08/12/2025
নিকোল , মাধ্যম হয়ে বক্তব্য পৌঁছে দেওয়াই আপনার কাজ। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা নয়। আপনি একজন উপস্থাপিকা—এটাই আপনার পরিচয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করা আর সেই অনুষ্ঠানকে “আমার শো” বলে দাবি করা এক বিষয় নয়। যমুনা টেলিভিশনে কাজ করেন বলেই কি মনে করেছেন, অনুষ্ঠানটির মালিক আপনি? কর্তৃপক্ষ কি এসব শেখায়নি?
আপনি রিপোর্টার নন, সম্পাদক নন—তারপরও নিজের আবেগে ভেসে অতিথির ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ চালান। উপস্থাপনার ন্যূনতম এথিক্সও যেন ভুলে গেছেন।
উপস্থাপিকার কাজ আবেগ দেখানো নয়—প্রশ্ন করা, শুনে নেওয়া, এবং নিরপেক্ষ থাকা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে গেলে—নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া যায় না ,অতিথিকে অপমান করা যায় না ,দল–মত ঢুকিয়ে অনুষ্ঠান নষ্ট করা যায় না |
এটা কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নয় যে আপনি আবেগে গলা কাঁপিয়ে মন্তব্য করবেন। আলোচনা টেবিলে সব মতই আসবে—আপনার দায়িত্ব ছিল শালীনতা, নিয়ন্ত্রণ ও পেশাদারিত্ব দেখানো।
সেটা কি আপনি দেখিয়েছেন?
গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এখানে দাম্ভিকতা, রাগ, ব্যক্তিগত ক্ষোভ—এসবের কোনো জায়গা নেই। আপনার আচরণ দেখে মনে হয়েছে আপনি অতিথির বক্তব্য শুনতে যাননি—বরং নিজের মতামত চাপাতে গিয়েছেন।
যে কারণে গণমাধ্যম ইতোমধ্যে বিতর্কিত—সেই দায়ও ছিল কিছু সুবিধাবাদী উপস্থাপক–উপস্থাপিকার। আপনি কি সেই লাইনে হাঁটতে চান?
এই দেশ যেমন একদিনেই সৃষ্টি হয়নি, তেমনি কারো একার অবদানে ‘৭১’ বা ‘২৪’ আসেনি। ইতিহাস নিয়ে অন-এয়ার বিতর্ক করে নিজেকে ইতিহাসবিদ ভাবার চেষ্টা করবেন না। সেটা হাস্যকরই শোনায়।
মনে রাখবেন— মাধ্যম হয়ে বক্তব্য পৌঁছে দেওয়াই আপনার কাজ। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা নয়।
কেউ আদর্শ হারালে অন্ধভাবে তার পিছে চলাকে প্রজ্ঞা বলা যায় না—সেটা বলা যায় সরলতা, কখনো কখনো বোকামি।
শেষ কথা—
একজন উপস্থাপিকা কোনোভাবেই পুরো মিডিয়ার সম্মান নষ্ট করার অধিকার রাখেন না। আপনি কি একমত? #জনমত 🇧🇩 #বাংলাদেশ #বাংলা