09/07/2025
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান (reunion) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ অনুষ্ঠান। # স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ=
পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্ররা তাদের শৈশব, ছাত্রজীবনের আনন্দময় মুহূর্তগুলো স্মরণ করতে পারেন। এটি একধরনের আবেগঘন পুনর্মিলন যা অতীতের সঙ্গে বর্তমানকে যুক্ত করে।
# সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও সম্প্রসারণ-
অনেক সময় বন্ধুত্বের সম্পর্ক ব্যস্ত জীবনে হারিয়ে যায়। পূর্ণমিলনী সেই সম্পর্কগুলোকে আবার জাগিয়ে তোলে এবং নতুন সম্পর্ক তৈরির সুযোগ করে দেয়।
# বিদ্যালয়ের প্রতি দায়িত্ববোধ
প্রাক্তন ছাত্ররা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন – যেমনঃ অর্থনৈতিক সহায়তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বা ক্যারিয়ার গাইডেন্স।
# শিক্ষকদের সম্মাননা-
পূর্ণমিলনীতে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সম্মাননা জানানোর সুযোগ তৈরি হয়, যারা ছাত্রদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
#প্রজন্মের মধ্যে যোগসূত্র
বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রাক্তনদের সংযোগ ঘটানো যায়। এতে ছাত্ররা অনুপ্রাণিত হয় এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ও জীবনের দিকনির্দেশনা পেতে পারে।
# বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি-
প্রাক্তন ছাত্ররা বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত থাকেন। তাদের সফলতা বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করে। পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা উদযাপন করা যায় এবং বাহ্যিক মহলে ভালো বার্তা যায়।
পরিশেষে শুধু এতোটুকুই বলবো যে,
পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান কেবলমাত্র একটি সামাজিক মিলনমেলা নয়, বরং এটি বিদ্যালয়, প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে এক সেতুবন্ধন যা সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলে।
মোঃ রুহুল আমিন।
এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৪।