02/10/2025
ভালো থাকুন সা-ব-ধা-নে থাকুন!
ইফফাত রাতে ঘুমাচ্ছিলেন।ঘুমন্ত অবস্থায় চোখে মোবাইলের টর্চের আলো অনুভব করায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। কেউ একজন মোবাইলের ফ্ল্যাশ দিয়ে গো*প*নে উনার ভি*ডিও ধারণ করছিলেন। উনি চিৎ*কা*র করে উঠেন। লোকটিকে ধ*রে ফেলেন।
ইফফাত একজন সরকারি শিক্ষিকা। ঢাকায় স্বামী সন্তানসহ থাকেন। একদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন পাবনায়। বান্ধুবীর বাসায়। সারাদিন বান্ধুবীর সাথে পাবনা ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তিনি কল্পনাও করতে পারেননি রা*তে উনার জন্য কী অপেক্ষা করছেন।
পাবনায় সেই বান্ধুবীর বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। উনার রুমে ঢুকে পড়েন বান্ধুবীর ভাই মামুন। মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে আ*পত্তি*কর ভিফডি*ও ধারণ করতে থাকে। চো*খে ফ্লাশের আলো অনুভব করায় উনার ঘুম ভে*ঙ্গে যায়।
ঘুম ভেঙ্গে উনি দেখতে পান মামুনকে। ইফফাত চিৎ*কা*র করতে থাকেন। উনার চিৎ*কা*র শুনে বান্ধুবী পাশের রুম থেকে চলে আসে।
বান্ধুবী সব শোনার পর ভাইকে বাঁ*চা*তে বলে, 'যা হয়েছে হয়েছে। এখানেই দ্য ইন্ড কর। ঝা*মে*লা বাড়াইও না।'
ইফফাত বারবার বলতে থাকে, 'আমি দেখতে চাই কী ভি*ডিও করেছে।'
কারণ সে জানে একটি মেয়ের জীবন ধ্বং*স করার জন্য প*র্ণ*গ্রা*-ফি কতটা ভ*য়-ঙ্ক*র হতে পারে। মানুষ কখনও দেখতে যাবে না। সেটি জো*র*পূ*র্বক নাকি গো-প*ণে ধারণকৃত।
ইফফাত প্রমাণ রাখার জন্য এবং ঐ ভিডিও ডি*লি*ট করার জন্য বারবার দেখতে চায় ভিডিওগুলো।
কিন্তু ওরা কিছুতেই দে*খতে দি*বে না। কারণ ফোন চে*ক করতে দিলে তো ভাই অ*পরা*ধী প্রমাণিত হয়ে যাবে।
এমন অবস্থায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার হু*ম*কি দিয়ে ইফফাত ঢাকায় চলে আসে। ইফফাতকে বারবার তারা ফোন করে হু*ম*কি দিতে থাকে। তুমি যদি আইনের আশ্রয় নাও, তাহলে আমরা তোমার নামে চু*রি*র মামলা দিবো।
ইফফাত ঢাকায় জিডি করে। অন্যদিকে পাবনায় তাঁর বান্ধুবী মামলা করে। যেখানে উল্লেখ করা হয়, 'ইফফাত আমাদের বাসায় এসে কফির মধ্যে ঘুমের মে*ডি*সিন খাইয়ে সবাইকে অ*জ্ঞান করে আমার ২০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে ঢাকায় পা*লি*য়ে গিয়েছে।'
আমাদের দেশের মহামান্য আদালতও মামলা আমলে নিয়ে পাবনায় ইফফাতকে তলব করে।
ইফফাতের উকিল আদালতকে জানায়, একজন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা। দুই বাচ্চার মা। সে ঢাকা থেকে বান্ধুবীর বাসায় গিয়ে সবাইকে অ*জ্ঞা*ন করে ২০ ভরি স্বর্ণ চু*রি করবে। জেনে শুনে এই ঝুঁকি কেউ নিবে? এটা তো কমনসেন্স নাকি? একজন অবিবাহিত মেয়ের কাছে ২০ ভরি স্বর্ণ কী আদৌ থাকা সম্ভব?
বান্ধুবী আদালতে চু*রি*র পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে ইফফাতের উকিল সে নির্দোষ এর স্বপক্ষে প্রমাণ আদালতে উপস্থিত করেন - আদালত বর্তমানে ইফফাতকে জামিন দিয়েছেন।
কোন কিছু প্রমাণের আগেই তাঁর লাই*ফটা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ওর চরি*ত্র নিয়ে মি*থ্যা নিউজ ছড়ি*য়ে জা*হা*ন্নাম বানিয়ে ফেলেছে। শিক্ষার্থীদের সামনেও মু*খ দেখাতে পারছেন না উনি।
ইফফাত দুই সন্তানের মা। একজন শিক্ষিকা। একজন স্ত্রী।
নিজ সম্মান, সম্ভ্রম বাঁচা*তে গিয়ে হয়ে গেলেন চো*র। তাও তাঁর বান্ধুবীই তার পিঠে চা*কু মে*রে*ছে।
সব ক্ষ*ত শা-রীরি*ক নয়, কিছু ক্ষ*ত আসে বিশ্বাসঘা*তক*তার আ*ঘা*তে।
বন্ধুত্ব কেবল হাসি-আনন্দ ভাগাভাগি নয়, বরং আস্থার জায়গা।
কখনও কী নিজেকে প্রশ্ন করেছি? কাকে বন্ধু বানাচ্ছি?
একজন বন্ধুর আচার আচরণ কথা বার্তার মধ্যে কোন না কোনভাবে তাঁর চ*রিত্রের পো*স্টম*র্টেম করা যায়। সেই অনুযায়ী স*ত*র্ক হওয়া যায়। এই সু*রৎহাল রি*পোর্ট অনেকে বুঝতে পারে। অনেকে পারে না। অনেকে টের পেয়েও একসাথে খায়, ঘুমায় ঘুরে। একদিন ধ*রা খায়।
ছেলেদের বন্ধু বিশ্বা*স*ঘাত*কতা করলে সর্বোচ্চ মা*র*ধোর করে আ*হত নি*হ*ত করে। কিন্তু মেয়েদের বান্ধুবী বিশ্বা*স*ঘা*ত*কতা করলে সেটার শুরুটা হয় চরিত্রের অ*স্ত্র*পাচার দিয়ে।
না*রী*কে ভাঙতে হলে চ*রি*ত্র নিয়ে আ*ঘা*ত করাই সবচেয়ে সহজ অ*স্ত্র। তাই সা*ব*ধান।