20/09/2024
হরে কৃষ্ণ ৫২৪৬_তম_দামোদর
সুধী ভক্তসজ্জন, আগামী ১৭ই অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হচ্ছে দামোদর ব্রত, চলমান থাকবে আগামী ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত।
চাতুর্মাস্যের চর্তুথ মাস অর্থাৎ কার্তিক মাসকে বলা হয় দামোদর মাস, কেননা এই মাসটি ভগবান দামোদর রূপের আরাধনার জন্য নির্দিষ্ট। মা যশোদা শিশু কৃষ্ণকে দাম বা রজ্জুর দ্বারা বন্ধন করেছিলেন--সেজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম হল দামোদর।
জানা_অবশ্য : দামোদর লীলা সংগঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৫২৪৬ বছর পূর্বে এবং সেদিন ছিল দীপাবলি মহোৎসব। দামোদর লীলায় শ্রীকৃষ্ণের বয়স ছিল ৩ বছর ৪ মাস।
অন্যান্য_উৎসব : দামোদর মাসে দামবন্ধন লীলা ছাড়াও অন্নকূট মহোৎসব, রাধাকুন্ড ও শ্যামকুন্ডের আবির্ভাব তিথি (বহুলাষ্টমী), তুলসী-শালগ্রাম বিবাহ, গোপাষ্টমী, বলিদৈত্যরাজপূজা, ভীষ্মপঞ্চক, গিরি-গোবর্ধন পূজা ও দীপাবলি লীলাও সংগঠিত হয়েছিল।
সময়কাল : আগামী ১৭ই অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হচ্ছে দামোদর ব্রত, চলমান থাকবে আগামী ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত।
ব্রত_পালনের_সুফল
--------------------
▪দামোদর মাসে অন্নাদি দান, হোম, তপস্যা, জপ করলে তা অক্ষয় ফলপ্রদা হয়।
▪সর্বতীর্থে যে স্নান, সর্বদানের যে ফল তা দামোদর মাসের কোটি অংশের একাংশেরও সমান হয় না।
▪যে মানব দামোদর মাসে শ্রীবিষ্ণু মন্দির প্রদক্ষিণ করার ফলে সে পদে পদে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফলভোগী হয়।
▪দামোদর মাসে শ্রীহরির সম্মুখে নৃত্য, গীত, বাদ্যধ্বনি এবং ভক্তিসহকারে কীর্তন করার ফলে অক্ষয়পদ বিষ্ণুধাম প্রাপ্ত হওয়া যায়।
▪হে মুনিবর! পবিত্র দামোদর মাসে যিনি হরিকথা শ্রবণ করেন, তিনি শতকোটি জন্মের আপদসমূহ হতে নিস্তার পান।
▪দামোদর মাসে নিমেষার্দ্ধকাল দীপদান করার ফলে সহস্রকোটি কলা অর্জিত বহু পাপ বিনষ্ট হয়।
👇
দামোদর_ব্রত_মাহাত্ম্য, স্কন্দ পুরাণ]
না_পালনের_কুফল
------------------
▪যে গৃহী দামোদর ব্রত পালন না করেন, তার অন্যান্য ধর্মাচরণ বৃথা হয়, কল্পকাল নরকবাসী হয় এবং পিতৃমাতৃ ঘাতক সমতুল্য ও পশু-পাখি যোনিতে জন্ম লাভ করে।
▪হে মুনিবর! যে মানব দামোদর ব্রত না করে, সে ব্রহ্মঘাতী, গোঘাতী, স্বর্ণচোর ও সর্বদা মিথ্যাবাদী।
▪হে বিপেন্দ্র! বহু পূজা করে এবং শতবার পিতৃ-মাতৃগণের শ্রাদ্ধ করেও দামোদর ব্রত না করার ফলে স্বর্গপ্রাপ্তি হয় না।
▪দামোদর ব্রত না করলে যে উৎকৃষ্ট দান, সুমহান তপস্যা ও জপ সকলই বিফল হয়।
▪হে নারদ! দামোদর মাস সদৃশ উত্তম বৈষ্ণব ব্রত পালন না করলে সপ্ত জন্মার্জিত পুণ্য বৃথা হয়।
👇
ব্রহ্মা_নারদ_সংবাদ, স্কন্দ পুরাণ]
করণীয়
------------
এই মাস সর্বাপেক্ষা ভগবানের প্রিয় বলে প্রতিদিন ভগবান দামোদরের অর্চন, প্রাতঃস্নান, দীপদান, দামোদরাষ্টকম্ পাঠ (সত্যব্রত মুনি প্রণীত) ও দান ব্রতাদি পালন করবেন। মন্দির প্রদক্ষিণ, শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং হরিকথা শ্রবণের ফলে পুনর্জন্ম রহিত হয়।
👇
(শ্রীশ্রীহরিভক্তিবিলাস)
বর্জনীয়
------------
দামোদর মাসে মৎস্য, মাংস ভক্ষণে নরকত্ব প্রাপ্ত হয়। (ঔষধ হিসেবেও বর্জনীয়), মাসকলাই (অড়হর ডাল), বরবটি, শিম, কলমী শাক, পটল, বেগুল, তৈল, মধু, কাসার পাত্রে ভোজন ও পঁচা বাসি দ্রব্য বর্জন। দিবশয্যা ও শ্রীসঙ্গ দামোদর মাসে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
👇
( #শ্রীশ্রীহরিভক্তিবিলাস)
#শ্রীল_জয়পতাকা_উবাচঃ
----------------------
|| প্রকৃতপক্ষে স্কন্দ-পুরাণ ও অন্যান্য পুরাণ হতে আমরা জানতে পারি যে, যদি আমরা (দামোদর মাসে) শ্রীবিগ্রহগণকে প্রদীপ নিবেদন করি তাহলে ১০০০ গুণ সুফল লাভ করি এবং অন্যান্য কাজের জন্য ১০০ গুণ সুফল লাভ করি ||
🔥
#প্রদীপ_দেখানোর_নিয়মাবলী
------------------------
ঘৃত বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে ভগবানের চরণে(👣)চারবার, নাভি দেশে(⛄)দুইবার, মুখমন্ডলে(😊)তিনবার এবং সর্বাঙ্গে(🧍)সাতবার ডানদিক থেকে প্রদীপ ঘুরিয়ে আরতি করুন। মাটির প্রদীপ একবারই ব্যবহারযোগ্য।
🌿সকলের মঙ্গল কামনায়
``দামোদর মাস মানেই ১০০০ গুণ বোনাসের মাস। পড়ুন কিভাবে?....................................................................
৩০০০ বার বিষ্ণু নামে ১ বার কৃষ্ণ নামের সমান হয়। আর এই দামোদর মাসে মাত্র ১ বার কৃষ্ণ নাম নিলে ১০০০ বার কৃষ্ণ নামের সমান হয়।
আমরা জানি, প্রতিদিন ১৬ মালা করে ১ কোটি মহামন্ত্র জপ করতে প্রায় ১৬ বছর সময় লাগে।
কিন্তু এই দামোদর মাসে ভগবান আমাদেরকে একটি বিশেষ বোনাস উপহার দিচ্ছেন।
মাত্র ১ বার কৃষ্ণ নাম নিলে ১০০০ বার কৃষ্ণ নামের সমান হবে। অর্থাৎ ১০০০ গুণ বেশি ফল পাওয়া যাবে।
যদি কেউ প্রতিদিন ১৬ মালা জপ করেন তাহলে অনায়াসে সে এই ৩০ দিনেই প্রায় ৫ কোটি মহামন্ত্র জপের সমান ফল পাবেন। অর্থাৎ প্রায় ৮০ বছরের ফল পাচ্ছেন মাত্র এই ১ মাসে।
তাই এই দামোদর মাসকে ভগবানের বিশেষ বোনাসের মাসও বলা হয়।
আচ্ছা আপনি কি দামোদর মাস পালন করতে পারেন বা জানেন কি দামোদর মাস পালন করতে কি কি নিয়ম মানতে হয়?
#হরে_কৃষ্ণ
দামোদর মাসের মাহাত্ম্য
" দামোদর মাস একটি অত্যন্ত বিশেষ মাস। কারণ এই মাসে আপনি যাই করুন না কেন তার জন্য আপনি বহুগুণ বেশি সুফল লাভ করবেন। শংখাসুর নামক এক ভয়ঙ্কর অসুর ছিল যার ভয়ে দেবতারা মেরু পর্বতে লুকিয়ে ছিল। সে জানতো না তারা কোথায় ছিল। তাই সে সত্যলোকে গিয়ে মূর্তিমান বেদসমূহকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিল। কেননা এই উপায়ে দেবতারা তাদের কাছে বেদ না থাকায় শক্তি হারাবে, ফলে সে রাজত্ব করতে পারবে। তাই সে সত্যলোকের দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু মূর্তিমান বেদসমূহ তার আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যান; সে তাদের তাড়া করে। তারা জলে লুকিয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদের জলে দ্রবীভূত করে রাখে। সে ভাবল তারা নিশ্চয়ই কোথাও লুকিয়ে আছে। তাই সে জলের নিচের গুহা, পর্বত আদি খুঁজে দেখতে লাগল, "মূর্তিমান বেদসমূহ কোথায়?" কিন্তু বেদসমূহ জলে মিশে ছিল। তাই দেবতারা ভাবল এই আমাদের সুযোগ, আমাদেরকে যেতে হবে; শুধুমাত্র বিষ্ণুই আমাদের রক্ষা করতে পারে। তাই তারা ক্ষীরসমুদ্রে গিয়ে জপ করতে শুরু করল - তারা ভাবল, "যেহেতু এটি বর্ষা ঋতুর শেষ মাস, ভগবান এখন বিশ্রাম গ্রহণ করেন। যদি আমরা হঠাৎ তাঁকে জাগিয়ে তুলি হয়তো তিনি রেগে যেতে পারেন এবং তা ঠিক হবে না। তাই চলুন আমরা সকলে হরে কৃষ্ণ জপ করি এবং এভাবে যখন তিনি জেগে উঠবেন তিনি ভীষণ আনন্দিত হবেন।" তাই তারা জপ করতে শুরু করল...
কীর্তন:
গুরুমহারাজ: হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
ভক্তবৃন্দ: হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু জেগে উঠে সমস্ত দেবতাদের জপ করতে দেখে সত্যিই খুব আনন্দিত হলেন। তিনি এতটাই আনন্দিত হলেন যে তিনি বললেন, "এই মাসের এই তিথিতে যেকোন কৃষ্ণভাবনাময় বা পারমার্থিক কর্ম করা হোক না কেন আমি তার জন্য ১০০ গুণ বেশি সুফল প্রদান করব"
হরিবোল! (গুরুমহারাজ বললেন)। হরিবোল! (ভক্তরাও বললেন)।
তিথিটি ছিল একাদশী তিথি এবং মাসটি ছিল দামোদর অথবা কার্তিক। হরে কৃষ্ণ! তাই এই দামোদর মাসে আপনারা ১০০ গুণ বেশি সুফল লাভ করেন।
প্রকৃতপক্ষে স্কন্দপুরাণ ও অন্যান্য পুরাণ থেকে আমরা জানতে পারি যে যদি আমরা শ্রীবিগ্রহগণকে প্রদীপ নিবেদন করি তাহলে সেজন্য আমরা ১০০০ গুণ সুফল লাভ করি এবং অন্যান্য কাজের জন্য ১০০ গুণ সুফল লাভ করি। কিন্তু শ্রীবিগ্রহগণকে প্রদীপ নিবেদন সত্যিই ভীষণ শুভ। প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার পিতৃপুরুষদের মুক্ত করতে পারে। তাই আমরা আমাদের ভক্তদেরকে উৎসাহিত করছি যেন তারা অন্যদেরকে জপ করতে উদ্বুদ্ধ করেন।"
-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ।
২১শে অক্টোবর,২০১০।
ইসকন চৌপাটি।
দামোদর মাসের লক্ষ্য!
"বহু বছর পূর্বে, যখন আমি মালয়েশিয়া ভ্রমণ করছিলাম আমি এক সুবিশাল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলাম, যা বিভিন্ন পুরাণ থেকে সংগৃহীত দামোদর মাসের মহিমার প্রমাণসহ ব্যানারের মাধ্যমে সুশোভিত করা হয়েছিল। বৈদিক সাহিত্যে এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় যে দামোদর মাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কতটা প্রিয়। এই মাসে পূর্বপুরুষেরা উদ্ধারপ্রাপ্ত হতে পারে যদি সেই পরিবারের একজন ভক্ত দীপদান করেন। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলো এই মাসে কোনো ব্যক্তি শুদ্ধভক্তি প্রাপ্ত হতে পারেন।
মিলনায়তনের আলো নেভানো হলো এবং মোমবাতি হাতে শিশুদের একটি শোভাযাত্রা এসে উপস্থিত হলো। একটি শিশু হাতে কিছু ধরে ছিল যা বাঁশির মতন দেখাচ্ছিল কিন্তু আসলে এটি ছিল একটি মোড়ানো কাগজ। সে সেই মোড়ানো কাগজটি আমার হাতে দিল, এবং সেই কাগজে ভগবান দামোদরের সেবার উদ্দেশ্যে ভক্তদের পরিকল্পনা ব্যক্ত ছিল- "আমাদের লক্ষ্য হলো কার্তিক মাসে ১০০৮ টি গৃহে দামোদর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা! "
যখন আমি এই বার্তাটি উচ্চৈঃস্বরে পড়লাম, সমবেত শ্রোতা ভক্তমণ্ডলী আনন্দে উল্লসিত হলো এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন শুরু হলো।
মালয়েশিয়ান ভক্তগণ পরবর্তী বছরটি সম্পূর্ণরূপে সেই সংকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন, এবং সবকিছু বাস্তবসম্মতভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল। তাদের সুচারু পরিকল্পনা সুসম্পন্ন হলো - তারা ১৩০০টি গৃহে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং সর্বমোট ১২,০০০ ঘৃতপ্রদীপ ভগবান দামোদরের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়েছিল।
এই অভিযানের ফলে অনেক নতুন মানুষ কৃষ্ণভাবনামৃতের স্বাদগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল, এবং ভক্তেরা সেই নবাগতদের ভক্তিযোগের স্বাদ আস্বাদনের জন্য নিয়মিত নামহট্ট অনুষ্ঠান এবং মন্দিরের উৎসবে আসার আমন্ত্রণ জানালেন। এটি এক অনন্যসাধারণ এবং শক্তিশালী শাস্ত্রসম্মত কার্যক্রম।
এই ধরনের কার্যক্রম অন্যান্য উপলক্ষেও আয়োজন করা যেতে পারে, যেমন পূর্ববর্তী আচার্যদের আবির্ভাব ও তিরোভাব দিবসে এবং একাদশীতে। বৈশাখ মাস (এপ্রিল- মে) হলো ব্রতপালনের জন্য আরেকটি পবিত্র সময়। যখনই কৃপালাভের সুযোগ পাওয়া যায়, ভক্তেরা ভক্তিযোগে অধিকতর যুক্ত হতে এবং প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। "
~ শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
দামোদর শুভেচ্ছাবার্তা- শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ।
" তো আমরা দামোদর মাসের ঠিক প্রাক্কালে আছি। আমরা পূর্ববর্তী মাসের শেষার্ধে আছি, যা আশ্বিন নামে পরিচিত এবং পরবর্তী মাস কার্তিককে বৈষ্ণবেরা দামোদর মাস বলে জানেন। উদ্ভূত শাস্ত্রসমূহে এই দামোদর মাস পালনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে অনেক বিবৃতি আছে। একটি কাহিনী হলো ব্রহ্মাণ্ডে কোন জরুরি পরিস্থিতি ছিল এবং দেবতারা ক্ষীরসমুদ্রে আসলেন যেখানে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুর বিশেষ আলয় অবস্থিত এবং তাঁরা ভাবলেন এখন কী করা যায়, ভগবান যোগনিদ্রায় আছেন এবং আমরা যদি তাঁকে হঠাৎ জাগিয়ে তুলি, তিনি হয়তো আমাদের প্রতি রাগান্বিত হবেন। তো তখন তাঁরা হরে কৃষ্ণ মন্ত্র কীর্তন এবং নৃত্য করার সিদ্ধান্ত নিলেন। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। তো পরমেশ্বর ভগবান বিষ্ণু, তিনি তাঁর দূতগণ দেবতাদের প্রতি মহামন্ত্র কীর্তনের জন্য এতটাই সন্তুষ্ট হয়েছিলেন যে, তিনি ঘোষণা করলেন যে, এই তিথিতে এবং এই মাসে কৃত এবং সম্পাদিত যেকোন বিশেষ কার্য একশ গুণ সুফল লাভ করবে। তো তিথিটি ছিল একাদশী এবং তখন থেকে একাদশী ছিল একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। মাসটি ছিল দামোদর মাস, কার্তিক৷ এবং দামোদর মাসও একটি বিশেষ মাস ছিল।
এছাড়াও ভগবান দামোদর এবং যশোদাকে প্রদীপ নিবেদন কীভাবে আমাদের বিশেষ কৃপা প্রদান করে যে, এটি কেবল প্রদীপ নিবেদনকারীকেই নয়, তার পরিবারকে, তার পূর্বপুরুষগণকে, তার পরবর্তী বংশধরবৃন্দকে উপকৃত করে, এর বহু সুফল রয়েছে৷ তো প্রতি দামোদর মাসে ভক্তেরা বাহিরে যাবে এবং যত বেশি সংখ্যক মানুষদেরকে সম্ভব যশোদা এবং দামোদরকে এই প্রদীপ নিবেদনে নিযুক্ত করবে। প্রদীপ নিবেদনের সময় এই মাস সম্পর্কে রচিত নমামীশ্বরম সচ্চিদানন্দরূপম গানটি কোন ব্যক্তির জন্য কৃষ্ণের মাহাত্ম্যসমূহের উপর ধ্যান করার একটি উপায় এবং কোন ব্যক্তি হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করতে পারেন যা একটি সরল বিকল্প।
তো গত বছরে আমরা ২.৫ মিলিয়ন সংখ্যক প্রদীপ নিবেদন করেছিলাম। তো যখনই শ্রীল প্রভুপাদকে কোন প্রতিবেদন দেয়া হত আমরা শ্রীল প্রভুপাদকে জিজ্ঞেস করতাম আপনি আমাদের পরের বছর কী করতে দেখতে চান এবং তিনি বলতেন একে দ্বিগুণ করো। তো এই বছরে আমরা ৫ মিলিয়ন মানুষদেরকে দামোদর ব্রতের প্রদীপ নিবেদনে নিযুক্ত করতে চাই। তো অনেক মানুষ এই দামোদর পূজায় অংশগ্রহণকারী লোকেদের যোগাযোগের ঠিকানা পায় এবং যখনই সম্ভব ও যেভাবেই সম্ভব আমরা তাদের যোগাযোগের ঠিকানা পাই এবং পরবর্তীতে আমরা তাদের অনুশীলন করাতে পারি এবং কিছু আধ্যাত্মিক কার্যে নিযুক্ত করি, এটি দামোদর পূজার প্রভাবকে বর্ধিত করে।
পাশাপাশি দামোদর ব্রত একটি বিশেষ প্রচার অনুষ্ঠান। এটি কেবল নতুন মানুষদেরই অনুশীলন করায় না, বরং ভক্তিবৃক্ষ এবং মন্দিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বহু মানুষদেরও ফেরত দেয়। এটি একটি অত্যন্ত চমৎকার অনুষ্ঠান। এবং মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ নিয়ে এসেছে যা আপনারা আপনাদের মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং আপনার দামোদর অংশগ্রহণকারীদের হিসেব রাখতে পারেন। এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কেন্দ্রীয় বেইসে আপলোড হবে এবং তখন আমরা দেখতে পারব কীভাবে এই বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তি, প্রতিটি মন্দির দামোদরকে প্রদীপ নিবেদন করছে। তো এইভাবে আপনাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিবেদন পেশ হবে।
তো আমি আশা করি অনেক নতুন পদ্ধতি আপনাদেরকে এই দামোদর মাসকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে সাহায্য করবে। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ! এবং ভক্তিবৃক্ষ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা দামোদর প্রদীপ নিবেদন প্রচার অনুষ্ঠান বর্ধিত করার এই উদ্যোগ ঘোষণা করে আনন্দিত। হরে কৃষ্ণ। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ!
আপনাদের সেবক
জয়পতাকা স্বামী। "
Sâgør Kümàr Hrîdøy