Daily10

05/09/2025

05/09/2025

সেপ্টেম্বরে ধর্মঘটের সম্পূর্ণ সময়সূচি ও প্রভাবিত লাইনসমূহের তথ্য বিস্তারিত সংবাদে

05/09/2025

অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগপত্র: কিয়ার স্টারমারের উদ্দেশ্যে আবেগঘন চিঠি

যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী, হাউজিং ও স্থানীয় সরকার সচিব এবং লেবার পার্টির উপনেতা অ্যাঞ্জেলা রেইনার স্ট্যাম্প ডিউটি কর প্রদানে অনিচ্ছাকৃত ভুলের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। স্বাধীন তদন্তে তাঁকে সততা ও সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রীসুলভ সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়। রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিদায় নিতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের উদ্দেশ্যে একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন, যেখানে নিজের ভুল স্বীকার করার পাশাপাশি দায়িত্বের সময় অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ প্রত্যয়ের কথাও তুলে ধরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের উদ্দেশ্যে অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগপত্র পাঠকদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ:

প্রিয় কিয়ার,

গত কয়েকদিনে আপনি যে ব্যক্তিগত ও প্রকাশ্য সমর্থন আমাকে দিয়েছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি জানেন, বুধবার আমি আমার ব্যক্তিগত আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য আপনার মন্ত্রী-নৈতিকতা বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজেকে স্বেচ্ছায় উপস্থাপন করি। আমি উপলব্ধি করি যে আমার দ্বিতীয় বাড়ির জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি ল্যান্ড ট্যাক্স (এসডিএলটি) পরিশোধের ক্ষেত্রে আমি সম্ভবত অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হার পরিশোধ করেছি।

উপ-প্রধানমন্ত্রী, হাউজিং, কমিউনিটিস ও স্থানীয় সরকার বিষয়ক সচিব এবং সংসদ সদস্য হিসেবে আমি সবসময় আমার দায়িত্ব সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে পালন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ব্রিটিশ জনগণের সেবায় যারা সরকারে কাজ করেন তাদের সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলা উচিত। যদিও স্বাধীন উপদেষ্টা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে আমি সততা ও সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করেছি, আমি মেনে নিচ্ছি যে সাম্প্রতিক সম্পত্তি ক্রয়ে আমি সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে পারিনি।

হাউজিং সচিব হিসেবে আমার দায়িত্ব এবং জটিল পারিবারিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও আমি যে বিশেষায়িত কর পরামর্শ নেইনি, তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এ ভুলের পূর্ণ দায়ভার আমি নিচ্ছি। আমি আবারও বলতে চাই, সঠিক কর পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য আমার কখনোই ছিল না।

আমার পরিবার ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য চাপের মধ্যে রয়েছে। আমি নিজে জনসমালোচনা মেনে নিতে প্রস্তুত, কিন্তু আমার পরিবার এই আলোচনার অংশ নয়। তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে এভাবে জনসম্মুখে উন্মোচন হওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। আমার অগ্রাধিকার সবসময় আমার সন্তানদের সুরক্ষা, আর এই পদে থেকে তাদের যে চাপ দিচ্ছি তা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

তদন্তের ফলাফল এবং পারিবারিক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আমি উপ-প্রধানমন্ত্রী, হাউজিং, কমিউনিটিস ও স্থানীয় সরকার সচিব এবং লেবার পার্টির উপনেতার পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

স্টকপোর্টের এক কাউন্সিল এস্টেটে বেড়ে ওঠা এক কিশোরী মা থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করা—এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। সরকার চালানোর চ্যালেঞ্জ কখনোই সেই চ্যালেঞ্জের মতো কঠিন ছিল না, যখন আমি গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে সন্তানদের খাওয়ানো আর মাথার উপর ছাদ জোগাড় করার সংগ্রাম করতাম। আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখনো সেই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

আমি সবসময় জানতাম রাজনীতি জীবনের গতিপথ বদলায়, কারণ রাজনীতি আমার জীবন বদলেছে। গত লেবার সরকার আমাকে ও আমার ছেলেকে ভালো জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। সেই কারণেই আমি সরকারে প্রথম দিন থেকেই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেই পরিবর্তন আনতে নিরলস পরিশ্রম করে গেছি। প্রতিদিন আমি কাজ করেছি সেই কর্মজীবী সম্প্রদায়গুলোর জন্য, যাদের আমি বড় হতে দেখেছি এবং যাদেরকে ক্ষমতাসীনরা প্রায়শই অবহেলা করে।

আমি গর্বিত যে প্রতিটি সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি তাদের কথা ভেবেই নিয়েছি। আমি কখনো উপ-প্রধানমন্ত্রী হতাম না যদি গত লেবার সরকার আমাকে কাউন্সিল হাউজ, শিশু প্রতিপালনের জন্য শিউর স্টার্ট, আর ন্যূনতম মজুরির সুরক্ষা না দিত। আমি কেবল আশা করতে পারি যে সরকারে আমি যে পরিবর্তন আনতে পেরেছি তা আমার মতো পরিবেশে বেড়ে ওঠা তরুণী মেয়েদের জীবনেও প্রভাব ফেলবে।

আমার কর্মসংস্থান অধিকার বিল দেশের কর্মজীবী মানুষের জন্য এক প্রজন্মে সবচেয়ে বড় অধিকার-উন্নতি এনে দেবে। অস্থির ও স্বল্পমজুরি কাজে নিযুক্ত মানুষদের জন্য এটি মর্যাদা ও সুরক্ষার পথ খুলে দেবে। এই উত্তরাধিকার আমি সবসময় গর্বের সঙ্গে বহন করব।

আমাদের ভাড়াটিয়াদের অধিকার সংক্রান্ত বিল প্রথমবারের মতো "নো-ফল্ট ইভিকশন" নিষিদ্ধ করেছে এবং ভাড়াটিয়া-গৃহস্বামীর মধ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে এনেছে। সবারই একটি নিরাপদ ও শোভন বাসস্থানের অধিকার রয়েছে, আর এই আইন লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

প্ল্যানিং ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল সারা দেশে নতুন ঘরবাড়ি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে, আর আমরা সামাজিক ও সাশ্রয়ী হাউজিং খাতে প্রজন্মের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছি। গত সপ্তাহেই আমি পার্লামেন্টে ইংলিশ ডিভলিউশন বিল পেশ করেছি—যা ওয়েস্টমিনস্টারের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ।

আমরা ভোটাধিকার প্রসারে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছি, যেখানে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরা প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার পাবে। একইসঙ্গে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও ভোটার তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা স্থানীয় সরকারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করেছি এবং এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ন্যায্য অর্থায়ন পর্যালোচনা ও বহু বছরের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।

আমার মন্ত্রণালয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে গৃহহীনতা প্রতিরোধ সেবায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ বরাদ্দ করেছে। আমরা হাউজিং নিরাপত্তা সংকট কাটিয়ে উঠতে নিরলস কাজ করেছি, অবহেলাকারী ফ্রিহোল্ডারদের জবাবদিহির আওতায় এনেছি, ঘৃণা অপরাধ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করেছি।

আমি ভাগ্যবান যে একদল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মন্ত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি, যারা কর্মজীবী মানুষের জন্য সবকিছু করেছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। একইসঙ্গে আমার সংসদীয় দলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।

আমার কাছে অফিসে থাকা মানে হলো সেই মানুষদের জীবন বদলানো, যাদের সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। আমি ভবিষ্যতেও এই লক্ষ্যেই কাজ চালিয়ে যাব।

আপনার নেতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের জন্য ধন্যবাদ। আগামী দিনগুলোতে আমি আমাদের দেশ, পার্টি এবং প্রিয় আন্দোলনের জন্য কাজ করে যাব।

আপনার বিশ্বস্ত,
অ্যাঞ্জেলা রেইনার

05/09/2025

দ্বিতীয় বাড়ির ট্যাক্স ঠিকমতো না দেওয়ায় উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেয়নার পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, এটা ছিল তার ভুল সিদ্ধান্ত, এবং তিনি পুরো দায় নিচ্ছেন।
তদন্তে জানা গেছে, রেয়নার মন্ত্রীর আচরণবিধি ভেঙেছেন।

05/09/2025

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার।

05/09/2025

অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও দেড় বছরের চুক্তিতে ফের আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানোর সময় তিনি অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় তিনি জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্য কাউকে আইজিপির দায়িত্ব দিতে বলেছিলেন।