08/08/2025
নারী ভাঙে একবারই, তারপর গড়ে তোলে এক অন্যরকম নিজেকে:
নারীকে ভাঙা হয়তো সহজ— কারণ সে ভালোবাসে নিঃস্বার্থভাবে, বিশ্বাস করে চোখ বুঁজে, আর নিজেকে বিলিয়ে দেয় নিঃশেষে। কিন্তু যখন সেই বিশ্বাস, সেই ভালোবাসা অবহেলার ধাক্কায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়— তখন সে আর আগের মতো থাকে না। সে ভাঙে, তবে হারে না। কারণ সে জানে, অন্য কেউ এসে তার ভাঙা হৃদয় জোড়া দেবে না। সে নিজেই নিজেকে জোড়া লাগায়— নিঃশব্দে, নিঃসঙ্গতায়, এবং ধীরে ধীরে।
নারী ভাঙার আগে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে— সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে, অনুভূতিকে বোঝাতে, ভালোবাসার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে। কিন্তু বারবার যখন তার কণ্ঠ নিস্পৃহতায় ডুবে যায়, আবেগ অবহেলার দেয়ালে ধাক্কা খায়, তখন সে চুপচাপ সরে আসে। অভিমান করতে করতে এক সময় সে বুঝে যায়— তার চোখের জল, তার না বলা কথাগুলো, তার অপেক্ষা— আসলে কোনো গুরুত্বই রাখে না সেই মানুষটার কাছে, যার জন্য সে এতটা ভেবেছিল।
তখনই সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়— নরম মনের চারপাশে গড়ে তোলে এক কঠিন আবরণ। যে মেয়েটা একসময় সামান্য অবহেলায় ভেঙে পড়ত, এখন সে এক নিঃশব্দ পাহাড়— অনুভূতির ছায়াও যেখানে পড়ে না। কে ভালোবাসলো, কে ভুলে গেল, কে কাছে এলো, কে দূরে গেল— এসবের হিসেব রাখা বন্ধ করে দেয়। তার জন্য তখন নিজের শান্তিটাই সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়।
মানুষ বদলে গেলে সেটি হয় প্রচণ্ড তীব্রতায়। একবার পোড়া মাটি যেমন আর আগের মতো নরম হয় না, তেমনি একবার আহত হৃদয়ও আর আগের মতো কোমলতায় সাড়া দেয় না। মেয়েরা যখন বদলায়, তখন তাদের ভেতরের আলো নিভে যায়— কিন্তু তার ভস্মে গড়ে ওঠে এক কঠিন বাস্তবতা। তখন আর কেউ চাইলেও সেই আগের সহজ-সরল মেয়েটাকে ফেরাতে পারে না।
তাদের বদলে যাওয়া হয় না প্রতিশোধের জন্য— হয় আত্মরক্ষার জন্য। হয় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। আর সেই বদলে যাওয়া মেয়েটাই একদিন দাঁড়িয়ে যায় এমন এক জায়গায়, যেখান থেকে ফিরে তাকানোর আর কিছুই থাকে না। তখন সে নিজেকে ভালোবাসতে শেখে— একা থাকতে শেখে, এবং বুঝে যায়, ভাঙা মনেও গড়ে তোলা যায় এক নতুন জীবন।
_________________________________
, , , , ,