Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা

Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা দৈনিক দেশবাংলা
(একাত্তরের রণাঙ্গনের মুখপত্র)
(1)

সরকারী রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ দুর্ভোগের শিকার লোকজন
25/03/2025

সরকারী রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ
দুর্ভোগের শিকার লোকজন

সরকারী রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান দুর্ভোগের শিকার লোকজননিজস্ব প্রতিবেদক :গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর সভার ২নং ওয়ার্...
25/03/2025

সরকারী রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান
দুর্ভোগের শিকার লোকজন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডে সরকারী জমি ও রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন নিশাদ নামের এক দাপুটে ব্যক্তি। শুধু রাস্তা দখল করাই নয়, পৌরসভার পয়নিস্কাশনের পাইপ কেটেও বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ফলে আশপাশের মহল্লাবাসীর চলাচল করা যেমন বন্ধ হয়ে গেছে, তেমনি ময়লা নর্দমার পানিতে আশপাশ সয়লাব হয়ে দুর্গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। কিন্তু এলাকাবাসী বাদ-প্রবিাদ, বাধা আপত্তি তোয়াক্কা করছেন না দাপুটে নিশাদ। নিজেকে তিনি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের বড় কর্তা পরিচয় দিয়ে সবাইকে হুমকি ধমকি দিয়ে চলছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শ্রীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা টু ময়মনসিংহ বৈরাগীরচালা যাওয়ার লিং রোড আমতলী মোড়ে এলজিআরডির জমি উপর বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করছে নিশাদ। সে নিজেকে ডিসি অফিসের বড় কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। তার স্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশের সাব- ইন্সপেক্টর। এলাকার মানুষ তার ভয়ে মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছে।

গাজীপুর ডিসি অফিসে চাকরীর সুবাদে সে সরকারী জমি দখল করে এবং আশেপাশের লোকজনের পানি নিষ্কাশনের পাইপ কেটে বাড়িতে যাবার রাস্তা বন্ধ দেয়। এবং এই বলে আশেপাশের বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াতে এই বলে হুমকি দেয় আপনারা কেউ এ রাস্তা ব্যবহার করবেননা। এটা আমার জায়গা এখানে আমি বাউন্ডারি ওয়াল করবো। পানি নিষ্কাশনের পাইপ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার ফলে ভাড়াটিয়ারা বেশ বিপাকে পড়েছে। বাসা বাড়ির ময়লা পানির দুর্গন্ধে আশেপাশের মানুষসহ পথচারীরা এ এলাকা দিয়ে চলাফেরা করতে পারছেন না।

সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। নিশান পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের পাইপ কেটে মানুষের পায়ে চলা পথ বন্ধ করে বড় বড় গর্ত করে এখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করার প্রস্তুতি নিতেছেন। সেই জমিতে তিনি বাউন্ডারি ওয়াল করছেন সেটা সরকারি জমি বলে এলাকার লোকজন জানান।

এলাকার ঘরবাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের বক্তব্য, আমরা চাকুরীজীবি পরিবার পরিজনদের নিয়ে এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়া থাকি। হঠাৎ করে পানি নিষ্কাশনের পাইপ ও রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় যাতায়াত করতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুলে যেতে পারছেনা, ময়লার পাইপ কেটে দেওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। এতে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ।

ভুক্তভোগী ফরিদুর হাসান জানান, ১৯৯০ সালে আমার বাবা ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক হন। পরবর্তীতে আমার বাবা এ জমিটি আমাকে হেবা সূত্র দলিল করে দেয়। আমি ২০০৬ সালে বানিজ্যিক ভাবে এ জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়া দেই। সব কিছু ভালই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০২৫ সালের ২১ শে মার্চ কাউকে কিছু না জানিয়ে নিশান আশেপাশের বাড়ির ময়লা পানি নিষ্কাশনের পাইপ ও পায়ে হাটার রাস্তায় বড় বড় গর্ত করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে আমি এবং আশেপাশে লোকজন তাদের বাড়িতে যেতে সমস্যায় পড়ে। ময়লা পানির দুর্গন্ধে দম বন্ধ ও পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। আমি প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাই এলাকার জনসাধারণের স্বার্থে বিষয়টি আমলে এনে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য নিশানকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী মোঃ ফরিদুল হাসান একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘাটাইলে জামালের কারখানায় জিম্মি ছয় গ্রামের কয়েক হাজার অধিবাসী==========সাঈদুর রহমান রিমন, ঘাটাইল ঘুরে এসেঘাটাইল দিগড় ইউন...
17/03/2025

ঘাটাইলে জামালের কারখানায় জিম্মি
ছয় গ্রামের কয়েক হাজার অধিবাসী
==========
সাঈদুর রহমান রিমন, ঘাটাইল ঘুরে এসে

ঘাটাইল দিগড় ইউনিয়ন যুবলীগের দাপুটে নেতা জামালের তিনটি মাল্টি এগ্রো ও অটো ডায়ার মিলের ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছেন ছয় গ্রামের কয়েক হাজার অধিবাসী। কারখানাগুলো থেকে অনর্গল নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া, টন টন ছাই-বর্জের ধকলে জিম্মি মানুষজন টু শব্দটি করতেও সাহস পাচ্ছেন না।

অর্থবিত্ত, ক্ষমতার দাপটে মো. জামাল নিজের মালিকানায় ও অংশীদারিত্বে আইখালী ব্রিজ সংলগ্ন ফসলি জমি ও জনবসতির মাঝেই মেসার্স যমুনা এগ্রো ফুড, মেসার্স সততা মাল্টি এগ্রো ফুড ও মেসার্স মক্কা এগ্রো ফুড নামে তিনটি বিশালকায় অটো ডায়ার মিল স্থাপন করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সচল রাখা কারখানাগুলো পরিবেশ বিপন্নতার ভয়াল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। রাত দিন নিকষ কালো ধোঁয়া আর ছাইয়ের ওড়াওড়িতে বেহাল দশায় পড়েছেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি তরল ময়লা, বিষাক্ত বর্জ সরাসরি ফেলা হচ্ছে আইখালীর খাল, আশপাশের জলাশয় ও ফসলি জমিতে। ফলে বিঘার পর বিঘা জমিতে ফসল বিনষ্ট হচ্ছে, পরিবেশেও বিরুপ প্রভাব দেখছেন বাসিন্দারা।

কারখানা সংলগ্ন চারপাশের কদমতলী, গারট, বাদে পার্শী, মোগল পাড়া, ব্রাহ্মণ শাসন ও নজুনবাগ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কারখানার ছাইভস্মের সঙ্গে এখানকার মানুষজনের জীবন বাধা পড়ে আছে। রাস্তায় পথ চলার

উপায় নেই, বাড়িঘরেও কালো ছাইয়ের ওড়াওড়ি চলে। এসব কারখানায় এলাকার কারো কর্মসংস্থান হয়নি, অথচ সব ধরনের ধকল পোহাতে হচ্ছে আমাদেরই। সবচেয়ে বড় সমস্যা কারখানা চুল্লির ধোঁয়ার সঙ্গে তুষের ছাই মিলেমিশে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে।

ওই ছাই মানুষের চোখ-মুখে পড়লে রীতিমত জ¦ালাপোড়া করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অটো রাইস মিলগুলোর বর্জ্য, ছাই, ধোয়া চারপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে চোখের নানা সমস্যা, অ্যালার্জী, মারাত্মক শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন স্থানীয়রা।

মিলের উড়ে যাওয়া ছাই ও বর্জের কারণে কোমলমতি শিশুসহ সাধারণ মানুষ চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন। এদিকে সরেজমিন অনুসন্ধানকালে শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকি সংক্রান্ত সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য পাওয়া গেছে। জামালের যমুনা, সততা ও মক্কা কারখানা ঘেষা গ্রামগুলোতে শতকরা ৭০ ভাগ শিশু বক্ষব্যাধিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বালাইয়ের কবলে পড়েছে। স্থানীয় চিকিৎকরা জানিয়েছেন, কারখানা নির্গত ছাই-তুষ, ধোয়া মানুষের চোখে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাজমা রোগীদের জন্য এটি অনেক ভয়ঙ্কর। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ সৃষ্টি করতে পারে।

পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে আবাসিক এলাকা ও তিন ফসলি জমিতেই জামালের অটো রাইস মিলগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। এসব মিলের বর্জ্য, ছাই, ধোয়া ও শব্দ দূষণে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে। যার ফলে মারাত্মক শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন স্থানীয়রা। শিশু ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব কারখানা অবিরত দূষণ করে চলছে মাটি, পানি, বায়ু, নদীসহ ভূগর্ভস্থ পানিও। কারখানার ধোঁয়া ও ছাইয়ে গাছপালার পাতা কালো হয়ে গেছে। কারখানার বর্জ্য পরিশোধন ছাড়াই আইখালী খালে ও জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে। এলাকাবাসী বলেন, আগে আমারা খালের পানিতে গোসল করতাম, গ্রীষ্মকালের গরমে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল থেকে এসে খালের পানিতে সাঁতার কাটতো, মনের আনন্দে গোসল করাতো। গরু-বাছুর গোসলসহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে পানি ব্যবহার করতাম। পানিটা এতো পরিষ্কার থাকতো যে অনেকেই রান্নাবান্নার কাজসহ খাওয়ার জন্য ব্যবহার করত। এখন আর সেসবের সুযোগ নেই। খাল ও জলাশয়ের বেশিরভাগই ছাই বর্জে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। পানির রং ধারণ করেছে কুচকুচে কালো।

জুলাই আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার অনিশ্চিত * মামলাগুলো ফাইলবন্দি* ২০ মামলা গোপন সমঝোতা* বাকি মামলাগুলো নি...
15/03/2025

জুলাই আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার অনিশ্চিত

* মামলাগুলো ফাইলবন্দি
* ২০ মামলা গোপন সমঝোতা
* বাকি মামলাগুলো নিষ্ক্রিয় করছে দাপুটে তদবিরবাজরা
* প্রতি মামলাতেই কোটি কোটি টাকার ধান্দা বাণিজ্য
--------
জুলাই বিপ্লবে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা হত্যার প্রতিটি ঘটনা সমঝোতা করা হয়েছে, নয়তো পুলিশ ও তদবিররা সেসব ধামাচাপা দিয়ে কোটি কোটি টাকা ফায়দা হাসিল করছে।

আন্দোলনে সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে আগস্টে যখন তড়িঘড়ি মামলা রুজু করা হয় তখনও শত শত আসামির নাম যুক্ত করা, নাম বাদ দেওয়াসহ নানারকম স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যমে একদফা বাণিজ্য হয়েছে। মামলার বাদী, পুলিশ আর নেপথ্যের ক্রীড়নকরা শুরুতেই একেক মামলার বিপরীতে কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি করেছে।

এখন আবার সেই মামলাগুলো নিয়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা পরিচয়ে, সাংবাদিক কিংবা সমন্বয়ক পরিচয়ে আরেক দফা বাণিজ্য চলছে। ফলে ফ্যাসিবাদ হটানোর আন্দোলনে শহীদ ছাত্র জনতার কোনো হত্যাকান্ডের-ই বিচার যে হচ্ছে না- তা নিশ্চিত বলা যায়। স্বজন হারানো পরিজনদের জন্য সীমাহীন কষ্টদায়ক, হৃদয়বিদারক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্দোলনে শহীদ ছাত্র জনতার হত্যা মামলাগুলোতে অহেতুক আসামি বানিয়ে, নানারকম স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যমে কারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন তাদের নামধাম পরিচয় উঠে এসেছে একাধিক অনুসন্ধানে। সেসব ঘটনার ৬/৭ মাস পর এখন মামলাগুলো নিষ্ক্রিয় করাসহ প্রভাবশালী আসামিদের রক্ষায় কারা কারা তদবিরের ইজারা নিয়ে মাঠে নেমেছেন, জানা গেছে তাদের পরিচয়ও।

খোদ রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ২০ টিরও বেশি হত্যা (ফ্যাসিবাদী চক্রের হামলায় নিহত) মামলা ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে, সেসব মামলার আসামিরাও প্রকাশ্যে ঘুরছে ফিরছে। মামলার বাদী সাক্ষীরা পর্যন্ত আসামিদের অবস্থান দেখিয়ে পুলিশ, ডিবি, র‍্যাব এমনকি যৌথ বাহিনীকে জানিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও তদবিবাজদের দোহাই দিয়ে মামলার সকল তৎপরতা ফাইলবন্দি করে ফেলে রাখছে। তদবিরবাজদের টাকা খেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলাগুলো নিষ্ক্রিয় রাখছেন - অথচ ইনিয়ে বিনিয়ে সব দায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপানো হচ্ছে। (অনুসন্ধানের বিস্তারিত আসছে,,,,)

ভোলায় প্রশ্ন "সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের সঙ্গেবেয়াদব এসপির কীসের পীড়িতি?=======ভোলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ ...
06/03/2025

ভোলায় প্রশ্ন "সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের সঙ্গে
বেয়াদব এসপির কীসের পীড়িতি?
=======
ভোলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শরীফুল হককে সাধারণ ও স্বাভাবিক মানুষ ভেবে কেউ ভুল করবেন না। ফ্যাসিস্ট সরকারের গুড লিস্টেড পুলিশ অফিসার হিসেবে তার ক্রমিক নাম্বার ৩১। জুলাই-আগস্টের বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের কোথাও তাকে পদায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না-আবার ওই সময়ের কর্মস্থল সিরাজগঞ্জ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) হিসেবে বহাল রাখাও ছিল চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তড়িঘড়ি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শরীফুল হককে দ্বীপ জেলা ভোলার পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ দিয়ে দুই কুলই রক্ষা করতে সক্ষম হয়।

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার গ্রামীণ মহল্লার বাসিন্দা বহুল বিতর্কিত এই পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল হক বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য। পুলিশে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই দুর্ব্যবহার, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অসংখ্য ঘটনার নায়ক শরীফুল হককে বারবার সতর্ক করেও ভালো বানানো যায়নি। যেখানেই তাকে পদায়ন করা হতো সেখানেই গ্রুপিং, লবিং, সংগঠন, সমিতি বানিয়ে হযবরল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতেন তিনি। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে থাকাবস্থায় শরীফুল হক বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি গঠন করে নানারকম অনুষ্ঠানের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে। ওই সমিতির তিনি স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক হয়েই জেলা জুড়ে তদবিরবাজী, কথিত অনুদান সংগ্রহের নামে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করাসহ নিজস্ব দাপুটে বলয় গড়ে তোলেন।

বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি পুলিশ সদর দপ্তর। ২০২০ সালের ১৮ জুন তাকে হটিয়ে দেওয়া হয় সিরাজগঞ্জে। সেখানে জনসম্পৃক্ততাহীন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পদে পদায়ন করে অনেকটা নির্বাসনেই পাঠানো হয়। অনেক চেষ্টা-তদবির, কাঠখড় পুড়িয়েও শরীফুল হক ওই ট্রেনিং সেন্টারের খাঁচামুক্ত হতে পারছিলেন না। তবে গেল জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে সিরাজগঞ্জ রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। উত্তাল ছাত্র-জনতা তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দালাল পুলিশ অফিসার ঘোষণা দিয়ে শরীফুল হককে শায়েস্তা করতে উদ্যত হয়। অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ৩ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ থেকে সরিয়ে নেয় তাকে, ১০ সেপ্টেম্বর পদায়ন করা হয় ভোলার পুলিশ সুপার হিসেবে।

বিচ্ছিন্ন দ্বীপজেলা ভোলার মানুষজন শরীফুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নিলেও নিজের স্বভাব চরিত্র একটুও বদলাননি তিনি। সেখানে যোগদানের পর থেকেই পুলিশের মধ্যে অতিগোপনে ıভক্ত গ্রুপ, আঞ্চলিক গ্রুপ, লীগ গ্রুপIJ ইত্যাদি নানা গ্রুপে বিভক্তি সৃষ্টির ভয়ংকর পাঁয়তারায় মেতে ওঠেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাংবাদিক নির্যাতনে ঘুমান এসপি, পুলিশের কিছুতে তুলকালাম
-----------------
তার ভক্ত ও লীগ গ্রুপের পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা দিতে এসপি সদা ব্যস্ত থাকেন। গত ৪ মার্চ রাতে এসআই জাফর, এএসআই কামরুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সদস্য সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ভোলার বোরহানউদ্দিনের পল্লীতে অভিযান চালিয়ে আকবার নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে আটক করে। এসময় আকবারের সমর্থকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় রাতেই তুলকালাম বাধিয়ে দেন এসপি। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, দুই জন সহকারী পুলিশ সুপার, ছয় জন ইন্সপেক্টরসহ অর্ধশতাধিক পুলিশ ও ডিবি সদস্যকে পাঠিয়ে অভিযানের নামে অমানবিক বর্বরতা চালান। পুলিশের তাণ্ডবলীলায় কয়েক গ্রামের আতঙ্কিত পুরুষরা এলাকা ছেড়ে নৌকাযোগে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তখন বাড়িঘরে হানা দিয়ে ঘুমন্ত শিশু, যুবক, বৃদ্ধ ১২ জনকে আটক করে অমানবিক নিষ্ঠুরতা চালানো হয়। তাদেরকে থানায় নিয়েও টানা ৫/৬ ঘণ্টা নির্যাতন চালিয়ে তবেই আদালতে পাঠানোর ঘটনা ঘটে।

অথচ একইদিন (৪ মার্চ) প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা শহরে দৈনিক ভোলা টাইমস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাজিব ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভোলা প্রকাশের সম্পাদক বিজয় বাইন দুর্বৃত্তদের নির্মম হামলায় গুরুতর আহত হলেও পুলিশ সুপার সেদিকে ফিরেও তাকাননি। এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় চার অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করা হলেও তাদের গ্রেফতারে বাধা দিচ্ছেন খোদ এসপি। শুধু তাই নয়, মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা গত রাতেও এসপির সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব নিয়ে ক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলা, সেখানকার সাংবাদিকরা আজ মানববন্ধনও করেছেন। এ ব্যাপারে ঢাকার সাংবাদিক নেতারা যোগাযোগ করলে এসপি শরীফুল হক চরম দুর্ব্যবহার করেন এবং মামলা হলেই আসামি গ্রেফতারের বিধান নেই বলে মন্তব্য করেন। ভোলায় এখন প্রশ্ন উঠেছে, "সাংবাদিক-সম্পাদকদের উপর হামলাকারীদের সঙ্গে বেয়াদব এসপি শরীফুলরে কীসের পীড়িতি?"

আখেরি বাণিজ্য চালাচ্ছেন প্রধান বন সংরক্ষক বিশেষ প্রতিনিধিআখেরি বাণিজ্য চালাচ্ছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী। ব...
02/02/2025

আখেরি বাণিজ্য চালাচ্ছেন প্রধান বন সংরক্ষক

বিশেষ প্রতিনিধি

আখেরি বাণিজ্য চালাচ্ছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী। বিভিন্ন পদে একযোগে কয়েকশ জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, প্রাইজ পোস্টিং মিলিয়ে টাকার ছড়াছড়ি চলছে বন ভবনে।

জুলাই বিপ্লবের পরে দেশের সকল লুটপাট সেক্টরে যখন স্থবিরতা নেমে এসেছে, তখনও বন অধিদপ্তরে চলছে উলটো চিত্র। প্রকল্প কর্মকাণ্ডের ভাগ বাটোয়ারা আর নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, পোস্টিং সংক্রান্ত লেনদেন ঘিরে শুরু হয়েছে হৈহৈ রৈরৈ পরিস্থিতি।

চারটি পদের বিপরীতে ৩৩৭ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেই চাকরি প্রার্থী, দালাল, সিন্ডিকেট সদস্যদের হাট বাজারে পরিণত করা হয়েছে বন ভবনকে। আবেদন, বাছাই, পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষার খবর নেই এখনও, অথচ মোটা অঙ্কের রেট বেধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধুম চলছে সেখানে।

সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাহাবউদ্দিন ও তার জাকির হোসেন জুমনকে নিয়ে পৃথক পৃথক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বন অধিদপ্তরকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেন।

আওয়ামীলীগের তহবিলে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দিয়ে একটানা চার বছর ধরে প্রধান বন সংরক্ষকের পদটি মহা দাপটে কব্জায় রাখেন আমির হোসাইন চৌধুরী। জুলাইয়ের বিপ্লব দমনেও জোগান দেন মোটা অঙ্কের টাকা। এতকিছুর পরও অলৌকিক ক্ষমতায় বহাল তবিয়তেই আছেন তিনি। বরং বিএনপি’র দুই নেতার হাতে মাসিক তিন কোটি টাকা চাঁদা দিয়ে আমির হোসাইন চৌধুরী হয়ে উঠেছেন আরো বেশি দাপুটে।
---------------
বন ভবন ঘিরে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য পাঠ করতে চোখ রাখুন দেশবাংলায়

শুভ জন্মদিন, শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয়...
31/12/2024

শুভ জন্মদিন, শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয়...

সাংবাদিকদের জন্য অনিরাপদ বাংলাদেশ?=======সারাদেশে এসব কী ঘটছে? সর্বত্রই সাংবাদিকদের উপর হামলা, নির্যাতন এমনকি হত্যা করার...
22/10/2024

সাংবাদিকদের জন্য অনিরাপদ বাংলাদেশ?
=======
সারাদেশে এসব কী ঘটছে? সর্বত্রই সাংবাদিকদের উপর হামলা, নির্যাতন এমনকি হত্যা করার মচ্ছব চলছে যেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ উপদেষ্টা মহোদয়দের সরকার রয়েছে দেশের দায়িত্বে, মাঠে আছে যৌথ বাহিনীর সদা নজরদারি। অথচ সবার চোখের সামনে একের পর এক নৈরাজ্য ঘটেই চলছে। বিপ্লবের মাধ্যমে সাবেক সরকারকে বিতাড়িত করার পর থেকেই দেশে হামলা, মামলা, দখল, বেদখল, লুটতরাজের তান্ডব চলছিল বাধাহীন ভাবে। একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের বেশুমার দাপটে সর্বত্রই মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা নানাবিধ প্রশ্নের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। কিন্তু একইসাথে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে সাংবাদিক নির্যাতনের ভয়াবহতা। চাঁদাবাজি, লুটপাট, জবরদখল নিয়ে দুই লাইন লিখলেই সাংবাদিকের আর রেহাই নেই। প্রকাশ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর সামনেও সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলছে। গোটা দেশই যেন সাংবাদিকদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।

এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি)। সংগঠনটির আহবায়ক এম রায়হান ও সদস্য সচিব আলপনা বেগম সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বিচারে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের ঘটনা চলছে, যা অতীতের অনেক নির্মমতাকে ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। এটা অত্রন্ত দুঃখজনক এবং দায়িত্বশীলদের আস্কারা হিসেবেই অনুমেয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

আবারো হামলার শিকার শহিদুল
নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জেরে হামলার ঘটনায় মামলা করায় আবারও হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম। সে এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছটফট করছে। শিক্ষার্থী জনতার ওপর গুলি রামদা নিয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগ, যুবলীগের কুখ্যাত গুন্ডা ও পিস্তল রকি ওরুফে রামদা রকি বাহিনী গং প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুক ফুলিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নওগাঁয়। সে এবং তারই পালিত সন্ত্রাসীরা পর পর দুই দফা শহিদুলের উপর হামলা চালালেও প্রশাসন আছে নিরব নিস্ক্রীয়।

দূর্গাপুরে রাজু আহমেদ
গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজশাহীর দূর্গাপুরে বিএনপি’র কার্যালয় উদ্বোধনে সংগঠনটির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক কালবেলা’র দূর্গাপুর প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এঘটনায় আহত সাংবাদিককে স্থানীরা উদ্ধার করে দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সাংবাদিক রাজু আহমেদ বর্তমানে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

খুলনার কয়রায় সাংবাদিক ফোরামের অফিস দখল
খুলনার কয়রায় "সাংবাদিক ফোরাম" এর অফিস দখল করে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়েও ক্ষ্যান্ত থাকেনি কয়রা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম.এ হাসান। তিনি ও তার সাঙ্গাতরা গত বৃহস্পতিবার কয়রামদিনাবাদ লঞ্চঘাটে সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুকে বেদম মারপিট করে আহত অবস্থায় ফেলে রাখেন। পরে স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। চিকিৎসাধীন লিটুর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। হামলাকারী যথারীতি এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার দখলেই রয়েছে সাংবাদিক ফোরামের অফিসটিও।

যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা
যমুনা টিভির ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ হোসাইন শাহীদ ও চিত্র সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে। এসময় পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয় চিত্র সাংবাদিকের ডান হাত। গত বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ দিকে পাটগুদামের নিউ কলোনি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১ দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে যমুনা টিভির ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ হোসাইন শাহীদ ও চিত্র সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলে করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে পাটগুদামে রেল ক্রসিংয়ে রেলওয়ে নিউ কলোনি এলাকায় পৌঁছালে এক যুবক তাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে রেল লাইনের পাথর দিয়ে হোসাইন শাহীদের মাথায় আঘাত করে। পরে চিত্র দেলোয়ার হোসেনের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেনের কানে ও হাতে কামড় দেয় এবং পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠায়।

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা
রাজধানীর ধানমন্ডির-২ নাম্বার রোডে সিটি কলেজের পাশে 'ধানমন্ডি ফার্মেসিতে' দূর্বৃত্ত কর্তৃক চাঁদাবাজি ও দোকান ভাংচুরের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ঢাকা কলেজের এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও কিছু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিকের নাম আল জুবায়ের। তিনি ঢাকা কলেজের দৈনিক জনবানীর ক্যাম্পাস রিপোর্টার।

দোয়ারাবাজারে আহত মুন্না
সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এনামুল কবির মুন্না। এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন ও টিলাগাও গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ রাজিব মিয়া।

সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা
গত ১৯ অক্টোবর, শনিবার আনুমানিক রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গুলশান থানাধীন গুলশান-১ ও গুলশান-২ এর মাঝামাঝি এলাকায় আগুরা বিল্ডিংয়ের সামনে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার রিপোর্টার সাজেদুল হক প্রান্তের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত। এই নৃশংস হামলার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন।

নোয়াখালীতে দুই সাংবাদিক আহত
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত রোববার(২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মামলাটি করেছেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জে দেশ টিভির সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত
নারায়ণগঞ্জে দেশ টিভির এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের নবাব সলিমউল্লাহ সড়কের মিশনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শরীয়তপুরে বিটিভি সাংবাদিকের উপর হামলা
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি মফিজুর রহমান রিপনের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার ছোট ভাই সাইদুর রহমান সুইট এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভোলায় মামলা হয়রানি
এদিকে ভোলায় চলছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়রানির খড়গ। সেখানে এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে সীমাহীন হয়রানি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে ভোলা প্রেসক্লাবের ভিতরে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক কাম কৃষকলীগের এক নেতা আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সেখানে নানা অরাজকতার সূত্রপাত ঘটছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর রামপুরার মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ঘরে ঢুকে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩২) নামে এক যুবককে মারধর ও গলা টিপে হত্যার ঘ...
10/10/2024

রাজধানীর রামপুরার মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ঘরে ঢুকে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩২) নামে এক যুবককে মারধর ও গলা টিপে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক প্রকৌশলীসহ তিনজনকে আটক করেছে। জানা গেছে, নিহত যুবক বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যম দীপ্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই টিভি চ্যানেল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না....=======এই যে আমাদের সাংবাদিক অলক নির্মমতার শিকার হলেন, তার দেহখানা রক্তাক্ত হলো...
06/10/2024

সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না....
=======
এই যে আমাদের সাংবাদিক অলক নির্মমতার শিকার হলেন, তার দেহখানা রক্তাক্ত হলো। এর বিপরীতে আমরা কিছু সহকর্মি ফেসবুকে বাদ প্রতিবাদের ঝড় তুললাম। কেউবা আরেক ধাপ এগিয়ে হম্বিতম্বি করলেন-ব্যস, সব শেষ। কারণ, আমরা তো প্রদর্শনযোগ্য প্রমাণ রাখার মধ্যেই দায়িত্ব কর্তব্য পালিত হয়েছে বলে ভাবতে থাকবো।

নিজে সহমর্মিতার দরদ দিয়ে সেই রক্তাক্ত হামলার খবরটি পর্যন্ত লেখার প্রয়োজনবোধ করবো না। জুনিয়র কোনো সহকর্মিকে হয়তো কয়েক লাইন লিখে জমা দেওয়ার কথা বলে চা-সিগারেটের আড্ডায় চলে যাবো। সহকর্মি যাকে লেখার দায়িত্ব দিলাম সে হয়তো সালেহ মোহাম্মদ রশিদ অলক নামের কোনো মিডিয়া কর্মি থাকার কথা আজই প্রথম জানতে পারলো। তার ফরমায়েশি লেখায় পথচারী, খদ্দের মৃদু নির্যাতনের শিকার হওয়ার মতোই হয়তো প্রিয় অলক একটু কাভারেজ পাবেন-দুই অথবা এগারো নম্বর পাতায়।

রাত পোহালেই আবার কোনো সাংবাদিক নির্যাতনের খবর জেনে একইভাবে বাদ প্রতিবাদে মেতে উঠবো। কিন্তু অলক কি করবেন? তার রক্তের দাগ হয়তো রাতের মধ্যেই ধুয়ে মুছে ফেলা হবে। জখমের চিহ্ন মুছতে না হয় দুই- তিন সপ্তাহ লাগবে। কিন্তু তার অন্তর জুড়ে নির্মমতার যে ক্ষতচিহ্ন আঁকা থাকলো, মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়ার যে ভীতি- তা কি বাকি জীবনেও তিনি ভুলতে পারবেন? মুছে ফেলতে পারবেন?

এভাবেই প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত সাংবাদিকরা নানা নির্মমতার শিকার হন এবং হচ্ছেন। নিয়তির অমোঘ বিধানের মতো সাংবাদিক নির্যাতনও চলতে থাকে ধারাবাহিক ভাবেই। পৈশাচিক এ ললাট লিখন থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থাপনা নেই, সাংবাদিক নেতা বনে যাওয়া অভিভাবকদের কোনো ভূমিকা নেই, নেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টির মতো কোনো কার্যক্রমও।

বরং সাংবাদিক নীপিড়ন-নির্যাতন, হয়রানি চলমান থাকলে একশ্রেণীর নেতাদের কদর বাড়ে, নির্যাতিত সাংবাদিক প্রতিকার পাওয়ার আশায় তাদের পেছনে ঘুরঘুর করে। এতে কথিত মুরুব্বি নেতা হয়তো বিকৃত তৃপ্তি বোধও করেন। সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে এতো এতো সংগঠন, সংস্থা, ক্লাব, সমিতি নামক দোকান খোলা হয়েছে। সবারই মূলমন্ত্র হচ্ছে, পেশাদার সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান এবং সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ।

হরহামেশা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও যাদের টিকিটি ছু‘তে পারা যায় না তারা নাকি নির্যাতন প্রতিরোধ করবে। বাটপারের দল শুধু বড় বড় বুলি আউড়িয়ে নেতা সাজে আর ধান্দাবাজির ইজারা নেয়। তাদের কাছে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ-হ্রাস করার ন্যূনতম পরিকল্পনা পর্যন্ত নেই। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে কি ধরনের সহায়তা করতে হয় সেটিও তাদের জানা নেই। সুতরাং যা হবার তাই হয়, সাংবাদিক নির্যাতন আর হয়রানি চলতে থাকে বল্গাহীন ভাবেই।

আগে নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে দরাজ কন্ঠে বক্তৃতা করার, কলিজা কাঁপানো হুংকার দেওয়ার মতো মিনিমাম যোগ্যতাকে প্রাথমিক ক্রাইটেরিয়া হিসেবে বাছাই করা হতো। এখন নেতারা মিন মিন করে, গাড়ির চাকা পাটার শব্দ শুনলে নিজেরাই ভয়ে অজ্ঞ্যান হয়ে যায়। তারা সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিবে, নির্যাতন প্রতিরোধে ভ’মিকা রাখবে- এটা বিশ্বাসকারীরাও অন্ধের স্বর্গে বাস করে বৈকি।

নানী স্টার কাবাবে পচা কাবাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক Saleh Mohammad Rashid Alok ভাইয়ের উপর নির্মম নির্যাতন ও হামলার...
06/10/2024

নানী স্টার কাবাবে পচা কাবাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক Saleh Mohammad Rashid Alok ভাইয়ের উপর নির্মম নির্যাতন ও হামলার ঘটনার নিন্দা জানাই।
সেনা ক্যাম্পে ফোন দিলাম, ডিউটিরত কর্মকর্তা জানালেন ঘটনাস্থলের পথে রয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি

Adresse

Chemnitz

Benachrichtigungen

Lassen Sie sich von uns eine E-Mail senden und seien Sie der erste der Neuigkeiten und Aktionen von Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা erfährt. Ihre E-Mail-Adresse wird nicht für andere Zwecke verwendet und Sie können sich jederzeit abmelden.

Service Kontaktieren

Nachricht an Daily DeshBangla - দৈনিক দেশবাংলা senden:

Teilen