https://www.facebook.com/218980390120029/

Tanny Bhuiyan, Lalbagh, Dhaka, Yeovil (2025)

06/11/2025

তোমাকে যতটা ভালোবেসেছি, বিশ্বাস করো, তার অর্ধেকটুকুও নিজের জন্য রাখিনি। নিজের জন্য মায়া রাখতে কোনোদিন শিখিনি, কারন আমার সমস্ত মায়া,সমস্ত ভালোবাসা শুধু তোমার জন্যই রেখে দিয়েছি। অথচ সেই তুমি কোনোদিনই তা বুঝলেনা না"
আমার মায়াকে অবহেলা করলে,আমার ভালোবাসাকে তুচ্ছ করলে, আমি ভেবেছিলাম তুমি একদিন ফিরে তাকাবে, অন্তত একদিন বুঝবে আমার ভালোবাসার গভীরতা কিন্তু তুমি শুধু ভুল বোঝালে আমার অবহেলা করলে। আজও মনটা ভাবে, আমি কি সত্যিই ভুল ছিলাম?
নাকি আমার ভালোবাসাই তোমার কাছে মূল্যহীন ছিলো "তবুও সত্যি বলছি আমার হৃদয়ের প্রতিটা কোণে, প্রতিটি নিশ্বাসে আজও তুমি আছো'
আমি নিজের জন্য বাঁচতে শিখিনি, কিন্তু তোমার জন্য ভালোবাসতে শিখেছি,
আর সেই ভালোবাসাই আজও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে.....

31/10/2025

জা*লিমের মিথ্যা অপবাদ কিংবা জু*লুমের আঘাতে দুর্বল হয়ে পড়ো না–
সত্যের পথে থাকা মানেই পরীক্ষা, আর পরীক্ষার মধ্য দিয়েই আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের পরিশুদ্ধ করেন।
জা*লিম যতই শক্তিশালী হোক, তার ক্ষমতা আসলে ক্ষণস্থায়ী; আর মাজলুমের চোখের পানি, তার নিঃশব্দ দু’আ— সেটিই আল্লাহর দরবারে সবচেয়ে শক্তিশালী অ*স্ত্র।

তুমি হয়তো দুর্বল, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা রাখো। তিঁনি ন্যায়ের মালিক, প্রতিশোধের মালিক, আর তাঁর বিচার কখনো বিলম্বিত হয় না। হয়তো আজ জা*লিম হাসছে, কিন্তু কাল সে কেঁদে পড়বে নিজের অন্যায়ের ভারে। তাই দৃঢ় থাকো— কারণ তোমার ধৈর্যই একদিন হবে তোমার বিজয়ের কারণ, আর তোমার নীরবতাই হবে তার পরাজয়ের সাক্ষ্য!

30/10/2025

🍁নারীকে ছুঁতে পারা সাধনার বিষয়।
শরীর ছুঁয়েই যে-পুরুষ বলে নারীকে ছুঁয়েছি, সে নির্বোধ;
নারীর হৃদয় ছুঁয়েই তবে দেহ ছুঁতে হয়...
শরীর তো ধর্ষ/কও ছোঁয়।

29/10/2025

বিয়ের পর প্রথম দেড় বছর আমরা কম্বাইন্ড ভাবেই সবার সাথে ছিলাম।
একটা ঘর ছিল আমাদের, ঘরের দরজা খুললে সরাসরি বিছানা থেকে ডাইনিং টেবিল দেখা যেত। বা কমন করিডোরে কেউ হাটাচলা করলেই সরাসরি চোখ পরতো।

প্রাইভেসি মেইনটেইন করতে বেশির ভাগ সময়ই আমরা দরজা লাগিয়ে রাখতাম। কিন্তু তারপর ও নিজেদের মত করে থাকার, চলাফেরা করার, অনেক গরম পরলে আরামের কোন পাতলা, নরম পোশাক পরে থাকার বিষয়টা অনেকটাই রেস্ট্রিকটেড হয়ে গিয়েছিল।
স্বাভাবিক।
তবে আরো সমস্যা হত আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে, বা ঝগড়া লাগলে।

হয়তো মুখ ব্যজার করে দশ পনেরো মিনিট আলাদা হয়ে দু দন্ড চুপচাপ নিজের মত বসে থাকতে পারলেই মাথা ঠান্ডা হয়ে যাবে।
কিন্তু ওই এক ঘর থেকে বেড়িয়ে মুখ ব্যজার করে থাকার উপায় ছিলনা। কারণ মুখ ব্যজার দেখলেই আব্বা, আম্মা, বপ্পা সবাই টেনশনে পড়ে যাবেন। বারবার জানতে চাইবেন, কি হল!

এদিকে কিসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেছি সেসব বলতেও লজ্জা লাগে। মুখ জোর করে হাসি হাসি করে উত্তর দিতে হয় এদিকে মনে মনে বরের মুন্ডুপাত করছি আমি!!

বপ্পা গিয়ে চড়াও হন আমার বরের উপর। আমার হয়ে তাকে বকা দেন।
উনার গরম মেজাজ হয়ে যায় ডাবল গরম।

নিজেরা মিটমাট করার আগেই সবার মধ্যে একটা গন্ডগোল বেধে যাবার উপক্রম। 🫣🤲

এগুলো তো খুব ছোটখাটো বিষয়, কিন্তু বর-বউ এর মধ্যের প্রাইভেসির বিষয়টা আরো গুরুত্বপূর্ণ।

একদিন আমার শ্বাশুড়ি আম্মা ভ্রু কুচকে বলছিলেন, তোমরা নিজেরা নিজেদের মত আছ, এরকম সময় তোমাদের রুমে কারোরই চট চট করে ঢুকে যাওয়া একদম উচিৎ না বুঝছ।
স্বামী স্ত্রী'র জায়গা আলাদা রাখা লাগে।

আমি আম্মাকে হাসতে হাসতে বলেছিলাম, কেন আম্মা, আমরাও তো ঢুকি আপনাদের রুমে। আপনি আর আব্বা যখন থাকেন।

আম্মা ডাবল ভ্রু কুচকে বলেছিলেন, সেটাও তো উচিৎ না!!!

আমার আম্মুর কাছ থেকেও এই কথা কতবার শুনেছি যে, সম্পর্ক একটু দূরে থাকলেই ভাল থাকে। একে অন্যের জীবনে যত বেশি ঢুকবে তত বেশি গন্ডগোল।

এটাকেই এখন আমরা মডার্ন ভাষায় হয়তো বলি, হেলদি স্পেস।

একে অন্যের বিপদে আপদে, সুখে দুখে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে পাশে আছি, কিন্তু একটা হেলদি বাউন্ডারি রেখে।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অনেক আগলি ফাইট হয়, অনেক সময় অনেক কথা বলে বলে বোঝাপড়ার দরকার হয়। কখনো কখনো দরকারে নিজেরা আলাদা থেকে নিজেদের মত মাথা ঠান্ডা করে সামলে উঠতে হয়।
আবার নিজেদের কোয়ালিটি টাইম এর জন্য ও একটা সেইফ, নিজেদের মত করে থাকার পরিবেশ জরুরী।

আবার এমন কিছু ডিসকাশন থাকে যেখানে হয়তো নিজেরা ছাড়া অন্য কারোরই access থাকাটা অনুচিত।

একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই।
ছোটবেলায় যেকোন প্রোগ্রামে সব কাজিনরা মিলে গাদাগাদি করে থাকতাম, হই হই করতাম, ঘুমাতাম। ঘুমের মধ্যে একে অন্যকে লাথি মারতাম। হেসে উঠতাম। আবার ঘুমিয়ে যেতাম!
এসব আমাদের জন্য মধুর স্মৃতি। খুব আনন্দ হত সেই সময়।
কিন্তু এই একই ভাবে যদি দিনের পর দিন, রোজ রোজ গাদাগাদি করে, একে অন্যের গায়ের উপর উঠে, লাথি ঝাটা মেরে ঘুমাতে হত, that would have been a completely different scene.
Maybe it wouldn’t even be a happy one.

সুস্থ থাকার জন্য ভাল ঘুমের প্রয়োজন। ভাল ঘুমের জন্য ঘুমানোর মত পরিবেশ প্রয়োজন। আর সেই ঘুমানোর পরিবেশ না পেলে আপনি বেশিদিন সুস্থ থাকতে পারবেন কি?

ঠিক একই ভাবে সুস্থ সম্পর্কের জন্যও সঠিক পরিবেশ প্রয়োজন। দুইজন মানুষ যেখানে মানসিক ভাবে ফ্রি হতে পারছেনা, তারা সেই জায়গায় সম্পর্কের জন্য নিজের বেস্ট ভার্সনটা দিতে পারবেনা, এটার চেয়ে বড় সত্যি কথা আর নাই।

এটাও সত্যি যে সবার পরিস্থিতি এক না, এবং সবার মেকানিজম ও এক না যে একই ভাবে সবার প্রব্লেমের সলুশন হবে। কিন্তু হেলদি স্পেস আর বাউন্ডারি মেইনটেইন করাটা প্রতিটা সম্পর্কের সুস্থতার জন্যই দরকারি।
সেটা কার জন্য কতটুকু প্রয়োজন এটা ডিটারমাইন নিজেদেরকেই করে নিতে হবে।

কপি

29/10/2025

লেবাননের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, এমিল বুস্তানি, বৈরুতের সবচেয়ে সুন্দর এলাকায় নিজের জন্য একটি সমাধি তৈরি করেছিলেন। তার একটি ব্যক্তিগত বিমানও ছিল যা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছিল... তার মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা কেবল বিমানটিই খুঁজে পেয়েছিল। তার নির্মিত সমাধিতে তাকে দাফন করার জন্য তারা মৃতদেহ খুঁজে পায়নি!!!

ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, "রড চাইল্ড" নামে একজন ইহুদি, এতটাই ধনী ছিলেন যে তিনি মাঝে মাঝে ব্রিটিশ সরকারকে টাকা ধার দিতেন। তার কোষাগার ছিল পুরো একটি কক্ষ।

তিনি একবার তার কোষাগারে প্রবেশ করে দুর্ঘটনাক্রমে নিজের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপর, তিনি তার উচ্চস্বরে চিৎকার করেছিলেন, কিন্তু কেউ তার কথা শুনতে পায়নি, কারণ তার প্রাসাদটি বিশাল ছিল এবং প্রাসাদে প্রায়শই অনুপস্থিত থাকার অভ্যাস ছিল তার । যখন তিনি তার পরিবার থেকে দূরে থাকতেন, তখন তারা ভেবে থাকতো যে, তিনি ভ্রমণ করছেন।

তিনি চিৎকার করতে থাকেন, চিৎকার করতে থাকেন এবং চিৎকার করতে থাকেন যতক্ষণ না ক্ষুধা ও তৃষ্ণা তাকে কাবু করে ফেলে , তাই তিনি তার আঙুল কেটে দেন এবং দেয়ালে লিখে রাখেন: "পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা যাচ্ছে।" তারা কয়েক সপ্তাহ পরেও তার মৃত্যু আবিষ্কার করতে পারেনি!

যারা বিশ্বাস করেন যে অর্থই একমাত্র জিনিস যা চাহিদা পূরণ করে। এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া ভবিষ্যতের সবচেয়ে বিপজ্জনক ঘটনা। কিন্তু আমরা এর অর্থ বুঝতে পারি না—কখন, কীভাবে এবং কোথায়? একজন ব্যক্তি ভ্রমণ করে ফিরে আসে, বেড়াতে যায় এবং বাড়ি ফিরে আসে, কিন্তু যদি সে মারা যায়, তাহলে আর ফিরে আসার উপায় নেই।

ধন্য সেই ব্যক্তি যে কারো প্রতি অন্যায় না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকে,
কাউকে ঘৃণা করে না, কাউকে আঘাত করে না এবং নিজেকে কারো চেয়ে উপরে দেখে না।

আমরা সবাই চলে যাচ্ছি।চলে যেতে হবে, এটাই পরম সত্য।

29/10/2025

🇧🇩 বাংলাদেশের রাজনীতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ: একটি বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল — যুদ্ধের স্বাধীনতা বা দাসত্বের প্রশ্নে নয়, বরং বৃহত্তর ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য রক্ষার উদ্দেশ্যে। তখনকার প্রেক্ষাপটে, পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করার মূল ষড়যন্ত্র ছিল ভারতের কূটনৈতিক পরিকল্পনার অংশ। ভারত কখনোই শক্তিশালী পাকিস্তান বা মুসলিম ঐক্যকে তাদের সীমান্তে সহ্য করতে পারেনি। তাই তারা পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের প্রভাব বিস্তারের পথ তৈরি করেছিল।

জামায়াতে ইসলামী সে সময় বুঝেছিল, এ যুদ্ধ স্বাধীনতার নয়, বরং মুসলিম ঐক্য ভাঙার যুদ্ধ। পরবর্তীকালে ইতিহাসই প্রমাণ করেছে — ভারতের স্বার্থই সর্বাগ্রে ছিল, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ নয়।

বর্তমানে এনসিপি (National Citizen Party)-এর নেতা নাহিদ ইসলাম সঠিকভাবেই বলেছেন — “যে দল বা নেতৃত্ব ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক দোষ বহন করে, তাদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক জোট গঠন করা হবে না।” এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন বাস্তবতা তুলে ধরে। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে ভারতপন্থী রাজনীতিবিদরা দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি ও ইসলামী মূল্যবোধকে ক্রমে দুর্বল করে দিয়েছে। তাদের অবস্থানের বিরুদ্ধে জামাত ইসলামকে মোটেও দোষ দেওয়া হবে না, বরং আওয়ামী লীগকেই দোষ দেওয়া হবে।

আমরা দেখেছি শেখ হাসিনা কিভাবে ভারতীয় প্রভাবের অধীনে থেকে দেশের ইসলামপ্রেমী জনগণ, আলেম-উলামা, এবং ইসলামি রাজনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। শত শত ইসলামিক নেতা ও ছাত্রশিবিরের তরুণদের হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করা — সবই ছিল ভারতের স্বার্থ রক্ষার অংশ। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর ইচ্ছায় সেই জালিম সরকার আজ পতন হয়েছে, হাসিনা নিজেই পালিয়ে ভারত আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

বাংলাদেশ আজ একটি নতুন অধ্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপি এবং সাধারণ জনগণ যদি একত্রিত হয়, তবে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়, নীতি, ইসলাম ও নাগরিক অধিকারের ভিত্তিতে গঠিত এক শক্তিশালী রাষ্ট্র।

🎓 ছাত্রশিবিরের ভূমিকা ও অবদান:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের অন্যতম শৃঙ্খলাবদ্ধ, শিক্ষিত ও আদর্শবান ছাত্র সংগঠন। তারা কেবল রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং শিক্ষা, চরিত্রগঠন, সমাজসেবা এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে শিবিরের তরুণরা ইসলামি সংস্কৃতি, মানবতা, এবং নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

🕌 জনগণের অনুভূতি:
আজ বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে — ইসলাম ও দেশপ্রেমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তারা জানে, জামায়াতে ইসলামী বা শিবির কখনো দেশের শত্রু নয়; বরং তারা দেশের প্রকৃত প্রেমিক, যারা চায় ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।

🕊️ ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা:
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন প্রজন্মের হাতে। জনগণ আর ভারতীয় প্রভাবিত রাজনীতি চায় না। তারা চায় একটি স্বাধীন, ইসলামী ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র — যেখানে দেশের সম্পদ দেশের মানুষের জন্য ব্যবহৃত হবে, এবং দেশের নীতিনির্ধারণ হবে কোরআন-সুন্নাহ ও জনগণের কল্যাণের আলোকে।

জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপি ও অন্যান্য দেশপ্রেমিক দল যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আলোকিত ও স্থিতিশীল হবে।

28/10/2025

যদি বৃদ্ধ বয়সে সম্মানের সাথে
স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চান ,তাহলে নিজের সন্তানকে কখনো, নিজের অবিভাবক বানাবেন না !

আর যে ছেলের নিজের ক্ষমতায়
বাড়ি করে কিংবা বাসা ভাড়া করে
নিজের স্ত্রীকে রাখার মতো উপার্যন
নেই, তাকে কোনো বাবা ,মা নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিয়ে দেবেন না !!

বর্তমান সময়ে চারিদিকে যা দেখছি ,তাতে মনে হয় প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত ,জীবদ্দশায় নিজের বাড়িতে ছেলে ,ছেলের বউকে পার্মানেন্টলি না আশ্রয় দিয়ে ,কোনও ভাড়া বাসায় বা ছেলের নিজের ক্ষমতায় ক্রয় করা কোনও বাসা বাড়িতে ছেলেকে সংসার পাততে বলা !!

এ ব্যাপারে বাবা মাকে স্ট্রং সিদ্ধান্ত নিতে হবে ! পুত্র স্নেহে দুর্বল হলে চলবে না !
আর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কোনো বিষয় সম্পত্তি সন্তানের নামে লিখে দেবেন না ! 🙏মৃত্যুর পর ওয়ারিশান সূত্রে, তারা সম্পত্তির মালিকানা এমনিতেই পেয়ে যাবেন !

বৃদ্ধ বয়সে helping hand এর
সাহায্য নিন ! অনেক শান্তিতে থাকবেন ! খুব অসুবিধা হলে বৃদ্ধাশ্রমের হেল্প নিন ! শহরে প্রচুর 5 স্টার বৃদ্ধাশ্রম যেমন আছে ! তেমনি অনেক নিখরচায় বৃদ্ধাশ্রমও আছে ! আপনার সামর্থ অনুযায়ী চয়েজ করুন ! ইউ টিউব
সার্চ করলেই ডিটেলস পেয়ে যাবেন !

ছেলের সংসারের অসম্মানের অন্নের চেয়ে, বৃদ্ধাশ্রমের অন্ন অনেক বেশি সন্মানের !! ইয়ং বয়সে যে কষ্ট সহ্য করা যায় ,বৃদ্ধ
বয়সে অশক্ত,ক্ষয়িষ্ণু শরীরে সেই কষ্ট সহ্য করা খুবই কষ্টকর !!

নিজের সঞ্চিত টাকা পয়সা,
সম্পত্তির দলিল ,সব নিজের কাছে রাখুন ! বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় ,ওটাই আপনার বৃদ্ধ বয়সের শক্তিশালী অবলম্বন !! আমার ছেলে সোনার ছেলে , এই ভ্রান্ত ধারনা ত্যাগ করুন ! আপনার সন্তান, হীরে নাকি কয়লা সেটা সময়ই বলে দেবে !!

বহু ছেলে মেয়ে কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে, দেশের বাইরে থাকেন !! তাদের বাবা মা যদি বাড়িতে একা একা থাকতে পারেন ! তাহলে আপনি বা আপনারা কেন
পারবেন না ??!!
আপনার সন্তানের যদি মানসিকতা
ভালো হয় ,তাহলে সে দুর দেশে থেকেও, আপনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারবেন ! আপনার দেখাশোনাও করতে পারবেন ! সবটাই তার ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে ! এই ডিজিটাল যুগে গোটা পৃথিবী এখন মানুষের
হাতের মুঠোয় ! কোনও কিছুর জন্যেই আপনাকে অশক্ত শরীর নিয়ে বাইরে বেরোতে হবে না !!
আনাজপাতি থেকে AC সব কিছুই
আপনি ঘরে বসে পেয়ে যাবেন !!
আপনার দেখাশোনার জন্য আপনার সন্তানকে ,আপনার কোলের কাছেই থাকতে হবে এমন
কোনও কথা নেই !

বাড়ির ইলেকট্রিক বিল ,গ্যাস বুকিং, মোবাইল রিচার্জ, RO জলের মেশিনের সার্ভিসিং, AC সার্ভিসিং,বাবা মায়ের অষুধ পত্র থেকে মুদিখানার সামগ্রী ,
এম্বুলেন্স থেকে নার্সিং হোম পরিষেবা ,সব কিছু ইচ্ছে থাকলে
দূরে থেকেও সুন্দর ভাবে পরিচালনা করা যায়!!

আর যদি সদিচ্ছা না থাকে, তাহলে আপনি পাশের ঘরে মরে পরে থাকলেও,আপনার সন্তান আপনার খোঁজ করবেন না ! শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই বর্তমান বাস্তবতা !!

আপনি যদি নিজের অভিভাবক্তে বাস করেন ,তাহলে আপনি সহৃদয় বহু মানুষের হেল্প পাবেন ! আর আপনি যদি আপনার সন্তানের অভিভাবকত্তে থাকেন, তাহলে আপনার সন্তানের কদর্য ব্যবহারের কারনে,আত্ম সন্মান রক্ষার্থে তারা কেউ আপনার ঘরের ছায়াও মাড়াবেন না ! এবার আপনিই ঠিক
করুন আপনি কি করবেন !?

দিন রাত কলহ করে, কাঁদতে কাঁদতে, সন্তানের দেওয়া
হেলাছেদ্দার ভাত খাবেন ! ? না কি কাজের লোকের রান্না করা খাবার ,নিজের অধিকারে খাবেন ?! না কি কোনও বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে বাকি জীবনটা আনন্দে না হলেও ,সন্মানের সঙ্গে কাটাবেন ?!
সব টাই আপনার চিন্তা ভাবনা এবং চাওয়ার উপর নির্ভর করছে 🙏

মার্জনা করবেন 🙏

21/10/2025

মানুষের খা'রাপ করে
কখনো নিজের জীবন সুন্দর করা যায় না,
যা করবেন তাই ফেরত পাবেন, কখনো ধীরে ধীরে কখনো বা খুব তাড়াতাড়ি!

21/10/2025

মানুষ আসলে জন্ম থেকেই একা,,,
প্রথম কান্নাটা যে নীরবতা ভেঙে আসে,, সেটা আসলে একাকিত্বের প্রথম আর্তনাদ।
তারপর সময়ের পরিক্রমায় আমরা মানুষ খুঁজি,,,
খুঁজি বন্ধুত্বে,প্রেমে, আত্মীয়তার বন্ধনে ,,,,
মনে হয় এদের মাঝেই হয়তো কোনো একজন এমন থাকবে যার হাতে নিজের ভেতরের ভাঙা চোরা টুকরো গুলো তুলে দেওয়া যাবে,,,,
যে বলবে ,,তোমার পাশে আমি আছি,,সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,,,,
কিন্তু জীবনের সবচেয়ে নির্মম সত্যি হলো,,,কেউ কোনোদিন পুরোপুরি আমাদের হয়না,,,
মানুষ আসলে নিজের প্রয়োজনেই সম্পর্ক গড়ে তোলে,,আর প্রয়োজন ফুরালেই দূরে সরে যায়,,,,
প্রথমে আসে দূরত্ব ,,তারপর আসে নিরাবতা,,,
একসময় সেই মানুষটাই যে একদিন বলেছিল তোমাকে ছাড়া চলবে না,,তোমায় ছাড়া বাঁচবোনা
সেই মুখ ফিরিয়ে বলে
তুমি আর আগের মতো নেই,,,
কেউ বুঝতে চায় না এই আগের মতো না হওয়ার পেছনে আছে তা উপন্যাস অজস্র রাতের কান্না,,,
অসংখ্য চেষ্টা,, নিজের ক্ষয় করে সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ সংগ্রাম।
কেউ ভাবে না এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার বুকের ভেতর প্রতিদিন একটা পৃথিবী ভেঙে পড়ে,,,
তার মুখে হয়তো হাসি থাকে কিন্তু হৃদয়ের গভীরে গুমড়ে মরে এক নিঃসঙ্গ চিৎকার।
তবুও সে ভাঙ্গে না,,,
কারণ তাকে ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় ,,
যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে শক্ত রাখতে হবে।
শক্তিশালী মানুষ কাঁদে না
ভালোবাসা মানে নিঃস্বার্থ ত্যাগ।
এই সব বুলি মনে রেখে মানুষ নিজের অনুভবগুলো পাথরের নিচে চাপা দেয়।
অভিমান বদলে দেয় নীরবতা,,,,
প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে ভুলে যায়,,শুধু কাউকে ধরে রাখতে,,,
কিন্তু একসময় সব কিছু সরে যায়,,
সম্পর্ক ,মানুষ ,প্রতিশ্রুতি সব মিলিয়ে যায় হওয়ার মতো।
আর সেই মানুষটা দাঁড়িয়ে থাকে শূন্যতার ঠিক মাঝখানে,,
রাত গভীর হলে যখন চারপাশ নীরব হয়ে যায়।
সে নিজের বুকের ভেতর হাত রেখে টের পায়,,,
সে কতটা ফাঁকা ,কতটা ভাঙ্গা ,
কতটা অজস্র কথা আজও বলা হয়নি,,
আর হয়তো হবেও না কোনদিন।
এভাবেই প্রতিটা মানুষ এক একটা অসমাপ্ত গল্প হয়ে পড়ে থাকে,,
এক একটা সম্পর্কের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যায়,,
যা কেউ আর খুঁজে দেখে না ,পরেও না,,,,

19/10/2025

এগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো ।

19/10/2025

কেবল মাত্র আমি মানুষ চিনতেই ব্যর্থ
মানুষ চেনার অক্ষমতা–

জীবন এক অদ্ভুত যাত্রাপথ। এখানে প্রতিটি বাঁকে থাকে নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন শিক্ষা। শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত নানা কিছু শিখেছি — পড়াশোনা, কাজের কৌশল, দায়িত্ব নেওয়া, এমনকি বেদনা সামলানোও। কিন্তু একটিমাত্র শিক্ষা আমি কখনো রপ্ত করতে পারিনি, তা হলো মানুষ চেনা।

মানুষকে বোঝা সত্যিই কঠিন। কারো মিষ্টি কথার আড়ালে লুকিয়ে থাকে স্বার্থপরতা, আবার কারো নীরবতার মাঝে থাকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। আমি যতবারই ভেবেছি — "এবার নিশ্চয়ই ভুল করবো না," ততবারই ভুল করেছি।

বিশ্বাস করেছি ভুল মানুষের প্রতি, ভরসা রেখেছি যাদের রাখা উচিত ছিল না, আর দূরে সরিয়েছি সেই মানুষগুলোকে যারা সত্যিই আমার মঙ্গল চেয়েছিল।

সমাজে বাস করে মানুষকে না চেনা মানে প্রতিনিয়ত ধাক্কা খাওয়া। বন্ধুত্বে, সম্পর্কে, এমনকি আত্মীয়তার বাঁধনেও প্রতারণার ছোঁয়া পেয়েছি।

তবুও অদ্ভুত এক সরলতা থেকে বের হতে পারিনি কখনো। হয়তো ভেবেছি, সবাই আমার মতো নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে জানে। কিন্তু বাস্তবতা আমাকে শিখিয়েছে — সবাই সমান নয়, সবাই আন্তরিক নয়।

তবে কি এটাই ব্যর্থতা? নাকি এটাই মানুষ হওয়ার প্রকৃত সৌন্দর্য? হয়তো আমি মানুষ চেনাতে ব্যর্থ, কিন্তু মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারাইনি। জীবনের প্রতিটি আঘাত আমাকে শিখিয়েছে, কিছু মানুষ কষ্ট দিতে আসে, কিন্তু কিছু মানুষ আসে হৃদয়ের গভীরে ছাপ রেখে যেতে।

সময় যত এগিয়েছে, আমি ততটাই উপলব্ধি করেছি — মানুষের মুখে লেখা থাকে না তাদের চরিত্র, চোখে ধরা পড়ে না তাদের আসল উদ্দেশ্য। প্রতারণার পরেও আমি আবার বিশ্বাস করি, ধোঁকাবাজির পরেও আমি আবার ভালোবাসি। হয়তো এটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি — মানবিকতা ধরে রাখা।

আজ যখন আয়নায় তাকাই, নিজেকে প্রশ্ন করি —
“মানুষ চেনার এই ব্যর্থতাই কি আমাকে দুর্বল করেছে, নাকি করেছে আরও দৃঢ়?”

উত্তর পাই না। শুধু বুঝতে পারি, এই অক্ষমতা সত্ত্বেও আমি মানুষ ভালোবাসা বন্ধ করিনি। হয়তো এটাই জীবনের আসল সার্থকতা — সব ব্যর্থতার পরেও মানবিক থাকা।

Tanny Bhuiyan

06/11/2025

31/10/2025

30/10/2025

29/10/2025

29/10/2025

29/10/2025

28/10/2025

21/10/2025

21/10/2025

19/10/2025

19/10/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category