Hafiz Munir Uddin Ahmed

Hafiz Munir Uddin Ahmed Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Hafiz Munir Uddin Ahmed, Publisher, London.

"এক নযরে মহামানবের জীবন"১ম পর্বঃ৫৭০ ঈসায়ী সনবছরটি বাদশাহ আবরাহার মক্কা আক্রমণের বছর নামে খ্যাত। একই বছরে মোহাম্মদ সাল্ল...
17/09/2025

"এক নযরে মহামানবের জীবন"

১ম পর্বঃ
৫৭০ ঈসায়ী সন
বছরটি বাদশাহ আবরাহার মক্কা আক্রমণের বছর নামে খ্যাত। একই বছরে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর পিতা- আবদুল্লাহর ইন্তেকাল। ৯ই রবিউল আউয়াল তাঁর জন্ম।

৫৭০-৫৭৫ ঈসায়ী
এটা ছিলো মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম- এর হালিমার ঘরে প্রতিপালনের সময়।
৫৭৬ ঈসায়ী: মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর মা - আমেনার ইন্তেকাল।

৫৭৮ ঈসায়ী
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর দাদা আবদুল মোত্তালেবের ইন্তেকাল। চাচা আবু তালেবের তাঁর অভিভাবত্ব গ্রহন।

৫৮০-৫৯০ ঈসায়ী: ফুজ্জারের যুদ্ধ
৫৮২ ঈসায়ী
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর প্রথম সিরিয়া সফর ও খৃস্টান পাদ্রী বোহায়রার সাথে সাক্ষাৎ।

৫৮৬ ঈসায়ী
খাদিজা রাঃ-এর ব্যবসায় তদারকিতে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর নিয়োগ।

৫৯৫ ঈসায়ী
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর দ্বিতীয়বার সিরিয়া সফর ও ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন। হযরত খাদিজা রা.-এর সাথে তাঁর বিয়ে।

৬০৫ ঈসায়ী
কা'বা সংস্কারে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর সাহায্য প্রদান ও তাঁর আল আমীন উপাধী লাভ।

৬১০ ঈসায়ী
এ বছরের জুন মাসে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর নবুওত প্রাপ্তি। তাঁর ওপর কোরআন নাযিলের শুরু। হযরত খাদিজা রা., হযরত আলী রা. ও হযরত আবু বকর রা. -এর ইসলাম গ্রহণ।

৬১৩ ঈসায়ী
হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর প্রকাশ্যভাবে ইসলাম প্রচার শুরু।

২য় পর্ব:

৬১৫ ঈসায়ী
হযরত হামযা রাঃ এর ইসলাম গ্রহণ। আবিসিনিয়ার পথে মুসলমানদের প্রথম হিজরত। হযরত ওমর রা. এর ইসলাম গ্রহণ।

৬১৬ ঈসায়ী
মক্কাবাসীদের পক্ষ থেকে বনী হাশিমদের অবরোধ। আবিসিনিয়া থেকে মোহাজেরদের মক্কায় প্রত্যাবর্তন।

৬১৭ ঈসায়ী
আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের দ্বিতীয় হিজরত।

৬১৯ ঈসায়ী
স্ত্রী হযরত খাদিজা রা. ও তাঁর প্রাণ প্রিয় চাচা আবু তালেবের ইন্তেকাল।

বন্ধুগোত্রের কাছে হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর সাহায্য কামনা। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁর তায়েফ গমন।

৬২০ ঈসায়ী
হযরত আয়েশা রা.-এর সাথে হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর বিয়ের চূড়ান্ত কথাবার্তা।

৬২১ ঈসায়ী
আকাবার প্রথম বৈঠক। ইসরা কিংবা মে'রাজের ঘটনা।

৬২২ ঈসায়ী
আকাবায় দ্বিতীয় বৈঠক। এই বৈঠকের স্বার্থক আলোচনার পথ ধরেই সে বছরের ১৬ই জুলাই তারিখে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর মদীনায় দিকে হিজরত গমন।

৬২২ সালের ১৬ই জুলাই
ইসলামী ক্যালেন্ডারের শুরু। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর মদীনায় প্রথম মসজিদ ও বসতি নির্মাণ। ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে সমাজের নতুন কতিপয় নীতিমালা স্থাপন। একটি নতুন জাতি হিসেবে মুসলমানদের জন্মলাভ। ঐতিহাসিক মদীনা সনদ স্বাক্ষর। হযরত আয়েশার সাথে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর বিয়ে সম্পন্ন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নামাযের প্রবর্তন।

১ম হিজরী (৬২৩ খৃঃ)
কোরায়েশদের বিরুদ্ধে ইয়ানবুতে হযরত হামযার অভিযান।

২ হিজরী ৬২৪ ঈসায়ী
মাসজিদে আকসার বদলে কেবলা হিসেবে কাবার নির্ধারণ। ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ।

৩ হিজরী ৬২৫ ঈসায়ী
হযরত ওমরের বিধবা মেয়ে হযরত হাফসার সাথে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর বিয়ে।

৪ হিজরী ৬২৫ ঈসায়ী
হযরত আলীর সাথে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম প্রিয় কন্যা হযরত ফাতেমার বিয়ে।

৪ হিজরী ৬২৬ ঈসায়ী
ওহুদের বিয়োগান্ত ঘটনা, হযরত হামযা রা. সহ ৭০ জন বীর সাহাবীর শাহাদাত।

৩য় পর্ব :
৫ হিজরী ৬২৬ ঈসায়ী
খন্দকের যুদ্ধ ও কাফেরদের শোচনীয় পরাজয়

৬ হিজরী ৬২৮ ঈসায়ী
দুমাতুল জান্দালের দ্বিতীয় অভিযান। খায়বর বিজয়।
মক্কার কোরায়েশদের সাথে হোদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি। প্রতিবেশী দেশসমূহের রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম- এর দূত প্রেরণ।

৭ হিজরী ৬২৯ ঈসায়ী
এর ইসলামের প্রথম হজ্জ। খালেদ ইবনে ওয়ালিদ ও আমর ইবনুল আস-এর ইসলাম গ্রহণ।

৮ হিজরী ৬২৯ ঈসায়ী
মক্কা বিজয়। কাবা থেকে যাবতীয় মূর্তির অপসারণ, গোটা আরব ও হেজাযের ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ। হোনায়নের যুদ্ধ।

৯ হিজরী ৬৩১ ঈসায়ী
হযরত আবু বকর রা.-এর নেতৃত্বে ইসলামের দ্বিতীয় হজ্জ।

১০ হিজরী ৬৩১ ঈসায়ী
মুসলিম উম্মার সাথে নাজরানের (আধুনিক ইয়েমান) যোগদান। অধিকাংশ আরব গোত্রের হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি আনুগত্য স্বীকার।

১০ হিজরী ৬৩২ ঈসায়ী
হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম -এর ছেলে ইবরাহীমের মৃত্যু। রসূলের বিদায় হজ্ব। কোরআন নাযিলের সমাপ্তি।

১১ হিজরী ৬৩২ ঈসায়ী
হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর ইন্তেকাল। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর কবরকে আলোকিত করুন।
মুতা অভিযান।
(৮ম পর্ব)

(পবিত্র রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ)

আল কোরআন একাডেমী পাবলিকেশন্স প্রকাশিত সিরাতুন্নবী এ্যালবাম থেকে
গ্রন্থণায় মোহতারাম খাদিজা আখতার রেজায়ী

"তিনি মানব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান"রসুলে করিম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময়ই বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলতেন। অসঙ্কোচ অনাড়ষ্...
12/09/2025

"তিনি মানব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান"

রসুলে করিম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময়ই বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলতেন। অসঙ্কোচ অনাড়ষ্ট, দ্ব্যর্থবোধক ও অর্থপূর্ণ কথা বলতেন। তাঁর দুর্লভ একটি বৈশিষ্ট ছিলো, তিনি আরবের সকল ভাষার জ্ঞান লাভ করেছিলেন। এ কারণেই তিনি যে কোনো গোত্রের সাথে সেই গোত্রের ভাষা এবং পরিভাষায় কথা বলতে পারতেন। বেদুঈনদের ভাষার মতো শহরের নাগরিক জীবনের বিশুদ্ধ ভাষাও ছিলো তাঁর আয়ত্বাধীন। উপরন্তু ছিলো তাঁর ওপর ওহীভিত্তিক আল্লাহর সাহায্য।

সহিষ্ণুতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতার গুণবৈশিষ্ট তাঁর মধ্যে পুরোপুরিই বিদ্যমান ছিলো। এর সবই ছিলো আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া। দুনিয়ার সকল ধৈর্য্যশীল ও সহিষ্ণু মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো ত্রুটি দেখা যায়, কিন্তু নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ছিলেন সম্পূর্ণ এর ব্যতিক্রম। তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট এমন উন্নত ও সুন্দর ছিলো যে, তাঁর বিরুদ্ধে শত্রুদের উদ্যোগ আয়োজন তৎপরতা সবসময়ই ব্যর্থ হয়ে যেতো।

হযরত আয়েশা রা. বলেন, প্রিয়নবীকে দু'টি কার্জের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হলে তিনি সব সময় সহজ কাজটিই বেছে নিতেন। পাপের সাথে সম্পৃক্ত কাজ থেকে তিনি দূরে থাকতেন। তিনি কখনো নিজের জন্যে কারো কাছ থেকে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি, তবে আল্লাহ তায়ালার সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হলে তিনি শুধু আল্লাহর জন্যেই প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন।

তাঁর দানশীলতা ও দয়াশীলতা পরিমাপ করা ছিলো অসম্ভব। দারিদ্রের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি দান খয়রাত করতেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ছিলেন সবার চেয়ে বেশী দানশীল। রমযান মাসে তাঁর সাথে হযরত জিবরাঈল আ. এর সাক্ষাতের সময় তাঁর দানশীলতা অধিক বেড়ে যেতো। রমযান মাসের প্রতি রাতে হযরত জিবরাঈল আ. তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। তিনি ছিলেন কল্যাণ ও দানশীলতায় পরিপূর্ণ। হযরত জাবের রা. বলেন, কখনোই এমন হয়নি যে, কেউ তাঁর কাছে কিছু চেয়েছে অথচ তিনি তা প্রদানে অসম্মতি জানিয়েছেন।
(১ম পর্ব)

(পবিত্র রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ)

আল কোরআন একাডেমী লন্ডনের প্রকাশিত সিরাতুন্নবী এ্যালবাম থেকে
গ্রন্থনায় হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ

Al Quran Academy London The Quran Study Circle
12/09/2025

Al Quran Academy London The Quran Study Circle

16/05/2025

"সবার জন্য কোরআন"

🔴Live Appeal


03/03/2025
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহরমযানুল মোবারকের আজ প্রথম দিন, আমরা যে শহরে বাস করি সে শহরে আজ রমযানুল ...
02/03/2025

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহ

রমযানুল মোবারকের আজ প্রথম দিন,
আমরা যে শহরে বাস করি সে শহরে আজ রমযানুল মোবারকের প্রথম দিন। মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে লাখো শোকর যে, মহান আল্লাহ আমাদেরকে আরো একটা রমযানুল মোবারক পাওয়ার সুযোগ দান করেছেন। গতবার রমযানের সময় আমরা জানতাম না- আমরা আরো একটা রমযান পাবো কি না! আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা মেহেরবানী করে আমাদেরকে আরো একটা রমযানের সুযোগ দিয়েছেন। যাতে করে আমরা রমযানের মর্যাদা ও ফযীলত থেকে উপকৃত হতে পারি। এটার জন্যে আল্লাহর দরবারে আবারো শোকরিয়া আদায় করা দরকার। গত বছর যারা আমাদের সাথে রমযানুল মোবারকে রোযা রেখেছেন, তাদের অসংখ্য মানুষ আজ এ রমযানে আমাদের সাথে এই দুনিয়াতে নেই। এমনটাও তো হতে পারতো আমরাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা দয়া করে আমাদেরকে আর একটা সুযোগ দিলেন, যাতে করে আমাদের জীবনের অতীতের ছোটোখাটো ছগীরা কবিরা গোনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারি। পৃথিবীর সকল মানুষ- যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা এ রমযানুল মোবারকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তারা যেন রমযানুল মোবারকে গুনাহ্ মাফির সুযোগটা গ্রহণ করে এবং তারা যেন এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে।

আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমযানুল মোবারক পেলো কিন্তু সে তার গোনাহ মাফ করাতে পারলো না, তার মতো হতভাগ্য ব্যক্তি এই পৃথিবীতে আর নাই।’ রমযানুল মোবারকের প্রথম দিনে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন সেই হতভাগ্য ব্যক্তিদের দলে আমাদেরকে শামিল না করেন।

রমযানুল মোবারক হচ্ছে কোরআনের মাস, কোরআন নাযিলের মাস। এই কোরআনের কারণেই আল্লাহ তায়ালা রমযানুল মোবারকের এতো মর্যাদা দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের এই রমযানে সমস্ত কাজগুলোর মধ্যে সে সমস্ত কাজগুলোকে প্রাধান্য দেয়া দরকার, যে কাজটা কোরআনের সাথে জড়িত এবং কোরআনের সাথে সম্পর্কিত। দীর্ঘদিন থেকে মুসলিম পরিবারে জন্ম হবার কারণে এ কাজগুলো আমরা জানি, কোরআনের সাথে সম্পর্কিত কাজ হলো- প্রধাণত বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। কারণ অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসে কোরআন তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তায়ালা ১০ থেকে ৭০০ গুণ সাওয়াব বেশী দেন এবং আল্লাহ তায়ালা এমনই বিনিময় দেন যে, তখন হিসেব ছাড়াই বিনিময় দেন। সেদিক থেকে বলা যায় রমযানুল মোবারকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে বেশী বেশী করে কোরআন তেলাওয়াত করা এবং তেলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াতে যে অংশটা আমরা পড়ি সে অংশটা বুঝার চেষ্টা করা। সারা বছরে সময় না পাওয়া গেলেও এই বছর এই মাসটাতে অন্তত কোরআনটা দৈনিক পড়ি এবং কোরআন পড়ার সাথে সাথে সেটা বোঝার চেষ্টা করি। এরপরের কাজটা হলো মহান আল্লাহ তায়ালা যে কাজটা আদেশ করেছেন এবং যেটা নিষেধ করেছেন সে কথাগুলো যেন আমরা নিজ নিজ জীবনে মেনে চলি। সর্বশেষ হলো যে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছে যে কিতাব নাযিল করেছেন, দুনিয়ার মানুষের হেদায়াতের জন্যে এই কিতাবটা যেন আমরা সকল মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিতে পারি- আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের এ তাওফীক দান করেন। এই কাজগুলো হলো রমযান মাসের সাথে সম্পর্কিত- এই কাজগুলো সবাইকেই করার চেষ্টা করতে হবে।

এরপর রমযানুল মোবারকের অন্যান্য যে ফরয ও সুন্নাত ইবাদত আছে সে কাজগুলো তো আমরা অবশ্যই আদায় করবো। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, নবী কারীম (সা.) এই রমযানুল মোবারকে বেশী বেশী করে দান সদকা করতেন। আমরা আমাদের দান সাদকার হাতটা বেশি করে যেন প্রসারিত করি। আর আল্লাহর যমীনের অসংখ্য দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে আমরা যেন দাঁড়াই।

‘আল কোরআন একাডেমী লন্ডন’-এর পক্ষ থেকে আমি দুনিয়ার সকল মুসলমানদেরকে নিবেদন করবো যে, আসুন আমরা এই রমযানকে কোরআনের জন্যে নিবেদন করি। আমরা যেন বেশী থেকে বেশী পরিমাণ কোরআন মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি। আমরা এ কাজের সাথে যেন থাকতে পারি- আল্লাহ তাওফীক দান করুন।

রমযান মাসে সকলেই দান করেন। কারণ সকলেই জানেন যে, এই মাসে দান করলে বেশী থেকে বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়। এ কারণেই আমরা নামাযগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করবো। আল্লাহ তায়ালার আদেশগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করবো।

আল্লাহ তায়ালা যেভাবে এ মাসের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার আদেশ নিষেধ গুলো কেউ যদি পরোয়া না করে- তাহলে গোনাহ ও সাওয়াবের পরিমাণ ঠিক সে একইভাবে বাড়ানো হবে। আদেশের ব্যাপারে যেরকম আমাদের সতর্ক থাকা দরকার, ঠিক নিষেধের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকা দরকার।

আমাদের গোনাহগুলো যেন আমরা আল্লাহর কাছে মাফ করাতে পারি, সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা যেন তাওফীক দান করেন, আমীন।

রমযানুল মোবারকের সবচেয়ে বড়ো কাজ হিসেবে মানব কল্যাণের জন্যে সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও সহধর্মিতার হাত আমাদেরকে বাড়িয়ে দিতে হবে। এই কাজটা মুসলিম মিল্লাত যতো বেশী করবে ততো বেশি তারা মর্যাদা পাবে। প্রত্যেক মুসলমানকে আমি অনুরোধ করবো যে, তারা যেন এটাকে জীবনের শেষ সুযোগ মনে করে এই রমযানুল মোবারককে কাজে লাগান। কারণ, আমরা জানি না আগামী বছর আমরা রমযান পাবো কি না? তাই এই রমযানকে আমাদের জীবনের শেষ রমযান মনে করে আল্লাহর কাছে গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়ার শেষ সুযোগ হিসেবে এটা মনে করি। রাতের ইবাদতগুলো এবং দিনের ইবাদতগুলো যেন একমাত্র আল্লাহর জন্যে বেশী বেশী নিদেবন করতে পারি আল্লাহ যেন সে তাওফীক আমাদেরকে দেন।

মনে রাখতে হবে, রমযান প্রতি বছরই আসে- আমার জীবনেও ৭০-৭৫ রমযান এসেছে, কিন্তু এমনটা যেন না হয়- রমযান আসবে আর চলে যাবে, আর আমার জীবন আগের মতোই থেকে যাবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেরকম বদ নসীব যেন না করেন। এই রমযানে যেন আমরা নতুন একটা জীবন শুরু করতে পারি। এ রমযান যেন আমার জীবনে একটা মাইল ফলক হয়, এই রমাযন যাতে করে আমার জীবনে একটা নতুন দিশা এনে দেয়।

এই রমযান যেন আমাকে কোরআনের সাথে থাকার একটা সুযোগ এনে দেয় এবং বিশেষ করে আল্লাহর বাণী কোরআনকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার একটা সুযোগ যেন এই রমযান আমাদের করে দেয়। গতবারের থেকে এ রমযান যেন আমার জীবনের আরো ভালো রমযান হতে পারে- সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এবং দেখতে হবে যে আমার জীবনের প্রতিটি রমযান যেন পূর্বের তুলনায় উন্নত হয়। প্রতিটি রমযানে যেন আমরা এই ফায়দা নিতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফীক দান করুন।

আসলে রমযানটা কোনো বক্তৃতার মাস নয়, আমি যে কথাগুলো বলেছি সেটা আমার জন্যে বলেছি এবং আপনাদের জন্যেও বলেছি। আমরা মনে করি, প্রত্যেকটা মানুষেরই রমযানটাকে একটা মাইল ফলক মনে করা দরকার। আল্লাহ তাবারকা ওয়া তায়ালা আমাদেরকে একটা সুযোগ দিয়েছেন, যেটাকে বলা হয়, ‘নেকির মওসুম’। আল্লাহ তাবারকা ওয়া তায়ালার দেয়া সুযোগগুলো যেন গ্রহণ করতে পারি, আদেশ নিষেধগুলো মেনে চলতে পারি। আল্লাহ তাবারকা ওয়া তায়ালা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।

পুনরায় আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কাছে এ রমযানটা যেন কার্যকর রমযান হয় এবং এই রমযান যেন একটা পথের দিশা হয়, এই রমযানটা যেন আমাদের জীবনে গুনাহ মাফের একটা উসিলা হয় এবং নতুন জীবন তৈরি করার ক্ষেত্রে একটা কার্যকরী ভূমিকা যেন আমরা পালন করতে পারি সে তাওফীকটুকু যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দেন, আমীন!!

হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ
চেয়ারম্যান
আল কোরআন একাডেমী লণ্ডন

01/03/2025

28/02/2025

আল কোরআন একাডেমী লন্ডনের (Al Quran Academy London) চেয়ারম্যান ডঃ হাফিজ মুনির উদ্দীন আহমদ সাহেবের কলকাতা সফর।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কর্মসূচির ডকুমেন্টারি।


আজ(১১/০২/২০২৫) কলম পত্রিকায় প্রকাশিত খবর।
11/02/2025

আজ(১১/০২/২০২৫) কলম পত্রিকায় প্রকাশিত খবর।


পশ্চিমবঙ্গের দ্য কোরআন স্টাডি সার্কেলের আয়োজিত ৩য় কোরআন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ও দ্বিতীয় সিরাতে নবী (সাঃ) প্রবন্ধ প্রতিযো...
04/02/2025

পশ্চিমবঙ্গের দ্য কোরআন স্টাডি সার্কেলের আয়োজিত ৩য় কোরআন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ও দ্বিতীয় সিরাতে নবী (সাঃ) প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ হাফেজ মুনির উদ্দিন আহমদ সাহেব।

Al Quran Academy London
Hafiz Munir Uddin Ahmed

Address

London
E10BB

Telephone

+442076508770

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hafiz Munir Uddin Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category