09/06/2025
ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা ঢাকা রিপোর্টার ঢাকা ::: জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে মিলাদ ও দোয়া সম্পন্ন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। ১ মে ২০২৫ সালে দুপুর তিনটার পর নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্যও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী বৃন্দের উপস্থিতির মাধ্যমে মিলাদ ও দোয়া এবং মহান বারে এলাইহি আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনার মাধ্যমে তাহার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের প্রিন্সিপাল এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ বার কাউন্সিলের সভাপতি এডভোকেট হুমায়ুন কবির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান,,মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল এডভোকেট সালাউদ্দিন সবুজ, প্রভাষক এডভোকেট রাসেল প্রধান, সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচলনা করেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের অধ্যক্ষ এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।। তিনি পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাদেরই সুযোগ্য পুত্র জনাব তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করেন।
এসময় আইন কলেজের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী শহীদ জিয়া রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন, আইন কলেজের তার মধ্যে এক ফাইনাল পরীক্ষার্থী নেত্রী ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা বক্তব্য বলেন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় নেতৃবৃন্দ সরকারি বৃন্দ সকল শুভনুধ্যায়ীগণ আসসালামু আলাইকুম।
প্রতিবছরে মে মাসের এই দিনটি শহীদ জিয়া রাহমানের পরিবারের আসে এক বেদনা বিধুর স্মৃতি নিয়ে এই দিনে শুধু শহীদ জিআর পরিবারে নয় বরণ সমগ্র দেশেই হয়ে উঠে পড়েছিল বেদনার্ত ও অভিভাবকহীণ। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মমানের সাথে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন হচ্ছে মার্চ তারিখে মেজর জিয়া রহমান চট্টগ্রামের কালুবঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৯১ সালে ম্যান্ডেট দ্যা আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃপ্ত পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে যান ৭ নভেম্বর স্পৃহার এক জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশ। সময়ের প্রবাহমানতায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা , কুশিয়া প্রবাহ করেছে বাঁক বদল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির মশাল তুলে দিয়েছেন তার সৌভাগ্য উত্তরসূরী সন্তান তারেক রহমানের কাছে।
জিয়া রহমান এদেশের সাথে নাম অবিচ্ছেদ্য করে ছিলেন, চট্টগ্রামে এক সকল সৎ দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন
এদেশের গণতন্ত্র স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা স্বনির্ভরতা ও উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদ দৃষ্টির অনন্য রূপকার শহীদ জিয়া।
যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আরও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ের তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন , সেই গণতন্ত্রের যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত প্রতি পদে পদে, খুব শীঘ্রই আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনঃ প্রতিষ্ঠা দেখতে পাবো
এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার আপসহীন নেত্রী এই লক্ষ্যে সুশৃংখলভাবে এগিয়ে চলার জন্য বিএনপি'র সকল পর্যায়ে নেতাকর্মী ও দেশবাসী প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আরো বলেন মনে রাখবেন সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখেছেন গেছেন তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদ্রোহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন
নারায়ণগঞ্জের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সভাপতি খন্দকার মোঃ সাদ্দাম হোসেন,
সদস্য সচিব ফজলে রাব্বি মহিউদ্দিন,
স্মৃতি, লিজা, তিন্নি, রাফি, পারলি, ইউনুস, সাইফুল, রিপন, অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী প্রমূখ ছিল।