28/10/2025
মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহেল আজমী (অব:) এর প্রতি খোলা চিঠি
শ্রদ্ধেয় জেনারেল,
আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনাকে সামনে থেকে দেখেছি জীবনে একবার মাত্র ২০০৮ সালে। কিন্তু আমার সমসাময়িক সময়ে সেনাবাহিনীতে আপনার নাম শোনেনি কিংবা আপনার মেধা ও বিচক্ষণতা সম্পর্কে জানেনা, এমন অফিসার পাওয়া বিরল। বিগত ১৫ বছরে আপনার প্রতি রাস্ট্রীয়ভাবে যে অন্যায় হয়েছে, কোন প্রতিদান কিংবা আইনি বিচারে তা শোধ হবে বলে আমি মনে করিনা। আপনি নিখোঁজ হবার পর আপনার মৃত্যু সম্পর্কিত আমি নিজে অগণিত গুজব শুনেছি। একবার শুনেছি, আপনাকে হত্যা করে ব্রিক ফিল্ডে ফেলে দেয়া হয়েছে যেন আপনার চিহ্ন খুঁজে না পাওয়া যায়, আবার শুনেছি আপনাকে ভারতে্র কোন গোপন স্থানে বন্দী রাখা হয়েছে্, ইত্যাদি। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী যে জাতি আপনাকে জীবিত ফিরে পেয়েছে। আপনাকে যেদিন জীবিত উদ্ধার করা হলো, সেদিন উদ্বেলিত হয়ে আমি আমার স্ট্যাটাসে তা শেয়ার করেছিলাম। আমার কোর্সমেট মেজর ফেরদৌস (অবঃ) আপনার বিশেষ ভক্ত, আর আমি অপেক্ষাকৃত একজন ছোট ভক্ত, ২০০৮ সালে আপনার সাথে দেখা হওয়া এবং ৩/৪ মিনিটের আলাপচারিতা থেকে যার শুরু।
যাই হোক, আপনার প্রতি হওয়া রাস্ট্রীয় অন্যায়ের বিচার সময়ের দাবী। সোস্যাল মিডিয়াতে আপনি বরাবরই বলেছেন, বাহিনী কোন অন্যায় করেনি, বাহিনীর কিছু বিপথগামী ব্যক্তি এই অন্যায় করেছে। এখানে আমার দ্বিমত রয়েছে। আমার দৃষ্টিতে এটা সুস্পষ্ট ভাবে #রাস্ট্রীয় অন্যায়। রাস্ট্রীয় অন্যায়ের ক্ষেত্রে বাহিনী কিংবা ব্যক্তির ভুমিকা মুখ্য হওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত, তা বিতর্কের দাবী রাখে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এটা ব্যক্তি-অন্যায় হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আজ বিচারের কাঠগড়ায় রাষ্ট্র নেই, আছে কিছু ব্যক্তি আর ব্যক্তির পিছনে বাহিনীর পরিচয়। বিচার যেহেতু রাষ্ট্রের হচ্ছেনা, হচ্ছে ব্যক্তির; আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, আজ বিচারের কাঠগড়ায় যে ব্যক্তিরা যারা দাঁড়িয়ে, তাদেরকে দেখে আপনি কতখানি সন্তুষ্ট। আপনার মত বিচক্ষণ মানুষের কি একবারও মনে হচ্ছেনা যে আপনার প্রতি অন্যায় করা প্রকৃত মানুষগুলো কাঠগড়ায় নেই? আপনি সহ সারা দেশ জানে তারা সবাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিলাসী জীবন যাপন করছে। যারা দেশে থেকে গেছে, তারা বিশ্বাস করে, তারা আপনার প্রতি এবং কারো প্রতি প্রত্যক্ষ কোন অন্যায় করেনি। তাই সাহসের সাথে দেশবাসীর ঘৃণার বিপক্ষে আদালতে হাজির হয়েছে। প্রিয় জেনারেল, এরা অধিকাংশই (হয়তো সবাই নয়) আপনার মতই দেশপ্রেমিক, আপনার মতই সৎসাহস তাদের। একবার ভাবুন, এটা কেমন বিচার যেখানে মুল আদেশদাতা নেই, আদেশ পালনকর্তা ডিজিরা নেই; এমনকি মাঠ পর্যায়ের যারা আপনাকে অপহরণ করেছিলো, তারাও নেই কাঠগড়ায়। যারা আজ বিচারের মুখোমুখি, তাদের অপরাধ একটাই, তারা বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ বা প্রতিকার করেনি।
কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা আসলেই সম্ভব ছিলো কি? এবার আসা যাক, রাষ্ট্রীয় অন্যায়ে ব্যক্তির ভুমিকা নিয়ে।
বাংলাদেশে র্যাব নামক বাহিনী জন্ম কবে, আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শুরু সেখান থেকে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে আগেও হয়েছে, আমি #প্রাতিষ্ঠানিক বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা বলছি। একটা বাহিনী তৈরী করা হলো ক্রসফায়ারকে আইনি বৈধতা দেয়ার জন্য। কারা এই বাহিনী সৃষ্টি করেছিলো, আশা করি তা আপনার অজানা নয়। আপনি তখন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। একটি কোর্সের সোর্ড অফ অনার ছাড়াও অধ্যাপক গোলাম আযমের সন্তান হিসেবে আপনি আরো প্রভাবশালী ছিলেন। আজ আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনি তখন র্যাবের কর্মকান্ডে সফলভাবে বাধা দিয়েছিলেন কি? ধরে নিলাম আপনি বাধা দিয়েছিলেন; কিন্তু বন্ধ করতে পেরেছিলেন কি? পারেন নি বা হয়তো চেষ্টাটুকুও করেননি। অপারেশন ক্লিন হার্টে কি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়নি? প্রতিবাদ হিসেবে আপনি কি এপেন্ডিক্স-জে জমা দিয়েছিলেন? বা এমন কিছু করেছিলেন যেন এই রাস্ট্রীয় অন্যায় (হোক তা তথাকথিত জনকল্যাণ) বন্ধ হয়ে যায়? সম্ভবত উত্তরটি ‘না’। কারণ, রাস্ট্রীয় অন্যায়ের প্রতিকার নিয়মতান্ত্রিকতায় হয়না। সেদিন অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে যেমন পারেনি, মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে উঠে আসা এইসব অফিসারও তেমন বিগত ১৫ বছরে পারেনি। যারা প্রতিবাদি হয়ে পারার চেষ্টা করেছে, তারা হয় মেজর জাহাঙ্গীর এর মত জঙ্গি আখ্যা নিয়ে ডিবির ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, নয়তো মেজর হেলালের মতো জেল খাটার পর নির্বাসিত হয়েছে। এই কঠিন সত্যটা অনুধাবন করার পরও আপনার যদি মনে হয় শুধুমাত্র অনার বোর্ডে নাম থাকার কারণে তারা অপরাধী এবং প্রকৃত অপরাধীদের সমান মাত্রার অপরাধী, এবং এতটাই অপরাধী যে তারা আজ সারা দেশের ঘৃণার পাত্র হবে, তাহলে আমার বলার কিছুই নাই। আজ শেখ হাসিনা নেই, জেনারেল তারেক নেই, কোন ডিজি নেই, বিচারে কাঠগড়ায় আছে শুধু ৩ জন ডাইরেক্টর, এটাই যদি আপনাদের ইনসাফের সংজ্ঞা হয়, তবে আমি আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই, আল্লাহ সর্বোত্তম ইনসাফকারী; আজ যদি এই অফিসারদের কারো প্রতি অন্যায় হয়ে থাকে, আল্লাহ আবারও ইনসাফ করবেন ১০ কিংবা ২০ বছর পর; কিন্তু করবেনই।
এই ১৫ জনের সবাইকে আমি চিনিনা। যাদেরকে চিনি তাদের সম্বন্ধে দু-একটা তথ্য দিই। (১) ব্রিঃ জেঃ মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী। কমিশনের পর থেকে আজ অবধি সে পরিবারসহ রেশনের চাল খায়। অভাবে নয়, স্বভাবে সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত, তাই এমন। কাছের মানুষ হিসেবে আমি জানি যে ওর ব্যাংক ব্যালান্স শুন্য। এতে ওর কোন আক্ষেপ নাই। সিটিআইবি ডাইরেক্টর হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে সেই সময়ের হর্তা-কর্তারা এতটাই বিরাগভাজন ছিলেন যে মাত্র ১৩ মাসের মাথায় কোন ফেয়ারওয়েল ডিনার ছাড়াই তাকে বদলী করে দেয়া হয়। অবাক করা তথ্য হলো, ৫ আগস্টের পর তাকে বিগত সরকারের বিরাগভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও ডিজিএফআই তে ফিরিয়ে আনা হয়। আজ সেই মাহবুব হয়ে গেলো গুম মামলার আসামী। (২) ব্রিঃ জেঃ তানভীর মাজাহারও শুধুমাত্র অনার বোর্ডে নাম থাকার কারণে আসামী। (৩) ব্রিঃ জেঃ জাহাঙ্গীর আলম। চাকুরী জীবনে যেই ওর সংস্পর্শে, সে জানে জাহাঙ্গীর কতটা সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত। আমার জানামতে সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র অফিসার যে নারায়ণগঞ্জ র্যাবের অধিনায়ক থাকাকালীন বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সেনাপ্রধানের বিশেষ ইন্টারভিউতে এসে র্যাবের বদলী বাতিল করার আবেদন করেন। দুর্ভাগ্য যে দু’বছর পর তার আবারও র্যাবের এডিজি হিসেবে বদলী হয়। গুমের প্রতিবাদ করা জাহাঙ্গীরও আজ গুমের আসামী (৩) লেঃ কর্ণেল রেদওয়ানকে আমি আগে চিনতাম না। ৩ আগস্ট থেকে চিনি। বিজিবির পক্ষ থেকে ৩ আগস্ট তার অস্ত্র হাতে নেবার কারণ ব্যাখ্যা করা হয় ও প্রশংসা করা হয় এই বলে যে, ও মার্কসম্যান বিধায় ওকে বিশেষ ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ক্যাসুয়ালটি কমানোর জন্য, সাধারণ সৈনিক যা পারতো না। রেদওয়ানের মত একজন কমান্ডো তৈরী করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি অনেক ত্যাগ করেনি? আজ সে হত্যা মামলার আসামী। রেদওয়ান দোষী হলে তার আদেশদাতা দোষী নয় কেন? এমন অনেক প্রশ্ন আমার আছে, যার কোন উত্তর কারো কাছে নেই।
তাহলে কি বাহিনীর কোন ভুল করেনি? বাহিনীর কি কোন দায়িত্ব নেই? অবশ্যই আছে।
বাহিনী হিসেবে আমরা ভুল শোধরাবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। ৫ই আগস্টের পরপর, যখনও অপরাধীরা কেউ পালাতে শুরু করেনি, তখনই আপনার ও আপনাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার সেনাবাহিনীতেই করা যেতো। কোর্ট মার্শাল করে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেওয়া যেতো। কিন্তু আমরা তা পরিপূর্ণভাবে করিনি অথবা না করার মতো করে কিছু একটা করেছি বলেই হয়তো আজ আইসিটি তা করছে। আমি বিশ্বাস করি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সেই সময়ে সঠিকভাবে বিচার করা গেলে তা অনেক নিরপেক্ষ হতো। অন্ততঃ আইসিটি যেভাবে অনার বোর্ড ধরে সবাইকে অভিযুক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে, সেটা হতো না। সময়মত পদক্ষেপ না নেবার কারণে অনেকে পালিয়ে গেছে, তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে কিছু নিয়ম রক্ষার অপরাধী। এটা খুব কষ্টের যে, ৫ আগস্টের পর সারাদেশ যে সেনাবাহিনীর প্রশংসায় মুখর ছিল, সেই বাহিনী আজ সারা দেশে ঘৃণিত। একটি বাহিনীকে এভাবে মর্যাদাহীন করে ফেলার দায়ভার কারো না কারো তো অবশ্যই।
আজ আমাদের কমরেডশীপ শুধু প্রেসিতেই সীমাবদ্ধ। আমরা দেখেছি ৫ আগস্টের পর পুলিশ কর্মবিরতিতে গেছে শুধুমাত্র তাদের ভাইদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে। পুলিশে কি অন্যায়কারী ছিলো না? গুমকারী ছিলো না? পুলিশ কি রাস্ট্রীয় অন্যায়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না? ডিজিএফআই থেকে তাদের অন্যায় কোন অংশে কম? কিন্তু অন্যায় না করেও আক্রমনের শিকার হয়েছে, প্রাণ দিয়েছে এমন পুলিশও তো ছিল। আমি স্যালুট জানাই পুলিশের এই ভ্রাতৃত্ববোধকে। আজ একটি বাহিনীর প্রতি অন্যায় হচ্ছে, বাহিনীর এতদিনের অর্জন ভুলুন্ঠিত হচ্ছে, এবং আমরা এখনো ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতিতে আছি। আজ বিচারের কাঠগড়ায় ১৫ জন অফিসার নয়, ১৫ টি সংখ্যামাত্র; এরা হিসেবের বাইরে চলে গেলে কারো কারো কপাল খুলবে, অনেকে আছে সেই অপেক্ষায়। ৫ আগস্ট আমাদের এতটুকু পরিবর্তন করেনি। আমি ৫ আগস্ট রাত থেকেই আমাদের মধ্যে গিরিগিটির মত রঙ পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি। প্রায় ৫ বছর ডিজিএফআই এর সিআইবি দাপিয়ে বেড়ানো একজনকে দেখেছি ৫ তারিখ রাতেই পোস্ট দিয়েছে, “শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবু সাঈদ সেনানিবাস করা হোক”। শেখ মুজিবের আত্মজীবনী সরকারী পয়সায় আরবীতে তরজমা করে পদোন্নতি পাওয়া আরেকজন আয়নাঘর থেকে আপনার মুক্তির ভিডিও দিয়ে পারলে এক বালতি কান্না করে ফেলে। এসব গিরগিটিরা এখনও ক্ষমতার ছায়াতলে আর মাহবুব, তানভীর, জাহাঙ্গীররা কারাগারে। আজ আইসিটি কোন পার্লামেন্ট ছাড়াই আইন সংশোধন করছে, এবং বিচার করছে। আমি আবারও বলছি, আল্লাহ উত্তম ইনসাফকারী। এবং তিনি ইনসাফ করবেনই।
এই বাহিনীকে সম্পর্কে আপনার পজিটিভ বক্তব্য কি আপনার মনের কথা, নাকি রাজনৈতিক বক্তব্য, তা আমি জানিনা। তবে সেই আপনিই যখন প্রকৃত অপরাধীরা পালিয়ে যাবার পরও নিয়মরক্ষার অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাচ্ছেন, আপনার প্রতি আলাদা শ্রদ্ধার জায়গা থেকে আমার ভেতরে উচ্চারিত হচ্ছে যে, এই আজমী স্যারকে আমি চিনিনা। এই অফিসারদের স্ত্রীরা কেউ কেউ কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, অপরাধ করলে সেনা আইনে বিচার করে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠিয়ে দেন, কিন্তু ইউনিফর্মকে এভাবে সম্মানহীন করবেন না। স্যার, আপনার প্রতি হওয়া রাস্ট্রীয় অন্যায়ের বিচার এটা না, এটা প্রহসন। অন্যায়ের বিচার অন্যায় দিয়ে হলে সমাজে একসময় অন্যায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। ভবিষ্যৎ সেনাবাহিনীর জন্য তা অত্যন্ত ভয়ংকর। আজকের পর থেকে আত্মমর্যদাসম্পন্ন তরুনরা সেনাবাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে কতটা আগ্রহী হবে, সেটা সময়ই বলে দিবে। তারপরও হয়তো আইএসএসবি দিতে অনেক প্রার্থী আসবে, পরীক্ষা দেবে। তবে যারা আসবে, তারা চাকরীর জন্য আসবে, প্রাইড থেকে আসবে না।
প্রিয় জেনারেল, আপনাকে আরেকবার অনুরোধ করতে চাই। শতভাগ স্বীকার করছি যে আপনার প্রতি অবর্ণনীয় ও অপূরণীয় অন্যায় করা হয়েছে। সাথে সাথে এটাও দাবী করছি, এদের প্রতি, এই পরিবারগুলোর প্রতিও অন্যায় হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করতে চাই, আপনি এই অন্যায় হতে দিবেন না।