11/01/2024
“আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে।”
“ছোটদের কোনো ছেলেমেয়ে হয় না। বড় হতে হতে তারা ছেলে বা মেয়ে হয়ে ওঠে।”
“ছেলেমেয়েদের চেহারা, আচরণ, কাজ বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কোনো স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম নেই।”
না এগুলো আমার কথা নয়।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের “মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা” অধ্যায়ের ৪০, ৪২ ও ৪৪ নং পৃষ্ঠা থেকে তিনটি লাইন তুলে দিলাম।
এখানে শরিফ আহমেদ থেকে শরিফা হয়ে ওঠা যে ব্যক্তি, শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও, মনে মনে নিজেকে একজন মেয়ে ভাবেন - তিনি কি থার্ড জেন্ডার নাকি ট্রান্স জেন্ডার?
কারো জেনিটাল অর্গানের বায়োলজিক্যাল অ্যাপিয়ারেন্স থেকে অথবা ক্রোমোজোমের মেকআপ কি 46XX নাকি 46XY সেটা দেখে যদি জেন্ডার ইনকনগ্রুয়েন্স ধরা দেয় তখন তাকে মেডিক্যাল সাইন্সে বলে। প্রচলিতভাবে সমাজে আমরা যাদেরকে হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষ মনে করি।
পক্ষান্তরে, শারীরিকভাবে সম্পূর্ন স্বুস্থ্য হয়েও মানসিকভাবে অস্বুস্থ্য কোন মানুষ যদি নিজেকে মনে মনে বিপরীত জেন্ডারের একজন ভেবে টেসটোসটেরণ বা এস্ট্রোজেন এর হরমোনাল ট্রাঞ্জিশন করে বা কোন কোন ক্ষেত্রে ওভারি বা প্রোস্টেট এর সার্জিক্যাল অপারেশন করে জেন্ডার আইডেন্টিটি বদলে ফেলে, তখন তাকে বলে।
একটা ফিজিক্যাল ডিজঅর্ডার, অন্যটা সাইকোলজিক্যাল ডিসফোরিয়া। দুটো বিষয় কি এক হল?
এই যে পড়ানো হচ্ছে, “ছোটদের কোনো ছেলেমেয়ে হয় না, বড় হতে হতে তারা ছেলে বা মেয়ে হয়ে ওঠে”, কিংবা এই যে বইয়ে লিখেছে “ছেলেমেয়েদের চেহারা, আচরণ, কাজ বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কোনো স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম নেই” – এগুলো যে সঠিক নয়, যারা এই বই লিখেছেন, তারাও তা জানেন। Dear , আপনাদের কী মনে হয়, জেনেশুনেও পাঠ্যপুস্তকে এগুলো কেন পড়ানো হচ্ছে?
#শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করবেন, নাকি “সন্তানরা যা শিখছে শিখুক, আমার কী” এমনটা ভেবে ইগনোর করবেন - সেটা আপনাদের বিবেচনা।