মুক্তকথা

মুক্তকথা মুক্তকথা মানুষকে জানতে চায় আর জানাতেও চায়?

প্রকৃতি, মানুষ ও তার আশ-পাশের খবর নিয়েই মুক্তকথার পথচলা। মুক্তকথা প্রকৃতি ও মানুষকে জানতে চায় আর জানাতে চায়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চাওয়া-পাওয়া, আবেগ-অনুভুতি, সুখ-দুঃখ, অতীত আর বর্তমান নিয়েই মুক্তকথার বিপণন।

দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকিএম এস শেকিল চৌধুরী[শেকিল চৌধুরী সেন্টার ফর এনআরবি’র সভাপতি]চব্ব...
12/11/2025

দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
এম এস শেকিল চৌধুরী
[শেকিল চৌধুরী সেন্টার ফর এনআরবি’র সভাপতি]

চব্বিশ পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক অবস্থায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের অনেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহী হয়েছেন, এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো দ্বৈত নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। বিভিন্ন দলের প্রাথমিক মনোনয়নও পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু স্বচ্ছ আইনী বিধান না থাকলে এসব প্রার্থীরা নির্বাচনে পাশ করলেও নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দ্বারা অথবা অন্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দ্বারা নানা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন। বিদ্যমান বিধিমালার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশীদের প্রার্থিতা সংবিধান অনুযায়ী বৈধ নয়। সংবিধানের ৬৬(২)গ ধারা অনুযায়ী-

“কোন বাংলাদেশী বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করলে” তিনি সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হতে পারবেন না বা নির্বাচিত থাকবেন না।
আরপিও ১৯৭২ এর আর্টিকেল অনুসারে প্রার্থী-হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে “বিদেশি নাগরিকত্ব” আছে কি না তা বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রবাসীরা দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে আইনী বিধানের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। নানা সময়ে তাদের আশ্বাসও দেয়া হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চব্বিশ পরবর্তী নতুন নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এই দাবি বাস্তবায়িত হবে বলে আশা ছিল প্রবাসীদের।

সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে প্রবাসীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামন্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্য। প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রবাসীদের প্রার্থিতার বিষয়ে পরিষ্কার আইনের বিধান করার বিষয়টি তোলা হয়। উত্তরে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “সবই হবে, আমরা আর গ‍্যালারীতে বসে থাকব না, এখন থেকে নিজেরাই খেলব” । কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

গত জাতীয় নির্বাচনে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী, শাম্মী আহমদ(বারিশাল-৪) ও শামীম হক(ফরিদপুর-৩) এর প্রার্থীতা বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে “দ্বৈত নাগরিকত্ব” থাকার অভিযোগ ছিল বলে। শামিম হক এর প্রার্থিতা বাতিলের কারণ ছিল, বাংলাদেশের পাশাপাশি তার নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্বও ছিল । শাম্মী আহমেদ এর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব রয়েছে এই অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি নাগরিকত্ব থাকায় প্রার্থী হওয়া বা নির্বাচিত হওয়া অনেকের ক্ষেত্রে নিবার্চন বাতিল হয়েছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, সাধারণ মূল নীতি হলো, ভারত অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব মেনে নেয় না। অর্থাৎ, ভারতীয় নাগরিক হলে অন্য দেশের নাগরিক হিসেবে থাকা আইনগতভাবে অনুমোদিত নয়। ইউরোপীয় সংসদীয় গবেষণা অনুযায়ী, “দ্বৈত ইউরোপীয়/বহু দেশের নাগরিক” যাদের একাধিক সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট শর্তে ভোটার বা নির্বাচিত হতে পারছেন কিন্তু সদস্য রাষ্ট্রের আইন ও নিয়ন্ত্রণ ভিন্ন ভিন্ন। ইউক্রেইন সম্প্রতি একটি আইন পাশ করেছে যেখানে “দ্বৈত নাগরিকত্ব” অনুমোদনের দিকে যাচ্ছে দেশটি।

ইউরোপের কিছু দেশে সীমিত বা পরিবর্তনশীলভাবে দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নির্বাচনী অংশগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ভিন্নতা থাকলেও বাংলাদেশের আইনে দ্বৈত নাগরিকদের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া পরিষ্কার নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশের আইনে স্পষ্ট রয়েছে, যদি কেউ “বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব” লাভ করে থাকেন তাহলে তিনি (আরো কয়েকটি সাংবিধানিক পদ সহ) সংসদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। (বাংলাদেশের সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী)।

আইনের সব দিক, প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলী ও দেশের সার্বিক স্বার্থ বিবেচনা করে বিষয়টির আশু মীমাংসা নির্বাচনের আগেই আইনগত ভাবে হওয়া দরকার যাতে প্রবাসীরা প্রতারিত না হয়। অতীতে লুকোচুরি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী দ্বৈত নাগরিকদের নানা আইনী জটিলতায় পড়ার নজির আমাদের দেশে রয়েছে। সুতরাং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া উচিত।

বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসন ও অভিবাসীদের নিয়ে নানা জটিলতা চলছে সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসী প্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি । অন্যথায় প্রবাসীরা তাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে দেশে-বিদেশে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন এবং কোর্ট-কাছারিতে দৌড়ঝাঁপ করে তাদের জনবল, মনোবল ও অর্থবলের অযথা অপচয় হবে।

কমলগঞ্জের দিনলিপি…ভানুগাছ ও শমশেরনগর স্টেশনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভনতুন ট্রেন, রেলপথ সংস্কারসহ৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধসিলেট...
11/11/2025

কমলগঞ্জের দিনলিপি…
ভানুগাছ ও শমশেরনগর স্টেশনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
নতুন ট্রেন, রেলপথ সংস্কারসহ
৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ

সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দু’টি স্পেশাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরন, ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী রোধ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে লোকাল ট্রেন চালু, বন্ধ সকল স্টেশন চালুকরন সহ ৮ দফা দাবি আদায়ে ১ নভেম্বর (শনিবার) সিলেট টু শায়েস্তাগঞ্জ রেলপথ অবরোধের সমর্থনে ভানুগাছ ও শমশেরনগর রেলস্টেশনে ট্রেন অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচীতে ভানুগাছ ও শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন সোয়া বারোটা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত এবং শমশেরনগর স্টেশনে ১টা ৩মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত আটকা পড়ে। এসময়ে শতাধিক বিক্ষোভকারী দাবি দাওয়ার সপক্ষে স্লোগান দেন এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

শমশেরনগর স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় যুবদল নেতা গোলাম রাব্বাী, রিয়াজুর রহমান রিজন, আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক নূরুল মোহাইমীন, জয়নাল আবেদীনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন, নতুন দু’টি স্পেশাল ট্রেন ও লোকাল ট্রেন চালু করা, আখাউড়া-সিলেট রেলপথে সংস্কার, মান্ধাতা আমলের বগি ও ইঞ্জিন পরিবর্তন, রেলপথে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ করা, টিকেট সংকট থেকে উত্তরণসহ যাত্রীদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ লাঘব করা।

তারা বলেন, সিলেটের প্রবাসীদের বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও বৃহত্তর সিলেটবাসী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সিন্ডিকেট চক্র কর্তৃক টিকেট কালোবাজারীর মাধ্যমে রেল স্টেশনের কিছু অসাধু মাস্টার ও কর্মচারী দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব অব্যবস্থাপনা ও দুর্ণীতি রোধে এবং ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করা, স্টপেজকৃত স্টেশনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, যাত্রীদের চাহিদা অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজনকরাসহ বৃহত্তর সিলেটবাসীর ৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে প্রয়োজনে আরও বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
সভাপতি শাওন, সাধারণ সম্পাদক আলম

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন কঠোর নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে আসহাবুজ্জামান শাওন (দোয়াত কলম) ১৯ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে আহমেদুজ্জামান আলম (চেয়ার) ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে পিন্টু দেবনাথ (বাইসাইকেল) ১৮ ভোট, মো: আব্দুল মোক্তাদির (ছাতা) ১৩ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: আহাদ মিয়া (তালা) ১৯ ভোট, পারভেজ আহমেদ (চশমা) ১৬ ভোট, প্রচার, প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো: আলমগীর হোসেন (মাইক) ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ (আম), বিশ্বজিত রায় (ক্যামেরা) ২২ ভোট, মো: মোস্তাফিজুর রহমান (টেলিভিশন) ২২ ভোট ও শাব্বির এলাহী (টেলিফোন) ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক পদে রুহুল ইসলাম হৃদয় ও ত্রুীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো: কামরুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৭ জন ভোটারের মধ্যে ২৭ জন ভোটারই তাদের ভোট প্রদান করেন। এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুজন আহাম্মেদ, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো: সেলিম আহমদ ও আল আমিন।

নির্বাচন চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবু জাফর মো: মাহফুজুল কবির ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক লোকজন প্রেসক্লাবের সামনে এসে সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আসহাবুজ্জামান শাওন ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদুজ্জামান আলম বলেন, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের এই নির্বাচন জেলাবাসীর জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। নেতৃত্ব সৃষ্টিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার সৎ সাহস ও আন্তরিকতা অনেক সংগঠনের নেই। কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব নীতি নৈতিকতাকে সাথে নিয়ে পেশাকে সমুন্নত রেখে সত্য প্রকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছে প্রেসক্লাব। তারা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনসহ প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

একজন ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
অপহরণসহ ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

বিএনপি করার কারনে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে অপহরণ ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে আওয়ামী দোসর হিসাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

গত সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বাঘমারায় নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মতিন।

লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, আমি কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের টানা তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে যুবদল ও বিএনপি’র একনিষ্ঠ কর্মী। বিএনপি’র রাজনীতি করার কারনে মারধরের শিকার হতে হয়েছিল এবং আওয়ামী শাসনামলে মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমার নামে রাজনৈতিক মামলা করা হয়। তাছাড়া ২০০৯ সনে রাতে ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে সন্ত্রাসীরা আমাকে তুলে নিয়ে আমার হাত-পা ভেঙে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

২০১৩ সনে ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামধারীরা আমার মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে প্লাস দিয়ে আমার হাতের নক তুলে ফেলে। আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভেঙে চুরমার করা হয়। পরে তারা আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। আমি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে দেড় মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরি। পরে মামলা করলেও আমাকে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়া হয়। আমি বিএনপির রাজনীতি করি বলে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হওয়ায় আমার এলাকার কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসনামলে আমি ও আমার পরিবারের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে আমি আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে বাধ্য হই। এসময় কয়েকজন আওয়ামী নেতার গলায় মালা প্রদানে আমাকে বাধ্য করা হয়। এজন্য আমি আমার আদর্শ থেকে বদলাইনি। এটা ছিল বেঁচে থাকার প্রয়াস। আমার বিষয়গুলো স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীসহ অনেকেই জানেন।

বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল কিছু ভুয়া আইডি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে তরুণলীগ বলে প্রচার করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ লীগের ২০১৮ সালের প্যাডে মতিন নামে কোন এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তারা মিথ্যে ও অপপ্রচারের মাধ্যমে আমাকে তরুণ লীগ বলে প্রচার চালায়।

সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর মতবিনিময় সভা

আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের(বিআরডিবি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাংবাদিক মো: ময়নুল ইসলাম চৌধুরী চেয়ার মার্ক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ময়নুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বিআরডিবিকে আরও গতিশীল ও স্বচ্ছ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি বিআরডিবি’র সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন। পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এবং সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সচেষ্ট থাকবেন। বিআরডিবি’র সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন ও তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে বিআরডিবি’র বর্তমান পরিস্থিতি ও তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। প্রার্থী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সকলের প্রশ্নের জবাব দেন এবং বিআরডিবিকে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি সমবায় আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এবং সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই তার অঙ্গীকার। তিনি সকল সদস্য ও ভোটারদের আগামী ২৫ নভেম্বর চেয়ার মার্কায় ভোট দিয়ে তাহাকে নির্বাচিত করার জন্য সকল ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।

11/11/2025
শুনুন প্রয়াত এমপি মঈনউদ্দীন খান বাদল কি বলছেন…
11/11/2025

শুনুন প্রয়াত এমপি মঈনউদ্দীন খান বাদল কি বলছেন…

এমপি বাদলের কথাগুলো শুনেনতো…
11/11/2025

এমপি বাদলের কথাগুলো শুনেনতো…

ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেলের প্রাপ্যতানিশ্চিতের তাগিদ-সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারাভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চি...
10/11/2025

ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেলের প্রাপ্যতা
নিশ্চিতের তাগিদ
-সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা

ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে হলে খোলা ড্রামে তেল বিক্রি বন্ধ ও গুণগত প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। খোলা ড্রামে ভোজ্যতেল বিক্রি সরকারি নির্দেশনার লঙ্ঘন এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রাজধানীর বিএমএ ভবনে গত(২৯ অক্টোবর ২০২৫) অনুষ্ঠিত “সবার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

৬৫ শতাংশই ড্রামে বিক্রি হয় ৫৯শতাংশ তেলে ভিটামিন এ নেই

আলোচকরা জানান, দেশে ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণের আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে অধিকাংশ তেল ভিটামিন ছাড়া অথবা পরিমিত মাত্রায় থাকেনা। আইসিডিডিআর,বি-এর গবেষণা অনুযায়ী, বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ভোজ্যতেলের প্রায় ৬৫ শতাংশই ড্রামে বিক্রি হয়, যার মধ্যে ৫৯ শতাংশ তেলে কোনো ভিটামিন ‘এ’ নেই, এবং মাত্র ৭ শতাংশ তেলে আইন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভিটামিন পাওয়া গেছে। ফলস্বরূপ, দেশে বিশেষত শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

তেল রাখার জন্য রাসায়নিক পদার্থ বা শিল্পপণ্য সংরক্ষণের ড্রামের ব্যবহার মারাত্মক ঝুঁকি

বক্তারা আরও বলেন, খোলা ড্রামগুলো অনেক সময় পূর্বে রাসায়নিক পদার্থ বা অন্যান্য শিল্পপণ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা তেলকে দূষিত করে ও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাছাড়া এসব ড্রামে কোনো লেবেল বা উৎসের তথ্য না থাকায় তেলের উৎস শনাক্ত ও মান যাচাই করা সম্ভব হয় না।

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি জুলাই ২০২২ থেকে ও খোলা পাম তেল বিক্রি ডিসেম্বর ২০২২ থেকে নিষিদ্ধের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও মাঠপর্যায়ে এর কার্যকর বাস্তবায়ন হয়নি।
এ অবস্থায়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাজারে ভিটামিনসমৃদ্ধ ও নিরাপদ তেল নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তাঁরা।

কর্মশালায় আরো জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। তাই ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’-এর পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধকরণ করা হলে একটি কার্যকর, স্বল্পব্যয়ী ও টেকসই জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, সূর্যালোক বা অতিরিক্ত আলোর সংস্পর্শে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় উল্লেখ করে তাঁরা আলো প্রতিরোধী অস্বচ্ছ বোতলে তেল সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। দেশে ভোজ্যতেল মোড়কজাতকরণে গুণগত প্যাকেজিংয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে আলোচকবৃন্দ মত দেন। ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতির কারণে শিশুদের অন্ধত্ব এবং গর্ভবতী নারীদের মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে রিকেটস, হাড়ক্ষয় ও হৃদরোগসহ নানান অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর-এর কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন; ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর কনসালটেন্ট মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার; বাংলা ট্রিবিউনের বিজনেস ইনচার্জ, মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আলিভা হক এবং প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।[সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]

কমলগঞ্জের দিনলিপি…গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো চা শ্রমিকদের২৫তম কাত্যায়ানী পূজাকাত্যায়ানী পূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজার...
08/11/2025

কমলগঞ্জের দিনলিপি…
গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো চা শ্রমিকদের
২৫তম কাত্যায়ানী পূজা

কাত্যায়ানী পূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে পুরো কার্তিক মাস ব্রত পালন শেষে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে হরিনাম কীর্তন শুরু হয়।

বুধবার(৫ নভেম্বর) ভোর রাত থেকেই হাজার হাজার ভক্তরা গঙ্গা স্নান ও পূজা অর্চনা করতে হীরামতি এলাকার ধলাই নদীর তীরে সমবেত হয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গা স্নান ও পূজার্চ্চনা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। নদীর ঘাটে স্নান করতে আসা পূজারীদের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি বিতরণ করেন পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা।

এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সাবেক মেয়র, ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসিন মিয়া মধু, মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক দীপন কুমার সিনহা, মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা পুস্প কুমার কানু, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

গঙ্গা পূজার উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী লক্ষী নারায়ণ করি (দাদু), সহ-সভাপতি পার্থ কাহার ও সাধারণ সম্পাদক রাজু করি জানান, ভগবত পুরাণ গ্রন্থের দশম স্কন্দের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়ানী ব্রতের উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরূপে কামনা করে সমগ্র কার্তিক মাস জুড়ে এই ব্রত করেন মহিলারা। এই একমাস তারা মশলাবিহীন খিচুড়ি ও সিদ্ধজাত খাবার খেতেন এবং সকালে ধলাই নদীতে স্নান করে নদীর তীরে মাটির কাত্যায়ানী মূর্তি গড়ে দেবীর পূজা করা হয়। এরপরই ধলাই নদীতে স্নান করে ভক্তরা বাড়ী ফিরে যান। বুধবার গঙ্গা স্নানের আর পূজার্চ্চনা মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে চা শ্রমিকদের ২৫তম কাত্যায়ানী পূজা।

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কুঞ্জরানী সিনহার
অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ছনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কুঞ্জরানী সিনহার অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকেলে উপজেলার আদমপুরে মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ।

মণিপুরি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শান্ত কুমার সিংহের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার সিংহ ও শিক্ষিকা কন্তৌজম শিল্পীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অরুণ কুমার দাশ, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কুঞ্জ রানী সিনহাকে সম্মাননা ক্রেষ্ট, উত্তরীয় ও উপহার প্রদান করা হয়। এসময় কুঞ্জরানী সিনহার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন অতিথিরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দ।

অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে জাকাতের ভূমিকা
শীর্ষক সেমিনার

অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে জাকাতের ভূমিকা শীর্ষক একটি সেমিনার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমাম মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদ, শমশেরনগর এর উদ্যোগে ও শমশেরনগর হাসপাতাল কমিটির সহায়তায় শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ইমাম মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদ, শমশেরনগর এর সভাপতি মাওলানা হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আলোচানা করেন দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুসলেহ উদ্দিন, পূর্ব শিংরাউলী জামে মসজিদের ইমাম বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষক মাওলানা মো. শামসুজ্জামান, কেচুলুটি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ সাজ্জাদুর রহমান, শমশেরগর হাসপাতাল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সহসভাপতি অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান রঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও ইমাম মাওলানা মবশ্বির আলী।

পবিত্র কুরআনে মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা দেওয়া আছে। কুরআনের অনেক সুরায় অসংখ্যবার বলা হয়েছে নামাজ আদায় করা ও জাকাত প্রদান করা। যাদের উপর জাকাত ফরজ তারা নিয়মিত জাকাত আদায় করলে সম্পদ কমবে না বরং বৃদ্ধি পাবে। আর নিয়মিত সঠিকভাবে জাকাত আদায় করলে দারিদ্র্যতা কমে এক সময় জাকাত গ্রহীতারাও জাকাত দিতে শুরু করবে। ইসলামী এই ব্যবস্থা কায়েম করলে অর্থনৈতিক সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।

বক্তারা শমশেরনগর হাসপাতাল কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, শুরু থেকেই এ হাসপাতালের একটি জাকাত তহবিল রয়েছে। এ তহবিল থেকে জাকাত গ্রহণ উপযোগী অসহায় ও দরিদ্ররা নিয়মিত চিকিৎসা সেবার সহায়তা পায়। শমশেরনগর হাসপাতাল জাকাত তহবিল আরও সমৃদ্ধকরণে ও সুষ্ঠু জাকাত ব্যয়ে ইমাম মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদ শমশেরনগর হাসপাতাল কমিটিকে সার্বিক সহায়তা করবে বলেও জানানো হয়।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস, মাওলানা মজিদ অসুস্থ, মণিপুরী মহারাসলীলাজাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে পথযাত্রা ও আলোচনা সভাশ্রীমঙ্গলে ...
08/11/2025

বিপ্লব ও সংহতি দিবস, মাওলানা মজিদ অসুস্থ, মণিপুরী মহারাসলীলা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে পথযাত্রা ও আলোচনা সভা

শ্রীমঙ্গলে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা ৩টায় শহরে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) এর নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এরপর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ নুরুল আলম সিদ্দিকী এবং সঞ্চালনা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোছাব্বির আলী মুন্না। প্রধান বক্তা ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দুরুদ আহমেদ।

বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ তাজ উদ্দিন (তাজু), হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শামিম আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান, সদস্য সৈয়দ সালাউদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

মাওলানা আব্দুল মজিদ অসুস্থ

শ্যামেরকোনা ফয়জুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত মুহতামিম, সাবেক করাইয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মজিদ হাফিজাহুল্লাহ খুব বেশি অসুস্থ।
৫ দিন ধরে সিলেট প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন।

হয়ে গেলো সম্প্রীতির উৎসব মণিপুরি মহারাসলীলা

বর্ণাঢ্য আয়োজন আর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মণিপুরি সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা। গেলো বুধবার(৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মণিপুরি অধ্যূষিত জনপদ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরে এ উৎসব উদযাপিত হয়। কমলগঞ্জের মাধবপুর শিব বাজারের জোড়ামণ্ডপ এলাকায় রাখাল নৃত্য ও রাতে রাসনৃত্য এ উৎসবের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল। পাশাপাশি আদমপুরে মৈতৈই মণিপুরি সম্প্রদায় মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সে এ উৎসব উদযাপন করছে।

গত ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে শেষ হয় শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা। উৎসব উপলক্ষে উভয়স্থানে মেলা বসেছিল। রাস উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্তসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত ছিল কমলগঞ্জের মণিপুরি এ জনপদ। এ উপলক্ষে উভয় জায়গায় বসে বিরাট মেলা।

বৃহত্তর সিলেটের আদিবাসী মণিপুরি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি মহারাসলীলা উপজেলার মাধবপুর শিববাজার জোড়া মণ্ডপে মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সম্প্রদায়ের ১৮৩তম এবং আদমপুর মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মৈতৈ মণিপুরি সম্প্রদায়ের ৪০তম মহারাস উৎসব প্রতি বছরই আয়োজিত হয়।

উৎসবস্থল মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে হয় গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য। রাতে ছিল জোড় মন্ডপে রাসের মূল প্রাণ মহারাসলীলা। এছাড়া মণিপুরি রাসোৎসব উপলক্ষে বুধবার বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মণিপুরি ললিতকলা একাডেমি মিলনায়তনে মণিপুরি থিয়েটারের আয়োজনে “নুংশিপি” চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। অপরদিকে উৎসবস্থল আদমপুরেও যথারীতি রাখাল নৃত্য ও রাসলীলা চলে। তবে মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া ও মণিপুরি মৈতৈ এরা আলাদা স্থানে আয়োজন করলেও উৎসবের অন্ত:স্রোত, রসের কথা, আনন্দ-প্রার্থনা সবই একই। উৎসবের ভেতরের কথা হচ্ছে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সত্যসুন্দর মানবপ্রেম।

আলাপকালে মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির উপ-পরিচালক (অ: দা:) প্রভাস চন্দ্র সিংহ জানান, মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মণিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকালে ‘গোষ্ঠলীলা’ বা ‘রাখালনৃত্য’ হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখালনৃত্য। রাত ১২টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মূল পর্ব শ্রীশ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে-গেয়ে কৃষ্ণবন্দনায় ভোর পর্যন্ত চলে রাসলীলা। রাসনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও প্রায় ৫০ জন গোপী থাকেন। গোপীর সংখ্যা অনেক সময় কমবেশি হয়।

মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, রাস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ভাবধারায় মাধবপুর জোড়ামন্ডপে এবারের আয়োজন ছিল শ্রীকৃষ্ণের ১৮৩তম মহারাসলীলা।

রাসলীলা মণিপুরিদের আয়োজন হলেও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের আগমনে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি অপরাপর সকল জাতিগোষ্ঠীর মাঝে সম্প্রীতির বাঁধনে বেধে চলেছে এই উৎসব রাসলীলা, গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রেমপ্রীতির ঐতিহ্য দর্শন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো: মাহফুজুল কবির জানান, নির্বিঘ্নে মণিপুরি মহারাসলীলা উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। অনুষ্ঠানে পুলিশ ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছিল।

08/11/2025
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নতুন জেলা সমন্বয়ক মাসুক মিয়াবাম গণতান্ত্রিক জোট মৌলভীবাজার জেলা শাখার এক সভা ৭ নভেম্বর শুক্রবার ...
07/11/2025

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নতুন জেলা সমন্বয়ক মাসুক মিয়া

বাম গণতান্ত্রিক জোট মৌলভীবাজার জেলা শাখার এক সভা ৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:৩০টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু এবং সভা সঞ্চালনা করেন সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুক মিয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম শুভ, জেলা কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রমাপদ ভট্টাচার্য যাদু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট নিলিমেষ ঘোষ বলু, সদস্য আবু রেজা সিদ্দিকী ইমন, বাসদ জেলা সদস্য বিশ্বজিৎ নন্দী।
সভায় জোটের সাংগঠনিক কার্যক্রম, জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুক মিয়াকে বাম গণতান্ত্রিক জোট মৌলভীবাজার জেলার নতুন সমন্বয়ক হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমরেড মাসুক মিয়া আগামী তিন মাসের জন্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

Address

গির্জাপাড়া
London Borough Of Hackney
৩২০০

Opening Hours

Monday 1pm - 6pm
Tuesday 12pm - 6pm
Thursday 1pm - 6pm
Friday 12pm - 6pm
Saturday 12pm - 4pm
3pm - 8pm

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুক্তকথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category