ATeam

ATeam যদি বাংলার মানচিত্রে, জাতীয় পতাকায়, জাতীয় সঙ্গীত, জাতির পিতা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আপনার আনুগত্য থাকে, আপনি বাই ডিফল্ট এটিমের একজন!

01/08/2025

এর একজন সদস্যের আইডি বোগদাদী হেকিম। ফলো করতে পারেন। বিফলে ফলো ফেরত ;)

⁨আইজিপি মামুনের জবানবন্দী নিয়ে আমাদের কিছু কথাআদালতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কথিত স্বীকারোক্তিমূলক জবান...
01/08/2025

⁨আইজিপি মামুনের জবানবন্দী নিয়ে আমাদের কিছু কথা

আদালতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কথিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর একটা কপি হাতে পেলাম। এটি দেখে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কিছু কথা না বললেই নয়।

যে ব্যক্তি একসময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ পদে ছিলেন, সেই ব্যক্তি আজ এক বছর সলিটারি কনফাইনমেন্টে কাটিয়ে অবৈধ সরকারের অবৈধ ট্রাইব্যুনালে যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই একটি স্বতঃস্ফূর্ত, বিবেকনির্ভর বক্তব্য হতে পারে না। এটি একটি সুপরিকল্পিত, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং ভবিষ্যতে সুবিধা লাভের আশায় প্রস্তুত করা আত্মরক্ষামূলক বিবৃতি—যার উদ্দেশ্য হলো দেশের নিরাপত্তা বাহিনী, অতীত সরকারব্যবস্থা ও একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসী রাষ্ট্রবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি করা। এই অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে একটি অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, পাকিস্তানপন্থী ও জঙ্গিবাদ লালনকারী গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায়।

আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—বর্তমান তথাকথিত 'ইউনুস সরকার' একটি অবৈধ গোষ্ঠী। এটি সংবিধান, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারকে পদদলিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। এই অবৈধ সরকারের কাছে আমাদের কোনো দাবি নেই। বরং আমাদের একমাত্র লক্ষ্য—এই অবৈধ, পাকিস্তানপন্থী, মৌলবাদপুষ্ট শাসনব্যবস্থা ও তাদের প্রতিটি ষড়যন্ত্রকে একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে সমূলে ধ্বংস করা।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার জবানবন্দির শুরুতে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের বর্ণনা দিয়েছেন, যেন তিনি একজন অভিজ্ঞ, দায়িত্বশীল, রাষ্ট্রসচেতন ব্যক্তি। অথচ তিনি পরক্ষণেই বলেন, "আমি জানতাম না", "আমি কিছু করতে পারিনি"—যা তার নিজস্ব বক্তব্যের সাথেই সাংঘর্ষিক। একদিকে তিনি ‘কোর কমিটি’র বৈঠকে অংশ নিয়েছেন যেখানে রাষ্ট্রের জনগণ, সম্পদ রক্ষা এবং জান মালের হেফাজতে আইনানুগ সিদ্ধান্ত হয়েছে; অন্যদিকে বলছেন, এসবের দায় তিনি নিতে পারেন না। এই দ্বৈত বক্তব্য একজন সাহসী, বিবেকবান রাষ্ট্রকর্মীর নয়; বরং একজন আত্মরক্ষামূলক, সুবিধাবাদী ও ভীতচিত্ত কর্মকর্তা যিনি বর্তমান অবৈধ সরকারের খুশি অর্জনের আশায় নিজের অতীতের গৌরবকে আজ বিকিয়ে দিচ্ছেন।

তিনি তার জবানবন্দিতে যেটিকে "বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন" বলেছেন, সেটি প্রকৃতপক্ষে ছিল একটি সুসংগঠিত উগ্রবাদী জঙ্গি-চক্রান্ত। জামাত-শিবির, হিযবুত তাহরীর এবং আন্তর্জাতিক ইসলামি মৌলবাদী সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এই 'হামলার' লক্ষ্য ছিল গণভবন অভিমুখে কোনো শান্তিপূর্ণ মিছিল নয়, বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে দেশের মূল কাঠামোকে ধ্বংস করে একটি পা'কিস্তান-পন্থী ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া। এই চক্রান্ত রুখতে দেশের পুলিশ, সেনা ও গোয়েন্দাবাহিনী যে দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে, তা ছিল সময়োপযোগী ও রাষ্ট্ররক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আইজিপি মামুন এই প্রতিরোধকে আজ অনুতাপের ভাষায় ব্যাখ্যা করে নিজেকে হাস্যকর হিসেবে উপস্থাপন করলেন। তিনি দাবি করছেন, র‍্যাবের TFI সেলে গোপনে বন্দি রাখা, নির্যাতনের ঘটনাগুলো তার জানার বাইরে ছিল। অথচ, তিনিই তখন র‍্যাবের মহাপরিচালক! এই বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে তিনি সেই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য ছিলেন; আর যদি মিথ্যা হয়, তাহলে তিনি বিশ্বাসঘাতক এবং ইতিহাস বিকৃতিকারী।

এই ব্যক্তির পারিবারিক ইতিহাসও গুরুত্বপূর্ণ। তার পিতা মান্নান চৌধুরী ছিলেন সুনামগঞ্জের একজন পরিচিত রা'জাকার-মনস্ক ব্যক্তি, যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। তার নানা ছিলেন কুখ্যাত মুসলেম রা'জাকার, যিনি কিশোরগঞ্জে গণহত্যায় জড়িত ছিলেন। মামুন এই পরিবারের আদর্শে বড় হয়েছেন। এই তথ্য কোনো কল্পনা নয়—সুনামগঞ্জের প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী তাঁর বই "ভাটি বাংলায় মুক্তিযুদ্ধ: আমার অহংকার"-এর ২৩২ নম্বর পাতায় লিখেছেন, “এক রাতে শ্রীহাইলের আবদুল মান্নান চৌধুরী এসে হাজির হলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ছিলেন আবদুস সামাদ আজাদের বন্ধু এবং শাল্লা আওয়ামী লীগের নেতা। যুদ্ধ চলাকালে ভয়ে পালিয়ে ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে এক পা'কিস্তানী দালালের আশ্রয়ে ছিলেন স্বীকার করে অনুরোধ জানালেন, শাল্লার সাময়িক প্রশাসনের দায়িত্ব দিয়ে তার মর্যাদা রক্ষা করার।” এই ইতিহাস মামুনের রাজাকার-ঘনিষ্ঠ মনস্তত্ত্বেরই প্রমাণ।

সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো, আইজিপি মামুন তার বক্তব্যে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম, অভ্যন্তরীণ বৈঠকের তথ্য, কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং অপারেশনাল কার্যক্রম জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন—যা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ড। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার ভিত নড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা, যার প্ররোচনায় রয়েছে বর্তমান অবৈধ সরকার ও তার পা'কিস্তানপন্থী পৃষ্ঠপোষকরা। যে বাহিনী শীর্ষ পদে সে ছিলো তাদের উপর পরিচালিত গণহ'ত্যা নিয়ে মামুনের কোন বক্তব্য নেই। তার বিবেক বন্ধক দেয়া না হলে এমনকি হবার কথা নয়।

এই স্বীকারোক্তি কোনো "বিবেকের তাড়না" থেকে আসেনি। এটি একটি পরিকল্পিত নাটক। এটি এসেছে রাষ্ট্রদ্রোহী চক্রের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসী পুলিশ, সেনা, প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের মনোবল ভেঙে দিতে চায়। আমরা ভুলে যাইনি—এই দেশ রক্ত দিয়ে গড়া। আমাদের চেতনার মূলভিত্তি গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতা। আমরা জানি কারা এই ভিত্তিকে নষ্ট করতে চায়, এবং কারা তাদের হয়ে স্বেচ্ছায় নাটকের অংশ হয়ে উঠছে।

আমরা আইজিপি মামুনের এই স্বীকারোক্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বলি—বর্তমান অবৈধ ইউনুস সরকার ও তাদের দোসরদের প্রতিটি ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হলে, রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে 'একাত্তরের পক্ষের' শক্তিকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। এই সময়, এই মুহূর্ত, এই চক্রান্তের বিপরীতে আমাদের এখন এক দফা এক দাবিই—চূড়ান্ত প্রতিরোধ ও রাষ্ট্রীয় মুক্তি।

20250801

01/08/2025

ইউনূসের এপিএস শাব্বীরের নির্দেশে, শাহবাগ ব্লকেডের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ

20250745

#এনসিপি #জনদুর্ভোগ

#শাহবাগ

শোকাবহ আগস্ট
31/07/2025

শোকাবহ আগস্ট

31/07/2025

খুবই ছোট্ট একটা স্বীকারোক্তি, কিন্তু প্রচণ্ড তাৎপর্যপূর্ণ।
এ থেকে আমরা যা বুঝলাম:

১। জামায়াতের এই নায়েবে আমির ৯৯% সত্য কথা বলেছে। আমেরিকার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে তারাও অবশ্যই জামায়াতের পার্টনার ছিলো; কিন্তু ফান্ডিংসহ মূল ড্রাইভার ছিলো জামায়াত।

২। বাংলাদেশে রেজিম চেঞ্জের জন্য ডিপস্টেটের ২৯ মিলিয়ন ডলারের যে ফান্ডিংয়ের কথা বলা হয়, সেটি এমন একটি মেগা প্রজেক্টের জন্য একেবারেই অপ্রতুল ছিলো। জামায়াত এমনকি গত বছর জুলাইয়েই কয়েক হাজার কোটি টাকা ঢেলেছিলো বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়।

৩। জামায়াতকে টাকা দিতে হয়েছে আমেরিকা, জাতিসংঘ, ইউরোপসহ ডঃ ইউনূসের মিত্রদেরকে। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি ঠেকাতে জাতিসংঘ বা আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন এমনি এমনি আসেনি। এমনকি তারেক জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের একাংশও জামায়াতের কাছ থেকে টাকা পেয়ে আন্দোলনে ভাড়া খেটেছে বলে ধারণা করা যায়।

৪। সমন্বয়কদের ব্যাপারটি ইন্টারেস্টিং। নাহিদ এখন দাবি করছে যে, জামায়াতের এই দাবি সত্য নয়। জামায়াত আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলো না। কিন্তু অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, সমন্বয়কদের একটি অংশ সরাসরি শিবির নেতাকর্মী ছিলো। এমনকি তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে! একেবারে টপ লেভেলের নেতাকর্মীদেরকে অনেককে হয়তো তারা সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়নি এক্সপোজড হওয়ার ভয়ে। আবার আরেক দল ছিলো হায়ার করা সমন্বয়ক। হাসনাত, সার্জিসরা এরকম হায়ার করা দলের। এরা ছাত্রলীগ করতো। কিন্তু, টাকার বিনিময়ে এদেরকে জামায়াতের স্বার্থরক্ষার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।

৫। বিএনপি, বাম দলগুলো এবং অন্যান্য ছোটখাটো রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরাও সরাসরি টাকা বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য আন্দোলনে শরীক হয়েছিলো।

৬। কিশোর গ্যাংদের পেছনে খুব বেশি খরচ হয়নি। ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য নেশার টাকাই তাদের জন্য যথেষ্ট। অনেকেই ফ্রি বিরিয়ানীর লোভে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।

৭। মিডিয়া ও সেলিব্রেটিদের পেছেনে জামায়াতকে দীর্ঘমেয়াদে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে। পশ্চিমাদের পরেই সম্ভবত তাদের অবস্থান। এরা জামায়াতকে দীর্ঘদিন যাবৎ সার্ভিস দিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে আমেরিকার নিশ্চয়তা পেয়ে তারা প্রকাশ্য হওয়ার সাহস পায়।

৮। জামায়াতের জন্য আরেকটি ব্যয়বহুল সেক্টর ছিলো আর্মি। আর্মির একটা অংশ আদর্শিকভাবেই আওয়ামী লীগ বিরোধী। তারপরও সরকারকে উৎখাতের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তাদেরকে রাজি করতে অবশ্যই অনেক খরচ হয়েছে।

৯। জামায়াত জানে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তাদেরকে পছন্দ করে না। সুতরাং, আন্দোলনের নেতৃত্ব দূরে থাক, তারা যে আন্দোলনে আছে এটিও জানানোর সাহস করেনি।

১০। জামায়াত সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস করে বিএনপিকে। বিএনপি যে একটি লোভী এবং নীতি আদর্শহীন দল, জামায়াতের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। এজন্য বিএনপিকে ইউজ করলেও তাদেরকে আন্দোলনের উদ্দেশ্য-বিধেয় সম্পর্ক ইনসাইড ইনফো জানায়নি। ডঃ ইউনূসও এখন বিএনপিকে ডাকে শুধুমাত্র খুব বিপদে পড়লে। মির্জা ফখরুলদেরকে কিছু টাকা পয়সা হয়তো দেয়, আর জামায়াতকে দিয়ে কিছু থ্রেট, যাতে লাইনে থাকে।

৫ই আগস্ট পরবর্তী যতো ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম হয়েছে, সবগুলোরই মূল উদ্দেশ্য ৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া এবং একমাত্র জামায়াতই সেই পরাজিত শক্তি। ৭১ নিয়ে ইউনূসের কোনো প্লাস-মাইনাস নেই। আর্মিরও কোনো প্লাস-মাইনাস নেই। তারা স্রেফ জামায়াতের কেনা ভৃত্য হিসাবে আদেশ পালন করছে।

20250743

29/07/2025

ইউনূসের মিথ্যাচার যেভাবে ধরা পড়লো!

20250742

29/07/2025

মহাজনে খুইলা দিছে
মেটিকিউলাস ধান্দা
রিক্সাওয়ালার পোলাও চায়
কোটি টাকা চান্দা।

দে দে দে চান্দা দেরে
চান্দা দে
না হয় মব ধোলাই খাইয়া
জানডা দে।

আমরা এখন উদ্যোক্তা
এনসিপির নেতা
কোটা না মেধা শ্লোগানরে
দিয়েছি টা-টা।

দে দে দে চান্দা দেরে
চান্দা দে
না হয় মব ধোলাই খাইয়া
জানডা দে।

আওয়ামী ট্যাগ লাগাইয়া
ফান্দে ফেলি
লাল স্বাধীন বাংলাদেশে
চান্দা তুলি।

দে দে দে চান্দা দেরে
চান্দা দে
না হয় মব ধোলাই খাইয়া
জানডা দে।

20250741

‘বিএনপির গণহত্যা এবং হত্যাযজ্ঞ’ পুরান ঢাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডটির পর বিএনপিকে নিয়ে কিছু দালাল বলার চেষ্টা করছে বিএনপি...
28/07/2025

‘বিএনপির গণহত্যা এবং হত্যাযজ্ঞ’

পুরান ঢাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডটির পর বিএনপিকে নিয়ে কিছু দালাল বলার চেষ্টা করছে বিএনপি খারাপ হতে পারে কিন্তু তার ভেতর গণহত্যার এলিমেন্ট নাই। সত্যিই কি তাই?নিরপেক্ষ উপাত্তমতে জামাতের পর বিএনপি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যাকারী দল। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বা সম্পদের উপর কোন হুমকি না হলেও অসংখ্য মানুষ গণহত্যা বা হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে এই দলটির হাইকমান্ড দ্বারা।

গণহত্যা (জেনোসাইড) এবং হত্যাযজ্ঞ( ম্যাসকিলিং বা ম্যাসাকার) দু’টি ভিন্ন ব্যাপার। ইদানীং সদ্যোজাত ফেসবুকিয় সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ব্যাপার দু’টিকে গুলিয়ে ফেললেও সর্বজনীন বিষয়গুলোতো আসলে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বিএনপি বর্তমানে ফ্যাসিবাদ,বিচার, গণহত্যা নিয়ে অনেক বড় বড় ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের ইতিহাসের পোস্টমরটেম করলে যেসব গণহত্যা এবং হত্যাযজ্ঞ উভয়ই খুঁজে পাওয়া যায় তা নিয়েই আজকের আলোচনা করা হবে।

গণহত্যা আসলে কী? গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। তাই চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের গণহত্যা অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনে গণহত্যা কি হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে তা নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ২ অনুযায়ী:
গণহত্যা হলো একটি জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত যেকোনো কাজ করা :

(ক) দলের সদস্যদের হত্যা করা;
(খ) দলের সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা;
(গ) ইচ্ছাকৃতভাবে গোষ্ঠীর উপর জীবনের পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া যা তাদের সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভৌত ধ্বংস ডেকে আনবে;
(ঘ) গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম রোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ করা;
(ঙ) দলের শিশুদের জোরপূর্বক অন্য দলে স্থানান্তর করা।
অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট মতধারা, জীবনধারা সংস্কৃতি বা বিশ্বাসকে পৃথিবী থেকে দূর করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে দমন করার জন্য যা যা করা হয় তাই গণহত্যার অংশ হয়ে যায়।

অন্যদিকে হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে গণহত্যার এলিমেন্ট ছাড়া বড় আকারের হত্যাকাণ্ড।

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েকটি নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বা গণহত্যার কাছাকাছি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এই গণহত্যা বা হত্যাযজ্ঞগুলোর সাথে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কোন সম্পর্ক ছিল না। শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এগুলো ঘটানো হয়েছিল।

*১৯৭৭ সালের গণহত্যা-
এখানে যেহেতু একটি নির্দিষ্ট পেশাজীবীকে টার্গেট করা হয়েছিল তাই নারকীয় ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা ক্ষমতার মূল স্টেকহোল্ডার হয়ে উঠে। তাই পাকিস্তান ফেরত সেনাবাহিনির সদস্যদের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের অঘোষিত যুদ্ধসম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নানান পট-পরিবর্তনের পর ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সামরিক ক্যু এর ধুয়া তুলে সশস্ত্র বাহিনির ভেতর থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম গণহত্যাটি শুরু করেন। যা চলেছিল অন্তত দুই মাস।

এই গণহত্যার পেছনে সামরিক ক্যু’র অজুহাত দেওয়া হলেও তা কোনোভাবেই এই নৃশংস গণহত্যাকে জাস্টিফাই করে না।

হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বীর সামরিক সদস্যবৃন্দ জেনারেল জিয়ার অবৈধভাবে দখলকৃত ক্ষমতা ও রাজাকার তোষণের প্রতি হুমকি হলেও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তারা কোনোভাবেই হুমকি ছিলেন না। উল্টো তাঁরা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক সৈনিক।

এই সময়কালে সরকারি নথি অনুযায়ী ১১৪৩ জন সশস্ত্র বাহিনির সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। বেসরকারি হিসেবে যা ১৫০০-২০০০জন বা আরোও বেশি। অনেককে গুম করা হয়েছিল যাদের খোঁজ আজও তাঁদের পরিবার পায় নি।

*২০০৬ সালের কৃষক গণহত্যা

চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে চার মাস ধরে চলা আন্দোলনে ৩১ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এখানে হত্যা করার জন্য নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে এটাকে গণহত্যা হিসেবে বলা যায়।

(তথ্যসূত্র- https://web.archive.org/web/20210411162544/http://archive.thedailystar.net/2006/04/10/d6041001011.htm )

*২০১৩-১৪-১৫ সালের হত্যাযজ্ঞ

২০১৩-১৪-১৫ সময়ে বিএনপি ও জামাত মিলে প্রায় ৫০০ জন সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। বিএনপি স্বভাবতই এর দায় অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের দোষ দেয়। লীগের দোষ ছিল একটাই তারা সরকারে থেকেও এটা ঠেকাতে পারে নাই। কিন্তু এই হত্যাযজ্ঞের পুরো দায় ছিল বিএনপির। বিএনপি এখানে দোষী না হলে নিজেদের হাত পরিষ্কার করতে এখন ,যখন রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের হাতে, এই ব্যাপারে কনক্রিট প্রমাণ হাজির করতে পারতো( থাকলে তো করবে)। এসব অভিযোগ নিয়ে এখন তাদের মাথাব্যথা নাই কারণ এটা নিশ্চিতভাবেই পরিষ্কার যে এই হত্যাযজ্ঞটি তারাই ঘটিয়েছিল। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটা দলের অতীত উন্নয়ন ও সুশাসনের ইতিহাস লাগে, ইশতেহার লাগে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল মানুষকে ভয় দেখিয়ে, যে আমাদের ক্ষমতায় আনো তাহলে আমরা তোমাদের পুড়িয়ে হত্যা করা বন্ধ করবো।

(তথ্যসূত্র- https://www.dw.com/bn/থামাও-মানুষ-পুড়িয়ে-হত্যার-পৈশাচিকতা/a-18246231)

*এছাড়াও ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত মিলে দেশজুড়ে যে নারকীয় তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল এবং ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা দ্বারা বিরোধী দলের উপর চালানো হত্যাযজ্ঞ এই দু’টি সর্বজনবিদিত।

২০২৪ এর হত্যাযজ্ঞে বিএনপির দায় আছে কী?

একটা কৌতূহলউদ্দীপক ব্যাপার হচ্ছে, ২০২৪ এ জুলাই-আগষ্টের ষড়যন্ত্র যে কয়টি হত্যাকাণ্ডের জন্য একটি সহিংস আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল তার সবকটিই এখন পর্যন্ত বিতর্কিত। ডিপস্টেইটের রেজিম চেঞ্জের ক্লাসিক সিগনেচার বলা যায় এগুলোকে। পরবর্তীতে সত্যিই কী হয়েছিল তা হয়তো ভবিষ্যত ঠিক করে দেবে। বাংলাদেশে একটা সরকার তার নিজের পতনের জন্য শখ করে স্নাইপার দিয়ে সিঙ্গেল শটে দুইজন মানুষ মারে না (https://www.facebook.com/61573623651689/videos/4023070837978531/ ) ।

তাই এই ষড়যন্ত্রকে সহিংসতার রূপ দেওয়ার জন্য দায়ী বিতর্কিত হত্যাকাণ্ডগুলো ডিপস্টেটের সাথে বিএনপি-জামাতের কোলাবরেশনের ফলাফল হবার বড় সম্ভাবনা আছে। এটি প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু এরকমটা হলে এই জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের দায়ও একদিন বিএনপি ও জামাতকেই নিতে হবে।

বিএনপি যাদের উপর গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের কেউই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার উপর হুমকি ছিল না। দলটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় বা আত্মরক্ষার্থে এই ঘটনাগুলি ঘটায় নি। বেশিরভাগ সময়ই এগুলো তারা ঘটিয়েছে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে।

এখন দু’টি প্রশ্ন,

১)এতগুলো গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের দায় নিয়েও বিএনপির বিচার কী হলো?
২)এই গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞগুলোর পরও তারা অলি-আউলিয়ার মতো আচরণ কীভাবে করছে?
উত্তরের ভার পাঠকদের উপর ছেড়ে দেওয়া হলো।

20250740

মানুষের ভাব দেখে বাঁচি না। এজ ইফ, তারা সব আকাশ থেকে এইমাত্র পড়লো। কিছু জানে না, কিছু বুঝে না। ৫ আগস্টের পর থেকে লাখ লাখ ...
28/07/2025

মানুষের ভাব দেখে বাঁচি না। এজ ইফ, তারা সব আকাশ থেকে এইমাত্র পড়লো। কিছু জানে না, কিছু বুঝে না। ৫ আগস্টের পর থেকে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত, হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুট হয়েছে, বাজার-বন্দর সমস্ত জায়গায় দখলবাজী হয়েছে, মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষদের হয়রানী করা হয়েছে, বিচারকদের মব দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হয়েছে, জেলে দেয়া হয়েছে, মিডিয়া- পত্রিকা সব জবরদখল হয়েছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি বেড়েই চলেছে।

সেই তুলনায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি নিতান্ত মামুলি ঘটনা। এনসিপি নেতারা সিএমএইচে বসে চাঁদাবাজি করে এটা আজকে প্রথম শুনলেন? ভুয়া মামলা দিয়ে মানুষের থেকে নাহিদ তার বাবা এবং এনসিপির লোকেরা চাঁদাবাজি করছে এটা নতুন কিছু? সত্যি করে বলেন এদের কোটি কোটি টাকার গাড়ি, বাড়ি, পোষাক-আষাক দেখে সন্দেহ হয় নাই আপনাদের?

রিক্সাওয়ালার পরিবারের সদস্য রাজ্জাক তার সাথিরা তো ছিচকে চোর। এইসব চাঁদাবাজির মূল অনেক গভীরে। যাদের নাম আপনারা নিতেই সাহস পাবেন না। এরা যদি নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় যেতে পারে তখন কী করতে পারে আগেই ভাবেন। বন্দর নেই, পার্বত্য চট্টগ্রাম যায় যায় অবস্থা। এখন যদি না ভাবেন তাহলে আবারও আকাশ থেকে পড়বেন। কিন্তু, সেই পড়া হবে লোক দেখানো। না থাকবে দেশ, না থাকবে ভিটা ভূমি। নিজের দেশে স্ট্যাটাস হবে রিফিউজির।

20250739

27/07/2025

এর রবিবারের আড্ডায় সবাইকে সুস্বাগতম।

20250738

27/07/2025

আমাদের জানামতে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেশের বাইরেই আছেন। তো, দেশের বাইরে থেকে পাবলিকলি কথা বলতে সমস্যা কোথায়?

20250737

  এর রবিবারের আড্ডায় দেখা হচ্ছে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায়।  20250736
27/07/2025

এর রবিবারের আড্ডায় দেখা হচ্ছে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায়।

20250736

Address

1 TAYLOR Place LONDON ENGLAND London
London
E32FX

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ATeam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ATeam:

Share