12/05/2025
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা দিয়ে প্রবেশ করেছে ২৭ ভারতীয় বাংলাভাষী মুসলমান
অপেক্ষায় আছে আরো ৬০০ জন
এরা সবাই গুজরাটের লোক
প্লেনে উড়িয়ে এনে ত্রিপুরা দিয়ে ওদের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ!
গতকাল ভোর ৪টায় আরো ৭৮ বাংলাভাষী মুসলমানকে পুশইন করেছে বিএসএফ
ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা সুন্দরবন সীমান্তে মান্দারবাড়ি এলাকায়
আন্তর্জাতিক কোনো আইনেই এরকম চোরের মত অন্য দেশের ভূখন্ডে ঢুকে পুশইন করার লিগ্যাল ভিত্তি নেই
এটা মাত্র শুরু, শুরুটা ছোট স্কেলেই হয়
১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গারাও অল্প স্কেলে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করেছিলো
সেসময় মায়ানমার জান্তা অপারেশন নাগামিন চালিয়ে ২ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গাকে আরাকান থেকে বাংলাদেশের দিকে তাড়িয়ে দেয়
১৯৭৯ সালে ১ লাখ ৮৭ হাজার জনকে ফেরত পাঠানো হয়।
বাকিরা? তারা আর ফিরতে পারে নি, মিশে গেছে বাংলাদেশে।
১৯৯১-৯২ সালেও ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন ধত্যা-ধর্ষণের শিকার হয়ে আড়াই লাখ রোহিঙহা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়
২০০৮ সালের মধ্যে তাদেরকে জোর করে ফেরত পাঠানো হয়
কিন্তু দেখেন, লংটার্মে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হয় নি
বিভিন্ন টার্মে মিয়ানমার আর্মি কিংবা আরাকান আর্মি বারবার রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালায় আর তাদেরকে এপাড়ে ঠেলে দেয়
রোহিঙ্গা সমস্যা এখন বাংলাদেশের একটা বিষফোঁড়া
এই সমস্যাকে কেন্দ্র করেই ইন্টেরিমের উপর ভর করে ইউএন করিডোর নিয়ে নিতে চাচ্ছে আমেরিকা!
এই ফাঁদে পড়তে হতো না, যদি ১৯৭৮ সালেই বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ শক্তভাবে মিয়ানমার সরকারকে ব্যাপারটা সমাধান করতে চাপ দিতে পারতো।
তো শুরুটা ছোট স্কেলেই হয়
কিন্তু বড় স্কেলে অনুপ্রবেশের জন্য কিন্তু ২০ লাখ ভারতীয় মুসলমান আসামে বসে আছে
সিলেটের পাশের রাজ্যে এনআরসি করে ২০ লাখ মানুষকে ভারত নাগরিকত্ব দেয় নি
তাদেরকে ভারত বলছে তারা বাংলাদেশি
ঠিক যেমন আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদেরকে বলে তারা বাংলাদেশি অভিবাসী!
যদি হঠাৎ একদিন আরাকানের মতো আসামেও আসামীজ মুসলমানদের উপর গণহত্যা শুরু হয়?
যদি তাদেরকেও রোহিঙ্গাদের মতো সিলেট-সুনামগঞ্জ দিয়ে লার্জ স্কেলে পুশইন শুরু হয়?
বাংলাদেশ আসলে কী করবে?
বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারকে এখনই এইবিষয়ে ভাবতে হবে।
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভারত সরকারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনায় বসতে হবে।
নইলে নিকট ভবিষ্যতে বারবার যুদ্ধ-শরণার্থী-করিডোর চক্রে ঘুরপাক খাবে বাংলাদেশ
ভেঙে খানখান হবে মানচিত্র, হারাতে হবে সার্বভৌমত্ব।