Quel est le site Web ?

https://www.facebook.com/1745550775723088/

RAJIB AHMED Hridoy, Democratic Republic of the (2025)

08/08/2025

আমার বালিশ অন্যের গন্ধ

পর্ব ৩: তৃতীয় রাত্রি

সেদিন সারাদিন আমার ঘরেই ছিলাম না, বালিশটার ধারে-কাছে যাবো না ঠিক করেছিলাম।
কিন্তু মনের ভেতরে কিছু একটা কিলবিল করছিল — ভয় না কৌতূহল, বুঝতে পারছিলাম না।
রাত ১১টা বাজতেই ফোনটা আবার কাঁপতে শুরু করল।
স্ক্রিনে লেখা — “তৃতীয় রাত্রি শুরু”
ঘরে ফিরে দেখি দরজা খোলা, অথচ আমি লক করে গিয়েছিলাম!
বুক ধকধক করতে করতে ঢুকলাম, বাতাসটা যেন ঘন হয়ে আছে।
বিছানায় রাখা — সেই বালিশ!
কিন্তু এবার তার চারপাশে ছড়ানো লাল গোলাপের পাপড়ি...
পাশে রাখা একটা কাগজে লেখা — “আজ আমার ঘুম ফিরিয়ে দাও।”
হঠাৎ ঘরের আলো নিভে গেল।
একটা ঠাণ্ডা বাতাস পিঠ ছুঁয়ে গেল — যেন কেউ হেঁটে গেল আমার পাশ দিয়ে।
টর্চ জ্বালাতেই দেখি — দেয়ালে ছায়া, কিন্তু ঘরে আমি একাই!
ছায়াটা ধীরে ধীরে বালিশটার দিকে এগিয়ে গেল।
এবার বালিশ থেকে ভেসে এলো কুকুরের গরগর শব্দের মতো ভয়ানক গলা।
“তুই কি বুঝিস ঘুম মানে কী?”
আমি পিছিয়ে যেতে যেতেই বালিশটা ছুড়ে মারলাম জানালা দিয়ে।
কিন্তু... জানালা বন্ধ! তাও সেটা উধাও হয়ে গেল কাচ ভেদ করেই।
ঘর আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল, শুধু ঘ্রাণটা থেকে গেল — পচা রক্ত আর আগরবাতির মতো।
হঠাৎ পেছন থেকে কারও ফিসফিস — “ঘুম না আসলে, ঘুমাতে দে…”
পেছনে ঘুরতেই কিছু নেই।
দেয়ালের আয়নাটা দেখলাম — সেখানে আমি নেই, কেবল বিছানায় শুয়ে থাকা আরেকটা আমি!
সেই ‘আমি’ চোখ মেলে তাকালো — চোখে আগুনের মত লাল রঙ!
দরজার পাশে একটা হাত ভেসে উঠলো — আগের সেই লম্বা আঙুল, এবার নখে রক্ত!
আমি ছুটে দরজা খুলতে যাই — কিন্তু এবার দরজা নেই!
চতুর্দিকে দেয়াল, দেয়াল জুড়ে শুধু একটাই বাক্য —
“তুমি বেঁচে নেই, তুমি কেবল স্বপ্নে হাঁটছো…”
আমি নিজেকে আঁচড় কাটি, ব্যথা পাই — তাহলে স্বপ্ন না!
আবার সেই গলা — “তুমি যার ঘুম নিলে, সে জেগে উঠবে এবার।”
হঠাৎ বালিশটা আবার বিছানায় — কিন্তু এবার তার ভেতর থেকে হাত বেরোচ্ছে।
সেই হাত বিছানায় শুয়ে থাকা 'আমার' বুকের উপর চেপে ধরেছে।
আর আমি নিজেই অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছি আয়নায়, ধীরে ধীরে।
সেই 'আমি' উঠে বসলো — সে আমার মতোই, কিন্তু ঠোঁটে বিকৃত হাসি।
সে ফিসফিসিয়ে বললো — “আমার ঘুম পেয়ে গেছিস? এবার তোর পালা।”
ঘর আবার অন্ধকার।
আমার মাথা ভারী হয়ে আসছে, চোখ বুজে আসছে।
আমি জোর করে জেগে থাকার চেষ্টা করি — কিন্তু শরীর কাজ করছে না।
শেষবারের মতো চোখ মেলেই দেখি — সেই বালিশটা আমার মাথার নিচে!
আমি চিৎকার করতে চাই, কিন্তু ঠোঁট নড়ছে না।
আর তখনই সেই গলা — “তুই এখন ঘুমাবি না, ঘুম হবি...”
সকালবেলা আমার ঘর ফাঁকা পাওয়া গেল, শুধু বালিশটা পড়ে ছিল — রক্তে রাঙা।

ভালো লাগলে কমেন্টে জানিয়ে দিও

#বাংলা
#বাংল_গল্প

07/08/2025

🏝️ শাকিবের প্রেম ট্যুর: অপু বনাম বুবলি! 😂🔥

ঢাকার এক গলির ঝালমুড়ির দোকানে হঠাৎ শাকিব খান হাজির।
চোখে সানগ্লাস, মুখে মিষ্টি হাসি — যেন প্রেমে পড়ে ঝাল খুঁজে বেড়াচ্ছেন!

তিনি দোকানদারকে বললেন,
— "একটা ঝালমুড়ি দেন ভাই, তবে একটু কম ঝাল… প্রেমে তো আগেই ঝাল খাইছি!"

ঠিক তখনই দুইদিক থেকে দুইটা বাইক এসে থামল!
একটায় অপু বিশ্বাস, আরেকটায় বুবলি!
দুজনেই বললো —
— "এই ঝালমুড়ি খেতে কে আসছে সেটা আমরা দেখতে আসছি!"

শাকিব তো পুরো ট্যুরিস্ট হয়ে গেলেন!
বললেন,
— “আমি তো প্রেম ট্যুরে বের হয়েছি, এখানে তো প্রেম ট্যুরনামেন্ট শুরু হয়ে গেছে!”

এই সব গোপনে দেখছে তিন ভক্ত — বাবুল, কাবুল, আর টিটু।
তারা ফেসবুক লাইভে এসে বলে,
— "ভাইরাল চাইলে এখনই ঢুকে পড়েন — শাকিব ভাইয়ের প্রেমে চলছে ঝালমুড়ি ওয়ার!"

অপু বললো,
— "আমি শাকিবের পুরোনো প্রেম, আসল ঝাল আমি!"
বুবলি বলে,
— "আমি নতুন প্রেম, ঝাল-টক-মিষ্টি সব আমি!"

শাকিব গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
— "দুইজন মিলাইলে তো পুরো ঝালমুড়ি প্লেট! আমি কি খামু আর কি ছাড়ুম!"

শেষে দোকানদার এসে বলে,
— "ভাই, প্রেম প্রেম খেলছেন ঠিক আছে, কিন্তু মুড়িটা তো এখনো টাকা দেন নাই!" 😂

তিন ভক্ত তখন বলে,
— "এই সিনেমার নাম হওয়া উচিত ‘শাকিবের প্রেম ট্যুর: অপু বনাম বুবলি’!"
শাকিব খান হেসে বললো,
— "ভাই, ট্যুর তো করি প্রেমে, কিন্তু গন্তব্য এখনো পাই নাই!" 🤦‍♂️

#বাংলা_গল্প #ফান #ফানি
---

06/08/2025

আমার বালিশ অন্যের গন্ধ – পর্ব ২: বালিশের ভেতরের চোখ

রাতে ঘুমাতে গেলাম, বালিশটা একটু ভারী লাগছিল।
বারবার ঘাড়ে ব্যথা, যেন কেউ চাপ দিচ্ছে ভিতর থেকে।
মাথা নামালেই একটা কানে কানে আওয়াজ — "আমি দেখছি..."
চমকে উঠে তাকাই, চারপাশে কেউ নেই।
জানালার পর্দা নিজে নিজে নড়ে উঠলো হালকা বাতাসে।
কিন্তু বাতাসই তো ছিল না ঘরে!
বালিশটা তুলে দেখি — তলার কাপড় ছেঁড়া।
ফাঁক দিয়ে উঁকি দিল একজোড়া লালচে চোখ।
ভয় পাচ্ছি, তবুও কৌতূহল থামাতে পারছি না।
সেলাই খুলে ফেললাম — ভিতরে কিছু যেন নড়ছে!
একটা পিচ্ছিল কাগজ বের হলো — কালচে দাগে লেখা।
লেখা: "তুমি যার মাথা রেখেছো, সে আর বেঁচে নেই!"
এক মুহূর্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো যেন।
কে? আমার আগে এই বালিশে কে ঘুমাতো?
পুরনো ভাড়াটিয়ার নাম মনে পড়লো — ইসমাইল চাচা।
তিনি তো হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিলেন, কারও খোঁজে মেলেনি।
মাথায় হাত দিতেই গরম এক তরল বের হলো।
আলো জ্বালিয়ে দেখি — বালিশটা রক্তে ভিজে গেছে।
আমি কাঁপছি, ভয় আর সত্যি মিলেমিশে যাচ্ছে।
দরজা খুলে পালাতে যাই — দরজা আটকে গেছে!
বালিশ থেকে আবার আওয়াজ — এবার গলায় গলা!
“তুমি কি জানো কার ঘুম চুরি করেছো?”
আমি দমবন্ধ অনুভব করছি, কিন্তু চোখ সরাতে পারছি না।
হঠাৎ পুরো ঘর কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল।
একটা ছায়া বের হলো বালিশ থেকে — মানুষের মতো, আবার নয়ও।
সে বলে, “আমি ইসমাইল, আমার শেষ শ্বাস এখানে ছিল।”
আমি চিৎকার করি — কিন্তু আওয়াজ বের হয় না!
ছায়াটা আমার দিকে এগিয়ে আসছে ধীরে ধীরে।
আমার ঘাড়ে হাত রাখতেই মনে হলো গলা কাটছে কেউ।
জ্ঞান হারাবো তখনই — একটা শব্দ, "রহস্য শেষ হয়নি..."
চোখ খুললাম — দেখি সকাল, আলো ঝলমল।
কিন্তু বালিশটা নেই! কোথাও নেই!
জানালায় ছোট একটা নোট — “তৃতীয় রাত্রির অপেক্ষা করো…”
তবুও সব স্বপ্ন মনে হচ্ছিল, যতক্ষণ না গলা চুলকাতে লাগল।
আয়নায় দেখি — ঘাড়ে লাল দাগ, খোঁচা খোঁচা রক্ত।
ফোনে ক্যামেরা চালিয়ে পেছনে তাকালাম —
পিছনে বালিশটা রাখা, তার উপর একটা হাত!
কোনো মানুষের না, খুব লম্বা, কাঁচের মতো আঙুল।
আমি পেছনে ঘুরি — কেউ নেই!
কিন্তু আবার সেই আওয়াজ — “আমি এখন তোমার ঘুম পাহারা দিচ্ছি…”

চলবে নাকি কমেন্টে জানিয়ে দিও

06/08/2025

আমি ধ র্ষি তা – পর্ব ৭
"অন্ধকারের অতিথি"

নীলার ঘুম ভেঙে গেল এক অজানা শব্দে।
ঘড়ির কাঁটা রাত দুটো ছুঁয়েছে মাত্র।
ঘরের জানালাটা যেন একটু খুলে গেছে, অথচ সে মনে করতে পারছে না খুলেছে কখন।
চোখে ঘুম নেই, কানে কেবল শুনতে পাচ্ছে ধীর পায়ের শব্দ।
সে উঠে দাঁড়ায়, ধীরে ধীরে এগোয় জানালার দিকে।

হঠাৎ একটা কাগজ উড়ে এসে পড়ে মেঝেতে।
কাঁপা হাতে কাগজটা তুলে নেয় নীলা।
তাতে লেখা— "তোমার রক্তের ঘ্রাণ এখনও আমার নাকে লেগে আছে..."
তার বুক ধক করে ওঠে, চোখ ছানাবড়া!

পিছন থেকে কেউ যেন ফিসফিস করে বলে, "ভয় পেয়েছো?"
সে পিছনে ঘুরে দেখে— কেউ নেই!
কিন্তু জানালার নিচে পায়ের ছাপ... রক্তমাখা!
সে দৌড়ে দরজা খুলে বেরোতে চায়, কিন্তু দরজা বন্ধ।
তালা নেই, তবু দরজা যেন অদৃশ্য শক্তিতে আটকানো।

হঠাৎ আলো চলে যায়, ঘর অন্ধকারে ঢেকে যায়।
অন্ধকারের মাঝে একটা ছায়ামূর্তি!
নীলার মুখের ঠিক সামনে এসে দাঁড়ায় সেই অচেনা কেউ।
সে বলে, "তুমি ভুলে গেছো আমায়, কিন্তু আমি তো ভুলিনি..."

নীলার গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোয় না।
তার মুখ চেপে ধরা হয়, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
কিন্তু ঠিক তখনই বাজ পড়ে বাইরে— বিদ্যুৎ চমকে ঘর আলোকিত।
সেই ছায়ার মুখটা দেখা যায়—
আর নীলা চিৎকার করে ওঠে, "তুই!"

কে সে? কেন ফিরেছে?
নীলা কি এবারও পারবে নিজেকে বাঁচাতে?
নাকি এ রাত হবে আরেকটা অপরাধের ইতিহাস?

(চলবে...)

#বাংলা_গল্প

05/08/2025

আমার বালিশে অন্যের গন্ধ

বিছানায় মাথা রাখতেই নাকে এল এক অচেনা পারফিউমের গন্ধ।
এই ঘরে আমি ছাড়া আর কেউ আসেনি তো আজ?
তৃষা দুপুরেই মায়ের বাসায় গেছে—এমনটাই তো বলেছিল।
তবুও এই অচেনা মেয়েলি ঘ্রাণটা কেন?
বালিশটা একটু উল্টে দেখি, আটকে আছে লম্বা বাদামী চুল।
তৃষার চুল তো কালো আর ছোট, তাহলে?
ঘরের বাতাসে হঠাৎ অদ্ভুত ঠান্ডা লাগলো।
ড্রেসিং টেবিলের আয়নার কোণে লিপস্টিকের দাগ!
আমার জুতার পাশেই রাখা একজোড়া হাই হিল।
চোখ কুঁচকে তাকালাম—এটা তো তৃষার নয়!
বুকের ভেতর কেমন একটা ঠকঠক করে উঠলো।
আমি জানি না, ভয় পাচ্ছি কিনা—না কি রাগ হচ্ছে!
পাশের টেবিলে তৃষার ডায়েরি খোলা —
লেখা, "সে আজও এসেছিল, আমি বাধা দিতে পারিনি।"
সে কে? কাকে বলছে তৃষা?
মোবাইল হাতে নিতেই ভেসে উঠলো নতুন মেসেজ —
"আমার গন্ধ কি এখনো টের পাচ্ছো?"
নাম নেই, শুধু সময় লেখা — রাত ১:১১।
দরজাটা খুলে বাইরে গেলাম — ঘর নিঃস্তব্ধ।
ফিরে এসে দেখি বালিশটা নেই!
আমার চোখের পলক ফেলতেই যেন কোথাও সরে গেল কিছু।
ওয়াশরুমের দরজা আধা খোলা, লাইট জ্বলছে না।
পায়ের নিচে পানির ছিটে—কে ব্যবহার করেছে?
আমি ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগোলাম।
হাতের তালু ঘেমে গেছে, নিঃশ্বাস ভারী।
দরজাটা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই হঠাৎ ফিসফিস…
"তোমার মতো ঘ্রাণ কারো হয় না..."
আমি পেছনে তাকালাম—কেউ নেই।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুধু নিজের ছায়া।
কিন্তু… ছায়াটা আমার মতো লাগছে না কেন?
ওর ঠোঁটে লিপস্টিক, গলায় সেই পারফিউমের ঘ্রাণ!
আমি একপা পিছিয়ে এলাম, আয়নার আমি দাঁড়িয়ে রইলো!
হঠাৎ আয়নার 'আমি' হেসে বলল, “তৃষা আজও জানে না আমি কে!”
আমি চিৎকার করতে গেলাম, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোলো না।
আয়নার দিকে হাত বাড়াতেই… ঠান্ডা একটা স্পর্শ পিঠে।
পেছনে ঘুরতেই দেখি — এক মেয়ে, চেনা-অচেনা চেহারা।
তার ঠোঁটে তৃষার লিপস্টিক, হাতে আমার বালিশ।
সে হাসলো, বলল — “তোমার ঘ্রাণ আমার খুব প্রিয়!”
আলো নিভে গেল, ঘরজুড়ে শুধুই পারফিউম আর নিঃশ্বাস।
(পাট 1)

চলবে নাকি চললে নেক্সট পাট দিব কমেন্টে জানাবেন
#বাংলা_গল্প

05/08/2025

🕯 আমি ধ র্ষি তা — পর্ব ৬: ‘অন্তরালের ছায়া’

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নীলা ভাবছিল, কে ছিল সেই কালো ছায়া?
মনে পড়ল, হামলার ঠিক আগে একটা পরিচিত গন্ধ পেয়েছিল সে।
সেই গন্ধটা যেন ছিল একটা পারফিউম — যেটা রাকিব ব্যবহার করত।
কিন্তু রাকিব তো ওর বয়ফ্রেন্ড! ও কি পারে এমনটা করতে?
পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে বলল, “রাকিব গত রাতে শহরে ছিল না।”
নীলার মাথায় যেন হাজার প্রশ্নের ঝড় বয়ে গেল।
ওর বান্ধবী মীম হঠাৎ বলল, “তোর বিশ্বাস ভেঙে যাবে, সাবধানে চল।”
নীলা জিজ্ঞেস করল, “তুই এ কথা বলছিস কেন?”
মীম চুপ করে থাকল, মুখ ফিরিয়ে নিল — কিছু লুকোচ্ছে যেন।
রাতে হঠাৎ ফোন এল — অজানা নম্বর, গলা ভারী, “সত্যি জানতে চাও?”
“তাহলে একা এসো কাল রাত ১২টায় পুরনো গুদামে।”
নীলার গলা শুকিয়ে গেল, কিন্তু সে ঠিক করল — যাবে।
সারা দিন আতঙ্ক আর উত্তেজনার মাঝে কেটেছে তার।
মাঝরাতে চুপিচুপি বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল নীলা।
চারপাশে নিস্তব্ধতা, গুদামে ঢুকতেই একটা শব্দ — “টক!”
কারা যেন লুকিয়ে ছিল... একজন বলল, “তোকে আসতে হবে একা।”
নীলা জিজ্ঞেস করল, “তোমরা কে?”
উত্তর এল না, শুধু একজোড়া চোখ অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছিল।
হঠাৎ আলো জ্বলে উঠল, আরেকজন বলল, “আমাদের গল্প এখন শুরু।”
চোখে পড়ল মীম দাঁড়িয়ে আছে ওদের পেছনে!
নীলা চিৎকার করে উঠল, “তুই এখানে কী করছিস?”
মীম শান্ত গলায় বলল, “তোর সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা ছিল একটা শিক্ষা।”
“তুই বুঝতেই পারিসনি, তোকে কে কতটা ঘৃণা করে।”
“কারণ তুই সবসময় আমাদের উপরে চালাক ছিলি।”
নীলা চেঁচিয়ে বলল, “তোমরা কে? কেন এসব করছ?”
একজন মুখ খুলল, “আমরাই তোর ‘বন্ধু’ — ছায়া বন্ধন।”
“তুই ভেবেছিলি, তুই ধর্ষিতা? আসলে তুই ছিলি টার্গেট!”
নীলা শিউরে উঠল, চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল জল।
মীম এগিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, “শুধু শুরু হয়েছে, শেষ এখনো বাকি।”
অন্ধকার আবার গিলে ফেলল আলোকে — সত্যি কি এটা নীলার শেষ রাত?

চলবে নাকি

04/08/2025

“বুদ্ধিমান জামাই”

একদিন শ্বশুরবাড়ি গেছেন জামাইবাবু। খাওয়া-দাওয়ার পর শ্বশুরমশাই তাকে বললেন,

— জামাই বাবু, শুনেছি আপনি খুব বুদ্ধিমান?

জামাই হেসে বললেন,
— না না, এমনি এমনি, লোকে একটু বাড়িয়ে বলে।

শ্বশুর বললেন,
— আচ্ছা, একটা প্রশ্ন করি, যদি উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনাকে একটা গরু দেবো!

জামাইবাবু খুশি হয়ে বললেন,
— বলেন শ্বশুর মশাই, বলেন!

শ্বশুর বললেন,
— বলুন তো, গরুর সামনে কী থাকে?

— মাথা!

— গরুর পেছনে কী থাকে?

— লেজ!

— আর মাঝখানে?

জামাই একটু ভেবে বলল,
— মাঝখানে... আমি থাকি! আমি তো এখন গরুর মাঝখানে বসে আছি! 😁

শ্বশুর মাথা চুলকে বললেন,
— বাহ! এতো তো একেবারে "গরুর মতো বুদ্ধি!"

04/08/2025

আমি ধ র্ষি তা – পর্ব ৫: মুখোশ

নীলার চোখের নিচে কালশিটে দাগ, শরীরে জ্বর, কিন্তু মনটা জ্বলছে প্রতিশোধের আগুনে।

ডায়েরির পাতায় সে লিখে চলেছে প্রতিটি দিনের কথা, যেন একেকটা প্রমাণ।

হঠাৎ একদিন হাসপাতালের করিডোরে দেখা হয় সেই পুলিশ অফিসার রাহুলের সঙ্গে, যে মামলার প্রথম তদন্ত করেছিল।

রাহুল নীলা’র চোখে তাকিয়ে বলে,
– "তোমার বিশ্বাস যদি আমার ওপর থাকে, তাহলে শেষ দেখাটা এখনও হয়নি।"

নীলা চমকে ওঠে, মনে পড়ে — এই রাহুলই তো আগে কিছু করতে পারেনি, এখন হঠাৎ কেন এমন কথা?

রাতে বাসায় ফিরে দেখে দরজার নিচ দিয়ে গুটিয়ে রাখা একটা খাম, তাতে লেখা —
"তোমার ধর্ষকেরা কেউই অজানা নয়, ভালো করে খোঁজ নাও মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে তারা!"

চোখ কপালে ওঠে, ভয় আর রাগে গলা শুকিয়ে যায়।

নীলা এবার ঠিক করে — যে করেই হোক, এই খামটা পাঠিয়েছে কে, সেটা খুঁজে বের করবই।

ডায়েরির পেছনের পাতায় সে লুকিয়ে রাখে সেই খাম।

পরের দিনই কলেজে গিয়ে সাবধানে খেয়াল করে, কে কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, কে হঠাৎ চুপচাপ।

বন্ধু নাবিলার আচরণও কেমন যেন বদলে গেছে!

নীলা চুপচাপ নাবিলার ব্যাগে ছোট একটা রেকর্ডার রেখে দেয়।

সন্ধ্যায় সেই রেকর্ড শুনে তার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে!

নাবিলা কারো সঙ্গে ফোনে বলছে —
– "ওকে তোরা বাঁচতে দিলি কেন? আমি তো বলেছিলাম একেবারে শেষ করে দে!"

শুনেই নীলা কেঁপে ওঠে —
বন্ধুই যদি বিশ্বাসঘাতক হয়, তাহলে শত্রু কারা?

পরের দিন সে রাহুলকে ফোন করে —
– "আমি প্রমাণ পেয়ে গেছি। এবার শুধু তোমার সাহস চাই।"

রাহুল বলে —
– "আমিও মুখোশ খুলে ফেলব, সময় এসেছে।"

নীলা জানে, খেলা শুরু হয়ে গেছে।

---

চলবে...
.

03/08/2025

কৌতুক: বুদ্ধিমান বল্টু

একদিন বল্টু ব্যাংকে গেল টাকা তুলতে।

👉 বল্টু: ভাই, ১০ হাজার টাকা তুলব।

👉 ক্যাশিয়ার: স্যার, আপনি তো সই করেননি, সই দিন।

👉 বল্টু: আচ্ছা আচ্ছা, সই দিলাম। এবার টাকা দিন।

👉 ক্যাশিয়ার: স্যার, এই সই আপনার আইডি কার্ডের সঙ্গে মিলছে না।

👉 বল্টু: আরে ভাই, যখন টাকা জমা দিই তখন তো কেউ সই মিলায় না!
এখন তুলতে গেলেই এত প্রশ্ন!

👉 ক্যাশিয়ার: (হতবুদ্ধি হয়ে) স্যার, নিয়ম আছে!

👉 বল্টু: হ্যাঁ, তাই তো বলছি! আমি যখন বিয়ে করলাম, কেউ তো মেয়ের সঙ্গে আমার মুখ মিলিয়ে দেখেনি, এখন ছেলের স্কুলে ভর্তি করাতে গেলে ডিএনএ রিপোর্ট চায়!

গল্পটি ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন

03/08/2025

গল্প: বউয়ের মেকআপ আর স্বামীর সমস্যা

মোশারফ ভাই বউয়ের মেকআপ দেখে বললো,
“বউ, আজ তোমার মুখ যেন ছবি! কোথাও একটা ফিল্টার দিয়ে রেখেছো?”

বউ বলল, “না, আজ আমার নতুন মেকআপ আর্টিস্ট এসেছে।”

মোশারফ চিন্তায় পড়ে বললো,
“তাই তো! মেকআপটা দেখে আমার তো মনের ভেতর ভয় জন্মাচ্ছে, ভাবছি, এই মেকআপটা যদি প্রতিদিন থাকে, আমি কোথায় যাব?”

বউ হাসতে হাসতে বলল,
“তাহলে কাল থেকে আর মেকআপ করব না, তুমি চিন্তা করো কোথায় যাব!”

মোশারফ বললো,
“না না, মেকআপ থাকুক, তুমি থাকো, আমি এক্কেবারে ছুটে পালাবো!”

সবাই হেসে উঠলো, মোশারফের মজা আর বউয়ের গর্জন! 😄

ফানি গল্প পেতে সাথেই থাকুন

03/08/2025

আমি ধ র্ষি তা – পর্ব ৪: ‘ঘৃণা’

নীলার চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। ঘুম আসে না আর।
মা রাতে অনেক জোর করেও খাওয়াতে পারেনি।
ভবঘুরে ছায়া যেন ভর করেছে তার মনে।
আয়নায় নিজেকে দেখলেও ঘৃণা লাগে আজকাল।

বাড়ির সামনে পাড়া-প্রতিবেশীর ফিসফাস কানে বাজে।
"ওই মেয়েটাই তো…", "ওর সাথে যা হয়েছে…", এসব কথায় রক্ত হিম হয়ে যায়।
নীলার মনে হয়, সমাজ যেন দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করছে তাকে।
নিরব চোখে তাকিয়ে থাকে সে দেওয়ালের দিকে, যেন সেখানে মুক্তি লুকানো।

বন্ধুরা কেউ ফোন করে না। স্কুলে যাওয়া বন্ধ।
শিক্ষিকারা একটা ঝামেলা এড়ানোর মত চুপ।
কেউ জিজ্ঞেস করে না, “তুমি কেমন আছো?”
সবার চাওয়া যেন, সে হারিয়ে যাক, মরে যাক চুপিচুপি।

একদিন নীলা আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করল –
“তারা আমার শরীরটা নিয়ে খেলেছে, মনটা নয় তো?”
শরীর নোংরা করা যায়, আত্মা নয়!
তবে কেন আমি নিজেকে ঘৃণা করছি?

এই প্রশ্নটা মাথায় ঢুকতেই এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
সেই অশ্রুতে যেন একটু সাহস ছিল, একটু জেদ।
সে ঠিক করে – আর না, এবার আমি কথা বলব।
আমি মুখ বন্ধ রাখব না।

নীলা খাতা খুলে লিখতে শুরু করে –
“আমি ধর্ষিতা, কিন্তু আমি লজ্জিত নই।
লজ্জিত হওয়া উচিৎ তাদের, যারা অন্যায়ের পাশে দাঁড়ায়।
আমি বেঁচে আছি, এবং বেঁচে থাকব গর্ব নিয়ে।”

গল্পটি ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন

25/01/2024

💗💗💗💗💗

RAJIB AHMED Hridoy

08/08/2025

07/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

05/08/2025

05/08/2025

04/08/2025

04/08/2025

03/08/2025

03/08/2025

03/08/2025

25/01/2024

Adresse

Site Web

Notifications

Contacter L'entreprise

Raccourcis

Partager

Type