14/02/2025
✍️✍️ অর্ধ শাবানের রাত ও কয়েকটি জরুরি প্রশ্নোত্তর:
★ অর্ধ শাবানের রাত কি সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?
হা, এই রাতটি গুরুত্বপূর্ণ; এর বিশেষত্ব আছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল্লাহ তায়ালা মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।' (সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫, শায়খ আলবানি, আরনাউত্ব, আওয়ামাসহ মুহাদ্দিসগণ হাদিসটি সহিহ বা হাসান বলেছেন)
সুতরাং ব্যাপকভাবে ক্ষমা পাওয়ার মতো মহামান্বিত রাতকে ঘুমিয়ে থেকে হাতছাড়া করা উচিত নয়।
★ এই রাতের কি বিশেষ কোনো আমল আছে?
না, সহিহ সনদে প্রমাণিত এই রাতের কোনো বিশেষ আমল নেই। যে কোন নফল আমল এই রাতে করা যেতে পারে।
★ এই রাতে আমদের করণীয় কী?
একাকী নিরিবিলি যে কোন নফল ইবাদতে নিমগ্ন থাকা।
(১) নফল সালাত পড়তে আদায় করা
(২) সুন্নাহসম্মত বিভিন্ন যিকর করা
(৩) বেশি পরিমাণে দু'আ ও কান্নাকাটি করা
(৪) রাসুল সাল্লাল্লাহু এর উপর দরুদ পড়তে পারি
(৫) তাওবাহ-ইস্তেগফার করা
(৬) দান-সাদাকাহ্ করা
(৭) কাজা নামাযগুলো থাকলে আদায় করা
এসব নফল ইবাদত এই রাতে বৈধ ও মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে মুসলিম উম্মাহর প্রায় সকল আলেম একমত।
রাতটির বিশেষত্ব আছে বলেই এ রাতে যে কোনো নফল ইবাদত করা যায়। তবে এগুলো জরুরি মনে করা যাবে না। যারা এসব ইবাদত করবে না তাদের নিন্দা করা যাবে না।
★ অর্ধ শাবানের কি বিশেষ কোন রোযা আছে?
দুর্বল একটি হাদিসে পরদিন রোযার কথা এসেছে। তবে যেহেতু নবীজি পুরো শাবান মাসে বেশি পরিমাণে রোযা রাখতেন আর প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোযা রাখা সুন্নাত। তাই এই মাসে এক দুইটা নয়, বেশি বেশি রোযা রাখা উত্তম। কমপক্ষে 'আইয়ামে বীয' এর তিনটা রাখা উচিৎ। শুধু পনের তারিখ রোযা রাখা নফল হিসেবে জায়েয হলেও আলাদা কোন বিশেষত্ব নেই এবং তাকে কোনোভাবেই জরুরি মনে করা যাবে না।
★ এই রাত কি ভাগ্যরজনী?
না, অবশ্যই এই রাত ভাগ্যরজনী নয়। ভাগ্যরজনী হলো লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। প্রয়োজনে সূরা কদরের তাফসির দেখুন যে কোন তাফসিরগ্রন্থ থেকে।
★ এছাড়া এই রাতে গোসল করা, হালুয়া-রুটির আয়োজন করাসহ প্রচলিত অন্যান্য কাজগুলো বিদআত ও কুসংস্কার।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বুঝার তাওফিক দিন।
©️