Nasif's Life Logs

14/09/2024

আজ ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪। ঠিক এক বছর আগে দেশ থেকে চলে এসেছিলাম। যদিও আসলে এই এক বছরপূর্তি টা একটু কনফ্লিক্টেড কারণ বাংলাদেশ থেকে আমি এসেছিলাম ১২ই সেপ্টেম্বর কিন্তু ইউকে এসে পৌঁছাই ১৩ ই সেপ্টেম্বর। এই ইউকে তে আসার পুরো জার্নিটা খুব একটা সহজ ছিল না। আমার বাহিরে পড়তে আসার খুব বেশি একটা ইচ্ছে কখনোই ছিলো না।আমেরিকান বন্ধুর (বন্ধুর থেকে ভাই শব্দটাই বেশি প্রযোজ্য ওর বেলায় শুধু রক্তের সম্পর্কটা থাকলেই কাগজে কলমে হয়ে যেত) কাছ থেকে শুনে শুনে হালকা কিছুটা ইচ্ছে জাগতো যে ইস আমিও যদি একটু দেশের বাহিরে যেতে পারতাম। ইচ্ছে না থাকার প্রথম কারণ ছিল মা-বাবা এবং পরিবার থেকে দূরে থাকতে না পারা এবং দ্বিতীয় ছিল এত খরচ ! কারণ যেখানে শখের কিংবা প্রয়োজনীয় কোন জিনিস ভালোভাবে পূরণ করতেই চিন্তা করতে হতো সেখানে বাইরে পড়তে আসার কথা ভাবা তো বিলাসিতা! কিন্তু কিভাবে কিভাবে জেনো সাহস করে ফেললাম। অজান্তেই মনে হল যে না আমি পারবো। আমার কাছে বাইক কেনার জন্য শুধু এক লাখ সামথিং টাকা হাতে ছিল এবং সেখান থেকেই আজ এখানে। চলুন আমার গল্পটা শুরু করা যাক -

ক্লাস থ্রি ফোর পর্যন্ত আমি পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী ছিলাম যা আমার মা নিজে বলতো।আমার নিজেরও মনে আছে হোম ওয়ার্ক শেষ না করে আমি খেলতে যেতাম না।পড়াশোনার জন্য তখন খুব একটা মার খেতে হয়নি। যা মার খেয়েছি কথা না শোনার জন্য।২০০৯ সালে জিলা স্কুলে ক্লাস থ্রিতে এডমিশনের জন্য এডমিশন কোচিং করতাম।এই কোচিং এর সময় আম্মু কত কষ্ট করত যেগুলা এখন ভাবলে বুঝতে পারি।কোচিং এ যাওয়া এবং আসার পথে গাড়ি থেকে নামার পরে বেশ কিছুটা হাটতে হতো।তখনও আমি খুব একটা হাটতে চাইতাম না। এ কারণেই কোচিং না যাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই তালবাহানা করতাম। কিন্তু যেদিন জানতাম যে ভাইয়া দিয়ে আসবে বা নিতে আসবে সেদিন খুবই খুশি থাকতাম কারণ ভাইয়া সাইকেলে করে নিতে আসত কলেজ শেষে।সো আমার হাঁটা লাগত না।এই এডমিশন কোচিং এর দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন এখনো খুবই স্পেশাল আমার কাছে।সেদিন একেতো ভাইয়া কোচিং শেষে নিতে আসবে জানতাম কিন্তু কোচিং শেষে আসার পরে ভাইয়া একটা ঘড়ি হাতে দিয়ে বলল হাতে পড়ে দেখ লাগে কিনা।ঐদিন এত খুশি হয়েছিলাম যে এখনো ঐ দিনের কথা মনে পড়লে মনে হয় সেদিনের মত খুশি জীবনে প্রতিদিন আসুক। তো একবার টেস্ট পরীক্ষা দিয়েই চান্স পেয়ে যাই।টেস্টের মার্কস ভালো থাকার কারণে রোলটাও শুরুর দিকে ছিল।বাবা-মা সবাই অনেক খুশি ছিল। কিন্তু থ্রি ফোর এর পর থেকে আস্তে আস্তে একটু একটু করে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে উঠলাম। শুরুর দিকে ক্লাসরোল প্রথম দিকে থাকলেও ধীরে ধীরে পিছুতে লাগলো।ক্লাস ফোর পর্যন্ত একজন টিচারের কাছে বাসায় পড়তাম। ক্লাস ফাইভে থাকতে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির জন্য এবং একাডেমিকের জন্য কোচিং করতাম।প্রিপারেশনও ভালোই ছিল কিন্তু সামান্য পয়েন্ট ৫ ইঞ্চি হাইট এর জন্য পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ক্লাস সিক্স সেভেন থেকে এক মামার কাছে সব সাবজেক্ট পড়তাম।এই মামার সাপোর্ট ও আমার জীবনে কম না।অনেক ক্রিটিকাল সময়ে মামা অনেক সাপোর্ট দিয়েছে যা কখনো ভোলার মতো না।তার নিজের অনেক সমস্যা থাকার পরেও সে কখনো সমস্যার কারণে সাপোর্টে কমতি রাখেনি ওই সময়ে। নিজের আপন মামার থেকে কোন অংশে কম না বড়ং আমার মনে হয় আপনের থেকেও একটু বেশি ই। ক্লাস নাইন এ ওঠার পরে এই মামাই একটি কোচিংয়ে নিয়ে ভর্তি করিয়ে।নাইন টেন পুরোটা ওই কোচিংএ ক্লাস করি। পড়াশোনায় তো একেবারেই ঠনঠন। সবার তো একটাই কথা আমি এসএসসি পাস ই করি কিনা সন্দেহ। কিন্তু আমি জানতাম যে না অন্তত কিছু একটা ভালো রেজাল্ট করব। বরাবরের মতো পি.এস সি,জে.এস.সি এর মতো এস.এস.সি তেও জিপিএ-ফাইভ পেলাম। ব্যাস সবাই খুশি আবার। আব্বু মিষ্টি কিনে আনল।বিলি ও করলো।স্কাউটিং করার সুবাদে এর মধ্যে প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড (শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড) টা এই বছরই পাই। আর প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম এইচ.এস.সিতে থাকতে।তো এইচ.এস.সিতে ভর্তি হলাম। যদিও নিজ উদ্যোগে কিছু সাবজেক্ট আলাদা আলাদা টিচারের কাছে পড়া শুরু করলাম।কিন্তু মন বেশি দিন আর টিকলো না। আবারো সেই পড়াশোনায় গাফিলতি। তবে এসএসসির শেষের দিক থেকে এইচএসসির সেকেন্ড ইয়ারের অর্ধেকের বেশি পর্যন্ত কারণটা পুরোটাই ভিন্ন। এরপরে হুশ ফিরলে শেষ তিন চার মাস খুব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করি। এই তিন চার মাস এবং এডমিশনের কয় মাস আমি নিজেই বলতে পারি যে এই সময় আমি নিজ উদ্যোগে পড়াশোনা করেছি। এইচএসসির জন্য নাইন-টেনের কোচিংয়ের সেই ভাইদের সাথে পরিচয় থাকায় যোগাযোগ করি এবং কয়েকজন মিলে পড়া শুরু করি।আমার সেই দুই ভাইদের সাথে এক ভাবিও ছিল যদিও তাকে আমরা আপু ডাকি।আপুকে পড়াশোনা নিয়ে অনেক জ্বালাতাম আমরা। নিজের চেষ্টা আর ভাইদের সেই কষ্টের ফলে দেশে থাকতে একটা পজিশনে ছিলাম।সত্যি বলতে এইচএসসিতে একটা রেজাল্ট আর দু-তিনটা ভার্সিটিতে চান্স ভাইদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।সত্যিই জানিনা যদি ওই সময়েও নিজ থেকে ভাইদের কাছে না যেতাম আর ভাইরা এমন সাপোর্ট না দিত আজ আমি কোথায় থাকতাম!পুরোটা ইন্টার লাইট এবং এডমিশন টাইমের এই সময়টুকু জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে কেটেছে।ওয়ান অফ দা বেস্ট টাইম।শুধু আমি না আমরা যে কজন সবারই।বাসার সবাইতো বলতো এইচএসসি পাস ই করব না আর কোন ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া তো দূরের কথা।যাই হোক এইচ এস সি রেজাল্ট হল মোটামুটি। এডমিশনের জন্য পড়া শুরু করলাম। কোন কোচিং এ ভর্তি হলাম না শুধু ভাইদের কাছেই পড়লাম আর বাসায় নিজে।আমাদের বছরেই প্রথমবার ঢাবিতে এমসিকিউ এর সাথে রিটেন শুরু হল। আমরা এই এইচ.এস.সি ২০১৯ ব্যাচই পি.এস.সি, জে.এস.সি,সৃজনশীল, ঢাবি এডমিশনে রিটেন সবকিছুর ইনিশিয়াল টেস্টার! এজন্যই বলতে ইচ্ছে করে - "কেন! কেন! কেন! শুধু আমরাই কেন?বারবার শুধু আমাদেরই চোখে দেখেন? " আমার প্রিপারেশন বেশ ভালই ছিল। কিন্তু ইন্টারে পড়াশোনায় গ্যাপ থাকার কারণে জানতাম রিটেন এ সমস্যা ফেস করতে হবে ।কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যদি শুধু এমসিকিউ হত আমি চান্স পেতাম।ঢাবি এডমিশন টেস্ট দিয়ে মন ভেঙে গেল।আবার কিছুটা পিছিয়ে পড়লাম। পরে আবার ঠিক হয়ে কোন রকম দু তিনটা ভার্সিটিতে চান্স পেলাম।আর এই চান্স পাওয়ার আগে জীবনে বহুত কিছু ঘটে গেল! যেহেতু ছোটবেলা থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং প্যাশন ছিল তাই ভার্সিটি বাদ দিয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম।এর মধ্যে টিচিং ক্যারিয়ার ও বেশ ভালোভাবেই গ্রো করতে লাগল।এই টিচিং ক্যারিয়ারেও অনেক বড় একটা ভূমিকা এই ভাইদের। শুধু একটা আফসোস ই রয়ে গেল রেটিনায় অ্যাডমিশন ক্লাস নেয়ার সুযোগ টা আার হলো না।তবুও আলহামদুলিল্লাহ চলার মত বেশ ভালো একটা অ্যামাউন্ট আর্ন হতো। নিজের খরচের পরে ফ্যামিলির সবার জন্য আরও টুকিটাকি কিছু করতে পারতাম।এভাবে চলতে লাগল। এর পরে ইচ্ছে হলো আর্মি/এয়ারফোর্সে জয়েন করব।আল্লাহ ভাগ্যে লিখেনি হয়তো আরো ভালো কিছুর জন্য কিংবা এখানে আমার জন্য ভালো কিছু ছিলো না তাই। ৮৮ আর্মি লং কোর্সে রেড কার্ড নিয়ে ফিরতে হলো।বাসার সবাই যখন সিউর হলো স্ক্রিন ইন যেহেতু হয়েছি হয়ত আল্লাহর ইচ্ছায় গ্রীন কার্ড নিয়ে ফিরব।কিন্তু রেড কার্ড নিয়ে আই.এস.এস.বি সেন্টার থেকে বের হওয়ার পরে বাসায় ফোন দিয়ে বলতে পারছিলাম না যে আমি সিলেক্টেড হইনি।আম্মু ভেবেছিল মজা করে বলছি।সবাই খুব আশা নিয়ে বসে ছিল কখন আমি বের হয়ে সবাইকে খুশির খবর টা দেব।তখন ভাইয়াও দেশে।সবাই শান্তনা দিল।কিন্তু আমার মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।জীবনে এই প্রথম কোনো কিছু প্রথমবারের চেষ্টায় না পাওয়ার কষ্ট বুজতে পারলাম।কিছুদিন মন খারাপ থেকে পুনরায় রেগুলার নিয়মে জীবন চলতে লাগল।সেকেন্ড ইয়ারে উঠে বাহিরে যাওয়ার একটু চিন্তা হল। তখন শুধু নিজে নিজে ভাবতাম আর ঘাটাঘাটি করতাম।হঠাৎ করেই নিজে নিজে ডিসাইড করে ফেললাম যে অ্যাবরোড যাব।তখনো কেউ জানে না। কিন্তুু বাইক কেনার কথা বলেছিলাম আগেই। তো আম্মু কিছু টাকা দিয়ছিল,নিজের জমানো কিছু টাকা আর বাকিটা ভাইয়া দেবে।ভাইয়ার টাকা বাদে আমার কাছে এক লাখ সামথিং ছি্ল।তখন ই আবার আমাদের একটা জমি কেনার কথা ঠিক হয়।জমি কেনার জন্যই কিছু টাকা ঋণ করতে হয়। একদিন বাইক কিনতে গিয়েও কেনা হলো না। ভাইয়া বল্লো ২৪ এর নিউ ইয়ারে অফার দিলে কিনতে।ততদিনে বাজেট টাও আরেকটু বাড়ানো যাবে আর এখন আপাতত জমি/দলিল এসব ঝামেলা শেষ হলে তারপরে দেখা যাবে।তো এমনিতেই তখন এই ঋণ এর উপর আবার কিভাবে আমি এই বাহিরে যাওয়ার কথা বলি।তবুও আমি নিজে নিজে কিছু কিছু কাজ গোছানো শুরু করি।প্রথমে আমার কানাডা যাওয়ার কথা ছিল।তো সেই অনুযায়ী আগাতে থাকি।পেপার ডকুমেন্টস যা সমস্যা ছিল তা ঠিক করি। ব্যাংক ডকুমেন্টস গুছিয়ে ফেলি।তখন আমার এক খুবি ক্লোজ বন্ধু/ভাই বলে আর কবে বাইক কেনবো।ও তখন বাইক কিনে ফেলে। ইচ্ছে ছিল দুজন একসাথে বাইক কিনে লং টুর দেব।আর হলনা।আর কবে হবে কি হবে না তাও জানিনা।তো তখন ওকে বলেছিলাম ভাগ্যে না থাকলে আমার বাইক নাও কেনা হতে পারে।আর তাই হলো।এরপরে সবাইকে বলে ফেলি।কেউই এই মুহুর্তে সাহস করতে পারছিল না।এর উপর আমার বি.এস.সির দুই বছর প্রায় শেষের দিকে।অনেকে বললো মাস্টার্স এ যেতে।কিন্তু আমি ঠিক করলাম গেলে এখনি যাব।তো সব ভয় বাদ দিয়ে আইইএলটিএস এর প্রিপারেশন নেয়া শুরু করলাম।বই কিনে এনে বাসায় বসেই প্রাকটিস করতে লাগলাম।কোনো কোচিং এ ভর্তি হলাম না।অনলাইন ম্যাট্যারিয়ালস আর ক্যামব্রিজ নিয়ে বাসায় বসেই হার্ড & সোল প্রাকটিস করি।প্র্যাকটিসের জন্য অ্যাসেসমেন্ট এক্সামেও এটেন্ড করিনি।আবার সামনে সেমিস্টার ফাইনাল।তেমন পড়াশোনা না করে সেমিস্টার ফাইনাল দেই। সেখানেও ছিল অনেক কাহিনী। তো যাই হোক আইএস এক্সাম দিয়ে দেই এবং বেশ ভালো একটা রেজাল্ট আসে।এরপরে ভেবে দেখলাম ক্যানাডার ভিসা পাওয়াটা একটু টাফ হয়ে যেতে পারে যেহেতু আমার গ্যাপ হয়ে যায় নতুন করে ব্যাচেলর শুরু করার জন্য। তাই পরে আবার ডিসাইড করলাম ইউকে যাব। কিন্তু ইউকেতে আবার ইনিশিয়াল কস্ট বেশি তাই নিয়ে আবার আরেক টেনশন। কারণ তখনও আমার হাতে সব মিলিয়ে হয়তো ২ লাখ বা সামথিং ছিল।তাই চিন্তা শুরু করলাম কই থেকে কোথা থেকে কিভাবে টাকা ম্যানেজ করা যায়।কারণ ইতিমধ্যে জমি কেনার সময় যা শর্ট ছিল, যাদের কাছ থেকে টাকা পাওয়া যেত অলরেডি নিয়ে নিয়েছি। তো নতুন করে আবার কোথায় কিভাবে ম্যানেজ করব জানিনা। পরে কাটায় কাটায় হিসাব শুরু করলাম।আব্বু গ্রামের বাড়ি থেকে যতটুকু যা পারলো ম্যানেজ করে আনলো। বাসায় সবার জমানো যা ছিল যোগ করলাম। কোন একভাবে মিলালাম যে টাকা ম্যানেজ হবে কিন্তু রিস্ক অনেক। কারণ যদি টাইমলি টাকা ম্যানেজ না হয় তাহলে আমার এদিকও যাবে ওইদিকও যাবে।সবাই খুব টেনশনে পড়ে গেল এবং যে যার মত চেষ্টা শুরু করলাম। আমার এই দুঃসময়ে আমার নিজের রক্তের মানুষের থেকে যতটুকু সাহায্য না পেয়েছি তার থেকে বহুৎ গুণ বেশি পেয়েছি রক্তের আত্মীয় নয় এমন মানুষের কাছ থেকে। আমার এক দুরসম্পর্কের মামা অনেক সাহায্য করেছে এই সময়ে। ভাইয়াও অনেক বেশি টেনশনে ছিল। যেদিক থেকে যেভাবে যা পারে ম্যানেজ করেছে। আমার ছোট চাচাও যতটুকু পারলো দিতে থাকলো। আমার একজন ক্লোজ ফ্যামিলি মেম্বারকে টাকার কথা আগে বলা থাকলেও ওই সময় সে না দিতে বিভিন্ন অজুহাত দেখানো শুরু করে।সবাই জানতো যে তার ওই সামান্য কিছু লাখ টাকা দিতে তার কোন চিন্তা করতে হতো না।কিন্তু কোন ভয়ে সে দিতে চায়নি তা একমাত্র সে আর আল্লাহই ভাল জানেন।তখন সময়ও আর ছিল না বেশি হাতে। এই অল্প সময়ে আবার এতগুলো টাকা ম্যানেজ করা খুবই চিন্তার বিষয় ছিল। এরপরে ছোট মামাও কিছু ম্যানেজ করে দিল।এই সময়ে তার এভাবে টাকা ম্যানেজ করে দেয়াটা সত্যিই অনেক সাহায্যের ছিল। কিন্তু তারপরও একটা এমাউন্ট মিসিং।কি করবো।সেই যে বন্ধু( ব্রাদার ফ্রম অ্যানাদার মাদার) যার থেকে ইচ্ছে যাগতো বাহিরে যাওয়ার ওর সাথে শেয়ার করলাম। ওর কাছে আমি অলরেডি ঋণী তখন।তাই ওর কাছে চাওয়ার মতো আর সাহস করলাম না। কিন্তু ও নিজেই যে এভাবে ম্যানেজ করে দিবে আমি আসলে কল্পনাও করিনি।ও যদি তখন এভাবে ম্যানেজ না করে দিত হয়তো আমাকে আবার নতুন করে প্লান করতে হতো। এই ক্রিটিক্যাল সময়ে এসব মানুষগুলো না থাকলে হয়তো আজকে আমি এখানে থাকতাম না। হয়তো অন্য কোথাও থাকতাম।তবে আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করেন। কোথায় সেই বাইক কেনার কথা সেই বাইক না কিনে আজ এখানে। আসলে সৎ ইচ্ছে থাকলে আল্লাহ যে কিভাবে কই থেকে ম্যানেজ করে দেয় তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু কারো সাহায্যের অভাবে যে কিছু আটকে থাকে না তা চিরন্তই সত্য। আল্লাহর ইচ্ছায় ইউকে আসার পরে নামাজের আরো অনেক বেশি সতর্ক হয়েছি যতটা আমি দেশে বসে ছিলাম না।কিন্তু কষ্ট একটাই দেশে থাকতে আম্মু ফজরের সময় যেভাবেই হোক ডেকে তুলতো কিন্তু এখন চাইলেও প্রায় সময়ই পারিনা। তবুও সবার কাছে দোয়া প্রার্থী যেন আল্লাহ পরিপূর্ণ হিদায়াত দান করেন।

সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই এই মানুষগুলোর কাছে আমি সত্যিই ঋণী চিরদিনই ঋণী ।সম্মান এবং ভালোবাসার খাতিরে আমি কারো নাম মেনশন করলাম না।সত্যিই সবাইকে খুব বেশি মিস করি।আমি কখনোই একা থাকতে পছন্দ করতাম না, আমি সবার সাথে থাকতেই পছন্দ করি ❤️

18/07/2024

পুরো বাংলাদেশ কে ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যারা দেশের বাইরে আছেন লিখে টুইট করুন, ইনস্টাগ্রামে,ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করুন....

17/07/2024

যেখানে নিজের দেশ নিজের মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আসার কথা মনের অন্তস্থল থেকে বরং সেখানে ঘৃণা শুধু ক্রমশ বেড়েই চলছে। নির্মমভাবে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এসব নিকৃষ্ট বর্বর মানুষগুলো।আল্লাহ যেন এই নিকৃষ্টদের উত্তম বিচার করে।

#বাংলাদেশ
#চব্বিশএরআন্দোলন











#কোটাসংস্কারচাই
#বাংলাদেশকোটাআন্দোলন
#কোটাআন্দোলন২০২৪

27/05/2024

Allah, Save everyone who are in danger zone.Pray for them and if you are nearby or possible to help them please help them.

19/02/2024

যা কিছু আমরা দেখাই, তা সবই বিজ্ঞাপন। আর যা কিছু আমরা গোপন করি, সেটাই জীবন।🖤

Copy!

10/02/2024

This is the second part of my journey from Bangladesh to UK(London).Apologise for the video quality and mixing portrait and landscape videos! Actually there is nothing i can do more because this the first time i am making these! Obviously i will upgrade day by day!

🎥- https://youtube.com/?si=2DhF3lKwE2DfDKAw

Do support Do follow. Thank you.

29/01/2024

So this the first part of my journey from Bangladesh to UK(London).Apologise for the video quality and mixing portrait and landscape videos! Actually there is nothing i can do more because this the first time i am making these! Obviously i will upgrade day by day!

Do support Do following. Thank you.

26/01/2024

At first i thought i would publish the entire video in my first vlog from Bangladesh to UK(London) but after started editing i found that It's becoming more than 20 minutes. So decided to upload it in two part-

First part - Bangladesh to Qatar
Second part - Qatar to Uk

Do follow.Stay tuned!

23/01/2024

21/01/2024

Hello Everyone!
Welcome to Nasif's Life Logs! 🌟 I'm Nasif, and I'm super excited to have you here.

This is where I will share my everyday adventures in London and beyond. 🏙️ From student life to exploring cool spots, it's all about the simple joys and my thoughts.

Hit that subscribe button and let's have some fun together! 🚀 Don't forget to share your stories too—I'd love to hear them.

Cheers to simple joys and new friends! ✨