TVDaJuventude

TVDaJuventude Informations de contact, plan et itinéraire, formulaire de contact, heures d'ouverture, services, évaluations, photos, vidéos et annonces de TVDaJuventude, Créateur de vidéos, panchagarh, Democratic Republic of the.

29/10/2025
মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহেল আজমী (অব:) এর প্রতি খোলা চিঠিশ্রদ্ধেয় জেনারেল,আসসালামু আলাইকুম।  আমি আপনাকে সামনে থেকে দেখেছি...
28/10/2025

মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহেল আজমী (অব:) এর প্রতি খোলা চিঠি
শ্রদ্ধেয় জেনারেল,
আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনাকে সামনে থেকে দেখেছি জীবনে একবার মাত্র ২০০৮ সালে। কিন্তু আমার সমসাময়িক সময়ে সেনাবাহিনীতে আপনার নাম শোনেনি কিংবা আপনার মেধা ও বিচক্ষণতা সম্পর্কে জানেনা, এমন অফিসার পাওয়া বিরল। বিগত ১৫ বছরে আপনার প্রতি রাস্ট্রীয়ভাবে যে অন্যায় হয়েছে, কোন প্রতিদান কিংবা আইনি বিচারে তা শোধ হবে বলে আমি মনে করিনা। আপনি নিখোঁজ হবার পর আপনার মৃত্যু সম্পর্কিত আমি নিজে অগণিত গুজব শুনেছি। একবার শুনেছি, আপনাকে হত্যা করে ব্রিক ফিল্ডে ফেলে দেয়া হয়েছে যেন আপনার চিহ্ন খুঁজে না পাওয়া যায়, আবার শুনেছি আপনাকে ভারতে্র কোন গোপন স্থানে বন্দী রাখা হয়েছে্‌, ইত্যাদি। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী যে জাতি আপনাকে জীবিত ফিরে পেয়েছে। আপনাকে যেদিন জীবিত উদ্ধার করা হলো, সেদিন উদ্বেলিত হয়ে আমি আমার স্ট্যাটাসে তা শেয়ার করেছিলাম। আমার কোর্সমেট মেজর ফেরদৌস (অবঃ) আপনার বিশেষ ভক্ত, আর আমি অপেক্ষাকৃত একজন ছোট ভক্ত, ২০০৮ সালে আপনার সাথে দেখা হওয়া এবং ৩/৪ মিনিটের আলাপচারিতা থেকে যার শুরু।
যাই হোক, আপনার প্রতি হওয়া রাস্ট্রীয় অন্যায়ের বিচার সময়ের দাবী। সোস্যাল মিডিয়াতে আপনি বরাবরই বলেছেন, বাহিনী কোন অন্যায় করেনি, বাহিনীর কিছু বিপথগামী ব্যক্তি এই অন্যায় করেছে। এখানে আমার দ্বিমত রয়েছে। আমার দৃষ্টিতে এটা সুস্পষ্ট ভাবে #রাস্ট্রীয় অন্যায়। রাস্ট্রীয় অন্যায়ের ক্ষেত্রে বাহিনী কিংবা ব্যক্তির ভুমিকা মুখ্য হওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত, তা বিতর্কের দাবী রাখে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এটা ব্যক্তি-অন্যায় হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আজ বিচারের কাঠগড়ায় রাষ্ট্র নেই, আছে কিছু ব্যক্তি আর ব্যক্তির পিছনে বাহিনীর পরিচয়। বিচার যেহেতু রাষ্ট্রের হচ্ছেনা, হচ্ছে ব্যক্তির; আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, আজ বিচারের কাঠগড়ায় যে ব্যক্তিরা যারা দাঁড়িয়ে, তাদেরকে দেখে আপনি কতখানি সন্তুষ্ট। আপনার মত বিচক্ষণ মানুষের কি একবারও মনে হচ্ছেনা যে আপনার প্রতি অন্যায় করা প্রকৃত মানুষগুলো কাঠগড়ায় নেই? আপনি সহ সারা দেশ জানে তারা সবাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিলাসী জীবন যাপন করছে। যারা দেশে থেকে গেছে, তারা বিশ্বাস করে, তারা আপনার প্রতি এবং কারো প্রতি প্রত্যক্ষ কোন অন্যায় করেনি। তাই সাহসের সাথে দেশবাসীর ঘৃণার বিপক্ষে আদালতে হাজির হয়েছে। প্রিয় জেনারেল, এরা অধিকাংশই (হয়তো সবাই নয়) আপনার মতই দেশপ্রেমিক, আপনার মতই সৎসাহস তাদের। একবার ভাবুন, এটা কেমন বিচার যেখানে মুল আদেশদাতা নেই, আদেশ পালনকর্তা ডিজিরা নেই; এমনকি মাঠ পর্যায়ের যারা আপনাকে অপহরণ করেছিলো, তারাও নেই কাঠগড়ায়। যারা আজ বিচারের মুখোমুখি, তাদের অপরাধ একটাই, তারা বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ বা প্রতিকার করেনি।
কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা আসলেই সম্ভব ছিলো কি? এবার আসা যাক, রাষ্ট্রীয় অন্যায়ে ব্যক্তির ভুমিকা নিয়ে।
বাংলাদেশে র‍্যাব নামক বাহিনী জন্ম কবে, আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শুরু সেখান থেকে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে আগেও হয়েছে, আমি #প্রাতিষ্ঠানিক বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা বলছি। একটা বাহিনী তৈরী করা হলো ক্রসফায়ারকে আইনি বৈধতা দেয়ার জন্য। কারা এই বাহিনী সৃষ্টি করেছিলো, আশা করি তা আপনার অজানা নয়। আপনি তখন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। একটি কোর্সের সোর্ড অফ অনার ছাড়াও অধ্যাপক গোলাম আযমের সন্তান হিসেবে আপনি আরো প্রভাবশালী ছিলেন। আজ আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনি তখন র‍্যাবের কর্মকান্ডে সফলভাবে বাধা দিয়েছিলেন কি? ধরে নিলাম আপনি বাধা দিয়েছিলেন; কিন্তু বন্ধ করতে পেরেছিলেন কি? পারেন নি বা হয়তো চেষ্টাটুকুও করেননি। অপারেশন ক্লিন হার্টে কি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়নি? প্রতিবাদ হিসেবে আপনি কি এপেন্ডিক্স-জে জমা দিয়েছিলেন? বা এমন কিছু করেছিলেন যেন এই রাস্ট্রীয় অন্যায় (হোক তা তথাকথিত জনকল্যাণ) বন্ধ হয়ে যায়? সম্ভবত উত্তরটি ‘না’। কারণ, রাস্ট্রীয় অন্যায়ের প্রতিকার নিয়মতান্ত্রিকতায় হয়না। সেদিন অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে যেমন পারেনি, মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে উঠে আসা এইসব অফিসারও তেমন বিগত ১৫ বছরে পারেনি। যারা প্রতিবাদি হয়ে পারার চেষ্টা করেছে, তারা হয় মেজর জাহাঙ্গীর এর মত জঙ্গি আখ্যা নিয়ে ডিবির ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, নয়তো মেজর হেলালের মতো জেল খাটার পর নির্বাসিত হয়েছে। এই কঠিন সত্যটা অনুধাবন করার পরও আপনার যদি মনে হয় শুধুমাত্র অনার বোর্ডে নাম থাকার কারণে তারা অপরাধী এবং প্রকৃত অপরাধীদের সমান মাত্রার অপরাধী, এবং এতটাই অপরাধী যে তারা আজ সারা দেশের ঘৃণার পাত্র হবে, তাহলে আমার বলার কিছুই নাই। আজ শেখ হাসিনা নেই, জেনারেল তারেক নেই, কোন ডিজি নেই, বিচারে কাঠগড়ায় আছে শুধু ৩ জন ডাইরেক্টর, এটাই যদি আপনাদের ইনসাফের সংজ্ঞা হয়, তবে আমি আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই, আল্লাহ সর্বোত্তম ইনসাফকারী; আজ যদি এই অফিসারদের কারো প্রতি অন্যায় হয়ে থাকে, আল্লাহ আবারও ইনসাফ করবেন ১০ কিংবা ২০ বছর পর; কিন্তু করবেনই।
এই ১৫ জনের সবাইকে আমি চিনিনা। যাদেরকে চিনি তাদের সম্বন্ধে দু-একটা তথ্য দিই। (১) ব্রিঃ জেঃ মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী। কমিশনের পর থেকে আজ অবধি সে পরিবারসহ রেশনের চাল খায়। অভাবে নয়, স্বভাবে সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত, তাই এমন। কাছের মানুষ হিসেবে আমি জানি যে ওর ব্যাংক ব্যালান্স শুন্য। এতে ওর কোন আক্ষেপ নাই। সিটিআইবি ডাইরেক্টর হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে সেই সময়ের হর্তা-কর্তারা এতটাই বিরাগভাজন ছিলেন যে মাত্র ১৩ মাসের মাথায় কোন ফেয়ারওয়েল ডিনার ছাড়াই তাকে বদলী করে দেয়া হয়। অবাক করা তথ্য হলো, ৫ আগস্টের পর তাকে বিগত সরকারের বিরাগভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও ডিজিএফআই তে ফিরিয়ে আনা হয়। আজ সেই মাহবুব হয়ে গেলো গুম মামলার আসামী। (২) ব্রিঃ জেঃ তানভীর মাজাহারও শুধুমাত্র অনার বোর্ডে নাম থাকার কারণে আসামী। (৩) ব্রিঃ জেঃ জাহাঙ্গীর আলম। চাকুরী জীবনে যেই ওর সংস্পর্শে, সে জানে জাহাঙ্গীর কতটা সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত। আমার জানামতে সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র অফিসার যে নারায়ণগঞ্জ র‍্যাবের অধিনায়ক থাকাকালীন বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সেনাপ্রধানের বিশেষ ইন্টারভিউতে এসে র‍্যাবের বদলী বাতিল করার আবেদন করেন। দুর্ভাগ্য যে দু’বছর পর তার আবারও র‍্যাবের এডিজি হিসেবে বদলী হয়। গুমের প্রতিবাদ করা জাহাঙ্গীরও আজ গুমের আসামী (৩) লেঃ কর্ণেল রেদওয়ানকে আমি আগে চিনতাম না। ৩ আগস্ট থেকে চিনি। বিজিবির পক্ষ থেকে ৩ আগস্ট তার অস্ত্র হাতে নেবার কারণ ব্যাখ্যা করা হয় ও প্রশংসা করা হয় এই বলে যে, ও মার্কসম্যান বিধায় ওকে বিশেষ ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ক্যাসুয়ালটি কমানোর জন্য, সাধারণ সৈনিক যা পারতো না। রেদওয়ানের মত একজন কমান্ডো তৈরী করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি অনেক ত্যাগ করেনি? আজ সে হত্যা মামলার আসামী। রেদওয়ান দোষী হলে তার আদেশদাতা দোষী নয় কেন? এমন অনেক প্রশ্ন আমার আছে, যার কোন উত্তর কারো কাছে নেই।
তাহলে কি বাহিনীর কোন ভুল করেনি? বাহিনীর কি কোন দায়িত্ব নেই? অবশ্যই আছে।
বাহিনী হিসেবে আমরা ভুল শোধরাবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। ৫ই আগস্টের পরপর, যখনও অপরাধীরা কেউ পালাতে শুরু করেনি, তখনই আপনার ও আপনাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার সেনাবাহিনীতেই করা যেতো। কোর্ট মার্শাল করে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেওয়া যেতো। কিন্তু আমরা তা পরিপূর্ণভাবে করিনি অথবা না করার মতো করে কিছু একটা করেছি বলেই হয়তো আজ আইসিটি তা করছে। আমি বিশ্বাস করি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সেই সময়ে সঠিকভাবে বিচার করা গেলে তা অনেক নিরপেক্ষ হতো। অন্ততঃ আইসিটি যেভাবে অনার বোর্ড ধরে সবাইকে অভিযুক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে, সেটা হতো না। সময়মত পদক্ষেপ না নেবার কারণে অনেকে পালিয়ে গেছে, তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে কিছু নিয়ম রক্ষার অপরাধী। এটা খুব কষ্টের যে, ৫ আগস্টের পর সারাদেশ যে সেনাবাহিনীর প্রশংসায় মুখর ছিল, সেই বাহিনী আজ সারা দেশে ঘৃণিত। একটি বাহিনীকে এভাবে মর্যাদাহীন করে ফেলার দায়ভার কারো না কারো তো অবশ্যই।
আজ আমাদের কমরেডশীপ শুধু প্রেসিতেই সীমাবদ্ধ। আমরা দেখেছি ৫ আগস্টের পর পুলিশ কর্মবিরতিতে গেছে শুধুমাত্র তাদের ভাইদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে। পুলিশে কি অন্যায়কারী ছিলো না? গুমকারী ছিলো না? পুলিশ কি রাস্ট্রীয় অন্যায়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না? ডিজিএফআই থেকে তাদের অন্যায় কোন অংশে কম? কিন্তু অন্যায় না করেও আক্রমনের শিকার হয়েছে, প্রাণ দিয়েছে এমন পুলিশও তো ছিল। আমি স্যালুট জানাই পুলিশের এই ভ্রাতৃত্ববোধকে। আজ একটি বাহিনীর প্রতি অন্যায় হচ্ছে, বাহিনীর এতদিনের অর্জন ভুলুন্ঠিত হচ্ছে, এবং আমরা এখনো ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতিতে আছি। আজ বিচারের কাঠগড়ায় ১৫ জন অফিসার নয়, ১৫ টি সংখ্যামাত্র; এরা হিসেবের বাইরে চলে গেলে কারো কারো কপাল খুলবে, অনেকে আছে সেই অপেক্ষায়। ৫ আগস্ট আমাদের এতটুকু পরিবর্তন করেনি। আমি ৫ আগস্ট রাত থেকেই আমাদের মধ্যে গিরিগিটির মত রঙ পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি। প্রায় ৫ বছর ডিজিএফআই এর সিআইবি দাপিয়ে বেড়ানো একজনকে দেখেছি ৫ তারিখ রাতেই পোস্ট দিয়েছে, “শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবু সাঈদ সেনানিবাস করা হোক”। শেখ মুজিবের আত্মজীবনী সরকারী পয়সায় আরবীতে তরজমা করে পদোন্নতি পাওয়া আরেকজন আয়নাঘর থেকে আপনার মুক্তির ভিডিও দিয়ে পারলে এক বালতি কান্না করে ফেলে। এসব গিরগিটিরা এখনও ক্ষমতার ছায়াতলে আর মাহবুব, তানভীর, জাহাঙ্গীররা কারাগারে। আজ আইসিটি কোন পার্লামেন্ট ছাড়াই আইন সংশোধন করছে, এবং বিচার করছে। আমি আবারও বলছি, আল্লাহ উত্তম ইনসাফকারী। এবং তিনি ইনসাফ করবেনই।
এই বাহিনীকে সম্পর্কে আপনার পজিটিভ বক্তব্য কি আপনার মনের কথা, নাকি রাজনৈতিক বক্তব্য, তা আমি জানিনা। তবে সেই আপনিই যখন প্রকৃত অপরাধীরা পালিয়ে যাবার পরও নিয়মরক্ষার অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাচ্ছেন, আপনার প্রতি আলাদা শ্রদ্ধার জায়গা থেকে আমার ভেতরে উচ্চারিত হচ্ছে যে, এই আজমী স্যারকে আমি চিনিনা। এই অফিসারদের স্ত্রীরা কেউ কেউ কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, অপরাধ করলে সেনা আইনে বিচার করে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠিয়ে দেন, কিন্তু ইউনিফর্মকে এভাবে সম্মানহীন করবেন না। স্যার, আপনার প্রতি হওয়া রাস্ট্রীয় অন্যায়ের বিচার এটা না, এটা প্রহসন। অন্যায়ের বিচার অন্যায় দিয়ে হলে সমাজে একসময় অন্যায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। ভবিষ্যৎ সেনাবাহিনীর জন্য তা অত্যন্ত ভয়ংকর। আজকের পর থেকে আত্মমর্যদাসম্পন্ন তরুনরা সেনাবাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে কতটা আগ্রহী হবে, সেটা সময়ই বলে দিবে। তারপরও হয়তো আইএসএসবি দিতে অনেক প্রার্থী আসবে, পরীক্ষা দেবে। তবে যারা আসবে, তারা চাকরীর জন্য আসবে, প্রাইড থেকে আসবে না।
প্রিয় জেনারেল, আপনাকে আরেকবার অনুরোধ করতে চাই। শতভাগ স্বীকার করছি যে আপনার প্রতি অবর্ণনীয় ও অপূরণীয় অন্যায় করা হয়েছে। সাথে সাথে এটাও দাবী করছি, এদের প্রতি, এই পরিবারগুলোর প্রতিও অন্যায় হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করতে চাই, আপনি এই অন্যায় হতে দিবেন না।

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান
27/10/2025

বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান

খুনি লেঃ কর্নেল হাসিনুরের (বরখাস্ত) মুখে গুম-খুনের বিচার দাবী, কি হাস‍্যকর???* ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের একাধিক ব্য...
26/10/2025

খুনি লেঃ কর্নেল হাসিনুরের (বরখাস্ত) মুখে গুম-খুনের বিচার দাবী, কি হাস‍্যকর???
* ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের একাধিক ব্যাটালিয়নের কমান্ডে দায়িত্ব পালন করে লেঃ কর্নেল হাসিনুর, যার মধ্যে ২০০৫–২০০৬ সালে চট্টগ্রামের র‍্যাব-৭ অন্যতম (উৎস: en.wikipedia.org)।
* দেশবিরোধী তৎপরতা ও বিদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হন (উৎস: kipedia.org)।
* ২০০৪–২০০৫ সালে র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক থাকা অবস্থায় লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানের নেতৃত্বে গ্রেপ্তারের পরপরই "ক্রসফায়ার"-এ হত্যার ধারাবাহিক ঘটনা ঘটেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW)-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায় (উৎস: netra.news)।
* উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
@@ সেপ্টেম্বর ২০০৪ – চট্টগ্রামের একটি থানা সংলগ্ন স্থানে ১০ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত।
@@ ১০–১১ সেপ্টেম্বর ২০০৪ঃ আহমদুল হক চৌধুরী (আহমুদিয়া) ও তার দেহরক্ষী মিনহাজ গ্রেপ্তারের পরদিন ক্রসফায়ারে নিহত (উৎস: refworld.org)।
@@ ২৮ নভেম্বর ২০০৪ঃ ছাত্রলীগ নেতা মহিমুদ্দিন মহিম দুবাই থেকে ফিরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন; ওই রাতেই তাকে ক্রসফায়ারে নিহত দেখানো হয়।
@@ ৩০ নভেম্বর ২০০৪ঃ ছাত্রদল নেতা ইকবাল বাহার চৌধুরী (ইকবিয়াল্লা), যিনি হত্যা, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন, গ্রেপ্তারের সময় ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন (refworld.org)।
@@ Human Right Hatch (HRW) তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, ২০০৪-২০০৬ এই সময়ে শুধুমাত্র র‍্যাব-৭ এর অধীনে ৫৭টি "ক্রসফায়ার" হত্যা সংঘটিত হয়েছে যখন লেঃ কর্নেল হাসিনুর ছিল র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক, যা সারা দেশের র‍্যাব অভিযানে নিহতের ১৫.৫%।

#বিচারবহির্ভূতহত্যা #কর্নেলহাসিনুররহমান #চট্টগ্রামর‍্যাব #জবাবদিহিতা #মানবাধিকারলঙ্ঘন

https://www.facebook.com/share/1Gh2wojC9c/
25/10/2025

https://www.facebook.com/share/1Gh2wojC9c/

কর্নেল হাসিনুর রহমানের দায়িত্বে ২৩৬ বিচারবহির্ভূত হত্যা: মানবাধিকার নিয়ে তাঁর বর্তমান বক্তব্য ‘নৈতিক ভণ্ডামি’ আখ্যায়িত

আজকের কন্ঠ ডেস্ক,

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের (২০০৪-২০০৬) আমলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) কর্তৃক সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ পরিসংখ্যান সামনে আসার পর তৎকালীন চট্টগ্রাম র‍্যাবের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমানের ভূমিকা এখন গুরুতর প্রশ্নের মুখে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর তথ্য এবং স্থানীয় অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর প্রত্যক্ষ কমান্ডের অধীনে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগেই এই সময়ে মোট ২৩৬ জনকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়।

সামরিক বাহিনী থেকে অবসরের পর কর্নেল হাসিনুর রহমান বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুশাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মানবাধিকার নিয়ে সরব হওয়ায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, যে অঞ্চলে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল, সেই হত্যাকাণ্ডের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে তাঁর বর্তমান ভূমিকা চরম ‘নৈতিক ভণ্ডামি’র পরিচায়ক।

এইচআরডব্লিউ-এর পরিসংখ্যান: চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ নৃশংসতা

এইচআরডব্লিউ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ২৪ জুন র‍্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ৭৩৮টি ‘ক্রসফায়ারের’ ঘটনা ঘটে। এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই সময়ের মধ্যে এককভাবে চট্টগ্রাম বিভাগেই ঘটে সর্বোচ্চ সংখ্যক হত্যাকাণ্ড—মোট ২৩৬ জন নিহত হন।

যখন চট্টগ্রামে এই নৃশংসতার হার সর্বোচ্চ শিখরে ছিল, ঠিক সেই সময় চট্টগ্রাম র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কর্নেল হাসিনুর রহমান।

২৩৬ হত্যার কমান্ড দায়বদ্ধতা

সামরিক চেইন অব কমান্ড এবং প্রশাসনিক নীতি অনুযায়ী, কোনো নির্দিষ্ট ইউনিটে সংঘটিত সকল ঘটনার জন্য সরাসরি কমান্ডিং অফিসার দায়বদ্ধ থাকেন। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রাম বিভাগে সংঘটিত ২৩৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য সিইও হিসেবে কর্নেল হাসিনুর রহমান সরাসরি কমান্ড দায়বদ্ধতার অধীনে পড়েন।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও গণমাধ্যমের দাবি, তৎকালীন এই কর্মকর্তা শুধু সামগ্রিক হত্যাকাণ্ডের কমান্ডেই নয়, বরং নির্দিষ্ট কিছু গুরুতর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন। সবচেয়ে আলোচিত অভিযোগ হলো, চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা মহিম উদ্দিনের হত্যাকারী হিসেবে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয় তৎকালীন র‍্যাব সিইও কর্নেল হাসিনুর রহমানকে। মহিম হত্যার মতো গুরুতর ঘটনায় সরাসরি অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ দেড় দশকেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

মানবাধিকার নিয়ে ‘বড় বড় কথা’ বলায় বিতর্ক

সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর কর্নেল হাসিনুর রহমান বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান ও মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মানবাধিকার, সুশাসন ও আইনের শাসন নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। তাঁর এই বর্তমান ভূমিকা তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, যার প্রত্যক্ষ কমান্ডের অধীনে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ২৩৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, এবং যিনি নিজেও একটি হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি অভিযুক্ত, তিনি কীভাবে আজ গণমাধ্যমে এসে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেন? তাঁর অতীত কর্ম এবং বর্তমান বক্তব্যের মধ্যেকার এই ভয়াবহ বৈপরীত্যকে ‘নৈতিক ভণ্ডামি’ (Moral Hypocrisy) হিসেবে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন সমালোচকরা।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সময়ের সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের, বিশেষ করে কমান্ডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে।

#বিচারবহির্ভূতহত্যা #কর্নেলহাসিনুররহমান #চট্টগ্রামর‍্যাব #জবাবদিহিতা #মানবাধিকারলঙ্ঘন

আমাদের সিভিল সোসাইটিকে আরও সিভিলাইজড হতে হবে। তাহলে আর সব জায়গায় সেনাবাহিনীর দরকার হবে না। আমাদের একটা সিভিল প্রতিষ্ঠানও...
23/10/2025

আমাদের সিভিল সোসাইটিকে আরও সিভিলাইজড হতে হবে। তাহলে আর সব জায়গায় সেনাবাহিনীর দরকার হবে না।
আমাদের একটা সিভিল প্রতিষ্ঠানও ঠিক মত কাজ করেনা। একটা সিভিল প্রতিষ্ঠানেও সততা বলে কিছু নাই, সিস্টেম বলে কিছু নাই। থাকলেও তা নগন্য। আমরা যদি আমাদের জায়গায় ঠিক মত কাজ করতাম তাহলে আজকে আমাদের কাজ সেনাবাহিনীর করা লাগতোনা।
দেশের পুলিশের কাজ সেনাবাহিনীর করা লাগবে কেন?
প্রশাসনের কাজে সেনাবাহিনীর কেন ইনভলভ হতে হবে?
রাস্তাঘাট কেন সেনাবাহিনীকে তৈরি করতে হবে?
রাস্তার শৃঙ্খলা কেন সেনাবাহিনীকে রক্ষা করতে হবে?
আরমি কেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালাবে?
দেশের পুরাতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বরিশাল এর টা। বাকিগুলা যে খুব ভাল তা কিন্তু না। তবে খারাপ কেন? আমাদের মত সিভিলরা তার জন্য দায়ী। বরিশালএর টা বেশি খারাপ। এতদিন এটার দায়িত্ব ছিল সিভিলদের হাতে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে একটা আরমির ডাক্তারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেও নাকি নাকানিচুবানি খাচ্ছে। আরমি হইলেও সে তো আর জাদরেল না, সেও ডাক্তার। আমরা কত খারাপ একটা জাতি।!!!
আমরা নিজেরা সভ্য না। রাস্তায়, বাজারে, ব্যাবসায়, অফিসে, স্কুলে, কলেজ এ, বিশবিদ্যালয়ে, গাড়িতে, ড্রাইভিং-এ, হাসপাতালে, রাজনীতিতে, আদালতে, সরকারি অফিসে, মসজিদে, মন্দিরে, মঞ্চে, মাহফিলে, ভিসায়, এয়ারপোর্টে, বন্দরে, আমদানিতে, রফতানিতে, বিদেশে......... সব জায়গায় আমরা অসভ্য। আমাকে একটা জায়গা দেখান যেখানে আমরা সভ্য থাকি, নিয়ম মানি, সিস্টেম মানি, আরেকজনকে সম্মান দেই। আপনি খুঁজে পাবেন না। সভ্যতা মানে আসলে আইন মানা, সিস্টেম মানা, নিজের পাশাপাশি অন্যের ভালোটাও দেখা।
আমি আরমিকে ভালো বলতিসিনা বা খারাপও বলতিসিনা। তারাও আমাদের মত বাঙালির ঘরের ছেলে মেয়ে। রক্তে ভেজাল আমাদের মতই। কিন্তু মন্দের ভালো একটাই, তারা আমাদের চেয়ে একটু বেশি সিস্টেম মেনে চলে। সেটা তাদের ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে গেলেই বুঝা যায়। ট্রাফিক আইন ঠিক, রাস্তা পরিস্কার, রাস্তা দখল নাই, বিল্ডিং নতুন পুরাতন সব রঙ করা আর পরিস্কার। আমার জানামতে, রাস্তাঘাট আর আবাসিক এলাকা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠানএ বাজেট কাছাকাছি বা একই অনুপাতের। তাহলে বুঝেন, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান কি পরিমান অনিয়মের মধ্যে চলে। তাদেরটা কেন এরকম ঝা চকচকে নয়? হইলে ভাল হইতো। আমাদের তখন সেনানিবাসের দিকে চোখ পারতনা আর মনে হইতনা, এই বেডারা সরকারের সব টাকা মেরে নেয়, মিসাইল না বানিয়ে ফারনিচার বানায় আর নিজেদের জায়গাটা ইউরোপের মত বানিয়ে ফেলে। আমাদের আর তখন মিথ্যা ঘৃণা আর অবচেতন মনের হিংসা হইতো না। সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা আর ট্রেনিংয়ের ক্রেডিট এটা।
আর এদিকে আমরা সিভিলিয়ানরা সিস্টেম না মানতে না মানতে অভ্যস্ত হয়ে গেসি। অনিয়ম আর অসংগতি আমাদের কাছে নরমাল। আমরা এটাতেই নিজেদের এডজাস্ট করে ফেলেছি এবং এক পর্যায়ে কম্প্রোমাইজ করে আমরা সুখী হবার চেষ্টা করি, সুখী হই। We Don't Live, We Survive. আমাদের সব জায়গায় অপ্রাপ্তি আর হতাশা আছে। আমরা নিতান্তই বঞ্চিত একটি জাতি।
অনিয়মে অভ্যস্ত হয়ে আমাদের একটা লাইফস্টাইল বা জীবন ধারা তৈরি হয়। আবার নিয়মের মধ্যে থাকতে থাকতে আরমির মানুষগুলোর আরেকটা লাইফস্টাইল তৈরি হয়। এভাবে, দশ বছরের আপনার আমার অনিয়মের জীবনধারা আর আরেকজন আরমির দশ বছরের নিয়মের জীবনধারার মধ্যে বিস্তর ফারাক তৈরি হয়। আমাদের আর তাদের প্রফেশনাল আর সোশ্যাল গ্রুমিংআপও যথেষ্ট আলাদা। এভাবেই, আমাদের আর তাদের চিন্তা ভাবনা, দৃষ্টিভংগী, চালচলন, কথাবার্তা, রুচি সবকিছুই আলাদা হয়ে যায়। যেন আমরা আর তারা দুই জগতের বাসিন্দা। আসলেই তাই হয়ে যায়। এই দশ বছরে কারা এগিয়ে গেল আর কারা পিছিয়ে গেলো সেটা বাদ দিলাম। তবে, আমরা তাদের ক্যান্টনমেন্টের ঝা চকচকে পরিবেশকে হিংসা করতে শুরু করি নিজের অজান্তেই, অবচেতন মনে। এটাই নিয়ম, এটা খুবই সাভাবিক। তারাও আবার আমাদের নিয়ম অনিয়মের সাধীনতাকে হিংসা করতে থাকে।
আবার অন্যটাও হয়। তারা আমাদের তাদের মাপকাঠিতে বিচার করে, আর আমরা তাদের আমাদের মাপকাঠিতে। আমাদের মলিন নোংরা ধুলো আর জ্যাম মাখা সিভিল লাইফ তাদের অপছন্দ। আমাদের সরকারি অফিসে নিজের খেয়ালখুশিমত যাওয়া আসা, জবাবহীনতা, এসব তারা এক্সেপ্ট করতে পারেনা। "বলা মাত্রই একশান, বা আদেশেই সব হয়ে যায়" এমন একটা পরিবেশে অভ্যস্ত মানুষগুলো, আমাদের সব জায়গায় ঢিমেতালে চলা আর দীর্ঘসুত্রিতা মেনে নিতে পারেনা। তারা যেখানে সকাল ছয়টায় পিটি করে, আটটায় অফিসে এসে সাড়ে দশটায় চা বিরতিতে যায়, তখন আমাদের কর্তারা অফিসে আসেন। এটা নিয়ে যদি তারা কিছু বলেন সেটা আমরা মেনে নিতে পারিনা। আমরা ম্যানেজ করে কাজ করি আর তারা আদেশে কাজ করে। এভাবে পরস্পরের প্রতি একটা অপছন্দ সৃষ্টি হয়, কম্ফোর্ট জোন থাকেনা। তাদের মাঝে আমরা বেমানান, আমাদের মাঝে তারা বেমানান। তখন হিংসাটা এক পর্যায়ে ঘৃণাতে পরিনত হয়। আমাদের মধ্যে তখন একপ্রকার পরশ্রীকাতরতা কাজ করে। এটা এক ধরনের অদ্ভুত অনুভূতি। সেনাবাহিনীকে আমরা ভালোবাসি, আবার হিংসা করি, আবার তাদের নিয়ে গর্ব করি, তাদের ভরসা করি, আবার ঘৃণাও করি, চাই তারা ব্যরাকে থাক, আবার চাই তারা আমাদের পাশে থাক, আমাদের জায়গা জমির গন্ডগোল মিটিয়ে দিক, আবার বলি তারা তো যুদ্ধ করার জন্য, রাস্তায় টহলের জন্য নয়। তখন, সেনাবাহিনীর যদি কিঞ্চিৎ পতন হয় বা কোনো পরাজয় হয়, আমরা প্রকাশ্যে উল্লাস করতে না পারলেও, মনে মনে খুশি হই। আমরা সচেতন মনে চাইনা সেনাবাহিনীর অমংগল, অবচেতন মনেই চাই। খুব করে চাই, নিজেরাও জানিনা কেন চাই। সেনাবাহিনীর পান থেকে চুন খসলেই আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে পড়ি। সচেতন মনে ভালোবেসে, আর অবচেতন মনে হিংসা আর পরশ্রীকাতরতায়।
সাম্প্রতিক বিষয়গুলো তে অজ্ঞ বিজ্ঞ সকল সিভিলিয়ানদের প্রতিক্রিয়াশীলতা অন্তত সেটাই নির্দেশ করে। সেনাবাহিনীর লেজ কাটার জন্য আমরা সবাই কাচি নিয়ে বসে আছি। এই বাহিনীকে একটু সাইজ দেবার জন্য, ভারত কিংবা মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতেও আমরা মনে মনে চাই। এটা খুবই সাভাবিক। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, Nobody loves a warrior till enemy is at the gate.
--- পথিক রায়হান।

22/10/2025

*সংবিধান কার্যত অচল* _তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনিবার্য_
- ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের সংবিধান আজ কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে।
- রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি, জনগণের ভোটাধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা সব কিছুই রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক স্বার্থে বিকৃত হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, সংবিধান এখন আর জনগণের ইচ্ছা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিফলন নয়; বরং *এটি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।*
- এ অবস্থায় কেবল রাজনৈতিক বক্তৃতা বা প্রতিশ্রুতি নয়, প্রয়োজন লিখিতভাবে সংবিধান বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণ করা। প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে *তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পুনঃপ্রবর্তন ও সংশোধন, যাতে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।*
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ পুনরায় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে পারে। অন্যথায় বর্তমান সংবিধান ও প্রশাসনিক কাঠামো বজায় রেখে কোনো নির্বাচনই প্রকৃত অর্থে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
“যেখানে সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনা কর্মকর্তাদেরকে সিভিল কোটে হাজির করা হয়েছে, সেখানে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।”

নাবিলা ইদ্রিসের 'নাল' হাইপোথিসিস: প্রসঙ্গ অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা এবং গুম-খুনের বিচার:     সকালে অফিসে পৌছুতে না পৌছুতেই...
22/10/2025

নাবিলা ইদ্রিসের 'নাল' হাইপোথিসিস: প্রসঙ্গ অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা এবং গুম-খুনের বিচার:
সকালে অফিসে পৌছুতে না পৌছুতেই এক বন্ধু ফোন দিয়ে বললো, দোস্ত, নাবিলা ইদ্রিস তো ফাটাফাটি একটা পোষ্ট দিসে, তোরে লিংক পাঠালাম। পড়ে দেখিস। অফিস শেষে বাসায় ফিরতে না ফিরতেই এক সাংবাদিক ফোন করে বললো, স্যার, নাবিলা ইদ্রিস তো ফাটাফাটি পোষ্ট দিসে...।
বুঝলাম নাবিলা ইদ্রিস সেলেব্রেটি পর্যায়ের কেউ একজন হবেন। তাঁকে চিনি না ভেবে নিজেকে খুব ব্যাকডেটেড এবং আনস্মার্ট মনে হলো। তাই, এই এতো রাতে কাজ কর্ম শেষে ফ্রী হয়ে পোষ্টটা পড়লাম। ইংরেজী-বাংলার মিশেল দিয়ে, মাঝে মাঝে কিছু atypical glossary ব্যবহার করে চমৎকার লিখেছেন। এ ষ্টাইলটা খুব সহজেই পাঠকপ্রিয়তা পায়।
ষ্টাইল এর পাশাপাশি কন্টেন্টটাও ট্রেন্ডিং টপিকের উপর হওয়াতে সবার নজর কেড়েছে। সন্দেহ নেই ফেসবুকার হিসেবে তিনি মোটামুটি একটা ভাল অবস্থানে পৌছে গেছেন। তবে ঐকান্তিক 'খায়েস' থাকা সত্ত্বেও তিনি গবেষক হতে পারেননি। এমনকি লিগ্যাল এক্সপার্ট হিসেবেও তাঁকে আমি খুব লো রেটিং দিবো।
তার লেখার যে অংশটা গবেষক এবং আইনজ্ঞ হিসেবে তার অপরিপক্কতার পরিচয় দেয়, সেটা হলো:
"এর মানে এও দাঁড়ায় যে যদি আমরা শুধু লোয়ার র‍্যাঙ্কের অভিযুক্তদের ধরতাম, কখনই ইনস্টিটিউশন এই সুইসাইডাল লায়াবিলিটি ঘাড়ে নিত না। কোম্পানির সি-স্যুট কর্মকর্তা কি অফিসের দারোয়ানের জন্য নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিবে? উহু!"
প্রথমে গবেষনার দৃষ্টিকোণ থেকে বলি। যতো ধরনের গবেষনা হয়, তার মধ্যে সবচে' গ্রহনযোগ্য এবং অথেনটিক হচ্ছে এথনোগ্রাফিক রিসার্চ, যেখানে গবেষক সাবজেক্ট এর লাইফষ্টাইলের সাথে পুরোপুরি মিশে গিয়ে গবেষনার ডাটা সংগ্রহ করে।
ছোট্ট উদাহরণ- এক মার্কিন মেয়ে গবেষক আফ্রিকার গহীন জঙ্গলের এক ট্রাইবের উপর গবেষনা করার জন্য জঙ্গলের গভীরে চলে গেলেন। সেই ট্রাইবের সর্দারকে বিয়ে করলেন (সর্দারের একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও)। বারোটি বছর ওখানে অবস্থান করলেন। চারটি সন্তান জন্ম দিলেন। ওদের লাইফষ্টাইল এর সাথে পুরোপুরি মিশে গিয়ে ওদের জানলেন, বুঝলেন। বারো বছর পর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করলেন। হ্যাঁ, এটাই এথনোগ্রাফিক রিসার্চ।
আমিও একটা এথনোগ্রাফিক রিসার্চ করেছি। চৌত্রিশটি বছর ধরে। সেনাবাহিনীর ভেতরে ঢুকে, ওদেরই একজন হয়ে, ওদের লাইফষ্টাইলকে পুরোপুরি আলিঙ্গন করে ওদেরকে জেনেছি, বুঝেছি। আমার এই চৌত্রিশ বছরের এথনোগ্রাফিক রিসার্চ ফাইন্ডিংস বলছে, লোয়ার র‍্যাঙ্কের অভিযুক্তদের লায়াবিলিটি না নেয়া সংক্রান্ত আপনার হাইপোথিসিসটি অ্যাবসলিউটলি 'নাল'।
আমার একজন সৈনিককে কাঠগড়ায় তুলেই দেখুন না। I'll be volunteering to be the defender of the accused. আমি তো কোন অফিসারকে ডিফেন্ড করবো না। কারন, তার মেধা আছে, জাজমেন্ট করার সক্ষমতা আছে। সেজন্যই তাঁকে পদ দেয়া হয়েছে, নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে, সম্মান দেয়া হয়েছে। তার ভুলের দায় তার। একজন সৈনিক অল্পশিক্ষিত। জাজমেন্ট করার মতো, lawful and unlawful command এর পার্থক্য বোঝার মতো যোগ্যতা তার নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করার অপরাধে যদি তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়, আমি তো তাকে disown করবোনা। আমার সমস্ত যুক্তি আর মেধা দিয়ে আমি তাকে ডিফেন্ড করবো।
আপনি leadership, comradeship, esprit-de-corps এর ছিটেফোটাও না বুঝেই আন্দাজে একটা অবসোলিট হাইপোথিসিস কপচে বেশ বাহবা নিয়ে নিলেন। শেইম অন ইউ।
এবার লিগ্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, ইও আর অ্যান অ্যাবসলিউটটি প্যাথেটিক ল-ইয়ার। আপনি সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে এই যে লোয়ার এবং হায়ার র‍্যাঙ্কের মধ্যে একটা কল্পিত বিভাজন রেখা টেনে দিলেন, এটা যে বাহিনীগুলোর সংহতির জন্য কতো বড়ো হুমকি তা কি আপনি উপলব্ধি করেন? আপনি তো বৈষম্য তৈরীর উস্কানি দিচ্ছেন। আপনি লোয়ার র‍্যাঙ্ককে সরাসরি এই মেসেজ দিচ্ছেন যে তোমাদের বিপদে কিন্তু তোমাদের অফিসাররা পাশে দাঁড়াবে না। আপনার এই বক্তব্য ভীষনরকম দূরভিসন্ধিমূলক। আপনার ভাগ্য ভাল যে আমি ল-ইয়ার না। নয়তো শুধুমাত্র এই বক্তব্যের জন্য আমি আপনাকে স্যু করতাম।
যাই হোক, আপনি এমনিতেই সেলেব্রেটি। আর বেশী সমালোচনা করে আপনার উপকার করতে চাই না। যতো সমালোচনা করবো, আমার পাঠকরা উৎসুক হয়ে ভাববে- এই, কি লিখসে রে নাবিলা? আপনার ভিউয়ার বাড়বে। আপনি ফেসবুক সেলেব্রেটিই থাকুন। দয়া করে গবেষক ভাব নেবার চেষ্টা করবেন না। ওটি আপনার কম্মো নয়।
পুনশ্চ: আমার সৈনিকদের কেন নির্দোষ ঘোষনা করা হবে না, তার কৈফিয়ত চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবো আগামীর কোন লেখায়।
-ড. ইউসুফ

Adresse

Panchagarh
Democratic Republic Of The

Téléphone

+8801980908992

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque TVDaJuventude publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Partager