23/07/2024
মানুষ শিক্ষিত হয়েছে কিন্তু মানসিকতা পাল্টায়নি :
ছেলের বাবা মা তার বাবা মা আর মেয়ের বাবা মা কেও নয়, ছেলের বাবা মায়ের বয়েস হয় তাই বয়েস কালে ছেলে তাদের সাথেই থাকতে চায়, কিন্তু মেয়ের বাবা মায়েদের তো আর বয়েস হয়না ! যে মেয়েদের কোনো দাদা বা ভাই নেই তাদের বাবা মায়েদের হেলায় ফেলাই জীবন কাটাতে হয় ! কারণ তারাতো মেয়ের বাবা মা !
এখানে যদি প্রশ্ন ওঠে কেন মেয়ের বাবা মায়েরাও বয়েস কালে মেয়েদের সঙ্গ পাবেনা ? তাহলে কিছু জন বলবে কারণ বিয়ের পর মেয়েদের শশুরবাড়িতে থাকতে হয় এটাই নিয়ম...
আমার এই সমাজের কাছে একটাই প্রশ্ন ?এমন এক মুখিনতা কেন ??? কেন মেয়ের বাবামায়ের প্রতি এই অবিচার !
কিছু মানুষের বক্তব্য অনুযায়ী বিয়ের পর জামাইয়ের সাথে শাশুড়ির একই বাড়িতে থাকা ভালো দেখায় না ! কিন্তু বিয়ের পর ছেলের বৌ মানে বৌমার সাথে একই বাড়িতে থাকা খুবই ভালো দেখায় ! আহা কি চিন্তা !
এসব মানুষের মানসিকতার কথা শুনলে করুণা হয় আমার !
আগে মেয়েরা সংসার সামলাতো আর ছেলেরা চাকরি করতো, যুগ পরিবর্তন হয়েছে এখন মেয়েরাও চাকরি করে আর অনেক ছেলেও আছে যারা চাকরির সাথে সাথে সংসারের কাজ করে, কিন্তু মানসিকতা ? সেটা কি আদেও পরিবর্তন হয়েছে ??
এখন মেয়েরা চাকরি করে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য আর এটাই মনে হয় সব চাইতে জরুরি, একটা মেয়ের আত্মনির্ভরতা যাতে কখনো তাকে কেও এই কথাটা না বলতে পারে তাহলে বিয়ে করলে কেন মা বাবার কাছেই থাকতে পারতে....
নিজের পায়ের মাটিটুকু যখন শক্ত হবে দেখবে কোনো মানুষই আর তোমায় কিছু বলার সাহস পাবে না !
তাই সব মেয়েদের এবং বিশেষ করে মেয়ের বাবা মায়েদের উচিত মেয়ের পায়ের নিচের মাটি টুকু আগে শক্ত করা যাতে ভবিষতে কোনো ব্যক্তি তাকে অপমান না করতে পারে !
বিয়েটা কোনো ব্যাপার না, হলেও চলবে, না হলেও চলবে, বিয়ে না হলে পৃথিবী থেমে যাবেনা, বিয়ে ছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে জীবনে করার,
ব্যক্তিত্ব আত্মসম্মান আর সমাজে পরিচয়ই আসল..... ❤️
শেষে রবি ঠাকুরের একটা লাইন না বললেই নয় !
" চিত্ত যেথা ভয় শূন্য
উচচ যেথা শির " ।
লেখা - সংগৃহীত