The Bengal Owl

The Bengal Owl উন্নয়নের বাণে ভাসি
গণতন্ত্র পরলো ফাঁসি

26/09/2025

কাশীপুর, উত্তরাখণ্ডে 'আই লাভ মোহাম্মদ' শোভাযাত্রা ঘিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া উত্তেজনা ও সহিংসতার ঘটনা নিয়ে পুলিশি ব্যবস্থা, প্রশাসনিক নির্দেশ এবং তদন্ত।

২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর রাতে উত্তরাখণ্ডের উদহাম সিং নগরের কাশীপুরের আলী খান এলাকায় “আই লাভ মোহাম্মদ” স্লোগান লেখা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে বিপুল জমায়েত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা নদীম আখতার। অনুমতি ছাড়া ৪০০-৫০০ জনের এই মিছিল শহরের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের থামাতে গেলে হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের বারণ না মেনেই মিছিল এগিয়ে যায় এবং পুলিশের উপর লাঠি, ইঁট-পাটকেল ছোঁড়া হয়; সরকারি যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় ও পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এতে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহত হন।

স্থানীয় পুলিশ সুপার মণিকান্ত মিশ্রা পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেন ও একাধিক অভিযানের নির্দেশ দেন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ দল গঠন করে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার শুরু হয় ।

প্রাথমিকভাবে ৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে আসামিদের মূলহোতা বলে অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির নেতা নদীম আখতার রয়েছেন। তাকে ছাড়াও আরো দশজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ৫০০-রও অধিক অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ আক্রমণ, ভাঙচুর ইত্যাদির অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি (BNS)-র একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ পর্যন্ত মোহাম্মদ আশাদ (১৮), কামরান (১৯), মইন রেজা (২৬), দানিশ (২৮)-এর নামও প্রকাশ্যে এসেছে।

‘আই লাভ মোহাম্মদ’ লেখা পোস্টার বিতর্কের সূচনা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। সেখানে পুলিশের মামলার পর সোম এবং পশ্চিম ভারতের গুজরাত, মহারাষ্ট্রসহ এবং অবশেষে উত্তরাখণ্ডে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। চলমান উত্তেজনা ঠেকাতে পুলিশ প্রতিবাদীদের শনাক্ত করতে ফেস রিকগনিশন টেকনোলজি ব্যবহার করে বাসা-বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি স্থানীয় প্রশাসনের কাছ হতে অবস্থা জানতে চেয়ে জানান, অরাজকতাকারীদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না এবং কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ-সংযোগ এবং নির্মাণ সংক্রান্ত অবৈধতা খোঁজার প্রচেষ্টাও দেখা গেছে।

পুলিশ সুপার মণিকান্ত মিশ্রা সাফ জানিয়ে দেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনও বিঘ্ন হতে দেওয়া হবে না এবং পুলিশ আক্রমণে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ নাগরিকদের গুজব থেকে দূরে থাকতে ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে ।

উল্লেখযোগ্য সংশ্লিষ্ট তথ্যঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি, তবে কয়েকজন আহত হন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পোশাক ছিঁড়ে যায়, সরকারি গাড়ি ভাঙচুর হয়। সমাজবাদী পার্টি নেতা নদিম আখতারের নেতৃত্বে এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ধরনের সহিংসতা দমনে প্রশাসনের পদক্ষেপের মধ্যে গ্রেফতার, কড়া মামলা, বাড়ি তল্লাশি ছাড়াও বিস্তৃত নজরদারি ও বিশেষ দল গঠন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কাশীপুরের 'আই লাভ মোহাম্মদ' শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ ও দাঙ্গায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে; বর্তমানে এলাকায় পুলিশ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”

ভিডিও: (X id)
সূত্র: OpIndia.com

সম্পাদনা: The Bengal Owl

পুরো তথ্যের লিংক এবং FIR রিপোর্ট টা কমেন্ট সেকশনে দেওয়া হলো।

26/09/2025

এই প্রচারণার আড়ালে কোনও অশুভ শক্তি লুকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে বড় কিছুর প্রস্তুতি চলছে। হঠাৎ করেই, যেন রাতারাতি, গোটা ভারতের রাস্তাঘাটে 'I Love Muhammad' ছড়িয়ে পড়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে। আশা করছি আমাদের দেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং নির্ধারিত মুহূর্তে সঠিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

24/09/2025

শ্বেতাঙ্গ মা দুর্গা কর্তৃক কৃষ্ণাঙ্গ মহিষাসুর নিধন নাকি হিন্দু সমাজের বর্ণবিদ্বেষের পরিচয়। লেখিকা, দীপ্সিতা ধর। কিন্তু বর্ণবিদ্বেষী দুর্গার পূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দীপ্সিতা ধর তৃণমূলের দেবাংশুর সঙ্গে কেন টিভির পর্দায়?

"এই সময়ে" র ভিডিওর লিংক: https://www.facebook.com/share/r/1BaX46ixrn/

দীপ্সিতা ধরের আর্টিকেলের লিংক:

https://jacobin.com/2020/07/india-antiracism-casteism-colorism?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR31vgJH1vMVktWkJKNwBzNbczwO5zpeUxNghn5uPitd29TgclXriDT3KbA_aem_AXPbOWHwWVgfa4QjjMnuGMvoG0Oyy7-cBhnz0BNc90TmfWqUAHMx59cGI8tr1b9SSB-rJhymBKrcKoK3z_gafPRh&mibextid=xfxF2i

23/09/2025

পাপের ফল! ব্রাহ্মণ হয়ে মাথায় হিজাব টেনে, দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগেই, পিতৃপক্ষেই পুজো উদ্বোধন করার পাপ এর ফল। মা দুর্গার আক্রোশ দেখছে কলকাতা।

কুমোরটুলি প্লাবিত। মা দুর্গার প্রতিমাগুলো জলে তলিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই দুর্গাপুজোর জন্য প্রতিমা যায় কলকাতার প্রতিটি প্যান্ডেল ও গৃহে। প্রতিমাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুর্গাপুজো সম্ভব হবে না। এতে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বেন প্রতিমাশিল্পীরা এবং কলকাতার মানুষও ভোগান্তির শিকার হবেন।

এই হচ্ছে কলকাতার অবস্থা! এই উন্নয়ন করেছে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এত বছর ধরে! মানুষ মারা যাচ্ছে। পুরো শহরের চরম দুর্...
23/09/2025

এই হচ্ছে কলকাতার অবস্থা! এই উন্নয়ন করেছে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এত বছর ধরে! মানুষ মারা যাচ্ছে। পুরো শহরের চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে তৃণমূল! চারিদিকে হেনস্থা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

আরো একটি নমুনা দিলাম কমেন্ট সেকশনে। দেখবেন।

23/09/2025

ধর্মনিরপেক্ষতার প্রদর্শন! বাংলাদেশের পরে এবার পশ্চিমবঙ্গেও। 👇

পট্টভী সীতারামাইয়ার নামটা চেনা চেনা লাগছে? সেই যে ১৯৩৯ এর কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যাকে হারিয...
23/09/2025

পট্টভী সীতারামাইয়ার নামটা চেনা চেনা লাগছে? সেই যে ১৯৩৯ এর কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যাকে হারিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, "মহাত্মা" গান্ধী বলেছিলেন "সীতারামাইয়ার পরাজয় হল আমার পরাজয়।" কয়েক মাসের মধ্যেই অবশ্য "মহাত্মা" গান্ধীর লবির চাপে নেতাজি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
তবে এই গল্পের প্রসঙ্গ আলাদা। পট্টভী সীতারামাইয়া ঔরঙ্গজেবের কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংসের এক অপূর্ব যুক্তি খাড়া করেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য শিষ্য , জ‌ওহরলাল নেহরুর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের সাংসদ বিশ্বম্ভর নাথ পান্ডে এবং পরবর্তী সময় মার্কসবাদী ঐতিহাসিকেরা সেটা নিয়ে প্রোপাগান্ডা করে গিয়েছেন।

কাহিনীটি হলো, ঔরঙ্গজেব একদা সপারিষদে বাংলায় অভিযান করেছিলেন, অনেক হিন্দু রাজা তার সঙ্গ দেন। পথিমধ্যে বারাণসীতে হিন্দু রাজারা কয়েকদিন থাকার আবেদন করেন কেননা রাজমহিষীরা বিশ্বনাথ মন্দির দর্শনের অভিপ্রায় করেছিলেন, এবং পরম সহিষ্ণু সম্রাট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। রাজমহিষীগণ পূণ্যলগ্নে গঙ্গাস্নান করে বিশ্বনাথ দর্শনে গেলেন। এখন তাঁরা রাজাদের কেন সঙ্গে নিয়ে গেলেন না এই ব্যাপারে সীতারামাইয়া বা পরবর্তী মার্কসবাদী ঐতিহাসিকেরা কিছুই বলেননি, যেখানে তখনকার দিনে রাজপরিবারের মহিলারা পুরুষদের সঙ্গে না নিয়ে কোথাও বেরোতেন না।

যাই হোক এরপর কহানি মে টুইস্ট। কচ্ছের রাণী ছাড়া সবাই শিবিরে ফিরে এলেন। এবার চারদিকে সাড়া পড়ে গেল "কচ্ছের রাণী কোথায়?" বাদশাহ তার সেনাদের পাঠালেন, তারা বিশ্বনাথের জ্যোতির্লিঙ্গের ঠিক নিচে একটি গোপন কক্ষে ক্রন্দনরতা কচ্ছের মহিষীকে আবিষ্কার করে, তাঁর সমস্ত অলঙ্কার বিশ্বনাথের মন্দিরের পুরোহিতেরা লুন্ঠন করেছে এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেছে। ক্রুদ্ধ হিন্দু রাজাগণ ঔরঙ্গজেবের কাছে এর বিচার চাইলে পরম করুণাময় বাদশাহ পুরোহিত ব্রাহ্মণদের শিক্ষা দিতে বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করেন, কেননা তাঁর কাছে এছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

পুরোহিতদের শাস্তি না দিয়ে মন্দির কেন ধ্বংস করা হলো সেটা সীতারামাইয়া বা বিশ্বম্ভর পান্ডে কেউই বলেন নি, যেখানে পুরোহিতেরা মন্দিরের সত্ত্বাধিকারী ছিলেন না। সীতারামাইয়া নাকি এই অপূর্ব তথ্য লখনৌয়ের এক মোল্লার কাছে রাখা দুষ্প্রাপ্য পান্ডুলিপিতে খুঁজে পান। কিন্তু সেই মোল্লার নাম তিনি কোথাও উল্লেখ করেন নি বা সেই রহস্যময় পান্ডুলিপি পরে আর উদ্ধার করা যায়নি।

এবার ঔরঙ্গজেবের রাজসভার গেজেটেড অফিসারের সমতুল্য সাকি মুস্তাদ খানের মাসির ই আলমগীরিতে কি লেখা আছে দেখা যাক। "পাদিশা সকল প্রদেশের , বিশেষ‌ করিয়া বেনারসের শাসনকর্ত্তাদিগকে আজ্ঞা করিয়া পাঠাইলেন যে বিধর্ম্মীদিগের শিক্ষাগৃহ এবং মন্দির ধ্বংস করিতে হ‌ইবে এবং তাহাদের শিক্ষা এবং ধর্ম্মক্রিয়াকান্ড বলের সহিত বন্ধ করিতে হ‌ইবে।" ১৭ই জু আল কাদাহ ,১০৭৯ অল হিজরী (৮ই এপ্রিল ১৬৬৯)

"রাজসভায় সংবাদ আসিল যে সম্রাটের আজ্ঞানুসারে তাঁহার কর্ম্মচারীগণ কাশীতে বিশ্বনাথ মন্দির ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে।" ১৫ই রাবিউল আওয়াল, ১০৮০ অল হিজরী ( ২ সেপ্টেম্বর, ১৬৬৯)

এর অর্থ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করার আদেশ বাদশাহ নিজেই দিয়েছিলেন।

ঔরঙ্গজেবের বাংলা অভিযানের কাহিনী বা সীতারামাইয়া বর্ণিত ছেলেভুলানো গল্প মাসির ই আলমগীরি বা ঔরঙ্গজেবের কোনো জীবনিতে পাওয়া যায় না। মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে প্রতিষ্ঠিত কেশোরায় কা ডেহরা সমেত উত্তর ভারতে কয়েক হাজার মন্দির‌ও কি ঔরঙ্গজেব হিন্দু রাণীদের ওপর অত্যাচারের বদলা নিতে ধ্বংস করেছিলেন? সীতারামাইয়া, কংগ্রেসী বা মার্কসবাদী ঐতিহাসিকেরা এই ব্যাপারে নীরব। মাসির ই আলমগীরিতে লিখিত বিবরণ প্রামাণ্য নয়, কিন্তু নাম না জানা জনৈক মোল্লার খুঁজে না পাওয়া পান্ডুলিপি ধ্রুব সত্য।

জ‌ওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কসবাদী ঐতিহাসিক কে এন পারিক্কর আরও একটি থিওরির জাল বুনেছেন। বিশ্বনাথ মন্দিরের পুরোহিত এবং কাশীর সুফিরা নাকি ঔরঙ্গজেবকে সিংহাসনচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছিল। এখন সব মন্দিরেই এইরকম ষড়যন্ত্র হচ্ছিল কিনা বা এর আগের মুঘল সম্রাটদের আমলে কেন এই ষড়যন্ত্র হয়নি এই ব্যাপারে এই ঐতিহাসিকেরা আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব।

বোধহয় ব্রিটিশ আমলেও ভারতের ইতিহাস এইভাবে বিকৃত হয়নি যেভাবে বিকৃত করা হয়েছে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে।

তথ্যসূত্রঃ

1. Waiting For Shiva. Vikram Sampath. Blueone ink Pvt.ltd. page 171-173

2. Masir I Almagiri. Saqi Mustad Khan. ( Translated by Jadunath Sarkar). Asiatic Society. Page 51-42

22/09/2025

তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শেখ আমিরুল ইসলাম কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় ৬ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি ম্যাগাজিনসহ ধরা পড়েছে।

সূত্র মতে, আমিরুল ইসলাম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ঘটনাটি নিয়ে NSCBI থানার পুলিশ তদন্ত করছে।

যারা যারা এখনো কেনেননি, কিনে নিন ঝটপট। Whatsapp করুন পোস্টে দেওয়া নম্বরে।
21/09/2025

যারা যারা এখনো কেনেননি, কিনে নিন ঝটপট। Whatsapp করুন পোস্টে দেওয়া নম্বরে।

মধ্যপ্রদেশের বিদিশাতে অবস্থিত বীজমণ্ডল মন্দির নিয়ে একটি পিটিশন গোয়ালিয়র হাইকোর্টে গৃহীত হয়েছে। এই পিটিশনে বীজমণ্ডলকে...
20/09/2025

মধ্যপ্রদেশের বিদিশাতে অবস্থিত বীজমণ্ডল মন্দির নিয়ে একটি পিটিশন গোয়ালিয়র হাইকোর্টে গৃহীত হয়েছে। এই পিটিশনে বীজমণ্ডলকে একটি হিন্দু উপাসনালয় হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং সরকারি নথি থেকে "মসজিদ" শব্দটি সরিয়ে ফেলার দাবি করা হয়েছে। এই আইনি পদক্ষেপটি বিদিশা এবং সমগ্র দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

বীজমণ্ডল মন্দিরের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট

মন্দির নির্মাণ: বীজমণ্ডল মন্দিরটি মূলত অষ্টম শতাব্দীতে চান্দেলা রাজারা নির্মাণ করেছিলেন এবং পরে একাদশ শতাব্দীতে পারমার রাজা নরবর্মন এটি পুনর্গঠন করেন। স্থাপত্যশৈলীর দিক থেকে এটি ছিল একটি বিশাল মন্দির।

ধ্বংস ও পরিবর্তন: ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয় এবং এর ধ্বংসাবশেষের উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যা "আলমগিরি মসজিদ" নামে পরিচিতি পায়। মসজিদের কাঠামোতে মন্দিরের পাথর এবং খোদাই করা অংশ ব্যবহার করা হয়েছিল, যা এখনো দৃশ্যমান।

আবিষ্কার: ১৯৯১ সালে প্রবল বৃষ্টির কারণে মসজিদের একটি দেয়াল ভেঙে পড়লে ভেতরে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি বেরিয়ে আসে। এর পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ (ASI) এখানে খননকার্য চালায় এবং গণেশ ও মহিষাসুরমর্দিনীর মতো দেবদেবীর মূর্তি উদ্ধার করে। এই আবিষ্কারের পর স্থানটি একটি মন্দির ছিল বলে প্রমাণিত হয়।

আইনি লড়াই ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী

সাম্প্রতিক কালে নাগ পঞ্চমীর দিনে মন্দিরে পূজা করার অনুমতি চেয়ে স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলি আবেদন করে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (ASI) ১৯৫১ সালের একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির কথা উল্লেখ করে জানায় যে স্থানটি "বীজমণ্ডল মসজিদ" হিসেবে নথিভুক্ত। এর ফলে পূজার অনুমতি বাতিল করা হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় শুভম ভার্মা (এক্স হ্যান্ডেল: ) সহ আরো বেশ কয়েকজন গোয়ালিয়র হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। এই পিটিশনটি পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রী বিষ্ণু জৈন এবং তার আইনি দল। এই দলটি কাশী বিশ্বনাথ, মথুরা এবং অযোধ্যা সহ একাধিক বিখ্যাত মন্দিরের মামলার সঙ্গে যুক্ত।

শ্রী বিষ্ণু জৈন তার বাবা হরি শঙ্কর জৈনের সঙ্গে হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলির অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বহু বছর ধরে কাজ করছেন। তারা শতাধিক মামলা লড়েছেন, যার মধ্যে অনেকগুলিতেই তারা সাফল্য পেয়েছেন। বিষ্ণু জৈন বলেছেন যে এই আইনি লড়াইয়ের উদ্দেশ্য হল ঐতিহাসিক ভুল এবং অবিচার সংশোধন করা এবং হিন্দু ঐতিহ্য ও ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করা।

এই আইনি লড়াইটি শুধু বিদিশার একটি মন্দিরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ভারতের অন্যান্য ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ স্থাপন করতে পারে। হাইকোর্টের এই পদক্ষেপটি বিদিশার মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে এবং তারা এই মামলার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।

জয় কালভৈরব 🙏🔱

সূত্র: https://x.com/THESHUBHAMV/status/1968898590165938359?t=dNX9xCAXu51iPQAhGnaX1Q&s=19

বাকি গবেষণা ও রচনা: The Bengal Owl

একজন বিষ্ণুভক্ত আবেদনকারী জাভারী মন্দিরে মাথা কাটা ভগবান বিষ্ণুর প্রতিমা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন...
20/09/2025

একজন বিষ্ণুভক্ত আবেদনকারী জাভারী মন্দিরে মাথা কাটা ভগবান বিষ্ণুর প্রতিমা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। উনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে কি উত্তর পেলেন?

“আপনি গিয়ে আপনার দেবতাকেই কিছু করতে বলুন এখন। আপনি তো বলছেন আপনি ভগবান বিষ্ণুর এক অটল ভক্ত। তাহলে যান গিয়ে প্রার্থনা করুন।”

এটাই ভারতের প্রধান বিচারপতি বি.আর. গাভাই এর বক্তব্য।

কর্নাটকে একটি নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাইসুরু সিটি কর্পোরেশন (MCC)-এর পক্ষ থেকে মাধ্বাচার রোডের গাড়ি চক এলাকায় দরগাহ ...
19/09/2025

কর্নাটকে একটি নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাইসুরু সিটি কর্পোরেশন (MCC)-এর পক্ষ থেকে মাধ্বাচার রোডের গাড়ি চক এলাকায় দরগাহ নির্মাণ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ প্রকাশিত সেই নোটিশটি রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি ২০০৯ সালের কর্ণাটক রাজ্য সরকারের নির্দেশনার পরিপন্থী বলে মনে করা হচ্ছে। সেই নির্দেশনায় পরিষ্কার ভাবে নতুন কোন ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা আছে।

বিরোধী অভিযোগ

কৃষ্ণরাজা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক টি.এস. শ্রীবৎস MCC কমিশনারের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা না করেই দরগাহ নির্মাণের জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে, যা স্বাভাবিক নিয়ম প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। নিকটবর্তী ১০১ গণপতি মন্দির হওয়ায় এই বিষয়টি আরো সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।

প্রেসকে দেওয়া বক্তব্যে শ্রীবৎসের সঙ্গে বিজেপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন— সাবেক বিধায়ক ও শহর বিজেপি সভাপতি এল. নাগেন্দ্র, সাবেক মেয়র শিবকুমার, প্রাক্তন ZAK চেয়ারম্যান শিবকুমার, পৌরসভার প্রাক্তন সদস্য সৌম্য উমেশ ও এম. ইউ. সুব্বাইয়া, বিজেপি সংঠন সভাপতি গোপালরাজ উর্স, বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি রাকেশ গৌড় প্রমুখ।

নোটিশে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ

শ্রীবৎস দাবি করেন, নোটিশটি জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা হয়নি। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী স্থানে বোর্ড লাগানো উচিত ছিল, কিন্তু এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি স্থানীয় পত্রিকায় নিঃশব্দে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার ধারনা, দশারা উৎসব চলছে বলেই এই বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, প্রায় ছয় দশক ধরে খালি পড়ে থাকা জমির জন্য খাতা (সম্পত্তি দলিল) জারি করেছে মাইসুরু সিটি কর্পোরেশন।

জমির রেকর্ড ও আইনগত জটিলতা

১৯৬৫ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী প্রায় ৪৫০০ বর্গফুট (প্রায় ১.৫ একর) জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জমিটি মোহাম্মদভাদি রোডের (কে.আর. মহল্লা) মোহাম্মদ গাউস-এর নামে নথিভুক্ত। তবে শ্রীবৎসর দাবি, “মোহাম্মদভাদি রোড” নামের কোনও সরকারি নথি বাস্তবে নেই, এমনকি “মাধ্বাচার রোড”-ও গেজেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখও নেই। ফলে মালিকানার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, MCCর অনুমোদন ছাড়াই ১৫ মার্চ ২০২৫-এ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কর্পোরেশন এবং লোকাল থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দ্রুত সেই সংক্রান্ত খাতা জারি করা হয়।

রাজস্ব রেকর্ডে অসঙ্গতি

যদিও জমিটি মোট ৪৫০০ বর্গফুটের, তবুও কর নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৭০০ বর্গফুটের ওপর ভিত্তি করে। ২০০২ সালে একটি দেওয়ানি মামলা হয়েছিল, যেখানে এক ব্যক্তির মালিকানা দাবি আদালত খারিজ করে জমিটি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করে। পরে হাইকোর্টও এই রায় বহাল রাখে। তবে বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টের বিভাগীয় বেঞ্চে নাকি সুপ্রিম কোর্টে, তা স্পষ্ট নয়।

আইনি পদক্ষেপ

দরগাহ নির্মাণ প্রকল্পের পেছনের যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের সচিব ইতিমধ্যে MCC কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির আদালতে শুনানি হওয়ার কথা।

শ্রীবৎস আরও বলেন, MCC কমিশনার বিষয়টি নিয়ে যা পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তো উঠছেই।

কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য

ধর্মীয় স্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনা (২০০৯) :

সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভিত্তিতে কর্ণাটক সরকার ২০০৯ সালে নির্দেশ জারি করে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের সর্বত্র নতুন ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

কর্ণাটকে ওয়াকফ সম্পত্তি :

কর্ণাটকে প্রায় ৩৪,০০০-এরও বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, যার মধ্যে বহু সম্পত্তি বর্তমানে আইনি জটিলতায় জড়িত।

মাইসুরু শহরে ধর্মীয় বিতর্ক:

গত দুই দশকে মাইসুরুতে মসজিদ, মন্দির ও গির্জা নিয়ে অন্তত ২০টিরও বেশি অভিযোগ আদালতে গেছে।

২০০২-২০২২ মামলা পরিসংখ্যান:

রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে মামলা প্রায় ৭,৫০০-এরও বেশি হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেক এখনও বিচারাধীন।

সূত্র: The Commune (www.thecommunemag.com)

সম্পাদনা: The Bengal Owl

Address

London

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Bengal Owl posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Bengal Owl:

Share