Meftahul Amin

Meftahul Amin Hey I'm Meftahul Amin I create video for career counseling, global visa information.

16/07/2025
তামীম, একটা ছোট শহরের ছেলে।বাবার মুদি দোকান, দিনের আয়ে রাত চলে না। মায়ের হাতে প্রতিদিন হিসেবের খাতা।সবচেয়ে বড় ভাই হিসেবে...
13/07/2025

তামীম, একটা ছোট শহরের ছেলে।

বাবার মুদি দোকান, দিনের আয়ে রাত চলে না। মায়ের হাতে প্রতিদিন হিসেবের খাতা।
সবচেয়ে বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব তার কাঁধেই।
বন্ধুরা যখন ফাস্টফুড খেতো, তামীম তখন বাসায় ফিরতো আধপেটা খেয়ে — কিন্তু চোখে ছিলো স্বপ্ন, আর অন্তরে একটা আগুন: “আমি একটা কিছু করবো।”

একটা পুরনো বাইসাইকেল আর ঠোঁটে জেদ নিয়ে একদিন সে শুরু করল নিজের ছোট ব্যবসা —
দুই হাজার টাকা ধার করে গরমে ঘাম ঝরিয়ে শুরু করল খেজুরের সিরাপ আর হোমমেইড খাবার বিক্রি।

প্রথমে কেউ পাত্তা দেয়নি, অনেকে হাসি ঠাট্টাও করেছে —
“বড় কিছু করবি বলেছিলি, এইটা হল?”
তামীম হাসতো, কিন্তু ভেতরে ভাঙতো।

দিন গেছে, সে শিখেছে মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, কাস্টমার ধরে রাখার টেকনিক।
নিজে হাতে প্যাকেট করেছে, ডেলিভারি দিয়েছে, ফেসবুক পোস্ট লিখেছে।
নিদ্রাহীন রাতে যখন অন্যরা ঘুমাতো, তখন তামীম নিজের পণ্যের ছবি তুলতো আলো-ছায়ার মধ্যে।

প্রথম মাসে লাভ হয়েছিল ৩০০ টাকা।
কেউ বিশ্বাস করেনি, কিন্তু সে জানতো —
“বটগাছও একদিন ছোট চারা ছিল।”

আজ ৫ বছর পর, তামীমের ৪টা ফুলটাইম এমপ্লয়ি, ব্র্যান্ডেড প্যাকেজিং, এবং মাসিক বিক্রি লাখের উপরে।
বাবার দোকান এখন তার কোম্পানির অফিস।
মায়ের মুখে এখন আশার আলো, আর ছোট ভাইবোনেরা গর্ব করে বলে —
“তামীম ভাই হচ্ছে আমাদের অনুপ্রেরণা।”

“তুমি যদি রাতের ঘুম ত্যাগ করে নিজের স্বপ্নকে সময় দিতে পারো,
একদিন সেই স্বপ্নই তোমার পরিচয় হয়ে যাবে।”

©মেফতাহুল আমিন
১৪ জুলাই ২০২৫

12/07/2025

ইংল্যান্ডের আগুন ওয়েদার ডিম ভাজা এক্সপেরিমেন্ট

রহমান সাহেব ছিলেন একজন সাধারণ দরিদ্র মুচি। পুরান ঢাকার এক গলির মাথায় বসে থাকতেন ছোট একটা ছাউনি দিয়ে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অ...
10/07/2025

রহমান সাহেব ছিলেন একজন সাধারণ দরিদ্র মুচি। পুরান ঢাকার এক গলির মাথায় বসে থাকতেন ছোট একটা ছাউনি দিয়ে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পায়ে পরা পুরোনো জুতা সারিয়ে দিনে যা পান, তা দিয়ে কষ্টে সংসার চলত। ছেলে রাফি — তার চোখে ছিল হাজারো স্বপ্ন।

রাফি যখন ক্লাস টেনে পড়ে, তার স্কুলে একটা বড় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা হয়। রাফির স্বপ্ন — সে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু একটাই সমস্যা, রাফির স্কুলে যাবার একমাত্র জুতাজোড়া এতটাই পুরনো হয়ে গেছে যে হেঁটে যাওয়ার সময় সেটা মুখ খুলে বসে।

সে বাড়ি ফিরে বাবাকে জিজ্ঞেস করল,
“আব্বা, একটা নতুন জুতা কিনে দিতে পারবা?”
রহমান সাহেব মাথা নিচু করে বললেন,
“বাবা, আগামী সপ্তাহে বেল্টের অর্ডার আসবে, তখন যদি একটু বাড়তি আয় হয়…।”
রাফি আর কিছু বলেনি। চুপচাপ চলে যায়।

পরের দিন সকালে, রহমান সাহেব তার দোকান বন্ধ করে শহরের এক বড় মার্কেটে যান। সারা দিন নিজের জমানো টাকাগুলো গুনে, নিজের জন্য কিছু না কিনে, মাত্র ৫০০ টাকায় একটা সাধারণ কিন্তু নতুন জুতা কেনেন ছেলের জন্য।

সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ছেলের সামনে জুতার প্যাকেটটা রেখে বলেন,
“রাফি, এবার তো হাঁটা সহজ হবে, তাই না?”
রাফি আনন্দে কেঁদে ফেলে।

রাফি সেই নতুন জুতা পরে বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। শুধু অংশ নেয়নি — প্রথম পুরস্কার জিতে নেয়।
বছর ঘুরে যায়।

রাফি এখন বিদেশে একজন ইঞ্জিনিয়ার। বাবা এখন আর মুচির ঝুঁড়ি হাতে গলির মাথায় বসেন না।
তিনি এখন ছেলের কিনে দেওয়া দোকানে বসেন, যেখানে লেখা —
“রহমান স্যু ক্লাব — সপ্ন তৈরি হয় হাঁটার প্রতিটি ধাপে।”

©মেফতাহুল আমিন
১১ই জুলাই ২০২৫

08/07/2025

মেফতাহুল ভাবনা

শুভ সকাল
07/07/2025

শুভ সকাল

06/07/2025

আসুন ফলোওয়ার বাড়িয়ে নিন

ঢাকার গরমে যখন ৬ নম্বর বাসে চড়ে ইউনিভার্সিটিতে যেতাম, তখন মনে হতো—এই শহরটাই বুঝি আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। দাঁড়িয়ে থা...
05/07/2025

ঢাকার গরমে যখন ৬ নম্বর বাসে চড়ে ইউনিভার্সিটিতে যেতাম, তখন মনে হতো—এই শহরটাই বুঝি আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। দাঁড়িয়ে থাকা তো আর কিছু না, কনডাক্টরের চোখে চোখ রেখে টাকা না দেওয়ার যুদ্ধ, গায়ের ঘামে পাশের জনের পরিচয় পাওয়া, আর ট্রাফিক জ্যামে বসে ক্লাস মিস করার আফসোস — সবকিছু ছিল আমার নিত্যদিনের রুটিন।

ছোট একটা স্বপ্ন ছিল — “একদিন এমন জায়গায় যাবো, যেখানে বাস সময়মতো আসবে, আর আমার ঘাম মুছতে হবে না।”

আজ আমি ইউকে’তে।
প্রতিদিন আধুনিক, ঠাণ্ডা, সুশৃঙ্খল বাসে চড়ে অফিসে বা ইউনিতে যাই। কেউ ধাক্কা দেয় না, কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে বসা মানুষ উঠে যায়।
সবকিছুই এত সুন্দর, এত পরিকল্পিত।
কিন্তু বিশ্বাস করো, এই স্বস্তি আমি হুট করে পাইনি।
এই শান্তির পেছনে আছে ঢাকা শহরের সেই গরম, ভীড়, আর ৬ নম্বর বাসের প্রতিটি থামা-চলা।

যারা এখনো গরমে, ভীড়ে, হতাশায় ঘামছেন—মনে রাখবেন, আপনি একা নন।
আপনার কষ্টই একদিন আপনার গল্প হবে।
আর সেই গল্পই কাউকে আবার সাহস দেবে।

আজ সুখে আছি, কিন্তু কষ্টের কথা ভুলিনি।
তাই কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা রেখে বলি –
“ধৈর্য ধরো। বদলে যাবে সব।”

©মেফতাহুল আমিন
৬ই জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশি আম। এক বক্স ১৪০০ টাকা। নেক্সট ইয়ারে এইটার বিজনেস করতে হবে। কেউ পারবেন নাকি পাঠাতে?
05/07/2025

বাংলাদেশি আম। এক বক্স ১৪০০ টাকা। নেক্সট ইয়ারে এইটার বিজনেস করতে হবে। কেউ পারবেন নাকি পাঠাতে?

05/07/2025

আসুন আড্ডা দেই

নাম তার অনিক। ছোটবেলা থেকেই সে অন্য রকম ছিল। অন্যরা যখন বইয়ের পাতায় উত্তর খুঁজতো, অনিক তখন সেই পাতার ফাঁকা জায়গায় রঙের ঝ...
05/07/2025

নাম তার অনিক। ছোটবেলা থেকেই সে অন্য রকম ছিল। অন্যরা যখন বইয়ের পাতায় উত্তর খুঁজতো, অনিক তখন সেই পাতার ফাঁকা জায়গায় রঙের ঝর্ণা বইয়ে দিতো।

“গ্রাফিক ডিজাইন? এসব দিয়ে কি জীবন চলে?”
– সবাই বলতো।
কিন্তু অনিক জানতো, তার জীবন বইবে ক্যানভাসের রঙে, মাউসের এক ক্লিকেই গড়বে তার দুনিয়া।

প্রচলিত চাকরির পেছনে ছুটে ক্লান্ত হয়ে একদিন সে সিদ্ধান্ত নিল—নিজের স্বাধীনতা বেছে নেবে।
চাকরির নিশ্চয়তা, মাসের শেষে নির্দিষ্ট বেতন… সব ফেলে দিয়ে সে বসলো তার ছোট্ট রুমে, একটা কম্পিউটার আর অফুরন্ত স্বপ্ন নিয়ে।

দিনের পর দিন কাজ করলো ক্লায়েন্টদের জন্য।
কখনো রাত ৩টায়, কখনো ভোর ৫টায়।
নিজের সময়, নিজের নিয়ম—এটাই ছিল তার সবচেয়ে বড় ফ্রিডম।

হাতের মাউস আর কিবোর্ড ছিল তার যুদ্ধের তলোয়ার।
প্রতিটি ডিজাইনের মাধ্যমে সে বলতো তার মনের কথা—
“আমি বাঁচি রঙের ভেতরে। আমি মুক্ত যখন সৃষ্টি করি।”

শুরুর দিনগুলো কঠিন ছিল।
অনেক প্রজেক্ট বাতিল হয়েছে,
অনেক সময় ক্লায়েন্ট টাকা দেয়নি।
কিন্তু অনিক জানতো, হাল ছেড়ে দিলে হারবে সে নিজেকেই।

আস্তে আস্তে তার নাম ছড়িয়ে পড়লো ছোট্ট কমিউনিটি থেকে বড় বড় কোম্পানিতে।
তার ডিজাইন এখন ব্র্যান্ডের মুখ হয়ে উঠেছে।
তবুও সে এখনো ভোরের নরম আলোয় বসে কফির কাপ হাতে নিজের ক্যানভাসে রঙ ছড়ায়।

কারণ, টাকা বা নাম নয়—তার আসল পাওনা হচ্ছে “ফ্রিডম”।
নিজের সময়, নিজের রঙ, নিজের জীবন বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা।

জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো এমন একটা জীবন গড়া, যেখানে তুমি যা ভালোবাসো, সেটা করেই বাঁচতে পারো।
স্বপ্ন দেখে এগিয়ে চলাই জীবনের আসল শিল্প।

©মেফতাহুল আমিন
২৬ এপ্রিল ২০২৫

Address

London

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Meftahul Amin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Meftahul Amin:

Share

Category