
26/06/2025
বর্তমান সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট
ফেসবুক-ইউটিউব থেকে উপার্জন কি হালাল?
ব্যবসার পরিধি অনেক বড়। বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইনেও নানা ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুক-ইউটিউবকে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকে। ফেসবুকে মার্কেটিং, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, মিডিয়া ম্যানেজিং কিংবা বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের উপায় আছে। আবার ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে উপার্জনের বিষয়টিও ইদানীংকালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।
উপার্জন যে উপায়েই হোক না কেন, হালাল হওয়ার জন্য মৌলিকভাবে দুটি মূলনীতি খেয়াল রাখতে হয়। ১) ব্যবসায়িক পণ্য, উৎপাদন ও কারবার বৈধপন্থায় হতে হবে। অবৈধ পণ্যের ব্যবসা ও কারবারকে ইসলাম বৈধতা দেয় না। যেমন মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ, অশ্লীলতা ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত হওয়া। বিষয়গুলোকে ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে। ২) ব্যবসায় কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল, মিথ্যাচার ও ফাঁক-ফোকর থাকা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তুমি তোমার নিজের জন্য যা ভালোবাসো তা অন্যের জন্যও ভালোবাসার আগ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি: ১৩)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩১৪৭; সহিহ মুসলিম: ১৬৪; ইবনে মাজাহ: ২২২৫; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৯০৫)
অতএব, যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয় কিংবা যেসব কনটেন্ট বা ছবি শরিয়তের মূলনীতিবিরোধী, সেসব ভিডিও-কনটেন্ট-ছবি ইত্যাদি দেখা, প্রচার করা, লাইক করা, সেসব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা কোনোটিই বৈধ নয়। তা থেকে উপার্জনও বৈধ নয়। অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই সহযোগিতাকারীরা গোনাহগার হবেন এবং তাদের উপার্জিত অর্থও হালাল হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।’ (সুরা মায়েদা: ২)
আর যদি নাজায়েজ কনটেন্ট বা ভিডিও না হয়, তাহলে লাইক-কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব, ভিডিও আপলোড, ছবি-কনটেন্ট আপলোড করে উপার্জন করা জায়েজ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে গ্রাস (আত্মসাৎ) করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ব্যবসা করে ভোক্তা কিংবা গ্রাহকের কাছ থেকে শুধু অর্থ উপার্জন হচ্ছে তা নয়; বরং পণ্যের আদান-প্রদানে পরস্পরের সেবা হচ্ছে। তাই শুধু নিজের স্বা