Channel 5

Channel 5 It is a 3rd Bangla Online TV Channel সারা বিশ্বে বাংলা
(1)

রুহুল কবির রিজভীর এই মন্তব্যে অনেক দিক থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষ করে বিএনপির রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে। ...
09/08/2025

রুহুল কবির রিজভীর এই মন্তব্যে অনেক দিক থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষ করে বিএনপির রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো উঠে আসে, সেগুলোকে বিশ্লেষণ করা যাক:

১. জনবান্ধব নেতা হওয়ার গুরুত্ব

রিজভী যে কথা বলেছেন, তাতে মূলত জনগণের প্রতি নেতার দায়িত্ব ও কৃতিত্বের কথা বলা হয়েছে। তিনি বলছেন, যদি কোনো নেতা জনপ্রিয় হতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই নিজের অধীনস্থ কর্মী বা দলীয় সদস্যদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে এবং তাদের জনবান্ধবভাবে তৈরি করতে হবে। এর মানে হল, নেতার প্রভাব যেন নেতিবাচক না হয়ে জনগণের মঙ্গলমুখী হয়ে উঠে।

এখানে “জনবান্ধব নেতা” হওয়ার ধারণা হলো, এমন নেতারা যাদের কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং সেবা প্রদানের মনোভাব প্রতিফলিত হয়। তাঁদের উদ্দেশ্যই থাকবে দেশের বা জনগণের মঙ্গল, না যে নিজেদের ব্যক্তিগত বা দলের স্বার্থে কাজ করবে।

২. চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত

রিজভীর বক্তব্যের মধ্যে আরো একটি গভীর ইঙ্গিত রয়েছে যা রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, কিংবা দলীয় কর্মীদের মধ্যে সহিংসতার প্রসঙ্গে। অনেক সময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, যেমন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, অর্থনৈতিক দুর্নীতি ইত্যাদি।

এখানে রিজভী উল্লেখ করছেন, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে জড়িয়ে না গিয়ে কর্মীদের সঠিকভাবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে শেখানো উচিত। অর্থাৎ, যদি দলীয় কর্মীরা সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত হন, তাহলে দলের সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে, এবং নেতার রাজনৈতিক প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৩. বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট এবং তৎকালীন পরিস্থিতি

এখানে রিজভীর বক্তব্য দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও সংকটের প্রতিফলন হতে পারে। বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্দোলন এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতার মধ্যে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অনেক জায়গায় দলের কর্মীরা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক চাঁদাবাজি ও সহিংসতা।

এর ফলে, দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিজভী এই বক্তব্যে দলের নেতাদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন, যেন তারা নিজেদের কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করেন এবং দলীয় রাজনীতি জনকল্যাণমূলক কাজের দিকে নিয়ে যান।

৪. রাজনৈতিক পটভূমি এবং দলের প্রচারণা

এমন একটি মন্তব্য দলের জন্য আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ সৃষ্টি করে। বিএনপি যেমন সরকারের সমালোচক, তেমনি নিজেদের দলীয় কর্মীদেরও জনবান্ধব হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। রিজভী, এক প্রকারে, তার এই মন্তব্যের মাধ্যমে দলের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন যে, কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা সহিংসতা দলের সুনাম এবং জনপ্রিয়তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এটি বিএনপি-র জন্য একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যেখানে নেতাদের নিজেদের কর্মীদের সঠিক পথ দেখানোর এবং দলের অভ্যন্তরে নৈতিকতার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

৫. দলের ভবিষ্যৎ এবং জনমত

রিজভীর মন্তব্যের আরেকটি দিক হলো দলের ভবিষ্যৎ। রাজনৈতিক দলগুলোর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হলে, তাদের নেতৃত্ব ও কর্মকাণ্ডে সততা, ন্যায় এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। যদি দলীয় নেতারা কিংবা কর্মীরা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি আস্থা হারাবে।

তবে রিজভীর মন্তব্যের মধ্যেও একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তিনি হয়তো দলের অভ্যন্তরীণ সংকটকে সমাধান করার জন্য, বা দলীয় নেতৃত্বকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে এমন একটি বার্তা দিয়েছেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির জন্য এটা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, যাতে তারা নিজেদের ভিতরে শৃঙ্খলা বজায় রেখে একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

৬. সমাজে নেতার ভূমিকা

এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, একজন নেতা কেবল ক্ষমতা বা প্রভাবের জন্য নয়, বরং জনগণের উন্নতির জন্য কাজ করবেন। যেহেতু রিজভী অনেক সময় দলের একজন মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত, তার এই বক্তব্য দলের মধ্যে একটি সঠিক দিক নির্দেশনার কাজ করছে। তিনি হয়তো দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি তাদের কর্মীদের সৎ, জনবান্ধব এবং জনগণের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করছেন।

উপসংহার:

রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে— দলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের অপরাধ বা সহিংসতার বিরুদ্ধে এক কঠোর অবস্থান। তার এই মন্তব্য দলের নেতাদের কাছে একটি সতর্কবার্তা হতে পারে, যেন তারা তাদের কর্মীদের জনবান্ধব নেতা হিসেবে গড়ে তোলে, এবং জনগণের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

07/08/2025

🖋️ সম্পাদকীয়:
সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ হোক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা পাক

বাংলাদেশে সাংবাদিকতা এখন আর শুধু একটি পেশা নয় এটি যেন ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের পরীক্ষায় অবিরাম অংশগ্রহণ। সময়ের পরিক্রমায় গণমাধ্যম একদিকে যেমন বিকশিত হয়েছে, অন্যদিকে তার অস্তিত্ব এবং স্বাধীনতা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং নিউস্পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তা দেখে স্পষ্টভাবে অনুমান করা যায় বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে।

বাস্তবতার নির্মম চিত্র

নোয়াবের হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬৬ জনকে একটি গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে যেখানে তাদের ভূমিকা ছিল কেবল ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ ও প্রতিবেদন করা।

এর পাশাপাশি তিনজন সাংবাদিক দায়িত্ব পালনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের নিরাপত্তা প্রশ্নে এক ভয়ঙ্কর বার্তা বহন করে। তথ্য সংগ্রহের অধিকার ও সাংবাদিকতার নিরাপত্তা না থাকলে, একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্র কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।

২৪ জন সাংবাদিককে চাকরি থেকে অপসারণ, ৮টি সংবাদপত্রের সম্পাদক, ও ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করার যে চিত্র উঠে এসেছে, তা দেখায় যে, শুধু মাঠ পর্যায়ে নয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সাংবাদিকেরাও আজ রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক চাপের শিকার।

আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ভয়ের সংস্কৃতি

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো সাংবাদিকদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ (self-censorship) বেড়ে যাওয়া। যখন সাংবাদিক জানেন তাদের কোনো প্রতিবেদন বা মন্তব্যের কারণে গ্রেপ্তার, চাকরি হারানো, এমনকি প্রাণহানির ঝুঁকি রয়েছে, তখন তারা সত্য বলার পরিবর্তে নীরব থাকেন। এর ফলে রাষ্ট্রে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ব্যাহত হয়, এবং জনগণ প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত হন।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের অবস্থান

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে (World Press Freedom Index) বাংলাদেশের অবস্থান প্রতিবছরই অবনমন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, বাস্তবে দেশে সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যায় না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সংবিধানে থাকা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় না।

গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সাংবাদিকরা জনগণের চোখ ও কান। তারা সত্য উদঘাটন করে, দুর্নীতিকে উন্মোচন করে, শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে। তারা নিছক কোনো পেশাজীবী নন, বরং গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। তাদের নিপীড়ন মানে, রাষ্ট্রের এক স্তম্ভ ধ্বংস করা।

গণমাধ্যমকে যদি দলীয় বা প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতিয়ার বানানো হয়, তাহলে তা কেবল সাংবাদিকতার জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্যই এক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

আমাদের স্পষ্ট অবস্থান

আমরা মনে করি, এখনই সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার। সlogans, বক্তৃতা কিংবা শোভাযাত্রা নয় প্রয়োজন আইনি ও নীতিগত সুরক্ষা।

আমাদের দাবি ও সুপারিশ:

১. সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হত্যা ও হুমকির ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সম্পাদনা নীতিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
৪.তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে এবং তথ্য অধিকার আইন কার্যকর করতে হবে।
৫.গণমাধ্যম মালিক ও সাংবাদিকদের মাঝে পেশাগত ন্যায্যতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৬.আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়। সত্য বলা কোনো বিদ্রোহ নয়। সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশ করা রাষ্ট্রদ্রোহ হতে পারে না। সাংবাদিকরা সাহসের সঙ্গে কাজ করলে সমাজ এগিয়ে যায়; আর যদি তারা ভয় পেয়ে চুপ থাকেন, তবে তা কেবল সাংবাদিকতার পরাজয় নয়, আমাদের সবারই পরাজয়।

আজ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর সময়। আজ সত্যের পক্ষে কলম ধরার সময়। আজ রাষ্ট্র, সমাজ ও নাগরিকদের সম্মিলিতভাবে বলতে হবে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করো, মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করো।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়েছে। সরকার এটিকে সাফল্য বললেও, এর পেছনে রয়েছে এমন কিছু ...
01/08/2025

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়েছে। সরকার এটিকে সাফল্য বললেও, এর পেছনে রয়েছে এমন কিছু শর্ত ও বাস্তবতা, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতি, রপ্তানি ও নীতিগত স্বাধীনতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

শুল্ক পুরোপুরি উঠেনি

আমাদের প্রত্যাশা ছিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বা স্বল্পশুল্ক সুবিধা দেবে। বাস্তবে তা হয়নি। এখনো ২০ শতাংশ শুল্ক বহাল আছে, যা ভিয়েতনাম, মেক্সিকো বা কোরিয়ার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বাংলাদেশি পণ্য মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না।

রপ্তানি হুমকির মুখে

বিশেষ করে পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্য এই শুল্কের কারণে দামে পিছিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় রিটেইলার ও ব্র্যান্ডগুলো এখন অন্য দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে অর্ডার কমে যেতে পারে এবং অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

শুল্ক কমানোর বিনিময়ে বড় অঙ্কের দায়

এই শুল্ক কমানোর জন্য বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান, কয়েক লাখ টন গম, সয়াবিন, তুলা ও এলপিজি আমদানির প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে। এসবের ব্যয় দাঁড়াবে কয়েক বিলিয়ন ডলার, যা বৈদেশিক মুদ্রার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

নীতিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ কাস্টমস সংস্কার, ট্রেড লিবারালাইজেশন এবং অন্যান্য নীতিগত পরিবর্তন দ্রুত বাস্তবায়ন করুক। এসব পরিবর্তন স্থানীয় শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অনেক ক্ষুদ্র ও মধ্যম উদ্যোক্তা বিদেশি প্রতিযোগিতার চাপে পড়বেন।

বাণিজ্য ভারসাম্যের ঘাটতি

এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ আমদানি বাড়াচ্ছে, কিন্তু রপ্তানি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়তে পারে এবং আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে আমেরিকার হাতে চলে যেতে পারে।

ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চাপের আশঙ্কা

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার বা শ্রম অধিকার নিয়ে শর্ত না দিলেও ভবিষ্যতে এসব ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে তারা কৌশলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পথ তৈরি করে নিচ্ছে।

উপসংহার

এই চুক্তিকে শুধু শুল্ক কমার গল্প হিসেবে দেখলে ভুল হবে। এখানে রয়েছে একগুচ্ছ শর্ত, বৈদেশিক চাপ, রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা। যারা একে শুধু সফলতা হিসেবে দেখছেন, তাদের এই প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজতে হবে:

এই শুল্কের বিনিময়ে বাংলাদেশ কী হারিয়েছে?
দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করা হবে কীভাবে?
রপ্তানিকারকেরা টিকে থাকবে কীভাবে?
এই চুক্তির প্রকৃত লাভবান কে?

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে ২০১৫ সালে অভিবাসনপ্রবাহের মুখোমুখি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সম্মুখসারির দেশ হিসেবে এই প্রবাহের প্রভাব...
31/07/2025

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে ২০১৫ সালে অভিবাসনপ্রবাহের মুখোমুখি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সম্মুখসারির দেশ হিসেবে এই প্রবাহের প্রভাব তীব্রভাবে পড়েছে সদস্যরাষ্ট্র গ্রিসের উপর৷ তখন গ্রিক দ্বীপ লেসবস স্বাগত জানিয়েছে অভিবাসী কিংবা শরণার্থীদের৷ সেখানকার মানুষেরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে এসেছেন৷ কিন্তু এক দশকে অনেক বদল এসেছে গ্রিসে৷ অভিবাসন ইস্যুতে সরকার তার নীতি কঠোর করেছে৷ যার প্রভাব পড়েছে লেসবসেও৷ এখন অভিবাসনের চেয়ে দ্বীপটিকে ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন নিয়েই আগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার৷ সেই লেসবস দ্বীপের একটি আশ্রয়কেন্দ্র কারা তেপে৷ একজন অভিবাসী বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছেন সেই শরণার্থী কেন্দ্রের দিকে৷ ভেতরে একজনকে দেখা যাচ্ছে হাঁটাহাঁটি করছেন৷ গ্রিক সরকার আইন কঠোর করলেও দ্বীপটির অনেক মানুষ এখনও অভিবাসীদের প্রতি সংহতি জানাতে চান, পাশে থাকতে চান৷

বৈচিত্র্য’, ‘সংখ্যালঘু’, ‘মাইনরিটি ভয়েস’—এই সব শব্দকে ঢাল বানিয়ে এমন কিছু মানুষ সংসদে ঢুকবে, যাদের প্রতি সমাজের ন্যূনতম ...
31/07/2025

বৈচিত্র্য’, ‘সংখ্যালঘু’, ‘মাইনরিটি ভয়েস’—এই সব শব্দকে ঢাল বানিয়ে এমন কিছু মানুষ সংসদে ঢুকবে, যাদের প্রতি সমাজের ন্যূনতম আস্থাও নেই।
যাদের আপনি কখনও ভোট দিতেন না, যাদের কথাবার্তায় ধর্ম-বিশ্বাস-সংস্কৃতি নিয়ে বিদ্বেষ ঝরে, তারাই এখন পি.আর. পদ্ধতির সুযোগে "প্রতিনিধি" সাজবে।

তারা সংসদে উঠে বলবে—
“ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়, রাষ্ট্র সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হোক।”
“শিশুরা নিজের জেন্ডার নিজে ঠিক করবে।”
“মসজিদ, মাদ্রাসা—সবই পশ্চাৎপদতার প্রতীক!”

এরা রাষ্ট্রের চেহারা বদলানের কথা বলে, আপনার সন্তানের চিন্তাধারা বদলাতে চায়, সমাজের নৈতিক ভিত্তি ভেঙে দিতে চায়।

তখন কি আপনি তালি বাজাবেন?
হাততালি দিয়ে বলবেন—
“গণতন্ত্র জয় হোক!”

31/07/2025
31/07/2025

জুলাই নিয়ে গোষ্ঠী রাজনীতি? দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক।

মাত্র এক বছর যেতে না যেতেই জুলাইয়ের ঐতিহাসিক শক্তির এই করুণ দশা! এই বিভক্ত চিত্র দেখে ক্ষোভে-ব্যথায় কথা হারিয়ে যায়।

এই সময় দরকার ছিল সর্বোচ্চ ঐক্যের—জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায়ে সকল পক্ষের সমন্বিত চাপ। অথচ ঠিক তখনই নাহিদ ইসলাম বলয়ভিত্তিক রাজনীতিতে ব্যস্ত। বিভাজনের এই প্রয়াস আত্মঘাতী।

প্রশ্নটা সবার আগে আপনাদের জন্য—জুলাই ঘোষণাপত্র যদি না আসে, সবচেয়ে বড় সমস্যা কাদের হবে? সংকটে পড়বেন আপনারা নিজেরাই।

জুলাই ছিল সম্মিলনের নাম, ইতিহাসের সামনে দাঁড়ানো এক সাহসী উচ্চারণ। এটাকে যদি আপনি ব্যক্তিগত জায়গা দখলের লড়াইয়ে নামিয়ে আনেন, তাহলে দায় থেকে আপনি মুক্ত নন।
ইতিহাস আত্মপ্রবঞ্চনা মেনে নেয় না।

31/07/2025

নাহিদ ইসলাম, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি—

অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ ছিল বহুস্তরীয়—শিবির, ছাত্রদল, বাম-ডান, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক নানা পক্ষ জড়িত ছিল। নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও ছিল বৈচিত্র্য। কিন্তু সেই বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি কোথায়? কয়জনের নাম আজ আপনারা মনে রেখেছেন? বলয়ের বাইরের কাউকে কি একবারও মূল্যায়ন করেছেন?

সমস্যা হতো না, যদি কাউকেই আলাদাভাবে তুলে ধরা না হতো। কিন্তু তা তো হয়নি। বরং বেছে বেছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সামনে আনা হয়েছে বারবার, যেন বাকিরা ছিলই না! এবং এই বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় তো আপনারাও সম্পৃক্ত ছিলেন।

এই গোষ্ঠীকেন্দ্রিক মানসিকতা, আপনাদের বলয়ভিত্তিক ‘ভাই-ব্রাদার’ জোট গড়ে তোলা, আর অভ্যুত্থানের সম্মিলিত শক্তিকে ছেঁকে নিজের মতো সাজিয়ে নেওয়ার প্রবণতা—এসবই এসেছে আপনাদের দিক থেকেই। নেতৃত্বের ভার বহন করার সক্ষমতার ঘাটতি, আর ইতিহাসকে নিজের সুবিধামতো সাজানোর চেষ্টা মিলেই অভ্যুত্থানের ভেতরে ভাঙন ডেকে এনেছে।
এই দায় আপনি এবং আপনার বলয় এড়িয়ে যেতে পারবেনা।

29/07/2025

I got over 7,000 reactions on my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

Dirección

Barcelona
08001

Teléfono

+34633249138

Notificaciones

Sé el primero en enterarse y déjanos enviarle un correo electrónico cuando Channel 5 publique noticias y promociones. Su dirección de correo electrónico no se utilizará para ningún otro fin, y puede darse de baja en cualquier momento.

Contacto La Empresa

Enviar un mensaje a Channel 5:

Compartir