Rakibul Sitab

Rakibul Sitab Still figuring things out, and that’s okay… Flip the pages and be part of the story!

Valid points🙂
12/05/2025

Valid points🙂

Had a peaceful birthday by the beach.No big plans, just good moments and a grateful heart.Thanks to everyone who sent lo...
07/05/2025

Had a peaceful birthday by the beach.
No big plans, just good moments and a grateful heart.
Thanks to everyone who sent love.
Alhamdulillah for another year.

25/02/2025

ধরুন, একটি দেশের ৪৫% মানুষ ছিনতাইকারী হয়ে গেছে। সেই দেশের সাধারণ বাকি ৫৫% নাগরিকদের জীবন, সম্পদ, নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য করণীয় কী?

আপনার মতামত কী? 👇

১) ছিনতাইকারীদের জামাই আদর করা উচিত? 🤔২)ছিনতাইকারীদের ভয় পেয়ে হাত পা গুটিয়ে গর্তে ঢুকে থাকা উচিত?😤
৩)ছিনতাইকারী জনতার হাতে ধরা পড়লেই প্রকাশ্যে জনসম্মুখে জবাই করে ফেলা উচিত? ⚖️🔥

22/02/2025

সাকিব আল হাসান শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা আইকন। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ার, অসাধারণ পারফরম্যান্স, এবং লড়াকু মানসিকতা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

কিন্তু সময় বদলায়, গল্পের মোড় ঘোরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো মঞ্চে সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশ দলকে কল্পনা করাই কঠিন। অথচ বাস্তবতা আমাদের এমন এক দিনে নিয়ে এসেছে, যেখানে তাকে দলে না দেখাটাই সত্যি।

রাজনীতি, সিদ্ধান্ত, কৌশল—এসবের খেলায় হয়তো সাকিবের নাম হারিয়ে গেল সাময়িকভাবে, কিন্তু তার অবদান? সেটা কখনও মুছে যাবে না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে তিনি যে দাগ রেখে গেছেন, তা অমূল্য। হয়তো সময়ই বলবে, কতটা বড় শূন্যতা তৈরি হলো তার অনুপস্থিতিতে।


Still figuring things out, and that’s okay…

আকাশে মেঘ, মনে রহস্য, আর প্রোফাইলে আমি—কি অবস্থা তোমাদের? 😏📸😂
14/02/2025

আকাশে মেঘ, মনে রহস্য, আর প্রোফাইলে আমি—কি অবস্থা তোমাদের? 😏📸😂

তাহসান ভাইয়ের নতুন বিয়ে: গসিপের মহা আনন্দমেলা! 🎉তাহসান ভাই বিয়ে করেছেন, খুশি মনে নতুন জীবন শুরু করেছেন। কিন্তু আমরা? “নত...
06/01/2025

তাহসান ভাইয়ের নতুন বিয়ে: গসিপের মহা আনন্দমেলা! 🎉

তাহসান ভাই বিয়ে করেছেন, খুশি মনে নতুন জীবন শুরু করেছেন। কিন্তু আমরা? “নতুন বউয়ের এক্স কে?” “তিনি এখন কী করছেন?” এসব নিয়ে তদন্তে ব্যস্ত। ভাই, এটা কি বিয়ে, নাকি গোয়েন্দা কেস? 🤦‍♂️

শুনলাম, নতুন বউয়ের এক্স নাকি মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিচ্ছেন! এ কী ব্যাপার? আপনি কি নিজের জীবনের “সেরা এক্স” ক্যাটাগরিতে পুরস্কার চাইছেন? 😑 ভাই, আপনার এই ইনসিকিওরিটি তো ক্লাস ফাইভের ব্রেকআপ ডায়েরির থেকেও বেশি করুণ লাগছে!

আর আমাদের ফেসবুক ডিটেকটিভ বাহিনী? তারা “এই বিয়ে টিকবে তো?” নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। ভাই, আপনি কি এই বিয়ের গ্যারান্টি কার্ড দিচ্ছেন, নাকি পারিবারিক জ্যোতিষী? 😅 তাহসান ভাই তো আপনাকে ফোন করে বলেনি, “ভাই, আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ একটু বলে দিন!”

মজার ব্যাপার হলো, আমরা নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে যতটা চিন্তিত না, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত তাহসান ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে। নতুন বউয়ের শাড়ির ডিজাইন থেকে তার এক্সের অতীত—সবকিছু নিয়ে গবেষণা চলছে।

সত্যি বলতে, মানুষ সুখে থাকতে চাইলে তাকে থাকতে দিন। তাহসান ভাই যেভাবে গান দিয়ে আমাদের মন ভরিয়েছেন, এবার তাকে তার নতুন জীবনে সুখে থাকতে দিন। এমনেই তিনি ভুলের পর ভুল করে চলেছেন।

পুনশ্চ: “গসিপ” খাওয়া কমান, কারণ এই ডায়েট হজমের জন্য ক্ষতিকর। বরং নিজের জীবনে একটু ফোকাস করুন। তাহসান ভাই ভালো থাকুন, আমরাও একটু ভালো থাকার চেষ্টা করি। ❤️

শেষ কথা: এই পোস্ট শেয়ার করে বলুন, “আমরা ভালো চাই, গসিপ চাই না!” 😉

আপনাদের কি সেই দিনের কথা মনে আছে? যখন বিকেল মানেই ছিল মাঠে ছুটে যাওয়া। কেউ ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলছে, কেউ পায়ে ফুটবল নিয়ে...
05/10/2024

আপনাদের কি সেই দিনের কথা মনে আছে? যখন বিকেল মানেই ছিল মাঠে ছুটে যাওয়া। কেউ ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলছে, কেউ পায়ে ফুটবল নিয়ে দৌড়াচ্ছে। আমাদের সবার একটাই চিন্তা ছিল—আজ কত রান করলে প্রেস্টিজ বাঁচবে, কত গোল করলে সহজে জেতা যাবে। সেই দিনগুলো ছিল যেন জীবনের সবচেয়ে সুন্দর আর নির্ভেজাল সময়।

কিন্তু সময় থেমে থাকে না, জীবন বদলায়। দায়িত্বের বোঝা আসে। সেই বন্ধু বা বড় ভাইটার কথা মনে আছে, যে প্রতিদিন নিয়ম করে মাঠে আসত? এখন আর তাকে মাঠে দেখা যায় না। দিনের পর দিন সে কাজে ডুবে থাকে, সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে লড়াই করে। এখন তার চিন্তা একটাই, “কিভাবে সংসারের খরচ মেটানো যাবে, কিভাবে সব কিছু ঠিকঠাক চলবে।”

এটাই তো আমাদের বাস্তবতা। যে মানুষটা একসময় মাঠের সেরা খেলোয়াড় ছিল, সে আজ জীবনের কঠিন বাস্তবতায় কাজের ভেতর ডুবে আছে। ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার কথা তো দূরের ব্যাপার, তার জীবনে সেই আনন্দের জায়গাটাই হারিয়ে গেছে। কয়েক বছর পর যখন সে আবার দেশে ফিরে মাঠে আসে, বল হাতে নেয়, কিন্তু তার হাত কাঁপে। বল ওয়াইড যায়, আর লাইনে থাকে না। ব্যাট হাতে নিলেও, বলের আগে ব্যাট চালানোর সুযোগই পায় না। শরীর ভারী হয়ে গেছে, দৌড়াতে গেলে ক্লান্তি এসে যায়।

এই সময় হয়তো সবার সামনে সে হেসে বলে, “আগের সেই দিন কি আর আছে?”

এই কথাটা শুধু তার নয়, আমাদের সবার মনেই প্রতিধ্বনি তোলে। আমরা সবাই ভাবি, আসলেই কি সেই আগের দিনগুলো আর ফিরে আসবে?

আমাদের দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমায়। তারা জীবন বদলে ফেলে। নিজেদের স্বপ্ন, শখ, ভালোবাসা সব ফেলে রেখে তারা কাজের সন্ধানে দূর দেশে যায়। প্রতিদিন তারা সেই পুরনো দিনগুলোর কথা ভাবে। খেলার মাঠ, বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই মুহূর্তগুলো খুব মিস করে।

আমরা যারা দেশে আছি, হয়তো বুঝতে পারি না কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তাদের কাছে শুধু টাকা কামানোই সব নয়, তারা যে নিজেদের আনন্দ, শখ, আর সেই নির্ভেজাল দিনগুলোও হারিয়ে ফেলে।

আজ যদি আমরা আমাদের সেই প্রবাসী ভাই-বোনদের কথা ভাবি, তাদের সেই জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া আনন্দগুলোর কথা ভাবি, তাহলে বুঝতে পারব, তাদের মনেও প্রতিদিন সেই একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে— “আগের সেই দিন কি আর আছে?”

আসলে দিন হারায়নি, আমরা হারিয়ে ফেলেছি। তবে পুরনো স্মৃতিগুলোই হয়তো আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে থেকে যায়। কখনো কখনো মাঠে ফিরে গেলে, পুরনো বন্ধুদের সাথে সময় কাটালে, হয়তো আমরা কিছুটা হলেও সেই দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে পারি।

তাই যারা এখনো খেলতে পারো, সময় দাও মাঠে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাও। সময় চলে যায়, কিন্তু স্মৃতি থেকে যায়। আর সেই স্মৃতিগুলোই হয়তো একদিন আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে থাকবে।

“আগের সেই দিন কি আর আছে?” হয়তো নেই, কিন্তু সেই দিনগুলোর স্মৃতি আমাদের সবার মনে আজও বেঁচে আছে।

তোমরা দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখতে দেখতেই খুনি হয়ে গিয়েছ! তোমাদের হৃদয়ে যে ন্যায়বিচারের সূর্যোদয় ছিল, সেই আলো আজ অন্ধকা...
20/09/2024

তোমরা দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখতে দেখতেই খুনি হয়ে গিয়েছ! তোমাদের হৃদয়ে যে ন্যায়বিচারের সূর্যোদয় ছিল, সেই আলো আজ অন্ধকারে মিশে গেছে। এই কি সেই বাংলাদেশ, যে জন্য তোমরা লড়াই করছিলে? না, এ সেই বাংলাদেশ নয়। এ তো সেই দেশ, যেখানে তৌফাজ্জলের মতো অসহায় মানুষের জীবনও কোনো মানে ছাড়াই শেষ হয়ে যায়।

তৌফাজ্জল হোসেন, একজন সাধারণ মানুষ, যিনি জীবনের কঠিন চড়াই-উতরাই পার হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। বাবা, মা, ভাই হারিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ঘুরতেন, সেখানেই শান্তি খুঁজতেন। আর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, যারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সেখানে পড়তে এসেছে, তারা তাকে চোর ভেবে বিচারকের ভূমিকায় নেমে পড়ল। তারা তাকে প্রথমে মারধর করল, তারপর আবার খাবার খাওয়ালো—বাহ্, কী মহানুভবতা! এর পরে আবারও মারধর করল, শেষ পর্যন্ত তৌফাজ্জলের জীবনটাই কেড়ে নিল।

তোমাদের কি মনে হয়, তৌফাজ্জল কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিল যে একদিন এমন নির্মম পরিণতি তার জন্য অপেক্ষা করছে? তার আক্ষেপগুলো কেউ শুনল না, তার কান্নাগুলো কেউ থামালো না। যে মাটিতে তার জন্য আশ্রয় ছিল, সেই মাটিতেই তার রক্ত মিশে গেল।

মারার আগে তাকে খাবার খাওয়ানোর সেই দৃশ্যটা যেন কোনো ক্রুর হাসির মতো। মানুষ যখন মৃত্যুর কোলে যায়, তখন তার সর্বশেষ প্রার্থনা থাকে একটু পানি, একটু শান্তি। আর তৌফাজ্জল পেল কেবল নির্মমতা, পেল হাসির আড়ালে লুকানো ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। ছাত্ররা তাকে খাওয়ানোর সময় ছবি তুলল, ভিডিও করল। যেন এক অদ্ভুত ট্র্যাজেডির মঞ্চে সবাই মিলে হাসির নাটক মঞ্চস্থ করল।

এই গল্পটা শুধু তৌফাজ্জলের নয়, এই গল্প আমাদের সবার। আমরা যে সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম, যেখানে মানবতা থাকবে, সেই সমাজ আজ কোথায়? যারা এই নৃশংস কাজ করেছে, তাদের মধ্যে কোনো অনুভূতি কি ছিল না? তৌফাজ্জলের চিৎকার কি তাদের হৃদয় ছুঁতে পারেনি?

কিন্তু এই গল্পের মধ্যেও একটা বিদ্রূপ আছে। একদিকে আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছি, আর অন্যদিকে, আমরা সেই স্বাধীনতার নামে অন্যায়কে বৈধতা দিচ্ছি। যদি এটাই হয় স্বাধীনতার পথ, তবে আমরা আসলেই কোথায় যাচ্ছি? তৌফাজ্জলের জন্য আমরা কাঁদব, কিন্তু সেই কান্না আমাদের মধ্যে কি কোনো পরিবর্তন আনবে?

এখন সময় এসেছে থামার। সময় এসেছে নিজেদের দিকে ফিরে তাকানোর। যদি আমরা সত্যিকার অর্থে এই দেশটাকে ভালোবাসি, তবে আমাদের হাত রক্তমুক্ত রাখতে হবে। তৌফাজ্জলের মতো আর কোনো মানুষ যেন এভাবে প্রাণ হারায় না, সেই প্রতিজ্ঞা আমাদের করতে হবে। আজ তৌফাজ্জল, কাল হয়তো তোমার কিংবা আমার প্রিয়জন। তাহলে কি আমরা শুধু এভাবে কাঁদতে থাকব?

মানবতা হারালে, সবকিছুই হারায়। আজ আমাদের জন্য একটাই প্রশ্ন—এই মানবতাটুকু কি বাঁচিয়ে রাখতে পারব?

15/09/2024

বাংলাদেশে বিয়ের পর যৌথ পরিবারে থাকা অনেক নারীর জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা। ছোটবেলা থেকে অনেক নারী বিয়ের স্বপ্ন দেখে যে, তারা একটি নিজের মতো করে সাজানো ঘর পাবে, নিজের ইচ্ছামতো রান্না করতে পারবে, এবং নিজের মতামতের মূল্যায়ন হবে। কিন্তু বাস্তবতা এই যে, বিয়ের পর এই স্বপ্নগুলো প্রায়ই হারিয়ে যায়।

যৌথ পরিবারে থেকে অনেক নারীকে প্রতিনিয়ত নিজস্বতা এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয়। রান্নাঘরে নিজের পছন্দমতো রান্না করা কিংবা ছোট ছোট আবদার পূরণের জন্য অনেক সময়ই তাদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। “তেল অপচয়,” “অপচয়ের খোঁটা,”—এ ধরনের অভিযোগ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি নিজের জন্য একটুখানি ব্যক্তিগত সময় কাটানোও অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর জন্যও যেন অনুমতির প্রয়োজন হয়, সবকিছুতে থাকে পারিবারিক নজরদারি। এমনকি অনেক সময় তাকে পরিবারে কাজের যন্ত্র হিসেবে দেখা হয়, যার একমাত্র ভূমিকা সংসারের সবকিছু সামলে নেওয়া।

এই বাস্তবতা দেখে অনেক তরুণী বিয়ে নিয়ে শঙ্কিত থাকে। তারা তাদের মায়েদের মুখে শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের গল্প শুনেছে এবং নিজেদের জীবনেও একই পরিণতি দেখতে পায়। তারা জানে, তাদের মা তাদের জন্যই প্রতিদিন নিজের ইচ্ছেগুলোকে ত্যাগ করে চলেছেন। তাদের মায়ের সেই কঠিন বাস্তবতা যেন তাদের চোখের সামনে ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়। বিয়ের কথা উঠলেই সেই ভয়ের চিত্র তাদের মনে ভেসে ওঠে।

আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথা হলো, “বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু এটা কি আসলেই এত সহজ? অধিকাংশ নারী বিয়েতে প্রবেশ করেন কিছু মৌলিক চাহিদা নিয়ে—একটু ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, নিজেকে প্রকাশ করার জায়গা, একজন সঙ্গী যার কাছে ছোট ছোট আবদার পূরণের কোনো তাচ্ছিল্য থাকবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বেশিরভাগ সময়েই এই চাহিদাগুলোকে “অতিরিক্ত চাওয়া” হিসেবে দেখা হয়। তাদের বলা হয়, “এটাই বাস্তবতা,” বা “বিয়ের পর এসব মেনে নিতে হয়।”

এই সমস্যার সমাধান সহজ নয়, তবে পুরুষ হিসেবে আমাদের কাছে এর কিছুটা উত্তর রয়েছে। প্রথমত, এই সমস্যাগুলোকে আমাদের গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। এটি কেবল নারীর সমস্যা নয়; এটি দুজন মানুষের সম্পর্কের গুণগত মানের ব্যাপার। একজন নারীর সুখ, স্বাধীনতা, এবং সম্মান নিশ্চিত করা পুরুষেরও দায়িত্ব। একজন নারীকে “সংসারের অংশ” হিসেবে নয়, বরং সমান মর্যাদার একজন মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। সংসারে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হলে তাকে শুধু গৃহিণী নয়, বরং পরিবারের এক মূল্যবান সদস্য হিসেবে গণ্য করতে হবে।

পুরুষদের, বিশেষ করে যাদের যৌথ পরিবারে থাকার পরিকল্পনা আছে, তাদের উচিত স্বামীর পরিবারের মধ্যে একটি সুষম সম্পর্ক তৈরি করা। নিজের স্ত্রীর ব্যক্তিগত চাহিদাগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া, তার জন্য একটি নিজস্ব স্থান তৈরি করা, এবং তাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া প্রয়োজন। তাকে এমন জায়গা দেওয়া দরকার যেখানে সে তার স্বপ্ন এবং চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে। এটি কেবল তার অধিকার নয়; এটি একটি সুস্থ ও সুখী সংসার গঠনের মূল ভিত্তি।

একটি সংসার শুধু একজন নারীর নয়, বরং দুজনের। যখন পুরুষেরা নারীদের এভাবে সম্মান দিতে শিখবে, তখন বিয়ে হবে একটি সুখী সম্পর্কের বন্ধন। এটি কেবল নারী-পুরুষের নয়, বরং পুরো পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে।


✍️ লেখক: আয়ারল্যান্ডের এক পার্কে বসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে এই কথাগুলো লিখছি। দূরত্বটা শুধু মাইলের নয়, চিন্তারও। তবে দূরত্ব যতই হোক, বিশ্বাস করি, একদিন সবাই মিলে এই পরিবর্তনটা আনতে পারব। 🌍☕

25/08/2024

স্ক্রু ড্রাইভার ঠোলা বাহিনী আন্সার বিলুপ্ত করা এখন সময়ের দাবি! এদের মূল কাজ হল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বীরের মতো স্ক্রু ড্রাইভার ঘুরানো, যেন তারা কোনো বিশেষ মিশনে আছে। কিন্তু বাস্তবে এদের আসল মিশন হল টায়ার পাংচার করা আর রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে 'চা-পানি' খাওয়ার টাকা আদায় করা। এই বাহিনীর সদস্যরা নিজেকে সুপারহিরো ভাবলেও, আসলে এরা সুপার ভিলেন!

আর যারা দেশের এই ক্রান্তিকালে, যখন দেশ বন্যার পানিতে ভাসছে, তখন উনাদের অপ্রয়োজনীয় আন্দোলন প্রমাণ করে তাদের মেন্টালিটি। আন্দোলন মানা হলো, উনাদের মহাপরিচালকও মানলো, তারপরও উনারা আসছে শক্তি প্রদর্শন করতে! সত্যিই, সময় এসেছে এই বীরত্বপূর্ণ বাহিনীকে বিদায় জানানোর। চলুন, সবাই মিলে এদের বিদায় জানাই!

ঢাকার মাটিতে ঢেউ ওঠা শুরু করেছে, আর সেই ঢেউ এসে লাগছে দিল্লির দেয়ালে!আপনি যদি সাম্প্রতিককালে ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য ...
25/08/2024

ঢাকার মাটিতে ঢেউ ওঠা শুরু করেছে, আর সেই ঢেউ এসে লাগছে দিল্লির দেয়ালে!

আপনি যদি সাম্প্রতিককালে ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন, তবে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন—হঠাৎ করেই কিছু ভিডিও ও কনটেন্ট যেন বন্যার মতো আপনার টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনই এক ভিডিওতে একটি স্লোগান পুরো দেশটাকে কাঁপিয়ে দিয়েছে: "আমরা সবাই বাবর হব, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করব!"

একটা মুহূর্ত ভাবুন, এটাই কী আমাদের সেই সময়, যেটা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে?

দেখুন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই স্লোগানটি ভারতেও তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই ছোট্ট স্লোগান, মাত্র ২০-২৫ সেকেন্ডের ভিডিও, ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনকে তছনছ করে দিচ্ছে। কেন? কারণ, এই স্লোগানটি শুধু কথার কথা নয়; এটি একটি দৃশ্যমান পরিবর্তনের ইঙ্গিত। একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার আগমন!

লুতফুজ্জামান বাবর, যিনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর নাম এখন দেশজুড়ে আলোচিত। তিনি এক সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি নায়ক রূপে ফিরে আসার সম্ভাবনায় আলোচিত। বিএনপি আর চীন-পাকিস্তান মিলে যে নতুন গেমপ্ল্যান করছে, সেটার মূল চাবিকাঠি হয়তো বাবরের হাতে। বিএনপি এখন চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করছে, আর এটাই ভারতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির এই যুগে, ফেসবুক ও ইউটিউব আমাদের চিন্তা-চেতনা পর্যন্ত বোঝার ক্ষমতা রাখে। তাই বর্তমান পরিবর্তনের ঝাপটায় যে ভিডিও ও কনটেন্টগুলো সামনে আসছে, তা শুধুই প্রযুক্তির খেলা নয়; এটি আমাদের দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিফলন। বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আর এই পরিবর্তন ভারতের মনে ভয় ধরিয়েছে।

দিল্লি থেকে শুরু করে কলকাতা পর্যন্ত, ভারত জুড়ে এখন আলোচনা চলছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তারা এখন বড় এক সংকটের মুখে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়েছে দিল্লির মসনদে। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন, ভারতের অভ্যন্তরে চলা বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে মিলে গিয়ে নতুন এক বিপদের সংকেত দিচ্ছে।

ভারত এতদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল, তা এখন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রভাবও হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেমন হবে, সেটি বড় একটি প্রশ্ন।

তবে সত্যি কথা বলতে, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে আমরা ভারতের ভয়ে আর পিছু হটবো না। আমরা নিজেদের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ আজকের বাংলাদেশ নয়, আর ভারতও সেটি বুঝে গেছে।

সবকিছুর শেষে বলতে হয়, এই পরিস্থিতি হয়তো আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, কিন্তু এটিই আমাদের সোনার বাংলা গড়ার পথে প্রথম ধাপ হতে পারে। আমরা সবাই বাবর হব, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করব—এই স্লোগান এখন শুধু কথার কথা নয়, এটি ভবিষ্যতের একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং হেফাজত করুন।

দেশের পরিস্থিতি আজ এমন এক দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের সবার হৃদয়কে গভীরভাবে নাড়া দেয়। বিচারব্যবস্থা, যা ন্যায়বি...
23/08/2024

দেশের পরিস্থিতি আজ এমন এক দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের সবার হৃদয়কে গভীরভাবে নাড়া দেয়। বিচারব্যবস্থা, যা ন্যায়বিচারের প্রধান ভিত্তি, আজ গভীর সংকটে। বিচারপতিরা, যারা আমাদের সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন নিজেদের অপরাধের জন্য পালানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তিকে যদি দুর্নীতির অভিযোগে আটক হতে হয়, তাহলে আমাদের দেশের নৈতিক ভিত্তি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?

এই ঘটনা শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি আমাদের বিচারব্যবস্থার ভিতরে লুকিয়ে থাকা গভীর দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি। বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখেছি, কীভাবে বিচারপতিরা রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থের লোভে নিজেদের নীতি ও আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন। আর যখন সত্য উদঘাটিত হয়, তখন তারা নিজেরাই দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন, নিজেদের সুরক্ষার জন্য।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা কিছু দল নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়া, চাঁদা আদায়ের মতো অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। দেশের এই অস্থিরতা, এই অনিশ্চয়তা, আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা কি এই অনৈতিকতার চক্রে আবার ফিরে যাবো, নাকি আমরা সত্যিকারের ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো?

আমাদের দেশের ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে, কিন্তু আজকের এই পরিস্থিতি আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচার চিরন্তন। আমাদের সবার দায়িত্ব হলো সেই চিরন্তন সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো, যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুষ্ঠু, ন্যায়ভিত্তিক সমাজে বাস করতে পারে।

Address

Limerick

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rakibul Sitab posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share