14/10/2025
গোপন চুক্তির প্রথম ধাপ বন্দর, পরবর্তী লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সেন্টমার্টিন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়ার এক নজিরবিহীন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে, যা এখন আর নিছক রাজনৈতিক সমালোচনায় সীমাবদ্ধ নেই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যম ও একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করছে যে, চট্টগ্রামসহ তিনটি প্রধান সমুদ্রবন্দরের ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর একটি গভীর এবং সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রথম ধাপ মাত্র।
সূত্রগুলো বলছে, ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই একটি গোপন চুক্তির আওতায় এই ষড়যন্ত্রের ছক তৈরি করা হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে বন্দর এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম, কৌশলগত করিডর এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণও বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই বিস্ফোরক তথ্য বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ অস্তিত্বের সংকটের মুখে দাঁড় করিয়েছে, যাকে বিশ্লেষকরা "দেশের সাথে চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা" বলে অভিহিত করছেন।
এক নজরে,
ক্ষমতা গ্রহণের গোপন চুক্তি: গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণের অন্যতম পূর্বশর্তই ছিল দেশের কৌশলগত সম্পদ বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার এই গোপন চুক্তি সম্পাদন করা।
বন্দর হস্তান্তর প্রথম ধাপ মাত্র: বর্তমান বন্দর হস্তান্তরকে সেই চুক্তিরই প্রথম ধাপ হিসেবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা জনমতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।
পরবর্তী লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সেন্টমার্টিন: চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী ধাপে দেশের ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে ষড়যন্ত্রের সত্যতা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে এই গোপন চুক্তির বিষয়টি সত্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে, যা সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ষড়যন্ত্রের জাল কতটা বিস্তৃত?
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ শুরু থেকেই বন্দর হস্তান্তরকে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার পাঁয়তারা বলে সতর্ক করে আসছিলেন। কিন্তু এখন গোয়েন্দা সূত্র মারফত পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সেন্টমার্টিনের মতো স্পর্শকাতর এলাকার নাম উঠে আসায় এটি স্পষ্ট যে, বিষয়টি নিছক অর্থনৈতিক সংস্কারের আড়ালে একটি বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা।
সরকারের অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ো, টেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়া এবং বন্দর এলাকায় প্রতিবাদ দমনে কঠোর অবস্থান—এই সবকিছু এখন একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো প্রধান দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখার প্রচেষ্টা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সীমিত ক্ষমতা ব্যবহার করে এমন দীর্ঘমেয়াদী ও ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনা এই সন্দেহকে আরও শক্তি বা জোর জুগিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে যুক্তিই দেওয়া হোক না কেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁস হওয়া এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বকে চিরতরে পঙ্গু করে দেবে। অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ এখন জনগণের অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে। এই বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগের জবাবদিহি তাদের করতেই হবে।