RS HAMIM সত্য • নিরপেক্ষতা • দায়িত্বশীলতা

*ন্যায়বিচার নাকি মিডিয়া নাটক? গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নিয়ে প্রশ্ন*_যখন তদন্ত পরিণত হয় ট্রায়ালে: ড. নাবিলা ইদ্রিস বিতর্কে...
22/10/2025

*ন্যায়বিচার নাকি মিডিয়া নাটক? গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নিয়ে প্রশ্ন*
_যখন তদন্ত পরিণত হয় ট্রায়ালে: ড. নাবিলা ইদ্রিস বিতর্কের অন্তরালে_
- ড. নাবিলা ইদ্রিস, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য, তিনি মিডিয়া আইকন হতে গিয়ে বাংলাদেশের সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এক কঠিন 'মিডিয়া ট্রায়ালের' মুখে দাঁড় করিয়েছেন। তার এ ধরণের স্টান্টবাজির প্রভাব সামরিক বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সুনামের ওপর পড়ছে, যা এখন একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
*​মিডিয়া ট্রায়াল সৃষ্টির কারণসমূহ:*
- ​গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আনা: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম ও গোপন আটক কেন্দ্র পরিচালনার মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগগুলো ড. ইদ্রিস ও কমিশন যখন প্রকাশ্যে আনছেন, তখন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এটিকে কেবলমাত্র *সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।* এই প্রচারণার ফলে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হওয়ার আগেই জনমত গঠিত হচ্ছে।
*​সংবেদনশীল বক্তব্যের তীব্রতা:*
- ড. নাবিলা ইদ্রিস শুধু তথ্যের কিয়দংশ তুলে ধরছেন এই সংবেদনশীল বর্ণনাগুলো সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তিকে সরাসরি আঘাত করছে।
*​সামরিক বাহিনীর নীরবতা:*
- ঐতিহাসিকভাবে, *সামরিক বাহিনী সরাসরি গণমাধ্যমে অভিযোগের জবাব দিতে অভ্যস্ত নয়।* তাদের এই নীরবতা বা সীমিত প্রতিক্রিয়া জনমনে *এই ধারণাকে আরও শক্তিশালী করছে যে কমিশনের অভিযোগগুলো হয়তো সত্য।* এর ফলে সামরিক বাহিনী একপাক্ষিক মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে, যেখানে তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না।
- ড. নাবিলা ইদ্রিসের সমালোচনামূলক মন্তব্যগুলো যদিও তৎকালীন রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা ছিলেন তাদের উদ্দেশ্য করে করা, কিন্তু প্রচারমাধ্যম প্রায়শই এই দায়ভারকে সামগ্রিক সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেয়। এতে একটি সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে।
- ​ড. নাবিলা ইদ্রিসের বক্তব্যের কিয়দংশ তুলে ধরা বা মিডিয়া সম্পূর্ণ বক্তব্যকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের জন্য নেতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে। ​এর ফলে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষা মিশনে *UN Peacekeeping Missions* বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ও অংশগ্রহণে ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

- ​ড. নাবিলা ইদ্রিসের লক্ষ্য কোনো একটি পক্ষকে খুশি করা যা এখন সামরিক বাহিনীকে 'মিডিয়া ট্রায়ালে' পরিণত করেছে।

22/10/2025

*সংবিধান কার্যত অচল* _তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনিবার্য_
- ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের সংবিধান আজ কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে।
- রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি, জনগণের ভোটাধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা সব কিছুই রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক স্বার্থে বিকৃত হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, সংবিধান এখন আর জনগণের ইচ্ছা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিফলন নয়; বরং *এটি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।*
- এ অবস্থায় কেবল রাজনৈতিক বক্তৃতা বা প্রতিশ্রুতি নয়, প্রয়োজন লিখিতভাবে সংবিধান বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণ করা। প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে *তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পুনঃপ্রবর্তন ও সংশোধন, যাতে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।*
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ পুনরায় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে পারে। অন্যথায় বর্তমান সংবিধান ও প্রশাসনিক কাঠামো বজায় রেখে কোনো নির্বাচনই প্রকৃত অর্থে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
“যেখানে সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনা কর্মকর্তাদেরকে সিভিল কোটে হাজির করা হয়েছে, সেখানে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।”

নাবিলা ইদ্রিসের 'নাল' হাইপোথিসিস: প্রসঙ্গ অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা এবং গুম-খুনের বিচার:     সকালে অফিসে পৌছুতে না পৌছুতেই...
22/10/2025

নাবিলা ইদ্রিসের 'নাল' হাইপোথিসিস: প্রসঙ্গ অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা এবং গুম-খুনের বিচার:
সকালে অফিসে পৌছুতে না পৌছুতেই এক বন্ধু ফোন দিয়ে বললো, দোস্ত, নাবিলা ইদ্রিস তো ফাটাফাটি একটা পোষ্ট দিসে, তোরে লিংক পাঠালাম। পড়ে দেখিস। অফিস শেষে বাসায় ফিরতে না ফিরতেই এক সাংবাদিক ফোন করে বললো, স্যার, নাবিলা ইদ্রিস তো ফাটাফাটি পোষ্ট দিসে...।
বুঝলাম নাবিলা ইদ্রিস সেলেব্রেটি পর্যায়ের কেউ একজন হবেন। তাঁকে চিনি না ভেবে নিজেকে খুব ব্যাকডেটেড এবং আনস্মার্ট মনে হলো। তাই, এই এতো রাতে কাজ কর্ম শেষে ফ্রী হয়ে পোষ্টটা পড়লাম। ইংরেজী-বাংলার মিশেল দিয়ে, মাঝে মাঝে কিছু atypical glossary ব্যবহার করে চমৎকার লিখেছেন। এ ষ্টাইলটা খুব সহজেই পাঠকপ্রিয়তা পায়।
ষ্টাইল এর পাশাপাশি কন্টেন্টটাও ট্রেন্ডিং টপিকের উপর হওয়াতে সবার নজর কেড়েছে। সন্দেহ নেই ফেসবুকার হিসেবে তিনি মোটামুটি একটা ভাল অবস্থানে পৌছে গেছেন। তবে ঐকান্তিক 'খায়েস' থাকা সত্ত্বেও তিনি গবেষক হতে পারেননি। এমনকি লিগ্যাল এক্সপার্ট হিসেবেও তাঁকে আমি খুব লো রেটিং দিবো।
তার লেখার যে অংশটা গবেষক এবং আইনজ্ঞ হিসেবে তার অপরিপক্কতার পরিচয় দেয়, সেটা হলো:
"এর মানে এও দাঁড়ায় যে যদি আমরা শুধু লোয়ার র‍্যাঙ্কের অভিযুক্তদের ধরতাম, কখনই ইনস্টিটিউশন এই সুইসাইডাল লায়াবিলিটি ঘাড়ে নিত না। কোম্পানির সি-স্যুট কর্মকর্তা কি অফিসের দারোয়ানের জন্য নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিবে? উহু!"
প্রথমে গবেষনার দৃষ্টিকোণ থেকে বলি। যতো ধরনের গবেষনা হয়, তার মধ্যে সবচে' গ্রহনযোগ্য এবং অথেনটিক হচ্ছে এথনোগ্রাফিক রিসার্চ, যেখানে গবেষক সাবজেক্ট এর লাইফষ্টাইলের সাথে পুরোপুরি মিশে গিয়ে গবেষনার ডাটা সংগ্রহ করে।
ছোট্ট উদাহরণ- এক মার্কিন মেয়ে গবেষক আফ্রিকার গহীন জঙ্গলের এক ট্রাইবের উপর গবেষনা করার জন্য জঙ্গলের গভীরে চলে গেলেন। সেই ট্রাইবের সর্দারকে বিয়ে করলেন (সর্দারের একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও)। বারোটি বছর ওখানে অবস্থান করলেন। চারটি সন্তান জন্ম দিলেন। ওদের লাইফষ্টাইল এর সাথে পুরোপুরি মিশে গিয়ে ওদের জানলেন, বুঝলেন। বারো বছর পর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করলেন। হ্যাঁ, এটাই এথনোগ্রাফিক রিসার্চ।
আমিও একটা এথনোগ্রাফিক রিসার্চ করেছি। চৌত্রিশটি বছর ধরে। সেনাবাহিনীর ভেতরে ঢুকে, ওদেরই একজন হয়ে, ওদের লাইফষ্টাইলকে পুরোপুরি আলিঙ্গন করে ওদেরকে জেনেছি, বুঝেছি। আমার এই চৌত্রিশ বছরের এথনোগ্রাফিক রিসার্চ ফাইন্ডিংস বলছে, লোয়ার র‍্যাঙ্কের অভিযুক্তদের লায়াবিলিটি না নেয়া সংক্রান্ত আপনার হাইপোথিসিসটি অ্যাবসলিউটলি 'নাল'।
আমার একজন সৈনিককে কাঠগড়ায় তুলেই দেখুন না। I'll be volunteering to be the defender of the accused. আমি তো কোন অফিসারকে ডিফেন্ড করবো না। কারন, তার মেধা আছে, জাজমেন্ট করার সক্ষমতা আছে। সেজন্যই তাঁকে পদ দেয়া হয়েছে, নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে, সম্মান দেয়া হয়েছে। তার ভুলের দায় তার। একজন সৈনিক অল্পশিক্ষিত। জাজমেন্ট করার মতো, lawful and unlawful command এর পার্থক্য বোঝার মতো যোগ্যতা তার নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করার অপরাধে যদি তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়, আমি তো তাকে disown করবোনা। আমার সমস্ত যুক্তি আর মেধা দিয়ে আমি তাকে ডিফেন্ড করবো।
আপনি leadership, comradeship, esprit-de-corps এর ছিটেফোটাও না বুঝেই আন্দাজে একটা অবসোলিট হাইপোথিসিস কপচে বেশ বাহবা নিয়ে নিলেন। শেইম অন ইউ।
এবার লিগ্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, ইও আর অ্যান অ্যাবসলিউটটি প্যাথেটিক ল-ইয়ার। আপনি সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে এই যে লোয়ার এবং হায়ার র‍্যাঙ্কের মধ্যে একটা কল্পিত বিভাজন রেখা টেনে দিলেন, এটা যে বাহিনীগুলোর সংহতির জন্য কতো বড়ো হুমকি তা কি আপনি উপলব্ধি করেন? আপনি তো বৈষম্য তৈরীর উস্কানি দিচ্ছেন। আপনি লোয়ার র‍্যাঙ্ককে সরাসরি এই মেসেজ দিচ্ছেন যে তোমাদের বিপদে কিন্তু তোমাদের অফিসাররা পাশে দাঁড়াবে না। আপনার এই বক্তব্য ভীষনরকম দূরভিসন্ধিমূলক। আপনার ভাগ্য ভাল যে আমি ল-ইয়ার না। নয়তো শুধুমাত্র এই বক্তব্যের জন্য আমি আপনাকে স্যু করতাম।
যাই হোক, আপনি এমনিতেই সেলেব্রেটি। আর বেশী সমালোচনা করে আপনার উপকার করতে চাই না। যতো সমালোচনা করবো, আমার পাঠকরা উৎসুক হয়ে ভাববে- এই, কি লিখসে রে নাবিলা? আপনার ভিউয়ার বাড়বে। আপনি ফেসবুক সেলেব্রেটিই থাকুন। দয়া করে গবেষক ভাব নেবার চেষ্টা করবেন না। ওটি আপনার কম্মো নয়।
পুনশ্চ: আমার সৈনিকদের কেন নির্দোষ ঘোষনা করা হবে না, তার কৈফিয়ত চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবো আগামীর কোন লেখায়।
-ড. ইউসুফ

21/10/2025

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ❤🥰

20/10/2025

সামরিক নেতৃত্বের পেছনে পিনাকীদের লাগার কারণ!

https://share.google/Gcb0PxLEMT7f7QZV9
19/10/2025

https://share.google/Gcb0PxLEMT7f7QZV9

অবস্থাটা একদম আজব। বাংলাদেশের মতো অবস্থাটা দুর্যোগ-দুর্বিপাকসহ জাতীয় নানা প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা করার দ...

ওসি প্রদীপের অনতিবিলম্বে ফা*সির আদেশ কার্যকর চায় জনগণ।  #বাংলাদেশ  #সেনাবাহিনী
18/10/2025

ওসি প্রদীপের অনতিবিলম্বে ফা*সির আদেশ কার্যকর চায় জনগণ।
#বাংলাদেশ #সেনাবাহিনী

17/10/2025

সম্প্রীতির বাংলাদেশ.......

17/10/2025

ভন্ড ঔষধ ব্যবসায়ী....

17/10/2025

পিনাকী হুজুরের ভন্ডামি ফাঁস করে দিলা জুলকারনাইন!!!!!

Adresse

Democratic Republic Of The

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque RS HAMIM publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Partager