।

এদের প্রজাতি ২০০-এর বেশি, পৃথিবীর প্রায় সব আবহাওয়াতেই টিকে থাকতে পারে।

স্ত্রী মাকড়সার আকার প্রজাতিভেদে ১০ থেকে ৩৫ মিমি পর্যন্ত হতে পারে।

জীবনকাল সাধারণত ১ বছর, তবে বড় প্রজাতি ২-৩ বছর বাঁচতে পারে।

তিনি শুধু শিকারি নন—তিনি এক যোদ্ধা মা, যিনি নিজের সন্তানদের সুরক্ষার জন্য সবসময় প্রস্তুত।
প্রকৃতির এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়—মাতৃত্ব শুধু মানুষের নয়, এটা এক অনন্ত শক্তি, যা জীবনের সব রূপেই বেঁচে থাকে।

#প্রকৃতিরগল্প #উলফস্পাইডার #বন্যপ্রাণী

🚀 ফেসবুকের ১২৫ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন  ২৪ বছরের যুবক! 😲  💥হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন! এআই দুনিয়ার তরুণ প্রতিভ...
07/08/2025

🚀 ফেসবুকের ১২৫ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ২৪ বছরের যুবক! 😲 💥

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন! এআই দুনিয়ার তরুণ প্রতিভা ম্যাট ডেইটকে বললেন “না” মেটার চোখ ধাঁধানো প্রস্তাবে—শুধু নিজের স্বপ্নে অটল থাকার জন্য!

👉 আর সেই সাহসের ফল? দ্বিগুণ চুক্তি!
এবার তিনি যোগ দিচ্ছেন মেটার নতুন Superintelligence Lab-এ ২৫০ মিলিয়ন ডলার (নগদ + শেয়ার) নিয়ে! 💰🔥

🌟 কে এই ডেইটকে?

ভারসেপ্ট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা

“Molmo” নামে এক বিপ্লবী এআই মডেলের নির্মাতা, যা বদলে দিয়েছে প্রযুক্তির ধারা

এখন ওপেনএআই, অ্যাপল ও গুগল থেকে বাছাই করা মেধাবীদের সঙ্গে AGI (Artificial General Intelligence) দৌড়ে শীর্ষে!

💡 এটাই প্রমাণ—সাহস আর ভিশন থাকলে, ইতিহাস গড়া সম্ভব!

I've just reached 25K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one...
06/08/2025

I've just reached 25K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

🎉 Facebook recognised me for starting engaging conversations and producing inspiring content among my audience and peers...
06/08/2025

🎉 Facebook recognised me for starting engaging conversations and producing inspiring content among my audience and peers!

“নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম।”শুনতেই গায়ে কাঁটা দেয়, না?একজন বাংলাদেশি, লাখো অভিবাসীর ভিড় ঠেলে নিউ ইয়র্ক স...
06/08/2025

“নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম।”
শুনতেই গায়ে কাঁটা দেয়, না?

একজন বাংলাদেশি, লাখো অভিবাসীর ভিড় ঠেলে নিউ ইয়র্ক সিটির মতো দুনিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ত শহরের পুলিশের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। এটা শুধু চাকরি না—এটা একটা অর্জন। একটা স্বীকৃতি।

প্রশ্ন হচ্ছে, আর কোন বাঙালি কি কখনো বিদেশের মাটিতে এমন সম্মান পেয়েছেন?
হয়তো কেউ কেউ পেয়েছেন। হয়তো নীরবে-নিভৃতে অনেকে নিজ নিজ জায়গায় ইতিহাস লিখে যাচ্ছেন।
কিন্তু দিদারুল ইসলাম? উনি সেই বিরল নামগুলোর একটা, যাকে দেখে বলা যায়—“হ্যাঁ, আমরাও পারি।”

তাই এই নামটা মনে রাখুন। এই গল্পটা ছড়িয়ে দিন।
আমাদের ছেলেমেয়েরা জানুক—বিশ্বমঞ্চে বাঙালি নাম মানে শুধু দর্শক না, পারফরমারও।

🐍 সাপ কামড়ালে মানুষ মরে— কিন্তু এই লোকটা বাঁচতো!😳নাম ছিল বিল হাস্ট। লোকজন ডাকত “স্নেক ম্যান”। কিন্তু তিনি ছিলেন বিষের সঙ...
06/08/2025

🐍 সাপ কামড়ালে মানুষ মরে— কিন্তু এই লোকটা বাঁচতো!😳

নাম ছিল বিল হাস্ট। লোকজন ডাকত “স্নেক ম্যান”। কিন্তু তিনি ছিলেন বিষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা এক পাগল বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ।

ভাবো তো—সারা জীবন বিষধর সাপের সঙ্গে কাটিয়েছেন। শুধু কাটানই না, রীতিমতো প্রতিদিন নিজের শরীরে সাপের বিষ ইনজেকশন দিতেন।
সরাসরি সাপ কামড়াচ্ছে, আর তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গল্পের শুরুটা সিনেমার মতো

১৯১৭ সাল। মাত্র সাত বছর বয়সে খেলতে খেলতে হঠাৎ একখানা সাপের মুখোমুখি হন।
আর সেখানেই শুরু—এক অদ্ভুত টান, যেন সাপের চোখে কিছু আছে যেটা চোখ সরাতেই দেয় না।

বড় হতে হতে এই আগ্রহ এতটাই বাড়ে, যে পড়াশোনার পথ ছেড়ে দিয়ে নাম লেখান সাপের দুনিয়ায়।
নিজেই বানান এক ভ্রাম্যমাণ সাপ প্রদর্শনী দল।
হাতের মধ্যে কোবরা, মুখে ভয়হীন হাসি, আর চোখে পাগলেমি—এভাবেই ঘুরে বেড়াতেন শহর থেকে শহরে।

সাপের বিষের ঘর—“Miami Serpentarium”

১৯৪৭ সালে ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বানিয়ে ফেললেন নিজের সাপের জাদুঘর।
নাম দিলেন Miami Serpentarium।

এখানে দিনে দিনে হাজারের বেশি সাপ, আর প্রতিদিন দর্শকদের সামনে লাইভ সাপের বিষ সংগ্রহ।
তবে এখানেই থামলেন না—শুরু করলেন নিজের শরীরে সাপের বিষ ইনজেকশন দেওয়া।

বিষের সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব কেউ করেছে আগে?

প্রথমে অল্প পরিমাণে।
তারপর রীতিমতো নিয়ম করে—কোবরা, মাম্বা, র‍্যাটলস্নেক, সব ধরনের সাপের বিষ নিয়ে চলতে থাকলেন “ডোজিং এক্সপেরিমেন্ট”।
লক্ষ্য একটাই—নিজের শরীরে এমন একটা ইমিউনিটি তৈরি করা, যেন সাপ কামড়ালেও কিছু না হয়।

বলে রাখি—এটা কোনো সিনেমার দৃশ্য না।

বাস্তবে এই পাগলামি তাঁকে কম করে ২০ বার সাপের কামড় থেকে বাঁচিয়েছে, যেগুলোতে অন্য কেউ হলে মৃত্যু অবধারিত ছিল।

আর সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার?
তাঁর শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দিয়ে অন্তত ২১ জন মানুষের প্রাণ বাঁচানো গেছে।

ডাক্তার ছিলেন না, বিজ্ঞানীও না। কিন্তু...

তবুও বিশ্বের নানা দেশের চিকিৎসক আর গবেষকরা বিল হাস্ট-এর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন।
কারণ, তাঁর অভিজ্ঞতা, সাহস আর নেশার কোনো বিকল্প ছিল না।

তিনি নিজের মতো করে পরীক্ষা চালিয়েছেন—সাপের বিষ দিয়ে আর্থরাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো জটিল রোগের চিকিৎসা করা যায় কি না, তা নিয়ে।

১০১ বছর বাঁচলেন! হ্যাঁ, সত্যি।

এই “বিষ-পুরুষ” মারা যান ২০১১ সালে।
তখন তাঁর বয়স ছিল ১০১ বছর।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করে গিয়েছেন,
"আমার শরীর সুস্থ রেখেছে এই বিষই।"

🐍 বিষকে ভয় না পেয়ে যিনি বানিয়ে ফেলেছিলেন বন্ধু,

তাঁর নাম ইতিহাসে সোনার হরফে না থাকলেও, গল্পটা ঠিক থেকে যাবে মানুষের মুখে মুখে।

👑 বিল হাস্ট: দ্য স্নেক ম্যান। বিষ নিয়ে যিনি লিখে গেছেন বেঁচে থাকার এক পাগল দর্শন।



“তুমি সাহস পেলে কি সাপের বিষ নিতে রাজি হবে?”
🟢 হ্যাঁ | 🔴 না | 🤯 আমি ভাবতেও পারছি না!

🌍💥 আফ্রিকা ভেঙে যাচ্ছে দুই টুকরো! নতুন একটি মহাসাগর সৃষ্টি হতে চলেছে! 💥🌊আপনি ঠিকই পড়েছেন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে আ...
05/08/2025

🌍💥 আফ্রিকা ভেঙে যাচ্ছে দুই টুকরো! নতুন একটি মহাসাগর সৃষ্টি হতে চলেছে! 💥🌊

আপনি ঠিকই পড়েছেন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে আফ্রিকা মহাদেশের ভেতর দিয়ে একটি বিশাল ফাটল তৈরি হচ্ছে — এবং এটি ধীরে ধীরে মহাদেশটিকে দুই ভাগে ভাগ করে দিচ্ছে!

এই ফাটলটির নাম 👉 East African Rift (পূর্ব আফ্রিকান রিফট)। এটি ইথিওপিয়া, কেনিয়া, তানজানিয়া হয়ে দক্ষিণের দিকে বিস্তৃত — প্রায় হাজার হাজার কিলোমিটারজুড়ে। 🗺️

📏 এই টেকটোনিক প্লেটগুলো বছরে মাত্র ২-৫ সেন্টিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে — শুনতে সামান্য মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে এর প্রভাব বিশাল।

কী ঘটতে যাচ্ছে আগামী কয়েক মিলিয়ন বছরে?

✅ পূর্ব আফ্রিকার একটা বড় অংশ (ইথিওপিয়ার কিছু অংশ, কেনিয়া, তানজানিয়া ও মোজাম্বিক) মূল আফ্রিকা থেকে আলাদা হয়ে যাবে।

✅ রিফটটা আরও চওড়া হবে, এবং একসময় সেখানে সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়বে।

✅ তখন তৈরি হবে একটি নতুন মহাসাগর — আর পূর্ব আফ্রিকার সেই অংশটি হয়ে যাবে একটি বিশাল দ্বীপ।

✅ একেবারে বদলে যাবে আফ্রিকার মানচিত্র, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং বাণিজ্যপথ।

এই পরিবর্তনটি হঠাৎ করে হচ্ছে না — বরং এটি প্রাকৃতিক টেকটোনিক প্রক্রিয়ার অংশ, যা পৃথিবীর ভেতরে ক্রমাগত চলতেই থাকে। আমরা হয়তো এই পরিবর্তনের পুরোটা দেখতে পাব না, কিন্তু ভূবিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই এর স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন।

🔍 এটা শুধু একটা ভূতাত্ত্বিক ঘটনা নয় — এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে:

🌋 পৃথিবী সবসময় পরিবর্তনশীল
⏳ প্রকৃতি ধীরে চলে, কিন্তু তার শক্তি থামানো যায় না
📚 ভবিষ্যতের ইতিহাস আমাদের পায়ের নিচেই লেখা হচ্ছে

👇 যদি এই তথ্যটি জেনে অবাক হন বা আগ্রহ পান, তাহলে শেয়ার দিন বা “😲” দিয়ে জানান!

#আফ্রিকারভাঙন #নতুনমহাসাগর #পৃথিবীরপরিবর্তন #ভূবিজ্ঞান

অসহ্যকর 😓
05/08/2025

অসহ্যকর 😓

🪸 সমুদ্রের অতলে এক মায়ের শেষ উপহার৪৬০০ ফুট গভীরে, অন্ধকার ও ঠান্ডায় ভরা মন্টেরি ক্যানিয়নে, বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন এক মা...
05/08/2025

🪸 সমুদ্রের অতলে এক মায়ের শেষ উপহার

৪৬০০ ফুট গভীরে, অন্ধকার ও ঠান্ডায় ভরা মন্টেরি ক্যানিয়নে, বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন এক মায়ের এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা—যা ভাবাই যায় না।

সে ছিল Graneledone boreopacifica, এক গভীর সমুদ্রের অক্টোপাস। সে ১৬০টি ডিম দিয়েছিল পাথরের এক কিনারে। তারপর? আর কোথাও যায়নি।

পরের ৫৩ মাসে—মানে ৪ বছরেরও বেশি—বিজ্ঞানীরা ১৮ বার ফিরে গিয়েছেন। প্রতিবার, ঠিক একই জায়গায় তাকেই পেয়েছেন। না খেয়ে, না নড়ে, ডিমগুলোর পাশে পাহারায়।

ক্র্যাবের মাংস পর্যন্ত যখন রোবট বাহু দিয়ে দেওয়া হয়, তবুও খায়নি। শুধু ছিল। ডিমগুলো পরিষ্কার করত, আগলে রাখত, স্নেহে পাহারা দিত।

তার শরীর ক্ষয়ে গেছে। চোখ ঝাপসা। ত্বক কুঁচকে গেছে। কিন্তু তার মা হয়ে থাকার দায় সে ছাড়েনি।

সবশেষে, যখন শেষ ছানাটি ডিম থেকে বেরিয়ে এলো, সে নিখোঁজ। আর দেখা যায়নি।
সম্ভবত মৃত্যুবরণ করেছে—কিন্তু রেখে গেছে এক অনন্য ইতিহাস:
পৃথিবীর যেকোনো প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ডিমে তা দেওয়ার নজির—৫৩ মাস, কোনো খাবার ছাড়াই। শুধুই তার সন্তানের জন্য।

এটা শুধুমাত্র গভীর সমুদ্রের এক আশ্চর্য প্রাণীর গল্প নয়—এটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক নিঃশব্দ মহাকাব্য।

অন্ধকার যতই গভীর হোক, মায়ের ভালোবাসা ঠিকই আলো হয়ে জ্বলে ওঠে। 💜

#মায়েরভালোবাসা #সমুদ্রেরগল্প #প্রকৃতিরঅবাককরুণ্য #মা

05/08/2025

জুলাই অভ্যুত্থান ৫ই আগস্ট ২০২৪ | ফিরে দেখা স্মৃতির পাতায়

#জুলাই #অভ্যুত্থান

📌 জুলাই ঘোষণাপত্র: ইতিহাস, প্রতিরোধ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ডাক১. এই ভূখণ্ডের মানুষ শুধু শোষণ সহ্য করেনি—প্রতিবাদ করেছে,...
05/08/2025

📌 জুলাই ঘোষণাপত্র: ইতিহাস, প্রতিরোধ আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ডাক

১. এই ভূখণ্ডের মানুষ শুধু শোষণ সহ্য করেনি—প্রতিবাদ করেছে, যুদ্ধ করেছে। ২৩ বছরের পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ২৬ মার্চ ১৯৭১-এ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল। রক্ত দিয়ে বানিয়েছে এই রাষ্ট্র, বাংলাদেশ।

২. এই স্বাধীনতা শুধু ভৌগোলিক নয়—এটা ছিল সাম্য, মর্যাদা, সুবিচার আর গণতন্ত্রের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণে মানুষ জীবন দিয়েছে।

৩. কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরপরই সেই স্বপ্নে চিড় ধরে। ১৯৭২-এর সংবিধান দুর্বল ছিল, আর তার অপপ্রয়োগে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।

৪. এরপর বাকশাল আসে—একদলীয় শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ। এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ায় আসে ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব। ফেরত আসে বহুদলীয় গণতন্ত্র।

৫. আশির দশকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৯ বছরের ছাত্র-জনতার লড়াই ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে গিয়ে ঠেকে। ১৯৯১-এ আবার ফিরে আসে সংসদীয় গণতন্ত্র।

৬. কিন্তু ২০০৭-এর ১/১১-র মাধ্যমে এই যাত্রা আবার থামে। সেই ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতার পথ তৈরি করে দেয়। শুরু হয় গণতন্ত্র ধ্বংসের নতুন অধ্যায়।

৭. গত ১৬ বছর ধরে চলছে একদলীয় শাসন কায়েমের নগ্ন চেষ্টা—সংবিধানে অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন, ক্ষমতার অপব্যবহার, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া।

৮. গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ—এই সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে, একদলীয় স্বার্থে সংবিধানকে ব্যবহার করেছে।

৯. আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ আজ প্রশ্নবিদ্ধ—একনায়কতন্ত্র, মাফিয়া শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে উঠছে।

১০. "উন্নয়ন" এর নামে দেশ চলছে দুর্নীতির আগুনে—ব্যাংক লুট, টাকা পাচার, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা। পরিবেশ, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য—সবকিছুই আজ হুমকির মুখে।

✊ এই ঘোষণাপত্র শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ঘোষণাপত্র নয়—এটা প্রতিরোধের রূপরেখা। একটা ফ্যাসিবাদী, দুর্নীতিগ্রস্ত, গণবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠবে—এই প্রত্যাশার দলিল।

বাংলাদেশ বদলাবে—কারণ মানুষ এখনও নিঃশেষ হয়নি।

#জুলাইঘোষণাপত্র #গণতন্ত্র #স্বাধীনতা #প্রতিরোধ #বাংলাদেশ #ভাইরাল #পোস্ট

Emni 🥴
05/08/2025

Emni 🥴

Address

Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 1 Minute With Mitu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share