08/11/2025
একটি ছোট গ্রামে পাশাপাশি দুইটি বাড়ি ছিল।
এক বাড়িতে প্রতিরাতে শোরগোল, লাইট, মাইক—সব কিছু মিলিয়ে যেন উৎসব।
লোকজন বলত,
“বাহ! কী সেলিব্রিটি-জীবন! কী আলো—কী জৌলুস!”
পাশের বাড়িটা ছিল খুব শান্ত।
বাড়ির সামনে একটি পুরনো আমগাছ,
আর প্রতিদিন সন্ধ্যায় দেখা যেত—
এক বাবা তার ছেলেকে নিয়ে গাছের নিচে বসে কিছু লিখছে, কিছু পড়ছে।
শিশুরা প্রায়ই হাসত—
“এত শান্ত কেন? এত সাদামাটা জীবন দিয়ে কী হবে?”
লোকজনও বলত—
“আজকাল তো এমন জীবন ভাইরাল হয় না!”
কিন্তু যে ছেলেটি তার বাবার সঙ্গে প্রতিদিন গাছতলায় বসত—
তার চোখে ছিল শান্ত শীতল আলো।
সে মন দিয়ে পড়ত, মন দিয়ে লিখত, মন দিয়ে চরিত্র গড়ত।
🌱 বছর পেরিয়ে গেল…
শোরগোলের বাড়িতে আগের মতো আলো আর নেই।
লাইট নষ্ট হয়েছে, উৎসব বন্ধ হয়েছে।
মানুষের আগ্রহও গেছে কমে।
কিন্তু আমগাছের নিচে বসা ছেলেটি—
বড় হয়ে গ্রামের সবচেয়ে বিশ্বস্ত, শিক্ষিত, সাহায্যকারী একজন মানুষ হলো।
যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো—
“তোমার এই আলোর উৎস কোথা থেকে এলো?”
ছেলেটি হাসল।
তার বাবা পাশে দাঁড়িয়ে বললেন—
“আলো যদি বাইরের জিনিস দিয়ে বানাতে চাও—
সেটা কিছুদিনেই নিভে যায়।
কিন্তু ভেতরের আলো—
সত্য, শান্তি, পরিশ্রম আর চরিত্র—
এটা একবার জ্বলে উঠলে
সারা জীবন আলো ছড়ায়।”
একটি গল্প যা শান্ত মূল্যবোধ শেখায় – শোরগোল নয়, চরিত্রই আসল আলো!!