21/07/2025
HSC এর পর বিমানবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট পদে যুক্ত হওয়ার জন্য ৩ টা রিটেন পরিক্ষা দিতে হয়,যেখানে অন্যান্য বাহিনীতে মাত্র ১ টাই রিটেন এক্সাম ।
প্রথমে ১০০ মার্কের IQ এক্সাম হয়,সেখান থেকে বেশিরভাগকেই বাদ দেওয়া হয় ।
যারা সিলেক্টেড হয়,তাদেরকে ইংরেজি ৫০ মার্ক্স এর এক্সাম নেওয়া হয়,সেখান থেকেও বাদ দিয়ে যারা সিলেক্টেড হয় তাদের নেওয়া হয় গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান এক্সাম।
এতো গুলি রিটেন এক্সাম দিয়ে তারপর ভাইবা বোর্ড ফেইস করতে হয়,দেন মেডিকেল চ্যাকআপ (যেখানে ১ ইঞ্চিও ছাড় দেওয়া হয় না)
এরপর সবকিছুতে সিলেক্টেড হলে,তারপর ISSB.... (সবচেয়ে প্রতিযোগিতা হয় এখানে,১০০ জনের মধ্য থেকে ৭-৮ জন সিলেক্টেড হয়)
ISSB তে সিলেক্টেডের পর ট্রেনিং। এখান থেকেও অনেকে বাদ যায়।
এতোগুলি ধাপ পার হওয়ার পর তৈরী হয় একজন বিমানবাহিনীর অফিসার । যারা সবাই দেশের রত্ন ।
অথচ,তাদের জীবনের মুল্য এদেশে কতো কম। পুরানো বিমান দিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ । নাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা।
প্রায়ই শোনা যায়,প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত।
এই প্রাণহানির ১০০ ভাগ দায় রাষ্ট্রের।
এসব আবোল তাবোল বিমান দুনিয়ার আর কোন দেশে চলে না।
যুদ্ধ করার জন্য কেনা বিমানের এমনই হাল যে নিজের দেশের মানুষের উপরই ভাইঙ্গা পড়ে।
এটাই তো প্রথম না।
এর আগেও এই মডেলের বিমানে ট্রেনিং করতে যাইয়া দুইজন পাইলট নিহত হইসিল।
সেইদিন যদি এই দুইজন পাইলটের জীবনের দাম দেওয়া হত, তাহলে হয়তো আজ এই বাচ্চাগুলোরে মরতে হত না।
বাট দেওয়া হয় নাই।
হবেও না।
দুইদিন পর সবাই সবকিছু ভুইলা যাবে।
আমার আপনার টাকা দিয়ে ভাঙারি কিনে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করা হবে।
দুর্নীতিবাজদের ছেলে মেয়েরা আমার আপনার টাকা নিয়ে কানাডা পড়তে যাবে।
আর সেই ভাঙারি বিমান স্কুলের উপর পইড়া আমাদের সন্তানরা পুড়ে যাবে, মরে যাবে।
কারো কিচ্ছু যাবে আসবে না।
দুনিয়ায় বাকি দেশগুলো অন্তত নিজের মানুষকে বাঁচতে দেয়।
আর আমরা এমন একটা দেশে জন্মাইছি, যেই দেশ আমাদের এমনকি স্কুলেও মাইরা ফালানোর যোগাড় যন্ত্র করে রাখে।
অথচ এই দেশের মানুষের রাষ্ট্রের কাছে খুব বেশি কিছু চাওয়া ছিল না।
না আমরা সিংগাপুর হতে চেয়েছি, না আমরা ইউরোপের নাগরিক সুবিধা চেয়েছি।
এ দেশের মানুষ তো শুধুই একটু বাঁচতে চেয়েছিলো.......
Courtesy:Mukta poul face book page