
13/09/2025
একটানা কনটেন্ট তৈরি, ফিল্টার, ফিলার আর ঘন্টার পর ঘন্টা স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা- সবকিছুর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কেমন হতে পারে? চিকিৎসাবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা থেকে তৈরি করা হয়েছে এক চমকপ্রদ মডেল 'এভা', যাকে বলা হচ্ছে ২০৫০ সালের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের এভারেজ রূপ!
দাগযুক্ত ত্বক, বাঁকা পিঠ আর অস্বাভাবিকভাবে তীক্ষ্ণ থুতনি রয়েছে এভার। গবেষকরা বলছেন, এই পরিবর্তনগুলো কেবল কাল্পনিক না, বরং আজকের দিনের তরুণ-তরুণীদের এই অভ্যাস যদি চলতেই থাকে, ভবিষ্যতে তা মানুষের শরীরে স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে।
এভার সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মাঝে রয়েছে:
১) টেক্সট নেক সিনড্রোম: ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে নিচু হয়ে থাকার কারণে ঘাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া।
২) কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস: বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্ট ও কেমিকেলের প্রভাবে ত্বকের প্রদাহ।
৩) ব্লু লাইট হাইপারপিগমেন্টেশন: স্ক্রিনের আলোতে ত্বকের রঙে দাগ ও কালচে ভাব।
৪) কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম (CVS): দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন দেখায় চোখে চাপ, ঝাপসা দেখা ও ব্যথা।
৫) সার্কাডিয়ান রিদম ডিসঅর্ডার: রাত-দিন অনিয়মিত ঘুমের কারণে বায়োলজিক্যাল ক্লক নষ্ট হয়ে যাওয়া।
৬) ওভারফিলিং সিনড্রোম: অতিরিক্ত কসমেটিক ফিলার ব্যবহারে মুখের অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
৭) ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া: নিয়মিত চুল টেনে বাঁধার কারণে চুল পড়া ও টাকের সমস্যা।
সত্যি বলতে, এভা আসলে এক ওয়ার্নিং আমাদের সবার জন্য। আজকের অস্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস, স্ক্রিনে আসক্তি আর চেহারা নিয়ে নার্সিসিজম কিভাবে আগামী দিনের শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে- সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সে।