Bangla News Room

Bangla News Room This page publishes news and views. The primary audience of this page is British Bangladeshi communi

07/10/2025

ইস্ট সাসেক্সের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের সন্দেহে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারের পর ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

06/10/2025

Police investigating a report of suspected arson at a mosque in East Sussex have issued images of two people they wish to identify.

সাড়ে ৭ লাখ ইমিগ্রেনটকে বহিষ্কার করবে কনজারভেটিভ পার্টিঃ কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে তারা পাঁচ বছ...
04/10/2025

সাড়ে ৭ লাখ ইমিগ্রেনটকে বহিষ্কার করবে কনজারভেটিভ পার্টিঃ

কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে তারা পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেবে।

বার্ষিক সম্মেলন শুরুর দিনে দলটি যে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে—
দেশে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা ব্যক্তিদের কখনোই আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ না দেওয়া।

এছাড়া, আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও আবেদনকারীরা আদালতে আপিল করতে পারবেন না; বরং হোম অফিসের কর্মকর্তারাই আপিল প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন।

বর্ডার ফোর্স কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হবে, "ঘণ্টা কয়েক বা সর্বোচ্চ কয়েক দিনের মধ্যে" এসব ব্যক্তিকে দেশত্যাগে বাধ্য করতে।
"রিমুভালস ফোর্স" নামে একটি নতুন ইউনিট গঠন করা হবে, যার বার্ষিক বাজেট দ্বিগুণ করে ১.৬ বিলিয়ন পাউন্ড করা হবে।

এই ঘোষণা আসে এমন এক সময়, যখন ম্যানচেস্টারে পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। নেতা কেমি ব্যাডেনকের অধীনে কনজারভেটিভ পার্টি বর্তমানে জনমত জরিপে পিছিয়ে, এবং নাইজেল ফারাজের ‘রিফর্ম ইউকে’ দল থেকে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনার মূল বিষয়সমূহ:

ইউরোপীয় মানবাধিকার সনদ (ECHR) ত্যাগ:
পার্টি ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ৭৫ বছরের পুরনো ECHR সদস্যপদ বাতিল করা হবে—আশ্রয় আপিল ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

"রিমুভালস ফোর্স" গঠন:
হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ইউনিটকে নতুন নামে পুনর্গঠিত করে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে।
আশ্রয় হোটেলগুলো বন্ধ করে পাওয়া অতিরিক্ত £৮২০ মিলিয়ন বাজেট এই ইউনিটে ব্যয় করা হবে।

বছরে অন্তত ১,৫০,০০০ জনকে বহিষ্কারের লক্ষ্য:
পাঁচ বছরে মোট ৭,৫০,০০০ অনিয়মিত অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর মধ্যে পড়ছে—বর্তমানে অবৈধভাবে বসবাসরতরা, ভবিষ্যতের অনুপ্রবেশকারীরা, এবং যেসব বিদেশি নাগরিক গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন (ছোটখাটো ট্রাফিক অপরাধ ব্যতীত)।

বিদ্যমান বহিষ্কারের সংখ্যার তুলনায় ৫ গুণ বেশি:
গত বছরে যুক্তরাজ্য থেকে মাত্র ৩৫,০০০ অভিবাসীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই স্বেচ্ছায় গেছেন।
নতুন পরিকল্পনা এই সংখ্যাকে পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলছে।

মডেল: যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে কঠোর আইন:
দলটি বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মতো কঠোর অভিবাসন নীতি অনুসরণ করতে চায়—যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় পুলিশের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

ফেসিয়াল রিকগনিশন ও বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার:
পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হবে—গ্রেফতারকৃতদের তথ্য বায়োমেট্রিক বর্ডার ডাটার সঙ্গে মেলাতে এবং অনুমতি ছাড়াই ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করতে।

১,০০০–২,০০০ মানুষ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন আটককেন্দ্র:
বিদ্যমান একটি অনির্দিষ্ট সুবিধাকে সম্প্রসারণ করে অভিবাসীদের আটক রাখতে নতুন কেন্দ্র চালু করা হবে।

এসাইলাম নীতিতে কঠোর পরিবর্তন:

নতুন সীমাবদ্ধতা:

কেবল সেই ব্যক্তিরাই আশ্রয়ের যোগ্য বিবেচিত হবেন, যারা নিজ দেশের সরকারের দ্বারা নির্যাতনের আশঙ্কায় রয়েছেন।
ধর্ম, যৌনতা বা যুদ্ধবিধ্বস্ততার মতো কারণে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না।

ইমিগ্রেশন ট্রাইবুনাল বাতিল:

আশ্রয়ের আপিল শুনানির দায়িত্ব ইমিগ্রেশন ট্রাইবুনালের পরিবর্তে হোম অফিস কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আদালতের ভূমিকা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।

আইনি সহায়তা বন্ধ:

অভিবাসন সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রীয় অর্থে আইনজীবী সরবরাহ (লিগ্যাল এইড) বন্ধ করা হবে।

দলটির দাবি, “যেহেতু আবেদন সুষ্ঠুভাবে মূল্যায়ন করা হবে, আইনজীবীর প্রয়োজন নেই।”

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে প্রায় ৫০০ জন গ্রেপ্তার: লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে প্রায় ৫০০ জনকে গ...
04/10/2025

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে প্রায় ৫০০ জন গ্রেপ্তার:

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।

মেট পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর পক্ষে সমর্থন জানানোয় অভিযুক্ত।

ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে এই সংগঠনের সমর্থনে ব্যানার টাঙানোর ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়।তবে গ্রেপ্তারের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে ট্রাফালগার স্কয়ারে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানের মাধ্যমে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানান।

মেট পুলিশ জানিয়েছে:

“আজকের জননিরাপত্তা অভিযান শেষে গ্রেপ্তারের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯২ জন।”

তাদের মধ্যে ৪৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন জানানোর। বাকি চারজন গ্রেপ্তার হন মাতাল অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সাধারণ হামলা, জনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন এবং অন্যান্য পূর্ববর্তী মামলায় ওয়ারেন্ট থাকার অভিযোগে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়স ১৮, এবং সবচেয়ে বেশি বয়স ৮৯ বছর। শনিবার রাত পর্যন্ত ২৯৭ জন এখনো পুলিশ হেফাজতে আছেন, বাকিদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ ইহুদি প্রতিনিধি পরিষদ (Board of Deputies of British Jews) দাবি করেছে—সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া ৪০০-র বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর’ অভিযোগেও তদন্ত করা উচিত।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেছে:

“নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এসব বিক্ষোভকারীর বেপরোয়া সংবেদনশীলতা, জনসাধারণের নৈতিকতার প্রতি অপমান।”

বিক্ষোভ আয়োজক গোষ্ঠী "ডিফেন্ড আওয়ার জুরি" (Defend Our Juries) জানায়—সেন্ট্রাল লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে এক হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়ে ‘নীরব প্রতিবাদ ও প্রার্থনা’ আয়োজন করেন। সেখানে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের নাম পড়ে শোনানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিক্ষোভকারীদের আহ্বান জানান—

“ব্রিটিশ ইহুদিদের শোকের প্রতি সম্মান দেখান।”

ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেই এই বিক্ষোভকে ‘অত্যন্ত সময়-বিবর্জিত ও বোধহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, কারণ মাত্র দুই দিন আগে সন্ত্রাসী হামলায় দুইজন নিহত হন।

একজন খ্রিস্টান যাজিকা, যিনি চোখ বন্ধ করে একটি পোস্টার ধরে বসে ছিলেন—পোস্টারে লেখা ছিল:

“আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি”—
তাকেও পুলিশ আটক করে।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পুলিশকে “লজ্জাজনক” বলে অভিহিত করেন, আবার অনেকে অফিসারদের বলেন:

“ধন্যবাদ আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য”—যখন ঐ নারীকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হচ্ছিল।

এছাড়া, দুজন বৃদ্ধ পুরুষকেও পুলিশ সদস্যরা হাত-পা ধরে স্কয়ারের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে নিয়ে যান, যেখানে অন্যান্য অফিসার ও গাড়ি অপেক্ষায় ছিল গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।

“কমিউনিটি সিকিউরিটি ট্রাস্ট”-এর নীতিনির্ধারক ডেভ রিচ বিবিসি রেডিও ৪-এ বলেন:

“অসংখ্য মানুষ যারা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে দাবি তোলেন, তারা পুলিশ রিসোর্স এমন একটি সংগঠনের পক্ষে ব্যবহারে ব্যস্ত, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন। এটা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের সমান নয়। এটা ইহুদি জনগোষ্ঠীর নিরাপদ জীবনযাপন ও উপাসনার অধিকারের প্রতি সরাসরি হুমকি।”

এসাইলাম সীকারদের দুঃসংবাদ দিলেন কেমি বেইডেনকযারা যুদ্ধ, নির্যাতন বা নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে ইউরোপ বা যুক্তরাজ্যে আশ্রয...
03/10/2025

এসাইলাম সীকারদের দুঃসংবাদ দিলেন কেমি বেইডেনক

যারা যুদ্ধ, নির্যাতন বা নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে ইউরোপ বা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাইছেন, তারা বিচার ও সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি যে প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করেন, তা হলো ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (European Court of Human Rights - ECHR)।
এই আদালত মানবাধিকারের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে কাজ করে, বিশেষ করে যখন জাতীয় আদালত আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। এ কারণেই ECHR অনেক সময় অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা রাজনৈতিক বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কনজারভেটিভ পার্টির লিডার কেমি বেইডেনক ঘোষণা করেছেন, যদি কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি) আগামী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে ইউরোপীয় মানবাধিকার সনদ (European Convention on Human Rights - ECHR) থেকে বেরিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য।
এই ঘোষণা এসেছে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান আইন উপদেষ্টার এক পর্যালোচনার পর, যেখানে বলা হয়েছে ECHR-এর আওতায় যুক্তরাজ্যের থেকে যাওয়ার কাড়নে অভিবাসন সংস্কার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গত বছর কেমি বেইডেনক বলেছিলেন, অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলায় ECHR ছেড়ে দেওয়া "ম্যাজিক বুলেট" নয়। তবে শুক্রবার তিনি বলেন, এই পদক্ষেপটি "আমাদের সীমান্ত, আমাদের সাবেক সেনাসদস্য এবং নাগরিকদের রক্ষার জন্য জরুরি।"
লেবার পার্টি বলেছে, কনজারভেটিভ নেত্রী এমন একটি নীতি গ্রহণ করেছেন যার বিরুদ্ধে তিনি আগে কথা বলেছেন, কারণ তিনি "নিজের দল এবং রিফর্ম পার্টির চাপের মুখে দাঁড়াতে খুব দুর্বল।"
ম্যানচেস্টারে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনের আগের দিন এই ঘোষণা, যা দলের মধ্যে মাসের পর মাস ধরে চলা বিভাজনের অবসান ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ECHR এখন কনজারভেটিভ পার্টির অভিবাসন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, এই সনদের বিধানগুলো বিদেশি অপরাধী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে।
ECHR থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করা কনজারভেটিভ নীতিতে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং সম্ভবত এটি আগামী নির্বাচনে দলের প্রচারণার মূল বিষয় হয়ে উঠবে।
এটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন রিফর্ম ইউকে পার্টির চাপ বাড়ছে, যারা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ECHR থেকে বেরিয়ে যাবে।
কেমি বেইডেনক বলেন:
"আমি এই সিদ্ধান্তে হালকাভাবে আসিনি, তবে এটা স্পষ্ট যে আমাদের সীমান্ত, আমাদের সাবেক সেনা এবং আমাদের নাগরিকদের রক্ষার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।"
"আমি সবসময়ই বলেছি—প্রয়োজনে আমাদের ECHR ছাড়তে হবে। তবে অন্যান্য দলের মতো আমরা কেবল কথায় সীমাবদ্ধ থাকিনি—আমরা এর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি, যা একজন সম্মানিত কিংস কাউন্সেলের (KC) আইনি পরামর্শ দ্বারা সমর্থিত।"
এই ঘোষণার আগে কনজারভেটিভ দলের শেডো অ্যাটর্নি জেনারেল লর্ড উলফসন অব ট্রেডেগারের নেতৃত্বে একটি বিস্তারিত আইনি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ECHR সরকারের ওপর "গুরুত্বপূর্ণ সীমাবদ্ধতা" আরোপ করে।
এই পর্যালোচনায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালার ওপর আন্তর্জাতিক আইনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়:
১. বিদেশি অপরাধী ও অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো
২. সেনা সদস্যদের আইনি মামলা থেকে রক্ষা করা
৩. ব্রিটিশ নাগরিকদের সরকারি পরিষেবায় অগ্রাধিকার দেওয়া
৪. সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারাদণ্ড নিশ্চিত করা
৫. পরিকল্পনা সংস্কারে জলবায়ু সংক্রান্ত আইন ব্যবহার করে আদালতের হস্তক্ষেপ রোধ করা
লর্ড উলফসনের মতে, “এই পাঁচটি নীতির প্রতিটিতেই ECHR বড় বাধা সৃষ্টি করে।”
এই সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিবিসিকে বলেন, ECHR সহ আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাখ্যা কীভাবে ব্রিটিশ আদালত দিচ্ছে, তা আবার পর্যালোচনা করা হবে—যাতে ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরা তাঁদের ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে যুক্তি হিসেবে বিদেশি কারাগার বা স্বাস্থ্যসেবার অবনতি দেখিয়ে বাধা দিতে না পারেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি মানবাধিকার আইন “ধ্বংস করতে চান না”, তবে সাম্প্রতিক গণ-অভিবাসনের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন জরুরি হয়ে উঠেছে।
কিন্তু আইন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ECHR ত্যাগ করলে তা রাজনৈতিক ও আইনি দিক থেকে গুরুতর পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
ক্যাথরিন বার্নার্ড, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোপীয় আইন অধ্যাপক, বলেন:
"এই সনদ থেকে বেরিয়ে যাওয়া যুক্তরাজ্যকে রাশিয়ার পাশে একা করে ফেলবে এবং গুড ফ্রাইডে চুক্তি ও ইউকে-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করবে।"
তবে লর্ড উলফসনের প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার আইনি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ECHR এর বিধানগুলি দুর্বল করতে ঘরোয়া আইন ব্যবহার করলেও কার্যত কোনও ফল আসবে না।
তিনি আরও বলেন, ECHR ত্যাগ করলে গুড ফ্রাইডে চুক্তি বা উইন্ডসর ফ্রেমওয়ার্ক লঙ্ঘিত হবে না।
লেবার পার্টির একজন মুখপাত্র বলেন, এই সিদ্ধান্তটি "বেইডেনকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি যথাযথভাবে ভেবে নেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, “বেইডেনক এখন নিজেই মনে করছেন না তিনি ECHR-এ পরিবর্তন আনতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে সক্ষম, অথচ গুড ফ্রাইডে চুক্তি পুনর্বার আলোচনার মতো কূটনৈতিক দক্ষতা তার আছে!”
কনজারভেটিভ পার্টির শেডো হোম সেক্রেটারি ক্রিস ফিলিপ বলেন,
“ECHR বিদেশি অপরাধী ও অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাজ্যে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের সীমান্ত রক্ষা কোনভাবেই আপসযোগ্য নয়।”
তবে অতীতে অনেক মাঝারি ধরণের কনজারভেটিভ এমপি ECHR ত্যাগ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
২০২৩ সালে, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেমিয়ান গ্রিন বলেছিলেন, ECHR ত্যাগ করা “ওয়ান নেশন টোরিদের” জন্য একটি "লাল রেখা"।

সম্প্রতি, বরিস জনসনের বিচারমন্ত্রী স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড বলেন, ECHR ত্যাগ করা হবে "মূর্খতা", এবং পরিবর্তে তিনি ভিতর থেকে সংস্কারের পক্ষে মত দেন।
রিফর্ম ইউকের একজন মুখপাত্র বলেন:

“কনজারভেটিভদের কথার একটিও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
“১৪ বছর ধরে সরকারে থেকে তারা ECHR ত্যাগ করেনি। তারপর এখন নীতির সিদ্ধান্ত নিতে তাদের ১৪ মাস লেগেছে।”
“কনজারভেটিভ পার্টি শেষ।”

ম্যানচেস্টার সিনাগগ হামলাকারী জিহাদ আল-শামি সম্পর্কে যা জানা গেলঃ জিহাদ আল-শামি ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী একজন সিরিয়ান বংশোদ্ভূত...
03/10/2025

ম্যানচেস্টার সিনাগগ হামলাকারী জিহাদ আল-শামি সম্পর্কে যা জানা গেলঃ

জিহাদ আল-শামি ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী একজন সিরিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

তিনি ছোটবেলায় যুক্তরাজ্যে আসেন এবং ২০০৬ সালে, প্রায় ১৬ বছর বয়সে, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পান।

তিনি প্রেস্টিচ, ম্যানচেস্টার-এ বসবাস করতেন।

হামলার বিবরণঃ

এই ঘটনা ঘটে ২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, ম্যানচেস্টারের হিটন পার্ক হিব্রু কনগ্রিগেশন সিনাগগে, ইহুদি ধর্মের পবিত্র দিন ইয়োম কিপুর-এর সময়।

তিনি প্রথমে গাড়ি চালিয়ে পথচারীদের চাপা দেন, এরপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান।

ঘটনাস্থলে পুলিশ গুলি করে তাকে হত্যা করে।

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তার শরীরে বিস্ফোরক ভেস্ট ছিল, তবে পরে জানা যায় সেটা ছিল অকার্যকর বা নকল বিস্ফোরক।

ঘটনাটি এখন সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে — দুইজন পুরুষ (৩০-এর ঘরে) এবং একজন ৬০ বছর বয়সী নারী।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের প্রতিক্রিয়াঃ

আল-শামি পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনার সাথে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন এবং ঘটনার প্রতি গভীর শোক ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

পরিবারটি মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে এবং এই ঘটনা নিয়ে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করতে।

প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

প্রতিবেশীরা জানান, তিনি খুব একটা কারও সাথে কথা বলতেন না।

অনেক সময় তিনি পশ্চিমা পোশাক পরতেন, আবার কখনও ঐতিহ্যবাহী সিরিয়ান জামা-কাপড়।

তাকে প্রায়ই বাসার বাগানে একা একা ব্যায়াম করতে দেখা যেত — ওজন তোলা, প্রেস আপ, ইত্যাদি।

কেউ কেউ বলেন, তিনি পায়জামা আর স্যান্ডেল পরে ঘোরাফেরা করতেন, মাঝে মাঝে খারাপভাবে গাড়ি পার্ক করতেন।

প্রতিবেশীদের ভাষায়, “তিনি সাধারণ একজন লোকই মনে হতেন, তার মধ্যে এমন কিছু ছিল না যা সন্দেহ জাগাতো।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কঃ

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তার নাম আগে কোনো সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তে ওঠেনি।

তিনি বর্তমানে কোনো তদন্তের আওতায় ছিলেন না, এবং তার নাম ‘প্রিভেন্ট’ (Prevent) নামক সরকারের চরমপন্থা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে থাকার প্রমাণ মেলেনি।

জানা গেছে, তিনি ইংরেজি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং পড়াতেন, এবং তার বাবা একজন সার্জন।

ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারির প্রতিক্রিয়াঃ

হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদ বলেছেন, আক্রমণকারীর নাম ‘জিহাদ’ শুনে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, “একজন মুসলিম হিসেবে আমি আগে কখনো কাউকে জিহাদ নামে ডাকতে শুনিনি। কিন্তু এটা তার প্রকৃত নাম ছিল — জন্ম থেকেই।”

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সাশ্রয়ী সুপারমার্কেট Aldi: খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় সাপ্তাহিক বাজারে সবচেয়ে ভালো ডিল খুঁজে পেতে...
03/10/2025

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সাশ্রয়ী সুপারমার্কেট Aldi:

খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় সাপ্তাহিক বাজারে সবচেয়ে ভালো ডিল খুঁজে পেতে ক্রেতারা আরও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ভোক্তাদের অধিকার রক্ষাবিষয়ক সংস্থা Which?-এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সাশ্রয়ী সুপারমার্কেট ছিল Aldi।

সংস্থাটি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের ৮টি প্রধান সুপারমার্কেটের গড় মূল্য তুলনা করে। সেপ্টেম্বর মাসে ৭১টি সাধারণ পণ্যের একটি বাজারতালিকার গড় খরচ Aldi-তে ছিল £122.88।

Which?-এর খুচরা সম্পাদক রীনা সেওরাজ বলেন, “এটি দেখায় যে Aldi এখনো চমৎকার মূল্যমান বজায় রেখেছে, তাও আবার কোনো দ্বিস্তর বিশিষ্ট (two-tiered) মূল্য কাঠামো ছাড়াই।”

দ্বিতীয় সাশ্রয়ী সুপারমার্কেট হিসেবে উঠে এসেছে Lidl, যেখানে একই বাজারতালিকার গড় খরচ ছিল £123.95। সংস্থাটি জানিয়েছে, যেহেতু তালিকাভুক্ত কোনো পণ্যের দাম Lidl Plus গ্রাহকদের জন্যও কম ছিল না, তাই এবার শুধু একটিই মূল্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

একই ৭১টি পণ্যের তালিকা Tesco-তে Clubcard থাকলে গড়ে £135.64 এবং Clubcard ছাড়া £138.66 খরচ হয়েছে।

Sainsbury’s-এ Nectar কার্ড থাকলে এই খরচ গড়ে £138.74 এবং Nectar কার্ড ছাড়া £142.70 হয়েছে।

আর যদি পণ্যের তালিকা বাড়িয়ে ১৮৬টি করা হয়, তাহলে Asda ছিল সবচেয়ে সাশ্রয়ী সুপারমার্কেট, যেখানে গড় খরচ ছিল £465.66। এই খরচ Tesco-র তুলনায় (Clubcard সহ) £6.79 কম।

Which? জানিয়েছে, Aldi ও Lidl-কে এই বড় তালিকার তুলনায় রাখা হয়নি, কারণ তাদের পণ্যের পরিসর তুলনামূলকভাবে সীমিত।

সবচেয়ে দামি সুপারমার্কেট হিসেবে উঠে এসেছে Waitrose – যেখানে ৭১টি পণ্যের জন্য গড় খরচ ছিল £167.19 এবং ১৮৬টি পণ্যের জন্য £531.39।

এই বিশ্লেষণে যেখানে প্রযোজ্য, সেখানকার বিশেষ ছাড় ও লয়ালটি প্রোগ্রামের মূল্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, তবে মাল্টিবাই (একসাথে কিনলে ছাড়) অফার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে। ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (BRC) জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে দোকানের দাম আগের বছরের তুলনায় ১.৪% বেড়েছে, যেখানে আগস্টে ছিল ০.৯%।

খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৪.২%, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকলেও তিন মাসের গড় (৪.১%) এর চেয়ে বেশি।

BRC গত সপ্তাহে সতর্ক করে জানায়, আসন্ন শরৎ বাজেটে যদি খুচরা খাতে অতিরিক্ত কর আরোপ করা হয়, তবে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৫%-এর ওপরে থাকতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি মূল্যস্ফীতি গত কয়েক বছর ধরে চলা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট আরও তীব্র করেছে, যার ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে বাজেট সামাল দিতে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে সেরা দামের খোঁজ করছে।

রীনা সেওরাজ বলেন, “খাদ্যের দাম বাড়ছে এবং আবহাওয়াও ঠাণ্ডা হয়ে আসছে — আমরা জানি অনেক পরিবার এই মুহূর্তে খরচ নিয়ে চিন্তিত। তাই সাশ্রয়ের জন্য বাজারের আগে একটু ঘুরে দেখা সত্যিই উপকারী হতে পারে – আপনি যদি সস্তা সুপারমার্কেটে বাজার করেন, তাহলে ৩৬% পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারেন।”

কোভিডে হারানো ঘ্রাণশক্তি ফিরে না আসার আশঙ্কা: কোভিড-১৯ অনেকের ঘ্রাণশক্তিকে প্রভাবিত করে। তবে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে...
03/10/2025

কোভিডে হারানো ঘ্রাণশক্তি ফিরে না আসার আশঙ্কা:

কোভিড-১৯ অনেকের ঘ্রাণশক্তিকে প্রভাবিত করে। তবে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ঘ্রাণশক্তি একবার নষ্ট হয়েছে, তাদের অনেকেই সেটা আর কখনও ফিরে পান না।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (NIH)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিডে সংক্রমিত হওয়ার দুই বছর পরেও, যারা ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন অনুভব করেছিলেন, তাদের ৮০ শতাংশই একটি ক্লিনিক্যাল ঘ্রাণ পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছেন।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যেসব মানুষ তাদের ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় চারজনের মধ্যে একজনের ঘ্রাণশক্তি মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছে বা সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে গেছে। গবেষণার সহ-নেতা ড. লিওরা হরউইৎজ বলেন, "রোগীরা হয়তো শুরুতে বুঝতে পারেন না, কিন্তু ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, ঘ্রাণশক্তি হারানো দৈনন্দিন জীবনে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং ক্ষুধা ও পুষ্টির উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে: “আপনি ধোঁয়া বুঝতে পারবেন না, গ্যাস লিক হয়েছে কিনা বুঝতে পারবেন না, বাসি খাবার চিনতে পারবেন না।”

ড. হরউইৎজ ব্যাখ্যা করেন, কোভিডে ঘ্রাণশক্তি হারানো একটি নির্দিষ্ট প্রভাব, যা ভাইরাসটির কারণে ঘ্রাণসংবেদনকারী স্নায়ুতন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয় বলেই ঘটে।

এই গবেষণায় হাজার হাজার মার্কিন নাগরিকের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে – যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং যারা হননি। অংশগ্রহণকারীদের ৪০টি বিভিন্ন গন্ধ চিনে নিতে বলা হয়, প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ পয়েন্ট দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কোভিডে আক্রান্ত হননি এবং ঘ্রাণ নিয়ে কোনো সমস্যা অনুভব করেননি, তাদের ৬০ শতাংশও এই পরীক্ষায় খারাপ ফল করেন।

ড. হরউইৎজ বলেন, বয়স বৃদ্ধির সাথে ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়াটাও এই ফলাফলের পেছনে একটি কারণ হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কিছু অংশগ্রহণকারী হয়তো অজান্তেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

গবেষকরা এখন কোভিড-পরবর্তী ঘ্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজছেন। সম্ভাব্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্টেশন এবং "অলফ্যাক্টরি ট্রেনিং", অর্থাৎ মস্তিষ্ককে নতুন করে গন্ধ চিনতে শেখানো। তবে ড. হরউইৎজ সতর্ক করে বলেন, ঘ্রাণশক্তি ফিরে আসার কোনো নিশ্চয়তা নেই: “এটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হতে পারে – হয়তো আজীবন – আমরা জানি না। তবে এটা একেবারে সম্ভব যে কেউ কেউ কখনোই তাদের ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাবেন না।”

এই গবেষণার ফলাফল এমন সময় প্রকাশ পেলো, যখন যুক্তরাজ্যে "স্ট্রেটাস" (Stratus) নামের একটি নতুন কোভিড স্ট্রেইন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এখন দেশটিতে বেশিরভাগ কোভিড সংক্রমণের জন্য এই স্ট্রেইনই দায়ী। এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে – XFG এবং XFG.3। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) XFG-কে “Variant Under Monitoring” হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং বলেছে, এটি অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এই স্ট্রেইনের ঝুঁকি কম, এবং এটি গুরুতর বা মারাত্মক নয় বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ব্যবহৃত কোভিড টিকাগুলিও এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি শরৎকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের হার বাড়ার সম্ভাবনা থাকায়, এনএইচএস (NHS) পরামর্শ দিচ্ছে – যদি কারও মধ্যে কোভিডসহ অন্য সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে যেন সে বাড়িতে থাকে এবং অন্যদের থেকে দূরে থাকে।

যুক্তরাজ্যে শরণার্থীদের প্রবেশের ‘সোনার টিকিট’ পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করার ঘোষণা দিলেন স্যার কিয়ার স্টারমারঃ প্রধানমন্ত্রী স্...
02/10/2025

যুক্তরাজ্যে শরণার্থীদের প্রবেশের ‘সোনার টিকিট’ পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করার ঘোষণা দিলেন স্যার কিয়ার স্টারমারঃ

প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ঘোষণা দিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রাপ্ত অভিবাসীরা আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার বা তাদের পরিবারকে সঙ্গে আনার অনুমতি পাবেন না। এটি সরকারের সাম্প্রতিক কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির অংশ।

নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তরাজ্যে পরিবারের সাথে পুনর্মিলনের অধিকার এবং দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের জন্য যোগ্যতা পাওয়ার নিয়ম বাতিল করা হচ্ছে। সরকারের মতে, এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো এমন ‘পুল ফ্যাক্টর’ (যুক্তরাজ্যে আকর্ষণীয় সুবিধা) দূর করা, যেগুলো যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসনের হার বাড়িয়ে তুলছে।

এই ঘোষণা আসে এমন এক সময়, যখন প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। এর আগে এই আইনগুলোর সমালোচনা করা হয়েছিল, কারণ এগুলো শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো কঠিন করে তোলে।

বুধবার, স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, সরকার এখন পুনরায় পর্যালোচনা করছে—ব্রিটিশ আদালত কীভাবে ইউরোপিয়ান কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস (ECHR)-এর নিয়ম প্রয়োগ করে। এর ফলে ভবিষ্যতে শরণার্থীরা আর এ দাবি করে নিজ দেশে ফেরত যাওয়া এড়াতে পারবেন না যে, তারা সেখানে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন।

এছাড়া, অনেকে আর এই ভিত্তিতেও যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার দাবি করতে পারবেন না যে, ফেরত পাঠালে তারা পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।

এই সিদ্ধান্ত কিয়ার স্টারমারের জন্য একটি বড় ধরনের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন—তিনি নিজে একজন প্রাক্তন মানবাধিকার আইনজীবী এবং অতীতে ECHR-এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এটি এমন সময় এসেছে, যখন প্রধানমন্ত্রী রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজের উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছেন। তিনি ফারাজকে নিশানা করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা ছোট নৌকাগুলোকেই বলেছেন “ফারাজ বোটস”।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদও বড় ধরনের অভিবাসন কড়াকড়ির ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার মূল পথটিতে আমূল সংস্কার আনা হচ্ছে।

নতুন কড়াকড়ি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকতে আগ্রহী অভিবাসীদের উচ্চমানের ইংরেজি জানতে হবে, অপরাধমুক্ত থাকতে হবে এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে হবে।

তাদের কাজ করতে হবে, ন্যাশনাল ইনসুরেন্স ট্যাক্স দিতে হবে এবং সরকারি ভাতা বা বেনিফিট নেওয়া যাবে না।

তবে মানবাধিকার সংস্থা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে কিয়ার স্টারমার একজন মানবাধিকার আইনজীবী থেকে “মানবাধিকার ধ্বংসকারী”-তে পরিণত হচ্ছেন।

লিবার্টি সংস্থার পরিচালক আকিকো হার্ট বলেন, এই পরিবর্তন অভিবাসনসংখ্যায় বাস্তবিক কোনো পার্থক্য আনবে না; বরং যুক্তরাজ্যে প্রতিটি ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অন্যদিকে মাইগ্রেশন ওয়াচ ইউকে-র চেয়ারম্যান আলপ মেহমেত মন্তব্য করেছেন, “স্টারমারের বক্তব্য নিরর্থক, তাতে কিছুই পরিবর্তন হবে না।”

BBC-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টারমার অস্বীকার করেন যে তিনি ECHR ছিঁড়ে ফেলছেন। তিনি বলেন, “আমরা কেবল কয়েকটি ধারা কীভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা পুনর্বিবেচনা করছি এবং আমরা ইতোমধ্যে কিছু ঘরোয়া আইনে সে কাজ শুরু করেছি।”

তিনি বলেন, পর্যালোচনাটি ECHR-এর ৩ ও ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে—যেখানে “নির্যাতন বা অমানবিক আচরণ” এবং “পারিবারিক জীবনের অধিকার”-এর কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকার শিশুদের অধিকার, শরণার্থী এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোকেও পর্যালোচনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সব আন্তর্জাতিক চুক্তিকে বর্তমান বাস্তবতায় প্রয়োগ করতে হবে। আজ আমরা যেভাবে গণ-অভিবাসন দেখছি, তা অতীতে দেখা যায়নি। যারা সত্যিই নিপীড়নের শিকার, তাদের আশ্রয় দেওয়াটা মানবিক কর্তব্য। তবে কিছু ধারা পুনর্ব্যাখ্যা করা দরকার—সেগুলো বাতিল নয়, বরং যথাযথভাবে মূল্যায়ন।”

এই উদ্যোগকে “যুক্তিসংগত” বলে সমর্থন জানিয়েছেন প্রাক্তন লেবার হোম সেক্রেটারি জ্যাক স্ট্র।

তবে লেবার পার্টির পিয়ার এবং লিবার্টির সাবেক পরিচালক শামি চাকরাবার্তী বলেছেন, “মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা নিয়ে যে কোনো বিতর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত তথ্য ও আইন—not রাজনৈতিক প্রচারণা। এবং, ‘ভদ্রতা’ আনার জন্য ‘রিফর্ম লাইট’ হবার দরকার নেই।”

রিফিউজি দাতব্য সংস্থা কেয়ার৪ক্যালাইসের সিইও স্টিভ স্মিথ বলেছেন, “একজন মানবাধিকার আইনজীবী থেকে মানবাধিকার ধ্বংসকারী হয়ে যাওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ রূপান্তরের চূড়ান্ত ধাপ। একজন রাজনীতিবিদ যখন মানবাধিকার ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দেন, তখন আমাদের সবার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।”

মাত্র গতকালই স্টারমার নাইজেল ফারাজের একটি দাবি খণ্ডন করেন। ফারাজ বলেছিলেন, ইইউ ত্যাগ করলে অভিবাসন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হবে না। স্টারমার জানান, ব্রেক্সিটের আগে ডাবলিন রেগুলেশনের অধীনে যুক্তরাজ্য ইউরোপে শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে পারত।

GB News-কে তিনি বলেন: “আমি নাইজেল ফারাজ এবং অন্যদের সৌজন্যেই বলছি, ইইউ ছাড়ার আগে আমরা প্রত্যেক ইইউ দেশের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি রেখেছিলাম। তিনি বলেছিলেন এতে কোনো পার্থক্য হবে না। তিনি ভুল ছিলেন।”

তিনি বলেন: “এই যে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ছোট নৌকায় মানুষ আসছে — অনেকভাবে এগুলো ফারাজ বোট।”

‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ জানিয়েছে, এসব আইনি পরিবর্তনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করায় শাবানা মাহমুদ একটি বড় রাজনৈতিক জয় পেয়েছেন। তিনি তার নিয়োগের পর থেকেই আধুনিক দাসত্ব ও শরণার্থী কনভেনশন এবং ECHR-এর ৩ ও ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

এই ঘোষণা এসেছে লিভারপুলে লেবার পার্টির সম্মেলনে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পরপরই, যেখানে তিনি রিফর্ম ইউকে-র বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের ঘোষণা দেন এবং বলেন, ফারাজ ECHR ত্যাগের পক্ষে, কারণ তিনি ব্রিটেনের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী এখন ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাপের মুখে রয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই পথে অভিবাসীর সংখ্যা ৩৩,০০০ ছাড়িয়েছে, যা ২০১৮ সাল থেকে রেকর্ড সর্বোচ্চ।

স্থায়ী বসবাস ও পরিবার পুনর্মিলনের নিয়ম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন:
“স্থায়ী বসবাসের অধিকার কেউ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে পাচারকারীর হাতে অর্থ দিয়ে অর্জন করতে পারবে না। এটি অর্জন করতে হবে, দেশের জন্য অবদান রেখে।”

তিনি আরও বলেন:
“যুক্তরাজ্য নিপীড়নের শিকার প্রকৃত শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে থাকবে, তবে একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসনের মূল কারণগুলোরও মোকাবিলা করতে হবে। যুক্তরাজ্যে বসবাসের জন্য আর কোনো ‘সোনার টিকিট’ থাকবে না।”

এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা হবে ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটি সামিটে, যা কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হবে।

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসনের সঙ্গে বৈঠকে, দুই নেতা £৩ মিলিয়নের একটি নতুন যৌথ প্রকল্প ঘোষণা করবেন। এর লক্ষ্য হলো পশ্চিম বলকান অঞ্চলে অভিবাসনের উৎসস্থলে কাজ করা—যাতে মানুষ সেখানেই থেকে কাজ করতে আগ্রহী হয়।

সরকার জানিয়েছে, ইউকে আরও £৫.৭৫ মিলিয়ন অর্থ দেবে ইতালির “Rome Process”-এ, যার মাধ্যমে আফ্রিকার প্রধান উৎস ও ট্রানজিট দেশগুলোতে অভিবাসন হ্রাস এবং স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনকে উৎসাহ দেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বরে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, শরণার্থীদের পরিবার আনার আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হবে—যতক্ষণ না পর্যন্ত নিয়ম পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়।

ইলন মাস্ক বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি ৫০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাইলফলক অতিক্রম করলেনঃ Forbes-এর বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, ২...
02/10/2025

ইলন মাস্ক বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি ৫০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাইলফলক অতিক্রম করলেনঃ

Forbes-এর বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, ২০২৫ সালে Tesla-র শেয়ার পুনরুদ্ধার এবং মাস্কের অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন বেড়ে যাওয়ায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

২০২৫ সালের শুরুতে টেসলার শেয়ারমূল্য কিছুটা ওঠানামা করলেও, মাস্ক যখন ট্রাম্প প্রশাসন থেকে একধাপ পিছিয়ে গিয়ে আবার নিজ ব্যবসার ওপর মনোযোগ দেন, তখন বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ বেড়ে ওঠে এবং শেয়ারমূল্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

গত মাসে Tesla-র বোর্ড চেয়ার রোবিন ডেনহলম বলেন, মাস্ক এখন আবার কোম্পানির “কেন্দ্রবিন্দুতে” রয়েছেন, হোয়াইট হাউসে কয়েক মাস কাটানোর পর।

টেসলায় মাস্কের সম্পদের বড় একটি অংশ নিহিত রয়েছে; ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কোম্পানির প্রায় ১২.৪% শেয়ারের মালিক ছিলেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত টেসলার শেয়ারমূল্য ১৪% এর বেশি বেড়েছে এবং গতকাল ৩.৩% বৃদ্ধি পায় — এতে মাস্কের সম্পদ ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি (প্রায় £৪.৪ বিলিয়ন) বেড়েছে।

মাস্ক প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় £৭৪০ মিলিয়ন) শেয়ার কিনেছেন, যা Tesla-র ভবিষ্যৎ নিয়ে তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের ইঙ্গিত দেয়। প্রতিষ্ঠানটি কেবল একটি গাড়ি নির্মাতা হিসেবে নয়, বরং AI এবং রোবটিক্সের নেতৃস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে নিজেদের পুনর্গঠন করছে।

তবে, গাড়ি বিক্রির হার কমে যাওয়া এবং লাভের উপর চাপ থাকায় শেয়ারমূল্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে এটি "ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন" নামক শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল পারফর্মারগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

এদিকে, মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কোম্পানি xAI এবং তার রকেট কোম্পানি SpaceX — উভয় প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন এ বছর বেড়েছে। Pitchbook-এর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে xAI-এর মূল্যায়ন দাঁড়ায় $৭৫ বিলিয়ন (£৫৫ বিলিয়ন)।

Bloomberg News জুলাইয়ে জানায়, SpaceX কোম্পানিটি তহবিল সংগ্রহ এবং ইনসাইডার শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছে, যেখানে কোম্পানির মূল্যায়ন ধরা হয়েছে প্রায় $৪০০ বিলিয়ন (£২৯৬ বিলিয়ন)।

Forbes-এর ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন Oracle-এর প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যার সম্পদের পরিমাণ বুধবার পর্যন্ত ছিল প্রায় $৩৫০.৭ বিলিয়ন (£২৬০ বিলিয়ন)।

13/02/2024

যৌন কেলেঙ্কারিতে উত্তপ্ত বাংলাদেশের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়

Address

London
E1

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangla News Room posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangla News Room:

Share