Nafis Mahamud

01/10/2024

27/07/2024

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা (যারা নতুন শিক্ষাক্রমকে ভালো বলেন, তাদের পড়া উচিত)ঃ

অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম লিখবো। কিন্তু লিখবো লিখবো করে আর লিখা হচ্ছিল না। আজ অবশেষে লিখতে বসেছি। আমরা সকলেই জানি ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিরাট এক পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই বছর ক্লাস ৯ এও এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। সৃজনশীল পদ্ধতির বদলে হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া নামক এমন এক পদ্ধতি নিয়ে এসেছে; যাতে আসলেও দেশের কল্যাণ হবে কিনা, এর গ্যারান্টি নেই। তাই আজ আমার নিজের কয়েক মাসের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার উপর ভিত্তি করে লিখতে বসেছি। আশা করি সকলে ধৈর্য সহকারে পড়বেন। আমার কথায় তো আর পরিবর্তন হবে না; হতে পারে আপনি জানলেন, সেটি আপনার মাধ্যমে অন্য কেউ দেখলো; এভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে গেলো আর সকলে সতর্ক হতে পারলো।

নতুন শিক্ষাক্রম কেন সফল হবে নাঃ

১। বাজেটঃ ইউনেসকোর পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন অনুযায়ী একটি দেশের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত বাত্সরিক মোট বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল, 446.35 billion U.S. dollars এর মধ্যে শিক্ষা খাতের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের মতো ২০ কোটি জনতার দেশে এই টাকার পরিমাণ খুব কম। ভুটানের মতো দেশে হয়তো কোনো ভাবে চালিয়ে নেয়া যেতো। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এটা যথেষ্ঠ নয়। এর প্রমাণ আমরা পাই, জিডিপির সাথে শিক্ষাখাতের বরাদ্দকৃত অর্থের অনুপাত দেখে। যেখানে প্রতিবেশি দেশ ভারত ব্যয় করেছে জিডিপির ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সৌদি আরবের তাদের ব্যয় জিডিপির ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। যেখানে ভুটানের ব্যয় ৭ শতাংশ। চীন, পাকিস্তান, জাপানের এ খাতে ব্যয় যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। সেখানে আমাদের মোট বাজেটের প্রস্তাবিত ব্যয় বাজেটের ১৩.৭ শতাংশ আর জিডিপির ১.৮১ শতাংশ।

২। দরিদ্রতাঃ এদেশের ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্যসীমার নিচে বসবাস করে, ৮৭,২৯১ টি গ্রামে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশ লোক গ্রামে বসবাস করে (তথ্যসুত্রঃ বিবিএস)। দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার প্রধান কারণ দারিদ্র্য। সরকারি হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ২০.৯ শতাংশ। তবে ঝরে পড়াদের মধ্যে ৮০ শতাংশের পরিবারেরই শিক্ষার ব্যয় বহনে অক্ষম। আর সবচেয়ে বেশি ঝরে পড়ে দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে। যখন এ

18/07/2024

ALHAMDULILLAH 🥰