02/07/2025
সকালের আলো ঠিক তখনই জানালায় পড়ে, যখন অ্যালার্ম বেজে উঠে,কিন্তু ঘুম থেকে ওঠা মানে কষ্ট, শরীর টান টান লাগে। তবুও প্রতিদিন ঠিক একটা মানুষ চোখ খুলে, বিছানা ছাড়ে, রুটিন শুরু করে । এমন না যে তার জীবনে সমস্যা নেই। ওরও মন চায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকতে, হঠাৎ একদিন সব ফেলে বিশ্রাম নিতে। কিন্তু তবুও সে ফেরে তার ছাঁটাই করা জীবনে, প্রতিদিন অনেকেই ভাবে সফলতা মানে বড় কিছু শুরু করা, একটা বড় লাফ! কিন্তু আসলে সফলতার আসল জাদু লুকিয়ে থাকে, ছোট ছোট পদক্ষেপে, ধারাবাহিকতায়।
তুমি যদি সপ্তাহে একদিন চার ঘণ্টা পড়ো, আর কেউ যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে পড়ে,শেষ পর্যন্ত কে এগিয়ে থাকবে?
অবশ্যই নিয়মিত যে পড়ে, সেই।
Consistency না থাকলে কী হয়?
কাজ শুরু হয়, কিন্তু শেষ হয় না।মাথায় অনেক আইডিয়া আসে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না।আত্মবিশ্বাস গড়ে না ওঠে,কারণ আপনি নিজেকেই বিশ্বাস করতে শেখেন না।
আর ভয়ানক ব্যাপারটা হলো,যখন একটার পর একটা কাজ ফেলে দেওয়া শুরু হয়, তখন এক সময় নিজেকেই ছোট মনে হতে থাকে। মনে হয়, “আমার দ্বারা হয় না”, “আমি তো এমনই…”
এভাবেই তৈরি হয় self-doubt, procrastination, আর এক ধরনের চাপা guilt,যেটা বাইরে থেকে কেউ দেখে না, কিন্তু ভিতরটা শেষ হয়ে যায় ।
এর বিপরীতে, যে মানুষটা consistency ধরে রাখে,even ছোট কাজেও, সে আস্তে আস্তে নিজের ভেতরে একটা দৃঢ়তা গড়ে তোলে।
সে জানে, “আজ না পারলেও, কাল পারব—কারণ আমি হার মানি না।”এই মনের শক্তিটাই তাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তোলে।কিন্তু প্রশ্ন আসে,কীভাবে consistent থাকা যায়?
ছোট করে শুরু করা। প্রতিদিন ১০ মিনিট হলেও।
একটা রুটিন ঠিক করুন, যেটা সহজ, যে রুটিনে আপনি টিকতে পারেন।ডিসট্রাকশন কমান, সোশ্যাল মিডিয়া, অতিরিক্ত স্ক্রলিং এগুলো consistent থাকার সবচেয়ে বড় শত্রু।নিজেকে মাফ করতে শিখুন,মাঝখানে থেমে গেলে নিজেকে ধমক না দিয়ে বলুন, “আবার শুরু করব।”একটা why খুঁজে বের করুন আপনি কেন এটা করতে চান? যখন কারণ পরিষ্কার থাকবে, তখন consistency শক্ত হবে।
Dopamine Detox বইটিতেএকটা অসাধারণ কথা আছে,“আমরা সবসময় excitement খুঁজি। নতুন কিছু, রোমাঞ্চকর কিছু। কিন্তু আসল উন্নতি আসে তখনই, যখন আপনি একঘেয়ে জিনিসগুলোকেও ভালোবাসতে শেখেন।”
এই কথাটার গভীরতা বোঝা যায় তখনই, যখন আপনি বুঝবেন—ধারাবাহিকতা মানে boring হওয়া না, ধারাবাহিকতা মানে stability, মানে growth।
আপনি প্রতিদিন যা করেন , সেটাই আপনার ভবিষ্যত তৈরি করেন। নাড়াচাড়া না থাকলেও, নীরব সেই চেষ্টাই একদিন পাহাড় ভাঙার শক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
তাই শেষ প্রশ্নটা আপনার নিজের কাছে, আপনি কি শুধু শুরু করতে চান? নাকি শেষও করতে চান?
আপনার উত্তরেই আপনার জীবন বদলে যাবে।