https://www.facebook.com/107980719009624/

Miles & Memories, London (2025)

15/07/2025

🌳 ডার্ক হেজেস - ইতিহাস, হলিউড ও হরর কাহিনির এক মোহময় সমারোহ 🌫️
📍 বাল্লিমানি, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড

নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি আন্ট্রিমে অবস্থিত “The Dark Hedges” এক অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক, যা পর্যটকদের কাছে রূপকথার জগতের মতো মনে হয়। দু’পাশে সারি সারি পুরনো বিচ গাছ (beech trees) দিয়ে ঘেরা এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল ১৮শ শতকের শেষ দিকে স্টুয়ার্ট পরিবার তাদের বাড়ি Gracehill House-এ যাবার রাস্তাটি সৌন্দর্যমন্ডিত করতে।

এই শতাব্দীপ্রাচীন গাছগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক রহস্যময় দৃশ্য তৈরি করেছে — যেন একটি প্রাকৃতিক টানেল যা ধীরে ধীরে অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই একে “দ্য ডার্ক হেজেস” বলা হয়।

🎬 Game of Thrones-এর শুটিং লোকেশন
বিশ্ববিখ্যাত টিভি সিরিজ Game of Thrones-এর ভক্তদের জন্য এটি একটি বিশেষ জায়গা। এখানে Kingsroad নামে পরিচিত দৃশ্যগুলো চিত্রায়িত হয়েছে, যেখানে আরিয়া স্টার্ক ওয়েস্টারোজ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। এখানকার গা ছমছমে পরিবেশ ক্যামেরায় অসাধারণভাবে ধরা পড়েছে, যা এই জায়গার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

👻 “গ্রে লেডি” – ডার্ক হেজেসের ভূতের কাহিনি
ডার্ক হেজেসকে ঘিরে রয়েছে এক রহস্যময় কাহিনি। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এখানকার গাছগুলোর ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে এক নারীকে সাদা-ধূসর পোশাকে হেঁটে যেতে দেখা যায় — যাকে বলা হয় “The Grey Lady”।

লোককথা অনুযায়ী, তিনি হয়তো গ্রেসহিল হাউসের কোনো গৃহপরিচারিকা ছিলেন, অথবা হয়তো কোনো প্রাচীন সমাধি থেকে উঠে আসা আত্মা। কেউ কেউ বলেন, তিনি নাকি গাছের ছায়ায় হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, আবার কেউ বলেন গাছগুলো তাকে গ্রাস করে নেয়। এই ভৌতিক কাহিনি জায়গাটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।

📸 যদি আপনি প্রকৃতি, ইতিহাস কিংবা Game of Thrones এর ভক্ত হন অথবা একটু ভৌতিক আবহ উপভোগ করতে চান, তবে ডার্ক হেজেস একবার ঘুরে দেখা চাই।

🚗 কিভাবে যাবেন:
লন্ডন থেকে বেলফাস্ট পর্যন্ত ফ্লাইটে গিয়ে সেখান থেকে গাড়ি/ট্যুর বাসে করে Bregagh Road, Ballymoney পৌঁছানো যায়। গাড়ি পার্কিং সুবিধা কাছাকাছি রয়েছে।

⸻

⏳ প্রকৃতি, হলিউড আর লোককথার এক অপূর্ব মিলনস্থল “The Dark Hedges” আপনার ক্যামেরা আর কল্পনায় চিরদিনের জন্য জায়গা করে নেবে।

11/07/2025

নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের Giant’s Causeway এক ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক বিস্ময়, যা ১৯৮৬ সালে UNESCO World Heritage Site হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে আগ্নেয়গিরির লাভা ঠাণ্ডা হয়ে তৈরি হয় এই হাজার হাজার ষড়ভুজাকৃতির পাথরের স্তম্ভ, যা আজ বিশ্বজুড়ে বিস্ময়ের এক অনন্য নিদর্শন। স্থানীয় কিংবদন্তী মতে, এটি তৈরি করেছিলেন বিশালদেহী দৈত্য Finn McCool – যার জন্য একে “Giant’s Causeway” বলা হয়।

🌍 কীভাবে যাবেন লন্ডন থেকে Giant’s Causeway:
• ✈️ লন্ডন থেকে Belfast বা Derry বিমানবন্দরে ফ্লাইট নিন (1 ঘণ্টা মতো)।
• সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বা বাস/ট্যুর প্যাকেজে করে Giant’s Causeway পৌঁছানো যায় (প্রায় 1.5-2 ঘণ্টার পথ)।

🏨 কোথায় থাকবেন:
• কাছাকাছি থাকা শহর Bushmills, Portrush, বা Coleraine-এ অনেক সুন্দর হোটেল, গেস্টহাউস ও B&B পাওয়া যায়।

🚗 পার্কিং অপশন:
• Giant’s Causeway Visitor Centre-এ পেইড পার্কিং সুবিধা আছে।
• তবে আপনি যদি National Trust Member হন, তাহলে পার্কিং ও এন্ট্রি ফ্রি।

🍴 খাবারের অপশন:
• ভিজিটর সেন্টারে ক্যাফে আছে যেখানে হালকা খাবার, কফি ও লাঞ্চ পাওয়া যায়।
• আশেপাশের Bushmills বা Portrush-এ স্থানীয় রেস্টুরেন্ট, ফিশ অ্যান্ড চিপস ও আইরিশ খাবার পাওয়া যায়।

🛍️ অন্য সুবিধা:
• পর্যটকদের জন্য Visitor Centre-এ Exhibition Gallery, Gift Shop, Guided Tour ও Audio Guide-এর সুবিধা আছে।
• হুইলচেয়ার ও বাচ্চাদের জন্য stroller-accessible পথও রয়েছে।

Giant’s Causeway শুধু একটি ভ্রমণস্থান নয়, এটি প্রকৃতির এক মহাকাব্যিক সৃষ্টি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য এটি এক অপরিহার্য গন্তব্য। 🇬🇧🌊🪨

#প্রাকৃতিক_অলৌকিকতা

08/07/2025

🏰 ডানলুস ক্যাসেল: ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী 🇮🇪
📍 লোকেশন: উত্তর আয়ারল্যান্ডের কসওয়ে কোস্ট, আনট্রিম কাউন্টি

উত্তর আয়ারল্যান্ডের অন্যতম মনোরম এবং রহস্যময় ঐতিহাসিক স্থান হচ্ছে ডানলুস ক্যাসেল (Dunluce Castle)। আটলান্টিক মহাসাগরের ধারে খাড়া পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই ধ্বংসপ্রায় প্রাসাদটি ইতিহাস, রোমাঞ্চ আর রহস্যে ভরপুর।

🕰️ ইতিহাস:
ডানলুস ক্যাসেল নির্মিত হয়েছিল ১৩শ শতকের শেষের দিকে। প্রথমে এটি রিচার্ড ডি ব্যার্গো নামে এক অ্যাংলো-নরম্যান নেতা দ্বারা নির্মিত হয়। পরে এটি শত্রু দখল, যুদ্ধ ও রাজনীতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বারবার হাতবদল হয়।

১৬শ শতকে এটি ম্যাকডোনেল পরিবারের হাতে আসে, যারা স্কটল্যান্ড থেকে এসে উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রভাব বিস্তার করে। এই পরিবারই ডানলুস ক্যাসেলকে তাদের প্রধান আস্তানা বানায়।

😱 রহস্য ও দুর্ঘটনা:
১৬৩৯ সালে একটি ভয়ংকর ঘটনা ঘটে — ক্যাসেলের রান্নাঘর সমুদ্রের নিচে ভেঙে পড়ে যায় এবং সেখানে কাজ করা কয়েকজন কর্মী সাগরে তলিয়ে যান। এই ঘটনার পর থেকে ক্যাসেলটি ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

🎬 সংস্কৃতি ও জনপ্রিয়তা:
ডানলুস ক্যাসেল তার সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য বহু সিনেমা ও সিরিজে ব্যবহার হয়েছে। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ Game of Thrones-এ এটি “House Greyjoy” এর দুর্গ হিসেবে চিত্রায়িত হয়।

🌊 দর্শনীয়তা:
আজও যারা এখানে যান, তারা বিশাল আটলান্টিকের গর্জন, প্রাচীন প্রাসাদের ভাঙা দেয়াল এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। এটি যেন সময়ের এক স্তব্ধ দলিল।

📸 আপনি যদি উত্তর আয়ারল্যান্ডে যান, তাহলে ডানলুস ক্যাসেল না দেখে ফিরে আসবেন না। ইতিহাস, প্রকৃতি আর রহস্যের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন এই জায়গাটি।

#আয়ারল্যান্ড_ভ্রমণ

05/07/2025

London 🔥

30/06/2025

একদিনের ভ্রমণ: লন্ডন থেকে ক্যান্ট-এর ক্যাসল ফার্ম ল্যাভেন্ডার গার্ডেন

গত সপ্তাহে এক চমৎকার দিন কাটালাম আমরা বন্ধু ও পরিবার নিয়ে ক্যাসল ফার্ম ল্যাভেন্ডার গার্ডেনে। লন্ডন থেকে নিজেদের গাড়িতে করে মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাই ক্যান্ট-এর এই মনোমুগ্ধকর স্থানটিতে। সবুজ পাহাড় আর বেগুনি ল্যাভেন্ডার ফুলের মেলা যেন চোখে প্রশান্তি এনে দেয়।

আমরা সকালে রওনা দিয়েছিলাম যেন ভিড় এড়িয়ে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারি। গেটের পাশে যথেষ্ট পার্কিং সুবিধা রয়েছে, যা প্রি-বুক করলে আরও সুবিধাজনক। যারা গাড়ি না নিয়ে যেতে চান, তারা লন্ডন ভিক্টোরিয়া থেকে ট্রেনে করে ওটফ্যাম (Otford) অথবা ইগাম (Eynsford) স্টেশনে গিয়ে সেখান থেকে ট্যাক্সি করে বা বাস ধরে সহজেই পৌঁছাতে পারেন।

আমরা নিজেরা রান্না করা খাবার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম—বিফ তেহারি, ডিমের কারি, সালাদ, চা ও ঠাণ্ডা পানীয়। ক্যাসল ফার্ম-এর নির্ধারিত পিকনিক এরিয়াতে বসে খাবার খাওয়া ও গল্প করার মজাটাই ছিল আলাদা। খোলা মাঠে বসে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সবার মুখেই হাসি লেগে ছিল। শিশুদের খেলাধুলা, বড়দের আড্ডা আর ফটো তোলার ধুমে সময় কেমন কেটে গেল টেরই পেলাম না।

গার্ডেনের পাশেই একটি ছোট ক্যাফে ও গিফট শপ রয়েছে, যেখানে আপনি ল্যাভেন্ডার আইসক্রিম, কফি এবং ল্যাভেন্ডার-থিমযুক্ত নানা পণ্য কিনতে পারেন।

দিন শেষে গাড়িতে ফেরার পথে মনটা ভরে ছিল প্রশান্তি আর আনন্দে। এত সুন্দর একটা দিন, এত হাসি-ঠাট্টা, এত স্মৃতি—সবকিছু যেন মনের এক কোণে গেঁথে থাকলো।

আপনারাও চাইলে এই গ্রীষ্মে একদিন সময় করে ক্যাসল ফার্ম ল্যাভেন্ডার গার্ডেন ঘুরে আসতে পারেন। প্রকৃতির মাঝে একটুকরো শান্তি আর ভালোবাসা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

25/06/2025

দেশী খাবার 🔥

18/06/2025

🚗 কেমব্রিজ ডে ট্রিপ: লন্ডন থেকে ইতিহাস ও নদীর শহরে একদিনের স্মরণীয় ভ্রমণ

লন্ডনের কোলাহলময় জীবন থেকে একদিনের স্বস্তির জন্য আমরা পরিবারসহ কেমব্রিজ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি। নিজস্ব গাড়িতে ভোরবেলা রওনা দিই এবং মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাই এই ঐতিহাসিক শহরে, যা শুধু তার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, নদী ও পুরনো স্থাপত্যের জন্যও সমাদৃত।

🛣 যাতায়াতের মাধ্যম:
• গাড়ি: আমরা আমাদের নিজস্ব গাড়িতে গিয়েছিলাম, যা খুবই আরামদায়ক ও সময় সাশ্রয়ী হয়েছে।
• ট্রেন: লন্ডনের King’s Cross Station থেকে সরাসরি কেমব্রিজ পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন রয়েছে, যাত্রা সময় প্রায় ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।
• বাস: National Express বা অন্যান্য কোচ সার্ভিসে প্রায় ২ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়।

🅿️ পার্কিং:

কেমব্রিজ শহরের মধ্যে বেশ কিছু পার্কিং অপশন রয়েছে। আমরা Grand Arcade Car Park ব্যবহার করেছি, যা শহরের একদম কেন্দ্রে অবস্থিত। এছাড়াও Park & Ride সুবিধাও রয়েছে, যেখানে শহরের বাইরে গাড়ি রেখে বাসে শহরের ভিতরে যাওয়া যায়।

🛶 বোট রাইড – “Punting” এর অভিজ্ঞতা:

কেমব্রিজ ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা ছিল ‘পান্টিং’। কেম নদীর উপর ছোট ছোট কাঠের নৌকা নিয়ে গাইড আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের পাশ দিয়ে নিয়ে যায়। ইতিহাস, স্থাপত্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলে এটি ছিল সত্যিই এক জাদুকরী অভিজ্ঞতা। কিছু জনপ্রিয় পয়েন্ট:
• Mathematical Bridge
• Bridge of Sighs
• King’s College Chapel পাশ দিয়ে নৌকা যাত্রা

🏛 কেমব্রিজের দর্শনীয় স্থানসমূহ:
1. King’s College & Chapel:
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাচীন কলেজ। এর গথিক স্থাপত্য ও চ্যাপেলের ভেতরের গ্লাস পেইন্টিং মন কাড়ে।
2. Trinity College:
এখানে স্যার আইজ্যাক নিউটন পড়েছিলেন। কলেজ প্রাঙ্গণ ও নিউটনের বিখ্যাত আপেল গাছটি বিশেষ আকর্ষণ।
3. St John’s College & Bridge of Sighs:
ইতালির ভেনিসের আদলে তৈরি এই সেতুটি কেমব্রিজের অন্যতম চিত্রানুগ স্থান।
4. Fitzwilliam Museum:
বিনামূল্যে প্রবেশযোগ্য এই জাদুঘরে আছে অসংখ্য শিল্পকর্ম, মিশরীয়, গ্রীক এবং রোমান নিদর্শন।
5. Botanic Garden:
ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এই বাগানে হাজারো প্রজাতির গাছপালা রয়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ।

🍽️ খাবার ও রেস্টুরেন্ট:

দুপুরে আমরা খেয়েছিলাম The Eagle Pub এ – এখানেই DNA আবিষ্কারের ঘোষণা হয়েছিল। এছাড়াও কিছু জনপ্রিয় খাবারের জায়গা:
• Fitzbillies – তাদের “Chelsea buns” বিখ্যাত।
• Aromi – ইতালিয়ান কফি ও পেস্ট্রির জন্য পরিচিত।
• Cambridge Market Square – ছোট ছোট স্টলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্ট্রিট ফুডের স্বাদ মেলে।

🏨 থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা:

যদিও এটি ছিল আমাদের ডে ট্রিপ, তবে কেউ যদি থাকতে চান, তাহলে কিছু ভালো হোটেল:
• The Varsity Hotel & Spa – শহরের কেন্দ্রে বিলাসবহুল হোটেল।
• Hilton Cambridge City Centre
• University Arms Hotel

🕰 ইতিহাসের এক ঝলক:

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১২০৯ সালে। এর প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে অক্সফোর্ড থেকে বিতাড়িত কিছু স্কলারদের গল্প। কেমব্রিজ যুগে যুগে বিশ্বের সেরা মনীষীদের গড়ে তুলেছে – নিউটন, হকিং, ডারউইন সহ আরও অনেকে এখানেই পড়াশোনা করেছেন।

এই ছিল আমাদের কেমব্রিজ ভ্রমণের সংক্ষিপ্ত গল্প। ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আধুনিক শহরজীবনের এক অনন্য মিশ্রণ কেমব্রিজ। দিনের শেষে শহর থেকে ফিরে এলেও স্মৃতি থেকে ফিরতে সময় লাগবে বহুদিন ।

17/06/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

17/06/2025

Inside of Buckingham Palace, London 🔥

12/06/2025

🌊 লন্ডন থেকে ব্রাইটন বিচ: সমুদ্রের টানে একদিনের ভ্রমণ 🚗

একটা সুন্দর রৌদ্রজ্জ্বল সকালে আমরা লন্ডনের ব্যস্ততা পেছনে ফেলে ছুটে গিয়েছিলাম ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত ব্রাইটন বিচ-এ। শহর থেকে সমুদ্রের টানে ছুটে চলার আনন্দটাই আলাদা। আমরা নিজের গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলাম, তাই সময়, গন্তব্য ও যাত্রার মাঝের দৃশ্য সবই ছিল আমাদের নিজের মত করে উপভোগ করার মতো।

🚗 যাত্রাপথ ও যাতায়াতের অন্যান্য মাধ্যম

আমরা লন্ডন থেকে A23 ধরে M23 হয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাই ব্রাইটনে। রাস্তা ছিল মসৃণ, আর পথিমধ্যে সবুজ প্রান্তর, ছোট ছোট গ্রাম — সব মিলে দারুণ একটা ড্রাইভিং এক্সপেরিয়েন্স।

অন্যান্য যাতায়াতের মাধ্যম:
• 🚆 ট্রেন: London Victoria, London Bridge বা Blackfriars থেকে প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলে ব্রাইটন স্টেশনে। সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা।
• 🚌 বাস: National Express বা Megabus-এ কম খরচে যেতে পারেন, সময় লাগবে ২ ঘণ্টা মতো।

🅿️ পার্কিং সুবিধা

ব্রাইটনে গাড়ি পার্কিং কিছুটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষ করে ছুটির দিনে। তবে আমরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে Regency Square Car Park-এ গাড়ি রেখেছিলাম, যেটি সমুদ্রের খুব কাছেই অবস্থিত।

অন্যান্য পার্কিং অপশন:
• Madeira Drive Car Park – সমুদ্রের একেবারে পাশে
• Churchill Square Car Park – শহরের কেন্দ্রে, শপিং ও খাবারের জন্য উপযুক্ত
• Brighton Marina Parking – ফ্রি পার্কিং ও অনেক স্পেস

🍽️ খাবারদাবার ও রেস্টুরেন্ট

ব্রাইটনের সমুদ্রপাড়ে বসে Fish & Chips খাওয়ার মজাই আলাদা! আমরা খেয়েছিলাম The Regency Restaurant-এ – টাটকা সি-ফুড আর অসাধারণ পরিবেশ।

অন্য কিছু খাবারের জায়গা:
• Boho Gelato – হোমমেড আইসক্রিমের জন্য বিখ্যাত
• Foodilic – স্বাস্থ্যকর ও ভেজিটেরিয়ান খাবারের জন্য
• The Coal Shed – মাংস ও স্টেক ভালোবাসা মানুষের জন্য দারুণ
• Brighton Pier Food Stalls – স্ন্যাকস, ডোনাট, বার্গার ও চকলেট

📍 দর্শনীয় স্থানসমূহ

ব্রাইটন বিচ শুধু সমুদ্র নয়, আশেপাশে আরও অনেক দর্শনীয় জায়গা রয়েছে যেখানে সময় কাটানো যায়:
1. 🏰 Royal Pavilion – ভারত ও চিনা স্থাপত্যের সংমিশ্রণে নির্মিত রাজপ্রাসাদ। রাজা চতুর্থ জর্জ-এর বাসভবন ছিল এটি।
2. 🎡 Brighton Palace Pier – গেমস, রাইডস ও খাবারের জন্য চমৎকার জায়গা।
3. 🏖️ Hove Beach – তুলনামূলক শান্ত ও কম ভিড়ের জায়গা, পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে ভালো।
4. 🛥️ Brighton Marina – নৌকা ঘুরে দেখা, শপিং ও খাওয়া-দাওয়ার দারুণ জায়গা।
5. 🛍️ The Lanes – ছোট ছোট গলিপথে সাজানো পুরনো দোকান, জুয়েলারি, অ্যান্টিক ও ক্যাফে।

📷 আমাদের অভিজ্ঞতা

দিনটা কেটেছিল হালকা রোদ, ঠাণ্ডা বাতাস আর ঝকঝকে সমুদ্রের মাঝে। Pier-এ রাইডে চড়েছি, আইসক্রিম খেয়েছি, Royal Pavilion দেখে ইতিহাসের গন্ধ নিয়েছি। ব্রাইটন আমাদের মনে দীর্ঘদিন ধরে এক স্মরণীয় জায়গা হয়ে থাকবে।

✅ টিপস:
• গরমের দিনে গেলে ছাতা, সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না।
• ছুটির দিনে ভিড় বেশি হয়, তাই সকালে বের হলে ভালো।
• Royal Pavilion ও The Lanes ঘুরে দেখতে সময় হাতে রাখুন।
• আগে থেকে পার্কিং লোকেশন চেক করে রাখলে ঝামেলা কম হয়।

✨ শেষ কথাঃ

যদি আপনি লন্ডনে থাকেন এবং সমুদ্র, ইতিহাস ও ফুড একসঙ্গে উপভোগ করতে চান – তাহলে ব্রাইটন বিচ হতে পারে আপনার জন্য পারফেক্ট একদিনের গন্তব্য। প্রকৃতি আর শহরের প্রাণ একসাথে অনুভব করতে চাইলে ব্রাইটনের বিকল্প হয় না।

Miles & Memories

15/07/2025

11/07/2025

08/07/2025

05/07/2025

30/06/2025

25/06/2025

18/06/2025

17/06/2025

17/06/2025

12/06/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category