Cultural Tides

Cultural Tides বাংলাদেশের ভাষা।

ইরানে হামলার আগে ট্রাম্প অবশ্যই জানিয়েছে, সেটার প্রমাণ হচ্ছে গত দুই দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সব পরমাণু সামগ্রী সরানোর সুযোগ ...
22/06/2025

ইরানে হামলার আগে ট্রাম্প অবশ্যই জানিয়েছে, সেটার প্রমাণ হচ্ছে গত দুই দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সব পরমাণু সামগ্রী সরানোর সুযোগ করে দিয়েছে ইরানকে। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায় অনেকগুলো ট্রাক পরমাণু সাইটে ছিলো। সেগুলো দেখা এবং আক্রমণ করা খুবই সহজ ছিলো। মার্কিন কিংবা ইস্রায়েল দুই দেশই সেই ক্যাপাসিটি রাখে।

তাহলে ট্রাম্প কেন এতো বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে গেছেন? যাতে সবাইকে বুঝাতে পারেন যে এটা জেনুইন। সম্ভবত এতে ইসরায়েলেরও লাভ। আন্ডার টেবিলে আলোচনা করে আক্রমন করে নেতানিয়াহুর মুখ রক্ষাও করা হলো।

19/06/2025

আপাতত পেইজে পাবেন Monowar Patwary কে।

08/06/2025

পাকিস্তানি উপনিবেশ আমলে চাকুরীতে বাঙালির সাথে বৈষম্যের লোমহর্ষক চিত্র
______________________
১৯৪৭ সালে বাংলাভাষী মুসলমানের মধ্যে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস—আইসিএস অফিসার ছিল মাত্র তিনজন।
১) মো. আখতারুজ্জামান
২) মো. নুরুন নবী
৩) মো. মোরশেদ।

এই তিনজনের মধ্যে শুধুমাত্র মো. নুরুন নবী পাকিস্তানে আসেন বাকী দুইজন হিন্দুস্তানে থেকে যান। বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস মানে প্রাদেশিক সরকারের সেকেন্ড ক্লাস অফিসার ছিল ২৫-৩০ জন।

১৯৪৭ এর ভারত ভাগের সময় পূর্ব বাংলার ৯৯% ডাক্তার, ৯৯% জমিদার, ৯৯% বিচারপতি, ৯৫% শিক্ষক, ৯৮% সরকারি অফিসার, ৯৫% পুলিশ অফিসার, ৯৫% উকিল, ৯৫% মহাজন, ৯৫% বড় ব্যবসায়ী ছিল হিন্দু।

বাংলাভাষী মুসলমান ছিল উপমহাদেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্যতম।

গোটা পূর্ব পাকিস্তানের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক বেশিরভাগই ছিল হিন্দু। ঢাবির সাবেক ভিসি ড. সাজ্জাদ হোসায়েন বলেছিলেন,

❝ আমি যখন ১৯৩৮ সালে ফার্স্ট ইয়ারে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হই তখন আর্টস বা কলা-ফ্যাকালটিতে আরবী এবং উর্দু-ফার্সি ডিপার্টমেন্টকে বাদ দিলে মুসলমান শিক্ষক ছিলেন মাত্র ৩ জন। ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ড. মাহমুদ হাসান, বাংলার ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং ইতিহাসের ড. মাহমুদ হোসেন। ❞

৪৭ এর দেশভাগের পরে হিন্দুদের বড় অংশ পূর্ব বাংলা ছেড়ে পশ্চিম বাংলায় চলে যায়। ফলে পূর্ব বাংলায় একটা ভয়াবহ শূন্যতা তৈরি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক শূন্য হয়ে যায়।

অবস্থা সামাল দিতে জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজ থেকে ছাত্র এবং শিক্ষক এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকানো হয়। জগন্নাথ কলেজের একটা শিক্ষাবর্ষ বন্ধ করে দেওয়া হয়, সব ছাত্রদের আনা হয় ঢাবিতে।

১৯৪৭ সালের শেষ দিকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সেন্ট্রাল সার্ভিসের জন্য অনেক অফিসার রিক্রুট করা হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় ছিলো না। শুধু ইন্টারভিউ করে কাউকে ফরেন সার্ভিসে, কাউকে অডিট সার্ভিসে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

পূর্ব পাকিস্তানের কলেজে কলেজে রিক্রুটমেন্ট টিম ঘুরে বেড়িয়ে লোক সংগ্রহ করেন। এই সময়ে বার্মায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকার আর্মানিটোলা হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক কমর উদ্দিন আহমেদ।

অন্যদিকে দেশের অন্য প্রান্ত মাগরেবি পাকিস্তানে আইসিএস অফিসারই ছিল ১০০ জনের বেশি।

এছাড়া ভারতের দিল্লি, আগ্রা, লাখনো, হায়দারাবাদ ছিল মিডিল ক্লাস মুসলমানদের ডমিনেটেড শহর। উত্তর প্রদেশেও মুসলমানদের মধ্যে একটা সমৃদ্ধ মিডিলক্লাস ছিল। এই শহরগুলোর সব গুরুত্বপূর্ণ পদের একটা বড় অংশ ছিল মুসলমান। এসব মুসলমানদের একটা বড় অংশ পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানে হিজরত করে।

স্বাভাবিক ভাবেই ভারত থেকে পাকিস্তানে হিজরত করে আসা অবাঙালি অফিসারেরা বাকী শূন্য পদে নিয়োগ পান।

রাতারাতি কেরানি থেকে অফিসার, কলেজের শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্কুলের শিক্ষক থেকে রাষ্ট্রদূত হয়ে যাবার পরেও বাঙালি রাজনীতিবীদেরা অত্যন্ত অযাচিতভাবে বৈষম্যের প্রপাগাণ্ডা শুরু করে।

◼️
১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদের শিক্ষার হার ছিল ৫% এরও কম অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে শিক্ষার হার ছিল ২০% এর আশেপাশে।

তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, পশ্চিম পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ১২ টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র এবং শিক্ষক ছিল মুসলমান। আগেই উল্লেখ্য পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্র-শিক্ষক ছিল হিন্দু যারা ভারত চলে যায়। অন্যদিকে ভারতের শিক্ষিত এবং সম্পদশালী হাজার হাজার মুসলমান পাকিস্তানে হিজরত করে চলে আসে।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই চাকুরীতে মেধার জোরে ভারত থেকে হিজরত করা শিক্ষিত মুহাজির এবং পশ্চিম পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গ্রাজুয়েটরা এগিয়ে থাকে। যেটা খুবই স্বাভাবিক।

এমনকি বর্তমান বাংলাদেশেও ভারত থেকে হিজরত করে আসা মুসলমানদের একটা প্রধান্য আছে— বদরুদ্দীন উমর, আনিসুজ্জামান, নায়ক রাজ্জাক, রেহমান সোবহান, প্রেসিডেন্ট এরশাদ, জাফর সোবহান প্রমুখ সাতচল্লিশ সালে ভারত থেকে মাশরেকি পাকিস্তানে এসেছিলো। আবার ভারতেও পাকিস্তান থেকে চলে যাওয়া হিন্দুরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অসীন হয়েছে।

এটা ছিল উপমহাদেশের একটা স্বাভাবিক বাস্তবতা। এই স্বাভাবিক অবস্থাকে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা বিশাল ইস্যু বানিয়ে হৈচৈ শুরু করে। এবং তারা ছিল উগ্র রেসিস্ট। বাঙালি জাতীয়তাবাদিরা ভারত থেকে আসা অবাঙালি অফিসারদের নিয়ে বিষোদগার, তাদের উপর প্রাণঘাতী হামলা, অনেককে হত্যা পর্যন্ত করলেও ভারতের একই এলাকা থেকে আসা বাঙালি অফিসারদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে নাই।

এই সংকট নিরসনে আইয়ুব খান কোটা পদ্ধতি চালু করে। নিয়ম হয় ৪০% ভাগ চাকুরী পাবে পূর্ব পাকিস্তান ৪০% ভাগ পশ্চিম পাকিস্তান এবং ২০% আসবে মেধা ভিত্তিতে। এই কোটা পদ্ধতির কারনে অনেক কম নম্বর পেয়েও পূর্ব পাকিস্তানের গ্রাজুয়েটরা পিসিএসে চাকুরি পাওয়া শুরু করে।

এতে অবস্থার উন্নতি হয়। প্রশাসনে বাঙালিদের পরিমান বাড়তে থাকে। ১৯৭১ সাল নাগাদ সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তাদের মধ্যে বাঙালির সংখ্যা ছিল ১৯৬ জন। আর "উপনিবেশি"পাঞ্জাবি কর্মকর্তার সংখ্যা ছিল ১৯৯। পশ্চিম পাকিস্তানের মোট অফিসারের সংখ্যা ছিল মোট ৩০০ এর কিছু বেশি।

১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে ইয়াহিয়া অসামরিক ব্যক্তিদের নিয়ে ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠন করেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন বাঙালি-এ কে এম হাফিজুদ্দিন, শামসুল হক, আহসানুল হক, ডা. আবদুল মোতালেব মালেক ও অধ্যাপক গোলাম ওয়াহেদ চৌধুরী। ছয়জন বাঙালি সিএসপি কর্মকর্তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সব মন্ত্রণালয়ে নির্দেশ যায়, কোনো পদ শূন্য হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেন বাঙালিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ সেই কোটায় চাকুরী পাওয়া। তবে কোন বছরই পূর্ব পাকিস্তানের কোটা পূর্ণ হত না। প্রতিবছর অনেক আসন ফাঁকা থাকতো৷ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের কেউ কোনমতে লিখিত পাশ করলেই চাকরি পেয়ে যেত৷ অন্যদিকে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও চাকুরী পেত না পশ্চিমের শিক্ষার্থীরা। এই কোটার ফলে পশ্চিম পাকিস্তানের গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

এরপরেও বাঙালি বুদ্ধিজীবী এবং রাজনীতিবীদদের বৈষম্যের প্রপাগাণ্ডা চলতেই থাকে।

বাঙালি বুদ্ধিজীবী এবং রাজনীতিবীদদের এই অব্যাহত প্রচারণা পশ্চিম পাকিস্তানিদের স্থুল একাংশক ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে যায়। তারাও এই মত দেওয়া শুরু করে, পূর্ব পাকিস্তান চাইলে আলাদা হয়ে যাক।

সমতা মানে ইকুয়াল রেজাল্ট নয়, সমতা মানে ইকুয়াল অপরচুনিটি। বর্তমান বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিসিএসে চাকুরী প্রাপ্তদের কমপক্ষে ৭০ ভাগই থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। টুঙ্গিপাড়ার গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে দশ/পনের বছর পর পর ১ জন চান্স পায় আবার পায় না। এর মানে এটা নয় যে টুঙ্গিপাড়া গ্রাজুয়েটদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। বাঙালি ঠিক এই রকম হাস্যকর অসমতার অভিযোগ আনে।

সমধিকারের নামে বাঙালি আদতে চাকুরীতে সমান সংখ্যক ঢাবি গ্রাজুয়েট এবং টুঙ্গিপাড়া গ্রাজুয়েট দেখতে চেয়েছিলো।

সূত্র:
১। স্বাধীনতার ৫০ বছর, বিবিসি রিপোর্ট, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
২। সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন, একাত্তরের স্মৃতি
৩। মহিউদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ: উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০
৪। Fifty years of Bangladesh: Prof Taj Hashmi

Mir Salman Samil.

গাজার উদ্দেশে যাত্রারত মাদলিন জাহাজের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী আছে জানি না। জাহাজটি অলরেডি মিশর পৌঁছেছে। মিশরের লাগোয়াই তো ...
08/06/2025

গাজার উদ্দেশে যাত্রারত মাদলিন জাহাজের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী আছে জানি না। জাহাজটি অলরেডি মিশর পৌঁছেছে। মিশরের লাগোয়াই তো গাজা।

১ জুন ইতালির কাতানিয়া বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছে, ৭ জুনের মধ্যে গাজায় পৌঁছানোর কথা। জাহাজে আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ময়দা, চাল, শিশুখাদ্য, ন্যাপি, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট এবং শিশুদের কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো জরুরি সরবরাহ।

ইসরায়েল ২০০৭ সাল থেকে গাজায় স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এই জাহাজ চায়, গাজায় ১৭ বছর ধরে চলা ইসরায়েলের সেই নৌ-অবরোধ ভাঙতে। এখানেই বিপদ। ২০১০ সালে তুরস্ক থেকে যাওয়া এমন একটা ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ করে ৯ জন সাহায্যকর্মীকে শহিদ করে দেয়।

ওই জাহাজের নাম ছিল মাভি মারমারা। এবারেররটার নাম মাদলিন। মাদলিন কুবালা হলেন গাজার প্রথম নারী মৎস্যজীবী। তার নামে এই জাহাজের নাম।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি এডফ্রিন জানিয়েছেন, তারা জাহাজটিকে গাজার উপকূলে পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার জন্য ‘প্রস্তুত‘ এবং ‘পদক্ষেপ নেবে‘।

ওদিকে এই জাহাজেও আছেন ১২ জন অ্যাক্টিভিস্ট। তারাও আবার অহিংসভাবে হামলা প্রতিরোধের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং নিরস্ত্র যাত্রা করছেন।

সবার নজর জাহাজে থাকা জলবায়ু কর্মী বিখ্যাত গ্রেটা থুনবার্গের দিকে। আলজাজিরা গতকাল জাহাজে থাকতেই তার একটা দুর্দান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

জাহাজে আরও আছেন ফরাসি সংসদ সদস্য ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টেরিয়ান রিমা হাসান, গেম অফ থ্রোনস অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম এবং জার্মান অ্যাক্টিভিস্ট ইয়াসেমিন আকার।

যাত্রার পথে তারা ভূমধ্যসাগরে একটা ডুবু ডুবু নৌকা থেকে চারজন সুদানী শরণার্থীকে উদ্ধার করেছেন, যারা লিবিয়ার কর্তৃপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিল। শরণার্থীদের গ্রিসে নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছে তারা।

গাজায় ২৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে এবং প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু শহিদের মিছিলে যুক্ত হচ্ছে, সেটা তো সত্য। সেখানে এই ছোট্ট জাহাজের ভিনদেশী নাবিকরা কি মৃত্যুপুরীতে পৌঁছতে সফল হবে নাকি গাজা যুদ্ধের আগুনে তারাও ছাই হয়ে যাবেন কে জানে।

Manzurul Haque

শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ সোয়া ছয়শত বছর আগে সুলতান সিকান্দার নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণে সময় লেগেছিল আট বছর। ১৪০২ সালে এই নি...
07/06/2025

শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ সোয়া ছয়শত বছর আগে সুলতান সিকান্দার নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণে সময় লেগেছিল আট বছর। ১৪০২ সালে এই নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

আশি বছর পরে মসজিদ আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, সুলতান হাসান শাহ পুনর্নিমাণ শুরু করেন। শতবর্ষের ব্যবধানে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে আবারও মসজিদে আগুন লাগে। সম্রাট জাহাঙ্গীর পুনরায় সংস্কার শুরু করেন। ১৭ বছরে শেষ হয়।

সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীরের সময়কালে বর্তমান কাঠামোয় মসজিদ পুনর্নির্মিত হয়। শহরের সব মিস্ত্রিকে কাজে লাগিয়ে তিন বছরে এ নির্মাণ কাজ করা হয়।

এই অঞ্চলের মুসলমানদের ঐক্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক এই মসজিদে গত ৭ বছর ধরে ঈদের নামাজ পড়তে দেওয়া হয় না। এবারেও এই মসজিদ ঈদের আগের দিন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মসজিদের খতিবের বাসভবনের সামনে পুলিশ ও এপিসি মোতায়েন করে হাউজ এরেস্টে রাখা হয়েছে। ঈদ সব জায়গায় সমান আনন্দ নিয়ে আসে না।

ঈদের দিন শূন্য হয়ে আছে মসজিদের ভেতর।

Arju Ahmed

কোরবানির আড়ালে থাকা অবিশ্বাস্য অর্থনীতিরাজধানীর গাবতলী, আফতাবনগর কিংবা শ্যামপুর গরুর হাটই নয়; বরং সারা দেশে অসংখ্য গরুর ...
06/06/2025

কোরবানির আড়ালে থাকা অবিশ্বাস্য অর্থনীতি

রাজধানীর গাবতলী, আফতাবনগর কিংবা শ্যামপুর গরুর হাটই নয়; বরং সারা দেশে অসংখ্য গরুর হাট যখন জমজমাট অবস্থা, তখন দেশীয় অস্ত্রের বাজারও হয়ে ওঠে জমজমাট! হ্যাঁ, দেশীয় অস্ত্র অর্থাৎ ছুরি, চাপাতি আর কি!

একটি গরুকে জবাই করে চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটা পর্যন্ত প্রয়োজন হয় প্রায় ছয় থেকে সাতটি ধারালো ছুড়ির। তার মধ্যে বড় ও ছোট মিলিয়ে সাতটি ছুড়ির খরচ প্রায় ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। কারওয়ান বাজারের পূর্ব প্রান্তে রেললাইন ঘেঁষে গোটা বিশেক দোকানে বিক্রি হয় ছুরি, চাপাতি, কুড়াল, দা ও বঁটি। সেসব দোকানের তথ্যমতে, করোনা মহামারীর আগে অর্থাৎ ১৮ ও ১৯ সালে কোরবানির আগে দিনে বিক্রি হতো প্রায় ৯০-৯৫ হাজার টাকার বেশি। সে হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে এসব দোকানে বিক্রি হয় ৯৫ লক্ষ টাকা।

এবার আসা যাক কোরবানির হাটে।

২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশে কোরবানির হাট থেকে বিক্রি হয়েছিলো ৫৫ লাখ গরু। ছাগল ও ভেড়া সহ অন্যান্য পশু ৪০ লাখের মত। যদি গড়ে একটি গরুর দাম হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং ছাগলের গড় দাম হয় ৫-৭ হাজার টাকা ধরা হয়, তবে শুধু কোরবানির পশু কেনা-বেচাতেই লেনদেন হয় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। আর পুরো এই লেনদেনের ব্যবস্থা একদম হাতে হাতে ব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই। পৃথিবীর কোথাও ম্যানুয়ালি হাতে হাতে মাত্র কয়েক দিনে এত লেনদেন হয় কিনা তা বলা মুশকিল। তবে ২০২০ সালের তথ্যমতে, বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক এমনকি মোবাইল ব্যাংকিং- যেমন বিকাশ, নগদ, রকেটেও এত টাকা লেনদেন হয় না।
আর এই দুই হাজার কোটি টাকার ৯৮ শতাংশ লেনদেন হয় এমন সব মানুষের সঙ্গে যারা নিম্নবিত্ত কিংবা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন।

দুই হাজার কোটি টাকার বিজনেস, তাও প্রায় পুরোটাই গরিব মানুষের সঙ্গে। ক্যান ইউ ইমাজিন ইট?

বাংলাদেশের কোন বিজনেস ফেয়ারে, অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে আর্থিক এত বড় লেনদেনের ঘটনা কখনই ঘটে না।

সরকারি নিয়ম অনুসারে, প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য ৫০০ টাকা, দুম্বা বা ছাগলের জন্য ২০০ টাকা এবং উটের জন্য ৬ হাজার টাকা রাজস্ব দিতে হয়। সে হিসেবে সরকার রাজস্ব পাওয়ার কথা প্রায় দুই লক্ষ কোটি টাকার। পশুর হাট ইজারা দিয়ে শুধু ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরই আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে ওঠা খামারগুলোতে কর্মসংস্থান হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষের। তাছাড়াও কোরবানির পশু পরিবহন, টোল, বকশিস, বাঁশ-খুঁটির ব্যবসা, পশুর খাবারেও লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা।

কোরবানির পশুর চামড়া গড় প্রতি এক হাজার টাকা ধরলেও ২০১৮ সালে বিক্রি হওয়া ৫৫ লক্ষ গরুর চামড়ার দাম ৫৫০ কোটি টাকা। আর ৪০ লাখ ছাগলের চামড়া মাত্র একশো টাকা ধরলেও শুধু চামড়া বাবদই ২০১৮ সালে এসেছে ৬০০ কোটি টাকা। যার পুরোটাই চলে গেছে নিম্নবিত্তদের হাতে।

একবার ভাবুন, মাত্র একদিনে দরিদ্র ও গরিব মানুষদের হাতে চলে যাচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা!

জাস্ট আনবিলিভেবল!

চামড়াগুলো দিয়ে বাংলাদেশের ট্যানারিগুলো কী করছে তার একটা হিসেব পাওয়া যায় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই (জুলাই-আগস্ট) বাংলাদেশ থেকে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলারের জুতা রফতানি করা হয়। যার সত্তর ভাগ চামড়া নেয়া হয় কোরবানি ঈদ থেকে। অর্থাৎ ২০১৫ অর্থবছরে জুলাই-আগস্ট মাত্র দুই মাসে বাংলাদেশের কোরবানির চামড়া দিয়ে বানানো জুতা বিদেশে রফতানি করে আয়- ৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায়- ৬১২ কোটি টাকা!

শুধুমাত্র কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে যেমন লবণ, তাপ নিয়ন্ত্রন সহ বিভিন্ন সরঞ্জামে বিজনেস হয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালেই চামড়ার জন্য শুল্কমুক্ত লবন সংরক্ষণ করা হয়েছিলো চল্লিশ হাজার টন। এসব কাজে যুক্ত হয় প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক, যারা কাজের জন্য বেশ ভালো পরিমাণে একটি অর্থ পান।

এবার আসি কোরবানি উপলক্ষ্যে মাংস রান্নার জন্য বিভিন্ন মশলার বিক্রির ইকোনমিতে। প্রতি বছর দেশে ২২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ৫ লাখ মেট্রিক টন রসুন আর ৩ লাখ টন আদার চাহিদা থাকে। এর উল্লেখযোগ্য অংশই ব্যবহার হয় কোরবানিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন এলাচ, ৭ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন দারুচিনি, ১৭০ মেট্রিক টন লবঙ্গ এবং ৩৭০ মেট্রিক টন জিরা আমদানি করা হয়েছে। কোরবানির বাজারে প্রায় এসব পণ্যের বিক্রি উপলক্ষ্যে লেনদেন হয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার।

এতক্ষণ আমরা কত টাকার লেনদেনের কথা বলেছি, আমরা নিজেরাও জানি না।

সবশেষ বলি রেফ্রিজারেটরের কথা। প্রতি বছর দেশে বছরে ১৪ লাখ ফ্রিজের চাহিদা আছে। বছরের ৩০ ভাগ ফ্রিজই বিক্রি হয় কোরবানি ঈদে। সে হিসেবে প্রতি বছর কোরবানির ঈদে প্রায় ৪ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়। ফ্রিজের সবচেয়ে কম মূল্য ২০ হাজার টাকা ধরলেও প্রতি কোরবানির ঈদে শুধু ফ্রিজ বিক্রি হয়- ৮০০ কোটি টাকা।

কোরবানি ঈদের এই অবিশ্বাস্য ইকোনমি পুরোটাই দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম-বাংলার নিম্নবিত্ত মানুষের উপর। ঈদের আনন্দ, কোরবানির ত্যাগ কিংবা মাংস বিলিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি- এসব কিছুর বাইরেও কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অভূতপূর্ব এই অর্থনীতির কথা হয়ত আপনি কখনও ভাবেননি।

06/06/2025

কিছু মানুষ ছাড়া আমাদের ঈদ হতো না। এখনও তারা আমাদের আশেপাশে, সামনেই। কিন্তু আমাদের কথা হয় না।

13/04/2025

লিল্লাহি তাকবীর।

18/01/2025

প্রথম আলো সিরাজ শিকদারসহ চীনপন্থী কমিউনিস্টদেরকে নিয়ে একটা লিখা প্রকাশ করেছে পুরা লেখায় তাদেরকে হাস্যকর কামুক, সাইকো হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর কারণ সিরাজ শিকদাররা মস্কো-দিল্লী বিরোধী। রইসুদ্দীন আরিফের আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন সমগ্র বইয়ে পাওয়া যায় কি সব অকল্পনীয় ত্যাগ করে, ক্ষুদার্ত কমিউনিস্ট কর্মীরা দিল্লী বিরোধী সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। সিরাজ শিকদারকে শেষ পর্যন্ত হ ত্যা করে মুজিব বাহিনী। স্বাধীন বাংলাদেশের সেটি ছিলো প্রথম এক্সট্রা জুডিশিয়াল কি লিং।

আজকে টিএসসি এরিয়াতে শহীদ সিরাজ শিকদারের প্রতিকৃতিতে অশ্রদ্ধা দেখে হতবাক হয়ে গেছি। কিছু বাম ইডিয়টদের জন্য ৭১-৭৫ সালের দিল্লির গোলামী বিরোধী দেশপ্রেমিক সিরাজ শিকদার অশ্রদ্ধা পেলে শহীদ আবরার ফাহাদদেরও এক সময় অজ্ঞানতাবশ: অশ্রদ্ধা করা শুরু হবে।

14/01/2025

লোকলজ্জার ভয়ে আসলে বলি না। হাসিনার বিরুদ্ধে ৩রা আগস্টেই ১ দফার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বয়ং সর্বজনাব মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সম্পাদক।

জেনেরাখাভালো।

27/08/2024

কথা ছিলো বিপ্লবের পরে আমরা কবিতা, সাহিত্য করবো, অরণ্যের গান, শালিকের সাথে নিবিড় আলাপ, দু:খ রজনীর শ্লোক,

কথা ছিলো নতুন উপন্যাস বাঁধাবো। ধুপঝালা হেমলক সন্ধ্যায় জারী সারি গান, নদীর সাথে মিতালী,

যেই না আমরা গানের তাল উঠাবো অমনি আমাদের মাঝে এসে হাজির হলেন আবু সাঈদ, আফনান, মুগ্ধরা,

বুলেটে বাঁ পাশ ছিঁড়ে যাওয়া বুক, ইটের আঘাতে থেতলে যাওয়া মাথা, মূহুর্তেই আকাশ রক্তিম হয়ে উঠে,

আমাদের পৃথীবিতে বসন্তেরা আর আসে না, রোনাজারী হয়ে উঠে আমাদের ভাষা, স্বৈরাচারের প্রতিটি চিহ্ন চুরমার হয়ে উঠে আমাদের ইবাদত, আমাদের চোখেরা হয়ে উঠে পরমানু চুল্লির মতো উত্তপ্ত।
আমাদের প্রার্থনা হয়ে উঠে ইনকিলাব।

জাতির উদ্দেশ্যে নুসরাত ফারিয়ার ভাষণ: প্রিয় দেশবাসী...আমার বাবা, আমি, আমার বাবা, উন্নয়ন, আমি, আমার বাবা....সমাপ্ত।👏👏
17/07/2024

জাতির উদ্দেশ্যে নুসরাত ফারিয়ার ভাষণ: প্রিয় দেশবাসী...আমার বাবা, আমি, আমার বাবা, উন্নয়ন, আমি, আমার বাবা....সমাপ্ত।👏👏

Adresse

13Th Arrondissement Of Paris

Téléphone

+8801704391189

Site Web

Notifications

Soyez le premier à savoir et laissez-nous vous envoyer un courriel lorsque Cultural Tides publie des nouvelles et des promotions. Votre adresse e-mail ne sera pas utilisée à d'autres fins, et vous pouvez vous désabonner à tout moment.

Contacter L'entreprise

Envoyer un message à Cultural Tides:

Partager