29/11/2025
বাংলাদেশীরা ভারতে প্রবেশ করলে আমাদের কতভাবে ক্ষতি?
এক, অবশ্যই এখানে এসে কাজের বাজারে ভাগ বসানো l
দুই, কম পয়সায় কাজ করে মজুরি কমিয়ে দিয়ে স্থানীয় দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে চলে যেতে বাধ্য করা l
তিন, ক্ষমতাসীন দলকে ভোটের লোভ দেখিয়ে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, বিভিন্ন ভার্তুকি এবং সামাজিক সুবিধা নেয়া l রাজস্ব ক্ষতি l
চার, জমি দখল করে থেকে যাওয়া এবং পরে জমির আসল মালিককে ঠকিয়ে হস্তগত করা l
পাঁচ, সরকারি খাস জমি দখল করে বসবাস এবং ব্যবসা করা l ফলে সড়ক, রেল, বিমানবন্দর ইত্যাদি সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যাওয়া
ছয়, নগদে ব্যবসা করে কোন GST ইত্যাদি না দিয়ে সরকারের বহু রাজস্ব ক্ষতি l
কিন্তু সবচেয়ে বড় যে সমস্যা নিয়ে তথাকথিত রাজনীতি সচেতন বাঙালী একেবারে নির্বিকার তা হল, জনবিন্যাসের পরিবর্তন পাকাপাকি ভাবে বাঙালীর শেষ ভুখন্ডে তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করছে l এর আগে, ১৯০৫ থেকে ১৯৩৫ লড়াই করে বাঙালী, কিন্তু ১৯৩৭/৪২/৪৬ এ অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হয় মুসলিমরা l কিন্তু ইতিহাস আমাদের কিছু শেখায় নি l মমতা ব্যানার্জী ২০০৫ এ সংসদে প্রতিবাদ করেছিলেন, এবং আজ করছে বিজেপি l ২০০৪ এবং ২০০৬ তে তৃণমূল-বিজেপি জোটের ফল চূড়ান্ত খারাপ এবং UPA র দুই শরিক কংগ্রেস এবং সিপিএমের সেরা ফল, প্রমান করে হিন্দু বাঙালী রাজনৈতিক ক্ষমতা হারিয়েছে l আবার ২০০৮ র এঁরা ঘুরতেই খেলা শেষ বামেদের l গত কয়েকটা ভোটেও সেই সমস্যা l
SIR আর্থিক বা সামাজিক সুরক্ষা কেড়ে নেবে এই ভয় আছে বাংলাদেশী বা রোহিঙ্গা মুসলিমদের l কিন্তু বাংলার মুসলিম ক্ষমতার ভারকেন্দ্র ১৯০৬ থেকেই যাদের হাতে, অর্থাৎ বড় মুসলিম জমিদার, নবাব, নাইট উপাধিধারী এবং পীরজাদাদের দখলে, তারা ১৯৪৭ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এই বাংলায় শীতঘুমে ছিলো নিজেদের সম্পত্তিটুকুর গ্যারান্টি কার্ড হাতে নিয়ে l এরপরে তৃণমূল তৈরি হাওয়ার পরে, এঁদের ১৯৯৯ লোকসভার আগে ঘুম থেকে জাগায় সিপিএম l ফল গণিখানের সঙ্গে অধীররঞ্জন এবং প্ৰিয়রঞ্জনকে সংসাদে পাঠানো এবং আরও ১৫ বছর রাজত্বর গ্যারান্টি নিশ্চিত ভোট ভাগের রাজনীতি করে l ২০০৮ থেকে ব্যাটন তৃণমূলের হাতে l ২০২১ থেকে অবশিষ্ট বাংলা বিজয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু l কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধা SIR l তাই আটকাতে তারা এতো উদগ্রীব l যদি তৃণমূল আটকাতে না পারে, গাই আর দুধ দেবে না l তাই সব সাংসদ দিল্লীতে গিয়ে হাজির l একবার অফিস একবার আদালত l শেষ চেষ্টা l
সুদীপ্ত গুহ