MBS Media

MBS Media সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে অঙ্গিকার বদ্ধ!
লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথে থাকুন...

কর্মীদের উদ্দেশ্যে জমিয়ত মহাসচিবের সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ নাসিহাআবেগ থাকবে, আবেগকে আমরা সমীহ করি, দলের প্রতি মাত্রাতিরিক...
23/05/2025

কর্মীদের উদ্দেশ্যে জমিয়ত মহাসচিবের সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ নাসিহা

আবেগ থাকবে, আবেগকে আমরা সমীহ করি, দলের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণ চাওয়া পাওয়ার জায়গাটাকে আমরা রেস্পেক্ট করি, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে,সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল হিসেবে মূল নেতৃত্বের প্রতি স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তাই মন্তব্য করা হবে, ছাত্র বা যুব সংগঠনের নেতৃত্বের জায়গায় থেকে মাঝে মাঝে কলমে লিখা হবে আজকের দিনে কর্মসূচি আসছে না কেন! এখনো মুরুব্বিরা মুখ খুলছেন না কেন? আমি এটাকে আবেগ বলবো না, এটাকে সীমালঙ্ঘন বলবো। এটা অনাধিকার চর্চা প্রয়োগের শামিল।
আমরা ছাত্র জমিয়ত যুব জমিয়ত সহযোগী সংগঠন অথবা যেকোনো পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে এইরকম আবেগ প্রত্যাশা করি না, আমরা অপেক্ষা করা শিখতে চাই।

কোন একটা বিশেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত আসতে দেরি হচ্ছে এর অর্থ এই নয় যে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঘুমাচ্ছে, বরং তারা পর্যবেক্ষণে সময় নিচ্ছেন, তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন, তারাও রাত জাগ্রত আছেন তারাও নির্ঘুম রজনী পার করছেন। সুতরাং আমাদের পর্যবেক্ষণের জায়গাটাকে আঘাত করে কেউ যদি বলে আর কতো অপেক্ষা, মুখে তুলে দেওয়ার পরেও খেতে পারে না আমাদের মুরুব্বি'রা, এটা আদর্শ কোন ছাত্রনেতা বা যুবনেতার চরিত্র হতে পারে না!

কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২০২৫
বক্তৃতার অংশ বিশেষ
আদর্শিক লিডার সংগ্রামী মহাসচিব
মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী।

দা উপরে থাকুক বা নিচে, কাটা পড়ে কুমড়াই!নারীরা সাধারণত মানসিক ও আবেগিক সংযোগ ছাড়া যৌনসম্পর্ক উপভোগ করতে পারেন না। এটি তা...
15/05/2025

দা উপরে থাকুক বা নিচে, কাটা পড়ে কুমড়াই!

নারীরা সাধারণত মানসিক ও আবেগিক সংযোগ ছাড়া যৌনসম্পর্ক উপভোগ করতে পারেন না। এটি তাদের প্রকৃতিগত শালীনতাবোধ, লজ্জা ও নিরাপত্তাবোধ থেকে আসে, যা তাদের জন্য একটা রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। কেননা যৌনসম্পর্কের শারীরিক পরিণতি— গর্ভধারণ— নারীকে একাই বহন করতে হয়। এই শালীনতা, লজ্জা ও রক্ষণশীলতা নারীর সৌন্দর্য ও সুরক্ষার ঢাল। এটিই তাদেরকে বৈধ ও টেকসই সম্পর্ক ছাড়া যত্রতত্র অবৈধ শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া থেকে দূরে রাখে।

পক্ষান্তরে, পুরুষেরা কোনো বৈধতা, কমিটমেন্ট, আবেগিক সম্পর্ক বা দায়িত্ববোধ ছাড়াও যৌনতাকে শুধু দেহভোগের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারে। তারা গর্ভধারণের ঝুঁকির সম্মুখীন না হওয়ায়, বহুক্ষেত্রে দায়িত্বহীন আচরণ করে। পুরুষের মানসিক অবস্থার যে ন্যাচারাল মেইকাপ, এটা তার স্বাভাবিক ফলাফল। ধর্মনৈতিক কারণ ছাড়া পুরুষের জন্য নিজের যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার তেমন আর কোনো প্রণোদনা নেই।

বস্তুত মানব প্রকৃতির গভীরে নিহিত এক অলঙ্ঘনীয় বাস্তবতা হলো— নারী ও পুরুষ শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিক, আবেগিক ও যৌন আচরণগত দিক থেকেও ভিন্ন। এই ভিন্নতা মহান আল্লাহর মহাপ্রজ্ঞার অংশ, যেখানে নারী লজ্জাশীলা, সংবেদনশীল ও নিরাপত্তা-প্রবণ আর পুরুষ স্বভাবতই আগ্রাসী, ঝুঁকিপ্রবণ এবং সে ক্ষণিকের আনন্দে লিপ্ত হতে চায়।

Baumeister & Tice (2001) এর গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষ নারী অপেক্ষা ২-৪ গুণ বেশি যৌন চিন্তা করে এবং দ্রুত যৌনসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়।
Kinsey Institute-এর তথ্যমতে, ৭১% পুরুষ আবেগিক সম্পর্কহীন যৌনতাও বেশ আগ্রহের সাথে উপভোগ করে থাকে, যেখানে নারীর ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ২৫%।

Journal of S*x Research (2015)-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, নারীদের ৮০% যৌনসম্পর্কে মানসিক সংযোগকে প্রধান বলে মনে করে, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি ৩০%-এর নিচে।

মনে রাখুন এই কিছু সংখ্যক নারীর মধ্যে পুরুষালি স্বভাব দেখা যাচ্ছে এটাও কিন্তু এই সেদিনের ঘটনা। নারীস্বাধীনতা ও সম অধিকারের বড়ি কয়েক যুগ ধরে গেলানোর পরেই কিন্তু পরিসংখ্যান এটা দাঁড়িয়েছে। ১০০ বছর আগে এই গবেষণা করা হলে হয়তো এই বৈশিষ্ট্য বিরল দেখা যেত।....

এবার আসুন দেখি সমতার নামে নারীকে যৌনসঙ্গী বানিয়ে করা নারী নির্যাতনের আরেক অধ্যায়।

গর্ভধারণের পর নারী যখন নিজের শরীরে একটি নতুন প্রাণ অনুভব করে, তখন তার অন্তরে এক গভীর মাতৃত্ববোধ জন্ম নেয়।
নারীর শরীরে “Oxytocin” ও “Prolactin” হরমোন নিঃসরণ বাড়ে, যা শিশুর প্রতি গভীর আবেগ ও আত্মত্যাগের মানসিকতা তৈরি করে (Harvard Medical School, 2019)। এ থেকেই বোঝা যায়, মাতৃত্ব নারীর স্বাভাবিক প্রবণতা— এটিকে বিলুপ্ত করতে চাওয়া এক ধরনের সহিংসতা।

অথচ অনেক পুরুষ তখন সন্তানের দায় এড়াতে নারীর উপর গর্ভপাতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এটি শুধু দায়িত্বহীনতা নয়, এটি এক প্রকার নিষ্ঠুরতা, যেখানে মমতাময়ী মায়ের অনুভূতি ও সন্তানের জীবনকে তুচ্ছ গণ্য করা হয়।

Guttmacher Institute (2023) এর এক গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০টি গর্ভপাতের ৬টিতেই পুরুষসঙ্গী গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বাংলাদেশের সমাজের উপর কৃত বিভিন্ন গবেষনায়ও অধিকাংশ গর্ভপাতের ঘটনায় পুরুষের চাপের ব্যাপার উঠে এসেছে।....

আর এখানেই আসে আজকের তথাকথিত 'সমতা' বা 'ইকুয়াল রাইটস' ধারণার প্রশ্ন। পশ্চিমা ভাবধারায় নারীকে 'সমান অধিকার' ‘স্বাধীনতা’ ও ‘ভোগের অধিকার’ নাম দিয়ে আসলে তাকে পুরুষের মতো ‘যৌন আগ্রাসী’ করে তোলার প্রয়াস চলছে। বলা হচ্ছে, নারী-পুরুষ সমান— অর্থাৎ, নারীও চাইলে আবেগহীনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে পারবে, সন্তান চাইলে রাখবে, না চাইলে মেরে ফেলবে!

এই সমতার ফলাফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬০ লাখ গর্ভপাত হয়, যার সিংহভাগ ঘটে অবিবাহিত নারীর মধ্যে (CDC Report, 2022)। ইউরোপে ৪৫% নারী ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কমপক্ষে একবার গর্ভপাত করেছে (Eurostat, 2021)।

অথচ বিশ্বব্যাপী ধর্ষণের মামলার বিচার অনুপাতে মাত্র ১% অপরাধীর সাজা হয় (UN Women, 2023)। এর অর্থ দাঁড়ায় — যৌনমুক্তির নামে নারী শুধু দেহগতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ তার নিরাপত্তা নেই।...

তাহলে সমতা আন্দোলনের এই চক্রান্তে সুবিধাভোগী কারা? — পুরুষরাই। কারণ নারী যদি নিজেকে যৌন বিষয়ে রক্ষণশীলতা ও মাতৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, তবে পুরুষের জন্য নারীর শরীর সহজে ভোগের উপযোগী ‘পণ্য’তে পরিণত হবে। কোনো আবেগ, দায়িত্ব বা পারিবারিক বন্ধন ছাড়াই নারীকে ব্যবহার করা যাবে।

এটা কি নারীর মুক্তি? নাকি এক নতুন দাসত্ব?

এবার আসি নারীর অর্থনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে সাম্যের প্রশ্নে। এই মুলাটা হলো বস্তুত কেবলই তাদের বক্তব্যের কনসিস্টেন্সি ধরে রাখার জন্য তারা দেয়। আপনি এখনো ওয়েস্টার্ন কর্পোরেট জগতে গেলে দেখতে পাবেন টপ থেকে নিয়ে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পজিশনগুলো পুরুষদের দখলে। তাই সমান অধিকারের এই বয়ান বস্তুত নারীকে সহজে সহজলভ্য করার পশ্চিমা টোটকা বৈ কিছুই নয়।৷৷ প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা লুকিয়ে আছে তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে — তার লজ্জাশীলতা, রক্ষণশীলতা, মাতৃত্ববোধ, পারিবারিক অঙ্গীকার এবং আত্মমর্যাদায়। তাকে পুরুষের মতো বানানো নয়, বরং তার নিজস্ব মর্যাদা ও ভূমিকা রক্ষা করাই প্রকৃত নারীমুক্তির পথ।

তথাকথিত নারী স্বাধীনতা ও সমান অধিকারের নামে যে যৌনস্বাধীনতা ও জন্মনিয়ন্ত্রণের ‘উপভোগবাদী সংস্কৃতি’ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা নারীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র; বস্তুত সমান অধিকারের এই আন্দোলন হলো নারীকে আরও সহজলভ্য করে ইচ্ছেমতো ভোগ্যপণ্য বানানোর আন্দোলন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নারীরাই আজ এই ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হয়ে পড়ছে, নিজেদের 'স্বাধীন' ভাবছে— অথচ পরিণামে হারাচ্ছে নিজের স্বকীয়তা, আত্মসম্মান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষা।
- আহমাদ রফীক

জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি তালহা ইসলামের দলীয় পদ স্থগিত করত; তদন্ত কমিটি গঠন করলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলা...
15/05/2025

জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি তালহা ইসলামের দলীয় পদ স্থগিত করত; তদন্ত কমিটি গঠন করলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে...

15/05/2025

মাসনা করা আর ঘন ঘন বৌ পাল্টানো একই জিনিস⁉️
না না না , কখনও না !

প্রথমটা হচ্ছে সভ্যতা, ভদ্রতা ও নিজেকে পাপমুক্ত করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি (যদিও ঘরের বৌ বুঝে না😁) আর দ্বিতীয়টি হলো নোংরা/মি, অস/ভ্যতা, অভদ্রতা, অন্যায় ও জুলুম।

বিয়ে করা হয় জরুরতের কারণে।‌ তা যেন খাহেশাতের কারণ না হয় । প্রথম স্ত্রী দিয়ে জরুরত না পোষালে দ্বিতীয়, এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ। কিন্তু নবম বিয়ে এটা কোনো জরুরতের বিষয় হলো ব্রো??, তা প্রবৃত্তির চাহিদা ও লোভ-লালসা।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
ﻭَﺇِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗُﻘْﺴِﻄُﻮﺍْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰ ﻓَﺎﻧﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻃَﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻣَﺜْﻨَﻰ ﻭَﺛُﻼَﺙَ ﻭَﺭُﺑَﺎﻉَ ﻓَﺈِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺪِﻟُﻮﺍْ ﻓَﻮَﺍﺣِﺪَﺓً ﺃَﻭْ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌُﻮﻟُﻮﺍْ ‏( 4:3 )
মাসনা করার ব্যাপারে আল্লাহ সতর্ক করেছেন:
কিন্তু যদি তোমরা তাদের সাথে ইনসাফ করতে পারবে না বলে আশংকা করো, তাহলে একজনকেই বিয়ে করো৷
বিয়ের ক্ষেত্রে ইনসাফ কীভাবে করা হবে?
উত্তর: সবাইকে একসাথে সুখে রাখা , সবকিছু আলাদা আলাদা করে দেওয়া । খাওয়া-দাওয়া, থাকা, এমনকি রাত্রি যাপনও ভাগ ভাগ করে দেওয়া।
বহুবিবাহ ক্ষেত্রে ঐটা ইনসাফ বা সুন্নাহ নয় যা তালহা সাহেব করেছেন, নয়জন কে (৯) বিয়ে করে একেকবার একেকজন কে ইউজ করে তালাক দিয়ে দেওয়া।‌ এটা‌ স্পষ্ট নফসের ধোঁকা যা আলেম সমাজের জন্য কলঙ্কময়।
এমনিতেই জেনারেল শিক্ষিত লোকেরা মাসনা করার কারণে হুজুরদের লু......চ্চা বলে গা//লি দেয় সেখানে ৯টা বিয়ে ব্যাপারে কি বলবে অনুমানের বিষয়।
দৈনন্দিন নতুন নতুন মধুর চাক খোঁজা, এরপর ঢিল দিয়ে মধু খেয়ে ছেড়ে দেওয়া সবকিছু হচ্ছে অতিরিক্ত সম্পদের কারণে।
মানুষ সম্পদের মোহে অন্ধ হয়ে যায়। সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি এমন সম্পদ দিও না, যা জিল্লতির কারণ হয়।

সবশেষ একটাই কথা!
খাহেশাতের জন্য একটার পর একটা বৌ পাল্টানো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয় । এটাকে রোধ করতে হবে , সর্বোচ্চ কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। আর না হয় আরো কতো মহিয়সি নারীর জীবন বিপন্ন হবে ।

সংগৃহীত

10/05/2025
জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত, ৭ দফা প্রস্তাবণা পেশপ্রধান উপদেষ্টা - আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীনসভাপতি - আল্লামা উবায়দুল্...
26/04/2025

জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত, ৭ দফা প্রস্তাবণা পেশ

প্রধান উপদেষ্টা - আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন
সভাপতি - আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী
মহাসচিব - মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর জাতীয় কাউন্সিল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জমিয়ত সভাপতি মাওলানা শায়েখ জিয়া উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রউফ ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদি, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা তফাজ্জল হক আজিজ, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা মাস‌উদুল করীম, মাওলানা লোকমান মাযহারী, ড. শোয়াইব আহমদ, মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী,মুফতি নাসির উদ্দীন খান, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি বশিরুল হাসান খাদিমানী, মুফতি নুর মোহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা নজরুল ইসলাম ও মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী প্রমুখ।

১. ফ্যাসিবাদী আমলে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যা,পিলখানা হত্যা ও জুলাইবিপ্লবের গণহত্যাসহ বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও হেফাজত ইসলামের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
২.
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী যে এক দফার লড়াই আমরা করেছিলাম, সেটা ছিল মূলত ফ্যাসিবাদের বা স্বৈরাচারের পতন এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একটি অর্জিত হয়েছে, আরেকটি অর্জনের পথে আছে। সুতরাং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা প্রদানের জন্য আজকের কাউন্সিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।
৩. সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবনায় কিছু বিতর্কিত বিষয় স্থান পেয়েছে বলে মনে করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। বিশেষ করে সংবিধানের মূলনীতিত বহুত্ববাদ যুক্ত করাকে জমিয়ত ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। এই প্রস্তাবনা বাতিল করে আল্লাহর ওপর পূর্ণবিশ্বাস ও আস্থা পুনরায় বহাল করতে হবে।

৪. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামী উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইনকে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে;যৌনকর্মীদের শ্রমিকের মর্যাদা প্রদানের কথাবলে আল্লাহর বিধানের সাথে তামাশা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে নারীনীতিমালার নামে এসব বিতর্কিত বিষয়গুলোকে বারবার সামনে আনার চেষ্টা করা হয়েছিলো, কিন্তু জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ ইসলামপ্রিয় জনতার তীব্র প্রতিবাদের কারণে তা,বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
আজকের এ কাউন্সিল অধিবেশন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এবিতর্কিত প্রস্তাবনা বাতিলসহ পুরো কমিশন বাতিলের জোর দাববি জানাচ্ছে।
৫.ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যা শুধু ফিলিস্তিনের ধ্বংস নয়, এটা বিশ্বমুসলমানদের নিঃশেষ করার একটি ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে জাতিসংঘকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে, অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনে মুসলিম নিধন বন্ধ করতে হবে।
মুসলিমবিশ্ব কার্যকরভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এতটা সাহস দেখাতে পারত না। সুতরাং বাংলাদেশসহ মুসলমান প্রধান দেশগুলোকে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং ‘নিপীড়িত’ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগকেও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য আজকের এ অধিবেশন জোর দাবি জানাচ্ছে।
৬. পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতে মুসলমানদের ওপর বারবার নির্যাতনের কাহিনী ঘটছে,মসজিদ-মাদরাসাসহ মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনায় বারবার আঘাত হানা হচ্ছে, বিশেষ করে দেশটির পার্লামেন্টে সম্প্রতি যে ওয়াকফ আইন সংশোধনী পাস হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে ভারতে মুসলমানদের কোনো উপাশনালয় থাকবে না।সুতরাং জমিয়তের আজকের এ অধিবেশন এ ওয়াকফ আইন সংশোধনী বিল বাতিল করতে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে জোর দাবি জানাচ্ছে।
৭.আমাদের প্রতিবেশী দুটি রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরী হয়েছে,দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধযুদ্ধভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, এজন্য ভারত ও পাকিস্তানকে পরষ্পরের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আরো সংযত হওয়া ও আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশকে শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে এগিয়ে আসার জন্য আজকের কাউন্সিল বিনীতভাবে আহবান করছে।

কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৫-২৭ সেশনে দু'বছর মেয়াদী ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী।

জমিয়তের মজলিসে আমেলা অনুষ্ঠিত, আজ জাতীয় কাউন্সিলদেশের প্রাচীনতম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সংগ্রামী সভাপতি, য...
26/04/2025

জমিয়তের মজলিসে আমেলা অনুষ্ঠিত, আজ জাতীয় কাউন্সিল

দেশের প্রাচীনতম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সংগ্রামী সভাপতি, যোগ্য মানুষগড়ার সুদক্ষ কারিগর, আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কারানির্যাতিত মজলুম জননেতা মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির পরিচালনায় সর্বশেষ মজলিসে আমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জাতীয় কাউন্সিল।

গা জা য় বর্বরোচিত গণ হ*ত্যা, ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাশ ও মুসলিম অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে ঢাকায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম...
18/04/2025

গা জা য় বর্বরোচিত গণ হ*ত্যা, ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাশ ও মুসলিম অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে ঢাকায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি
14/04/2025

সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি

14/04/2025

সংস্কার কমিশনে দেশের নাম পরিবর্তন ও পৃথক শরিয়া আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে দেশের প্রাচীনতম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম

বিস্তারিত লিংক কমেন্টে...

11/04/2025

ইমামদের জন্য সুখবরের কথা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
আফম খালিদ

বিস্তারিত লিংক কমেন্টে...

Address

London

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MBS Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share