04/02/2024
ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ভূমিকা বিস্তৃত। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা একটিকে ছেড়ে অন্যটি কল্পনাতে আসেনা ।
১৯৪৭ সালের পাকিস্তান সৃষ্টির আগে প্রথম বৈঠক হয়েছিল কলকাতার সিরাজউদৌলা হোটেলেএকটি কক্ষে । তখন উপস্হিত ছিল কাজি ইদ্রিস, শেখ মজিবুর রহমান , শহীদুল্লাহ কায়সার , রাজশাহীর আতাউর রহমান, আখলাকুর রহমান । আলোচ্য বিষয় ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্টার , পাকিস্তান প্রতিষ্টার পর রাষ্টভাষা কি হবে । তখন শেখ মজিবুর রহমান প্রথম প্রস্তাব করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা হবে বাংলা ।
তার ফলশ্রুতিতে ৬-৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা সম্মেলনপর আহ্বান করা হয় ঢাকা মিউনিসিপালিটির ভাইস চেয়ারম্যান খান সাহেব আবুল হাসনাতের বাড়িতে কিন্ত উর্দুভাষা পন্হিরা বাধা সৃষ্টি করেছিল খাজা নিজামুদ্দিনের সরকার এবং তার অনুগ্রহপুষ্টরা । ৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নিল পূর্ব পাকিস্তানের গনতান্ত্রীক যুব লীগ । তখন কমিটির গৃহিত প্রস্তাব গুলি পাঠ করেন ছাত্রনেতা শেখ মজিবুর রহমান । প্রস্তাবে বাংলা ভাষা পূর্ব পাকিস্তানের লিখার বাহন ওআইন আদালতে বাংলাভাষা করা হউক এবং শিক্ষাব্যবস্হায় প্রবর্তন করা হউক । ১৯৪৮ সালে ২৩ শে ফেব্রুয়ারী লিয়াকত খান বাংলা ভাষা কে দিক্কার জানান ও রাজা গজনফর আলী খান উর্দুকে রাষ্ট ভষা করার কথা ব্যক্ত করেন ।
তখন ঢাকায় রাষ্ট ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গটিত হয় । বাংলা ভাষার জন্য ১১ মার্চ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিলেন , ১০ ই মার্চ রাতে পিকেটিং করার জন্য ছাত্র নেতা শেখ মজিবুর রহমান কে সমর্থন দিলেন
অলি আহাদ, তোয়াহা, মোগলটুলির শওকত সাহেব, শামসুল হক সাহেব ,
এভাবে চলতো চলতে ১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভাষার জন্য হরতাল হল । অনে ভাষা সৈনিক শহিদ হল । ভাষার জন্য ও নির্যাতিত বাংগালির জন্য শেখ মজিব জেল খেটেছেন অনেকবার। পরিশেষে ভাবলেন সতন্ত্র স্বাধীন দেশ না হলে বাংলার জনগন শান্তি পাবেনা । বঙ্গ বন্ধু স্বাধীন রাষ্টের স্বপ্ন দেখেন এবং স্বাধীন করেন । জয় বাংলা